নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় সীমাহীন

হুমায়রা হারুন

মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব শুধু প্রযুক্তিতে নয়, বরং মননের বিনিময়ে। ব্লগে যোগাযোগের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠত্বেরই প্রকাশ ঘটে। আপনি যখন লেখেন, মন্তব্য করেন, কিংবা অন্যের ভাবনা পড়েন — আপনি তখন মানব প্রজাতির মননে অংশ গ্রহন করেন।

হুমায়রা হারুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঁচে থাকার শুরু

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮


জানালার পাশে বসে ভাবছিল কিভাবে ভালবাসাহীন জীবন কাটিয়ে দিল সুবর্ণা। সেই কিশোরী বয়স থেকেই কানায় কানায় ভরে উঠেছিল সৌন্দর্য। কাটাকাটা চেহারায় চিবুকের ধার, বাদামী চোখ, বাদামী লাল চুলের বাঁধনহারা এলোমেলো ভাব, অপ্রতিরোধ্য কামনায় ভরা একটা ইনোসেন্ট মন, যে কিনা অবুঝ, চঞ্চলা, মোহনীয় সৌন্দর্য্য স্কুলে থাকতে ইঙ্গিত দিতে শুরু করে তার শরীরে। কলেজে এসে সে বাঁধ ভেঙ্গে আছড়ে পড়ে। জীবনটা খুব সুন্দর ভাবে সাবলীল ভাবে কেটে যাবে এমনই তো চেয়েছিল সুবর্ণা। এমন সময়ে নায়ক চেহারারতি স্মার্ট, ধনাঢ্য পরিবারের পুত্রটি যখন এগিয়ে এলো, প্রস্তাব নিয়ে তখন আর ঠেকায় কে?
বাবা মায়ের ইচ্ছায় জীবনের অন্য একটি অধ্যায় বরণ করে নিতে হলো, বোধশক্তি হবার আগেই, জীবনকে উপলব্ধি করার আগেই। বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণাহীন একটা কিশোরী বরণ করে নিল দ্বিগুন বয়সী প্রবাসী এক অচেনা মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে।
চলার পথে হাত ধরে থাকবে যে সবসময়, এরকম প্রতিশ্রুতিই হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ছেলেটি দেয়নি। কন্ট্রাক্ট মানে বিয়ের শর্তে তো, তাই –ই বোঝায়।
সুবর্ণা অতসত বুঝে না। বিয়ে কি। বিয়ের শর্ত কি।
বিয়ে হয়েছে, লোকটির সাথে থাকতে হবে, সংসার করতে হবে এমনি তো জীবন। এমনই হয়তো বা। নাকি তা না। তাও সে জানে না।
সে জানে না জীবন কাকে বলে।
অতিরিক্ত সুরক্ষিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত সুবর্ণা এ-ও জানে না ভাল লাগা , বোঝাপড়া কি জিনিস।
স্বামী নামক একটা জিনিস ঘরে প্রবেশ করলো, অধিকার স্থাপন করলো, সন্তান জন্ম হলো, এই –ই বোধহয় জীবন। বোঝাপড়া, সুখ, ভালবাসা কখনো আর দেখা দিলো না। বরংচ নেমে এলো স্বামী নামক সেই লোকটির মেজাজ, খটমটে ব্যবহার আর মারপিটের রিহার্সেল। বড় সন্তানটি তখন একটু বড়ই বলা চলে। কন্যা তো বাবার বুকের ধন হবার কথা। কিন্তু এই বাবা যে অন্যরকম। কন্যার উপর চড়াও, স্ত্রীর উপরে চড়াও আর বাইরে গিয়ে হাসিমুখে সামাজিকতা দেখানো – সর্ব বিষয়ে অভিনয়ে পারদর্শী লোকটা একদিন ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে হঠাৎ কোথায় জানি উধাও হয়ে গেল।
সুবর্ণা বুঝে পায় না, আরো ৮/১০ টা সংসার কি এভাবেই চলে?
আসলে সংসার কি জিনিস ? এত দিনেও তো বুঝলো না।
সংসার মানে কি আশান্তি?
ঘর যে সুখের নীড় –এমন একটা কথা কোথাও শুনেছিল। আর এখন সে এসবের অর্থ কিছুই বোধগম্য করতে পারে না। ভালবাসার স্পর্শ তো সে জীবনে পায়নি। ভালো ব্যবহারটুকুও না। স্বামীর সাথে থেকে দীর্ঘ ২০ বছরে শুধু জেনেছে, তার কোন কিছু পাবার অধিকার নেই। কারণ তার গুন নেই। সে যে কুৎসিত, সে যে বোকা, সে যে অপদার্থ। নিজের প্রতি কনফিডেন্স হারিয়ে, তাই আজ সে নিঃস্ব।
কলেজের বন্ধুরা সেই আগের মতোই তাকে ভালবাসে। রাজীব যেন শূণ্যতা পূরণ করে দিয়েছে সবটুকু। স্বামীটি উধাও হবার পর থেকেই রাজীব তার পাশে পাশে সারাক্ষণ। মধ্যবয়সে জীবনের এ পর্যায়ে এসে সুবর্ণা আজ বুঝতে পেরেছে ভালোলাগা কি জিনিস, বোঝাপড়া কাকে বলে, মনের মানুষকে মন দেয়াতে কেমন লাগে। রাজীব ওকে শিখিয়েছে।
