| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মণিকা আজ বেড়াতে গেছে তাদের কোন এক প্রকার আত্মীয় হয় সেরকম কারোর বাড়ীতে। সে বাড়ীতে তার থেকে কিছু বয়সে বড়, দুটি বোন আছে। যথার্থ উপমা দিয়ে যদি বর্ণনা করা যায় তাহলে একটি বোনকে ড্যাব-ড্যাবি বললে ঠিক হবে, তার ডাব-ড্যাবা চোখের কারণে । কেন যেন ডাগর ডাগর চোখ বলতে ইচ্ছে করে না মণিকার, সে জানে না কেন। চোখ ড্যাবড্যাবা হলেও বোনটির অনেক বুদ্ধি ছিল। তিন বোনের সবচেয়ে বড় সে। ঐ বোনটির ড্যাব ড্যাবা চোখ নিয়ে এত বুদ্ধি সেই ছোট্টবেলা থেকে কিভাবে ছিল, মণিকা ভেবে কোন কূল কিনারা করতে পারতো না তখন।
ড্যাব- ড্যাবির এক বছরের ছোট মানে পিঠাপিঠি হলো দ্বিতীয় জন। সেটার জিহবা একটু ভারী। তোতলা না, তবে থ্যাপ-থ্যাপ করে কথা বলে। দুজনে যেহেতু মণিকার থেকে বড় তাই সেই আট বছরের ছোট্ট মণিকা তাদের থেকে জ্ঞানের দিক দিয়ে একেবারেই আনকোরা ।
বোন দুটি একই ক্লাসে পড়ে। ক্লাস সেভেনে। অনেক বড় ক্লাস। বয়স বায়ো কি তেয়ো। বড় আপা তারা। বয়োঃসন্ধিতে উপনীত হয়েছে । তাই অনেক কিছু জানে। কাপড়ের নীচে কি হয় তাও জানে।উগ্র স্বভাবের বোন দুটি নিজেরা নিজেরা কত কি যে বলে আর সারাক্ষণ খিল খিল করে হাসে, কেন হাসে কে জানে !
ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত তাদের একটি ছোট্ট বোন ছিল বছর পাঁচেকে বয়সের। তার খেলনা দিয়ে বিছানার পাশে মাটিতে বসে মণিকা একদিন খেলছিল। খেলা শেষে যখন ঘর থেকে বের হতে যাবে তখনই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাওয়া বিছানায় শুয়ে থাকা বোন দুটো মণিকাকে ডাক দিয়ে বলল, ‘তোমার প্যান্ট টা একটু খোল তো!’
তখন কিছু বুঝতে না পারলেও তাদের আচরণটা মণিকার বেশ অদ্ভুত লেগেছিল। তাই এখনো ভুলে যায় নি। কারণ এমন অদ্ভুত কথা মণিকা তার আট বছরের জীবনে কখনো আগে শুনে নি। কেউ কারো বাসায় এভাবে প্যান্ট খোলার কথা বলে নাকি?
তারপর বিশ বছর প্রায় অতিক্রান্ত হয়েছে। আজ মণিকার বয়স ২৭/ ২৮। এর মধ্যে তারও জীবনের অভিজ্ঞতা বেড়েছে।
বোধি পাওয়ার মত তাই একদিন সে অনুধাবন করে বসলো ওই দুই বোনের সেই স্মরণীয় উক্তিটি। সেই ছোট বেলায় তাদের বাসায় মণিকাকে দেয়া প্যান্ট খোলার প্রস্তাব, এবং প্যান্টের ভেতর কি আছে তাদের তা দেখার আকাঙ্খার প্রকাশ।
কোন কিসিমের আত্মীয় সেই লোকেরা মণিকা তা জানে না। গিয়েছিল তার বাবা মায়ের সাথে ঐ বাড়িতে বেড়াতে। তার বাবা মা তো কত না মানুষের সাথে মেশে। সেভাবেই সেই লোকদের সাথে হয়তো আপন মনে করে মিশতো। আর সেখানে যেয়ে দুই বোনের কাছ থেকে খুব অদ্ভুত এই অভিজ্ঞতা সে যখন সঞ্চয় করে এনেছিল, তা তো ভোলার মতন নয়। সেদিনটা মনে রাখার মতন একটা দিন ছিল তার জীবনে। মনে রাখার মতো একটা অভিজ্ঞতাও ছিল বটে!
সেই দিনের সেই উক্তি দিয়ে ড্যাব-ড্যাবি আর থ্যাপ-থ্যাপি কি বুঝিয়েছিল, মণিকা আজ বুঝতে পেরেছে। যদিও বুঝে উঠতে সময় লেগে গেছে বিশ বছর! কারণ সে বোধি পেয়েছে যে মাত্র। আজ তার বোধি পাওয়ার দিন।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০২
হুমায়রা হারুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কার্ডটির জন্য। আসলে এতদিন ফেসবুক আর ইউটিউব নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এবার ঠিক করেছি আমার এতদিনের ভাবনাগুলো আবারো সামু ব্লগে সংযুক্ত করে ফেলবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৬:০০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: লিখতে থাকুন,

স্বাগতম সামুর ব্লগে
........................................................
আপনি অনেক পুরানো ব্লগার,
কিন্ত নিয়মিত নন ।
আশাকরি আমাদের মাঝে বিচরন করতে করতে
সবার নজরে আসবেন ।