![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জোনাকির মন ভালো নেই, সকাল থেকেই মন টা খারাপ, আজ আবিরের সাথে দেখা করার কথা ছিলো তার, বাহিরে যাবার জন্য সেজে গুজে বের হয়েছে জোনাকি, কালো একটা শাড়ি পরেছে সে, তাকে নাকি এই শারিতে জোনাকির মত লাগে, আবির প্রায় জোনাকি কে বলতো আমরা গ্রামে বেড়াতে যাবো, জানো আমাদের গ্রামে অনেক জোনাকি, তুমি রাত্রে বেলা এই কালো শাড়ি পরে আমার সাথে বাশের মাচায় বসবে, আমার চোখে ঘুম ঘুম লেগে আসবে, তুমি হটাথ করে উঠে যাবে, আমি হাত দিয়ে তোমায় খুজবো কিন্তু তুমি নাই দেখে উঠবো, বসে সামনে তাকাবো, দেখবো জোনাকিরা উড়ছে আর তুমি তা ধরায় ব্যাস্ত, আমি ডাকবো কাছে আসবে না, আমি উঠে তোমার কাছে যাবো, তোমার চুলে থাকবে কিছু জোনাকি, আমি তোমায় তা ধরে দিবো, তুমি আমার বুকে মুখ লুকাবে, আমরা চলে আসার দিন তোমার অনেক মন খারাপ হবে জোনাকি গুলুর জন্য, সারা রাস্তা বাসে বসে কান্নাকাটি করবে, বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করবে না, খুব মন খারাপ হবে তোমার, লাইট অফ করে যখন ঘুমাতে যাবো তখন টেবিলের উপর একটি ঝার দেখে তুমি আশ্চর্য হবে আর সেই ঝার ভরতি থাকবে আমার ভালোবাসার জোনাকি, আজ ৫ বছর পর আবিরের সাথে জোনাকির দেখা হবে, অনেক গুলা দিন্ন কেটে গেছে, আবির স্কলারশিপ নিয়ে কানাডা পরতে গেলো আজ আসছে দেশে, কিন্তু মা এ কি বললো আজ নাকি জোনাকির বিয়ে, ছেলে আসবে কোনো অনুষ্টান ছাড়া জোনাকি কে বিয়ে করে নিয়ে যাবে , মা তাকে বের হতে দেইনি, মেহমান দের আগমনে ঘর গুমগুম করছে, লাষ্ট ২ বছর আবিরের সাথে কথা হইনি জোনাকির, আবির বলেছিলো এই দিনে রমনায় তার সাথে দেখা হবে, জোনাকি কাদছে একা একা কাদছে, ঘর অন্ধকার, দিনের বেলাতেও অন্ধকার, জানালার ভারি পর্দা গুলু দিনের আলোকে আলাদা করে রেখেছে জোনাকির কাছ থেকে,
আবির সিগেরেট খাওয়া শিখেছে, রমনার তেতুল তলার বেঞ্চে বসে আছে আবির, বিকাল ৪ টা ৪৫, আর মাত্র ১৫ ইনিট এখনি আসবে জোনাকি, সময় গুনতে গুনতে ৬ টা বেজে গেলো নাহ জোনাকি আসেনা, জোনাকি হয়তো আবির কে ভুলে গিয়েছে, হয়তো আর মনে পরবে না তার কথা, আবিরের মা বেশ কয়েক বার ফোন দিয়েছে আবির কে, আবির আসছি আসছি করে যায়নি, নাহ শিতের বিকেল, সন্ধ্যা হয়ে এলো এখনি এখন বাসায় যাওয়া যেতে পারে, আবিরের খুব মন খারাপ,
বাসার সামনে যেতেই আবিরের মন খারাপ হলো বাসার গেটে ধুলাভাই এর গাড়ি টা পারকিং করা, না জানি কত গঞ্জনা সইতে হবে আজ, এমনিতেই মন টা ভালোনা, আবির বাসায় ঢুকতেই নতুন জামাই বলে ধুলাভাই চিৎকার করে উঠলো সাথে অট্টহাসি, আবির তার এই ভাই টাকে অনেক পছন্দ করে কিন্ত আজ কেনো জানি কিছুই ভালো লাগছেনা তার, বড় আপা টেনে নিয়ে গোসোলখানায় ঢুকাল তাকে, শার্ট টা খুলতে গিয়ে ছিরে ফেলল, আবির কিছুই বলল না, শুধু অন টা খারাপ হলো তার, এটাই ছিলো জোনাকির থেকে পাওয়া শেষ কিছু, আবির জানেনা জোনাকি আগের বাসায় আছে কিনা, জোনাকি এখন কি করে, তার সাথে যোগাযোগ কি করে করবে, আবির কে বড় আপা গোসোল করিয়ে দিছে, মা বাইরে থেকে গজগজ করছে, দেশে এসেছে ভালো, সোজা বাসায় আসেনি, প্লেন থেকে নেমেছে দুপুর ১ টায়, নবাব এর মত বাইরে বাইরে ঘুরে বেরিয়েছে, যেনো এখনো ক্লাস ৮ এ পরে সে, আহ মা তুমি থামবে, ছোটো বোনের কথায় মা যেনো আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো, এই এই শয়তান ছেলে টা কার? আমার আমার ছেলে