বিশ বছর পর যোগাযোগ, কিন্তু তার অপূর্ণতা পূরণে রাজীবের বিশ সেকেন্ড সময় লাগে নি। । আজ সুবর্ণা বুঝতে পেরেছে কি অর্থহীন, ভালবাসাহীন সময়টুকু সে পার করেছে এতদিন। ভালোই যাকে বাসেনি, তার সাথে হলো সংসার। দুটি ফুটফুটে সন্তান।
এ কেমন জীবন?
আর বোঝাপড়া, মন দেয়া নেয়া হলো যার সাথে তার আগমন তো এই হলো মাত্র। তার যে আর সময় নেই। সুবর্ণার এখন অজস্র সময় কিন্তু রাজীবের যে ভীষণ ব্যস্ততা। রাজীবের সময় আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা । রাজীবের জীবন তার কমিট্মেন্ট দিয়ে ভরা তার পরিবারের প্রতি। তার স্ত্রী, তার কন্যা, তার বোন সকলকে নিয়ে তার দায়িত্ব। পরিবার তার অগ্রাধিকার। মনে যাই থাকুক, ক্ষুধা, তৃষ্ণা সব অগ্রাহ্য করে দায়িত্ব সে পূরণ করবে। কারণ পরিবার তার priority.
সুবর্ণাকে ভালো লাগতো কলেজে থাকতে। সুন্দরী মেয়েটি সুন্দর মেয়েও ছিল। যার মন এত সুন্দর তার কাছে গেলেই রাজীবের মনে হতো সাক্ষাত স্বর্গের অপ্সরা। এস্টাব্লিশড্ পাত্র দেখে সুবর্ণাকে বিয়ে দিল যখন, তখন সেটা তো মেনে নিতেই হবে। কারণ তার তো এস্টাব্লিশড্ হতে অনেক অনেক দেরী।
এই দেরীও একদিন যে শেষ হয়ে জীবনের চলার পথে দুজন আবার মুখোমুখি দাঁড়াবে, রাজীব বা সুবর্ণা তা কখনোই ভাবেনি। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে দূরত্ব তো একটা ক্লিক মাত্র। সুবর্ণা তো তাই এত কাছে চলে এসেছে। তার স্বপ্নেরে অপ্সরা। সুবর্ণাকে ছুঁয়ে প্রাণ ফেরৎ এনেছে সে। সুবর্ণা বেঁচে উঠেছে।সুবর্ণ আলোয় সে আরো প্রাণময় হয়েছে।
কলেজের উচ্ছ্বলতা নেই, সময়ের সাথে সাথে ধীরতা এসে গেছে অনেকটা। কিন্তু মনের তো একটু ও পরিবর্তন হয়নি। সেই পুরোনো কলেজের সহপাঠী আজো তেমনি রয়ে গেছে। মাঝ দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে ২০টি বছর।
সুবর্ণাকে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারেনি রাজীব। কিন্তু মনের পরশে তাকে জাগিয়ে তুলেছে। তাই আজ সুবর্ণা ভাবে ভালোবাসাহীন জীবন কি রকম একটা জীবন? যাকে ভালীবাসা সম্ভব হয়নি তাকে নিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলাম।
কিভাবে?
এতগুলো বছর এরকম মায়াহীন এক সংসারে। একটা দিনও প্রেম, আদর, স্নেহের পরশ তো জুটেনি। সংসারে আয় উন্নতি হয়নি। সন্তানরা হয়েছে ভুক্তভোগী। মা নিজেই তার ঘরে অরক্ষিত, বাবার দানবীয় আচরণে সন্তানরা ভীত সন্ত্রস্ত । আশান্তিতে ভরা এ ঘর নরকের মতো। সেখানে কোথায় সুখ, কোথায় শান্তি।ভালোবাসা তো অলীক কল্পনা।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে সুবর্ণা । দূরের মেঠোপথ পেরিয়ে ট্রেন ছুটে চলছে তার গন্তব্যে। জীবনের পড়ন্ত বেলায় একাকী পথ ভ্রমন । শহর পেরিয়ে চলে যাবে অনেক দূরে লোকালয়হীন কোন প্রান্তরে। বেলা শেষে দেখবে গোধূলী, পরের দিনের সূর্যোদয়। ভালবাসবে আপনাকে।
আজ সে বুঝেছে নিজেকে নিজেরই ভালবাসতে হয়। প্রেম বলে কিছু থাকলেও তা আগে নিজের সাথে নিজের। তারপর হবে প্রেমিকের আগমন সেই কল্পলোক থেকে। আজ সে বুঝেছে জীবন তার নতুন অধ্যায় নিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এবার তার বেঁচে থাকা অনেক্টুকু স্বপ্নলোকের রাজকন্যার মতন। অনেকখানি সুখ আর ভালোবাসার স্পর্শে। এই স্পর্শটুকু সে নিজেই গড়বে, নিজেই প্রস্তুত করে নিজেকে অর্পণ করবে।
এখন থেকে তার বেঁচে থাকার শুরু। মৃত্যুর সমাপ্তি।
৩/১২/২০২৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জানালার পাশে বসে ভাবছিল কিভাবে অবলবাসাহীন জীবন কাটিয়ে দিল সুবর্ণা ।সেই কিশোরী বয়স থেকেই
কানায় কানায় ভরে উঠেছিল সৌন্দর্য। কাটা কাটা চেহারায় চিবুকের ধার, বাদামী চোখ , বাদামামী লাল চুলের
বাঁধনহারা এলোমেলো ভাব , অপ্ররিরোধ্য কামনায় ভরা একটি ইনোসেন্ট মন , যে কিনা আবুঝ , চঞ্চলা ,
মোহনীয় সৌন্দর্য স্কুলে থাকতে ইঙ্গিত দিতে শুরু করে তার শরীরে ............বেঁচে থাকার শুরু । মৃত্যুর সমাপ্তি ।

