![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Miles to go before I sleep...
" খলিফা হারুন-অর-রশিদ এর ত্রাণ বিতরণ ও বর্তমানে ছবি তুলে ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে "
হাবিব লাবু,
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব চিরিরবন্দর (স্যাক)
আমরা সকলেই জানি ইসলামের খলিফা হারুন- অর- রশিদের রাতের অন্ধকারে ক্ষুধার্ত এক পরিবারের কাছে নিজে রাজ কোষাগার থেকে কাধে করে খাবার পৌছানোর অমর কাহিনী।
বর্তমানে করোনা দূর্যোগে, দেশের হাজার প্রান্তে হাজার মানুষ এগিয়ে আসছে আশেপাশের গরীব মানুষগুলোর কাছে, সামর্থ্যমত খাদ্য নিয়ে।
পাশাপাশি তারা ছবি তুলছে, অনেকে মিলে তুলছে। আবার সেটি হয়তো ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য হলেও তুলছেন। অনেকে এর পিছনে অনেক দুঃখ কষ্টের কথাও লিখছেন।
কিন্তু বাধসেঁধেছে কিছু মানুষ। এদের পিছনে লেগে পড়েছে। তাদের হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভাষ্য " দান করার সময়য় এক হাত দিলে অন্য হাত যেন টের না পায়"। এটি আমিও মানি। কিন্তুর পিছনে কিন্তু যে থেকেই যায়।
তাহলে আসুন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানাই। চিরিরবন্দরে বালা পাড়ার গরীব এক বৃদ্ধা মহিলাকে দুই দিন আগে প্রায় ৫০০ টাকার খাদ্য পৌছে দিয়েছে চিরিরবন্দর মডেল সপ্রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু দুই দিন পরেই সেই মহিলা এলাকার অন্য মানুষের কাছে তার অভাব, অভিযোগ জানিয়ে বেড়াচ্ছিলেন যে সে কোন ত্রাণ / খাদ্য সহযোগিতা কোথাও পায় নাই। খুব কষ্টে দিনানিপাত করছে। স্বভাবতই মানুষের মধ্যে সহানুভুতি জাগলে তারাও অন্য সংগঠন থেকে তাকে আরও খাদ্যদ্রব্য যোগাড় করে দেন।
কিন্তু নসিব খারাপ হলে যা হয়, সেই খবর জানতে পারে মডেল অ্যালামনাইয়ের এক সদস্য। সে ঐ মহিলার মিথ্যাচার সর্ম্পকে এলাকার মানুষকে জানালে তারা প্রথমে ব্যাপারটি বিশ্বাস করে নাই।
এমন সময়ে সেই সদস্য তাদের মেসেঞ্জার গ্রুপ (কমিটির সকল কাজের ছবি কিংবা কর্মপরিধি যেখানে ঠিক করা হয়) সেই বৃদ্ধা মহিলার হাতে তুলে দেয়া ছবি এলাকার মানুষকে দেখাতে সক্ষম হলে সকলের ভুল ভেঙে যায়।
একদম সাধারণ অভিজ্ঞতা মনে হল আপনাদের কাছে তাই না। আসুন, একটু চিন্তা করি।
ঐ বৃদ্ধা মহিলাকে যদি ছবি ছাড়া সেদিন প্রমাণ করা না যেত, তবে সে মানুষের সহানুভুতিকে কাজে লাগিয়ে পূর্বের তুলনায় আরও বেশি খাবার পেতে চাইতো।
অন্যদিকে এক সত্যিকারের না খেয়ে থাকা পরিবার বঞ্চিত হতো তাদের প্রাপ্য থেকে।
আর আপনি এই যে ছবি দেখছেন আর বলছেন, মানুষ দেখানোর জন্য ত্রাণ দিচ্ছে।
হ্যাঁ ভাই, একজনের দেখানোর জন্য ফেসবুকে ছবি দেখে যদি অন্য আরেকজন আবার লোক দেখানোর জন্য কিছু খাবার দেয় তবে লাভ কিন্তু ঐ গরীবদেরই হচ্ছে।
হ্যাঁ ভাই, এটিই হল স্যোসাল মিডিয়ার পাওয়ার। সবাই দেখানোর জন্য করে না ভাই।
ছবি তুলে রাখে বুড়ো বয়সে যখন কাজ করতে পারবে না, যৌবনে কাটানো এই কর্মগুলোর স্মৃতি তাকে আরও দৃ্ঢ় মনোবল নিয়ে বেঁচে থাকার শক্তি যোগাবে অবশ্যই।
আর এভাবে ছবি দেখতে দেখতে একদিন আপনি যখন দেখবেন, আপনার পাশের বাড়ির অমুক আপনার থেকে কম আয়ের হয়েও মানুষকে সাহায্য করছে তবে আমি কেন পারবো না।
আমিও দেই না কেন আমার পাশের জনকে। আমি জানি তখন আপনি ছবি তুলবেন না, কাউকে দিবেন না।
আদতে কিন্তু লাভ হল আপনার পাশে গরীব মানুষটার।উৎসাহের কেন্দ্র ছিল সেই ছবিই।
আপনি এখন ভাববেন এটা অহংকার।শেষ করছি এক হাদিস দিয়ে, "আল্লাহ দুই বান্দার মাঝে নামাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা খুব পছন্দ করেন। যখন কোন বান্দা ভাবেন আরে আমার প্রতিযোগি এতো ভালো মত, সময়মত নামাজ পড়ছে, তাহলে আমি পারবো না কেন?"
আমাকেও পারতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সকলের সুস্থতা দান করুন।
(আমিন)
ছবিঃ প্রতীকি
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খলিফা হারুন- অর-রশীদের মতো ভাল কাজ করেছেন সভাপতি সাহেব।খলিফার মতো আপনিও কি শুধু একজনকেই সাহায্য করেছেন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৩
হাবিব লাবু বলেছেন: এটি শুধু একটি চিত্র মাত্র। অনেক সাহায্য করেছি। অনেক কিন্তুর মাঝে এটিও এক কিন্তু তাই আমি লিখেছি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিসের সাথে কি মিলায় ভাইরে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৬
হাবিব লাবু বলেছেন: ভাই, আমার লেখার উদ্দেশ্যটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। এমনও অনেক ঘটনা ঘটছে। আর যার ফলে প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমার লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার মত স্বেচ্ছাসেবকদের এই দিকটি লক্ষ্য রাখা।
ধন্যবাদ
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে বুঝতে হবে- এটা খলিফা হারুন-অর-রশিদ এর যুগ না। তার আমলে নেট ছিলো না। মোবাইল ছিলো না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৭
হাবিব লাবু বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি পুরো পোস্ট পড়েন নি। না হলে না বুঝে মন্তব্য করেছেন।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
খলীফা হারুনর রশীদ ভালো লোক, গতকাল আমাদের গ্রামে রাতে কিছু কলা দেয়ার চেষ্টা করেছেন; আপনি কি কিছু পেয়েছেন?