তাতে কি হয়েছে ভাইয়া কে তুমি বকছো কেনো, এতদিন পর এসেছে,
তুই পোরা কপালি বুঝবিনা, মা হলে বুঝতি মায়ের দরদ কত, এর ভিতর আবিরের গোসোল শেষ হয়, আবির এর পরার কিছুই নাই, তাই ধুলাভাই তাকে একটা সাদা রঙের পাঞ্জাবি দেয়, নাও আবির এটা পরো, আর কিছু তো এখন ধোয়া নেই, আবির সদ্য নতুন পাঞ্জাবি দেখে নেয়না, না ভাইয়া আপনি পরেন, আমি না হয় ময়লা টিশার্ট টা পরি, না না এটা পরো, আর চলো কিছু শপিং করে আনি, আবিরের মনে ধরে কথা টা, হ্যাঁ যেতে হবে শার্ট টার মত আরেক টা শার্ট কিনতে হবে, জোনাকি কে বুঝতে দেওয়া যাবেনা তার দেওয়া শার্ট টা আর নাই, আবির অবাক হয় গারিতে মা আপুরা সবাই উঠতে দেখে, ক্লান্ত আবির ঘুমিয়ে পরে, গারিতে বসেই,
আবিরের ঘুম ভাঙ্গে হোই চোই শব্ধে, বাড়ি টা মোটামুটি সাজানো মনে হয় যে বিয়ে বারি, আবির আজ তোর বিয়ে, কথা টি শুনেই আবিরের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে, আজ জোনাকি আসেনি, তাতে কি, একটু অপেক্ষা করা যেতো, জোনাকি কে খুজা যেতো কয়েক টা দিন, য়ামি বিয়ে করবোনা, বলেই আবির রাগ করে উঠে, আবিরের মা তখন তাকে বলে, দেখ বাবা তোর বাবার মৃত্যুর সময় তুই দেশে ছিলিনা, তিনি মারা যাবার আগে এই বিয়েটা ঠিক করে রেখে যায়, তুই যদি তোর বাবাকে কষ্ট দিতে চাস, আবির আর কোনো কথা বলেনি, সোজা বারির দিকে পা বারায় সে,
সব কিছুই ঠিক শুধু আবির হাসি খুসি না, আবির কনের সাথে একটু কথা বল০তে চায়, কিন্তু কেউ রাজিনা, অবশেষে আবির কে কনের রুমে পাঠানো হলো, আবির জোনাকির পাশে বসে আছে, কিন্তু কোনো কথা শুরু করতে পারছেনা সে, মেয়েটার চেহারা দেখা হইনি এখনো, মেয়েটার গা থেকে অধভুত একটা ঘ্রান আসছে, আর সেই গন্ধ টা জোনাকির গা থেকে আসতো, নাহ কিছুই বলবেনা আবির, আবির উঠে যেতে চায়, পিছন থেকে মেয়েটা বলে উঠে দারান একটু কথা ছিলো
আবির পিছনে না তাকিয়ে বলে বলুন শুনছি
আমি আসলে একজন কে ভালোবাসি, ৫ বছর পর আজ তার সাহে আমার দেখা করার কথা ছিলো, আমি যেতে পারিনি, জানেন সে না একটা পাগল আজ আমাকে পায়নি তাই কাল আবার ঠিক টাইমে সেইখানে সে যাবে, আমাকে প্লিজ কাল একটু বিকালে রমনার তীতুল তলায় নিয়ে যাবেন?
বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরে মেয়েটি, আবির পিছনে তাকায়, নাহ মেয়েটি কান্না করছে চেহারা দেখা যাচ্ছেনা আচ্ছা যাবো কথা টি বলতেই মেয়েটি চোখ তুলে তাকায়, এ এ কি দেখছে আবির এতো জোনাকি
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
হৃদয় এর স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আসলে অভ্র ব্যাবহারের কারনে সমস্যা টা হয় শুধরে নিবার চেষ্টা করবো ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:

সুন্দর গল্প। কিছু বানান ভুল আছে ঠিক করে নিবেন