আপাতদৃষ্টিতে সুবর্ণা একটি জীবনকাহিনী, কিন্তু সেইটুকুই এই গল্পের শেষ কথা নয়। সুবর্ণা একটি বিশেষ কালের
আলেখ্য। যে কাল সদ্যবিগত, যে কাল হয়তো বা আজও সমাজের এখানে সেখানে তার ছায়া ফেলে রেখেছে। সুবর্ণা
সেই বন্ধন-জর্জরিত কালের মুক্তিকামী আত্মাৱ ব্যাকুল যন্ত্রণার প্রতীক।
আর একটি কথা মনে পড়ছে এই গল্পটির সঙ্গে কারো জীআনের একটি যোগসূত্র আছে। সে যোগসূত্র কাহিনীর
প্রয়োজনে নয়, একটি চরিত্রকে পরবতী কালের চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজনে।সমাজবিজ্ঞানীরা লিখে
রাখেন সমাজ-বিবর্তনের ইতিহাস, আমি এই কাহিনীর মধ্যে সেই বিবর্তনের একটি রেখাঙ্কনের প্রয়াস দেখতে পাচ্ছি ।
মানব মনের মানব জীবনের সেকাল নিয়ে তর্ক তো চিরকালের, কিন্তু কেমন করে চিহ্নিত করা যায়। সেই কালকে?
একএকটা কালের আয়ু শেষ হলেই কি এক-একবার যবনিকা পড়ে? যেমন যবনিকা পড়ে নাট্যমঞ্চে?

না, যবনিকার অবকাশ কোথায়? অবিচ্ছিন্ন স্রোত। তবু জীবনের ভাঙ্গা গড়া চলছেই । পারিবারিক জীবন মানুষের
রীতিনীতি, চলন-বিলন, এরাই ধরে রাখে মানব জীবনের এক একটা টুকরোকে, ইতিহাস নাম দেয় মানব জীবনের
কালপরিক্রমা।

কিন্তু কালকে অতিক্রম করতেও থাকে বৈকি কেউ কেউ, নইলে কারা এগিয়ে দেবে সেই প্রবহমাণ ধারাকে? সে
ধারা মাঝে মাঝেই স্তিমিত হয়ে যায়, নিস্তরঙ্গ হয়ে যায়। তবু এরা বর্তমানের পূজো কদাচিৎ পায়, এরা লাঞ্ছিত হয়,
উপহসিত হয়, বিরক্ত-ভাজন হয়।এদের জন্যে থাকে কাটার মুকুট।এদের জন্যে সমালোচনার জ্বালাপালা ।

তবু এরা বেচে থাকে । হয়তো প্রকৃতির প্রয়োজনেই বাঁচে । তবে কোথা থেকে যে জীবনের গতিময়তা পায় তা
তারা নিঝেরাই জানেনা । হয়তবা তাদের জীবনের গতিময়তা আসে রাজরক্তের নীল আভিজাত্য থেকে, কিংবা
বিদ্যা বৈভবের প্রতিষ্ঠিত স্তর থেকে। আসে নামগোত্রহীন মূক মানবগোষ্ঠীর মধ্য থেকে, আসে আরো কোন ঘন
অন্ধকার থেকে। তাদের অভ্যুদয় হয়তো বা রাজপথের বিস্তৃতিতে, হয়তো বা অন্তঃপুরের সঙ্কীর্ণতায়। কিন্তু সবাই
কি সফল হয়? সবাইয়েরই কি হাতিয়ার এক? না।

প্রকৃতি অকৃপন তাই কাউকে পাঠায় ধারালো তলওয়ার হাতে দিয়ে, কাউকে পাঠায় ধাঁরালো কলম হাতে দিয়ে ,
কাওকে পাঠায় ভোতা বল্লম হাতে দিয়ে , তাই কেউ সফল সার্থক, কেউ অসফল ব্যর্থ। তবু প্রকৃতির রাজ্যে জীবন
যুদ্ধে কোনো কিছুই হয়তো ব্যর্থ নয়। আপাত-ব্যর্থতার গ্লানি হয়তো পরবর্তীকালের জন্য সঞ্চিত করে রাখে
শক্তিসাহস।
সুবর্ণা এসব কথা জানতো না। সুবর্ণা তার মার করুনগাথার সম্বল নিয়ে সংসারে নেমেছিল!তাই সে জেনেছিল
সে কেবল তার বৈচিত্রময় জীবনের গ্লানির বোঝা নিয়েই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সংগ্রামে একাই লড়বে
নীজের প্রেমেই নীজে মঝবে, যেখান থেকে হবে বেঁচে থাকার শুরু। মৃত্যুর সমাপ্তি সেতো ভবিতব্যের হাতে!!!

সুবর্ণার অভিনব জীবন দর্শন নিয়ে গল্পটি তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গঠনশৈলি নিয়ে চমতকার হয়েছে ।
পাঠে মুগ্ধ ।

শুভেচ্ছা রইল


২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৭

হুমায়রা হারুন বলেছেন: আপনার এই গভীর ও চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে গল্পের মূল দর্শনটি ধরতে পেরেছেন।
জীবোণেড় প্রবহমান ধারায় কেউ কেউ সময়কে অতিক্রম করে এগিয়ে যান, যদিও তাদের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়।
আপনার কথায় যেমন বলেছেন, "এদের জন্যে থাকে কাটার মুকুট" - এই বাস্তবতাই সুবর্ণার জীবনের মূল সংগ্রাম।
আশোলেঈ প্রকৃতি প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন হাতিয়ার দিয়ে পাঠায় ।
সুবর্ণা তার চলার পথে যে শক্তি সঞ্চয় করেছে, সেটাই তার হাতিয়ার। আপাত-ব্যর্থতার মধ্যেও যে সাহস ও শক্তি লুকিয়ে থাকে, সুবর্ণার জীবন তারই প্রমাণ। কিন্তু বাস্তবে ভগ্ন হৃদয়ের সুবর্ণারা শক্ত হতে পারে না, বা হতে চায় না। আমার কাজ হলো তাদের অনুপ্রাণিত করা। উৎসাহ যোগানো। তারা এক কদম আগায় তো দু'কদম পিছিয়ে পড়ে। তারপরও তাদের জানতে দেই যে, তাদের হয়ে কথা বলার কেউ আছে।
আপনার এই সুচিন্তিত পাঠ ও মুগ্ধতা লেখক হিসেবে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আপনি শুধু গল্পটি পড়েননি, গল্পের আত্মাকে অনুভব করেছেন।
আমার প্রফেশনাল ট্রেনিং নাই লেখালেখির । তারপরও লেখার গঠনশৈলী তে আপনার কাছে উত্তীর্ণ হতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে।
আপনার মতো পাঠকের জন্যই লেখা সার্থক হয়।
সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.