নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায়ই দেখা যায় মানুষের হতাশা- এতদিনের রিলেশানটা এক মুহূর্তে ভেঙ্গে দিলো। কি করবো আমি? সুইসাইড খাবো?
ব্যাপারটা কি সেটা একটু দেখা যাক-
১.
যদি আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা হঠাৎ বলা শুরু করে- আমার বাসা থেকে তোমাকে মেনে নেবে না। আর আমি আব্বু-আম্মুর অমতে বিয়ে করতে পারবো না। সাথে সাথে ঐ ছেলে/মেয়ের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে ভাগেন। আই রিপিট- সাথে সাথে। সে কখনও রিলেশানশিপে সিরিয়াস ছিলোই না। পুরোটাই ছিলো টাইম পাস। যদি তার বাপ-মায়ের ব্যাচমেটে আপত্তি থাকে, যদি অমুক অঞ্চলের মানুষের কাছে বিয়ে দেবো না- এই টাইপের প্রবলেম থাকে তাহলে সে এতদিন প্রেম করলো কেন? বিয়ে যদি বাপ-মায়ের ইচ্ছায় করবে তো প্রেমটাও তাদের ইচ্ছায় করলো না কেন? এতদিন আপনারে যে সব জান, পাখি, কইতর, সোনা (!) বলেছে- সব ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে আসল ব্যাপার হতে পারে তিনটি-
ক. সে আপনার চেয়েও যোগ্য (টাকা পয়সা, চেহারা সুরত বা প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক দিয়ে) কাউকে পেয়েছে
খ. সে না বুঝে আপনার প্রেমে পড়েছিলো। এখন বোরড্। মুক্তি চাচ্ছে।
গ. রিসেন্টলি সে বায়েজিদ বোস্তামির জীবনী পড়েছে! (আর মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে )
২.
আমার বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমার কিছু করার নেই– এসব ক্ষেত্রে সাবধান! সে মিথ্যা বলছে। এই ২০১৬ সালে জোর কেন বিজোড় করেও কাউকে বিয়ে দেয়া সম্ভব না। বাসায় চাপ দিচ্ছে? আপনাকে যদি এতই ভালোবাসে আপনার জন্য কিছুদিন চাপ সামলাতে পারবে না? দরকার পড়লে তাকে মুস্তাকিমের চাপ খাওয়ান। আর চাপ সহ্যের বাইরে চলে গেলে দুজনে বিয়ে করে ফেলেন। কি বললেন? প্রেমিক/প্রেমিকা অপ্রাপ্তবয়স্ক? তাহলে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে/মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য ওর পরিবারের বিরুদ্ধে কেইস করে দেন। বুঝুক ঠ্যালা।
(আর মিয়া আপনে পারেনও- দুনিয়াতে কি মানুষের অভাব পড়ছিলো যে একটা নাদান বাচ্চার লগে প্রেম করসেন?)
আবার কি বললেন? বিয়ে করার পর সংসার চালানোর মত টাকা নেই? দুইজন মানুষের সংসার চালাতে কয়েকটা টিউশান অথবা মোটামুটি একটা পার্টটাইম চাকরি যথেষ্ট (যদি খরচ কমাতে পারেন)। আমি অন্তত ১০টা রিয়েল লাইফ স্টোরি জানি এভাবে জীবন চালানোর। এত কষ্ট করতে পারবেন না? তাহলে আর দুঃখ পাচ্ছেন কেন? ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য কষ্ট করতে না পারলে চলে যাবার জন্য কষ্ট কেন?
৩.
ও এতদিন আসলে আমাকে ইউজ করেছে। আমি বুঝতে পারি নাই। এখন?
শোনেন ভাই, আপনি বুকের মইধ্যে “ইউস মি” লেখা সাইনবোর্ড নিয়া ঘুরবেন, আর মানুষ ইউস করলেই সমস্যা? এক বছর ধইরা আপনেরে ফ্রিজিয়ান গাভীর মত দোয়াইলো আর আপনি কিচ্ছু টের পাইলেন না? উচিৎ শিক্ষা হইসে। তারে ধন্যবাদ দেন এই শিক্ষাটা দেয়ার জন্য।
আরে মিয়া, কি করেছেন ওর জন্য? টা্কা পয়সা যা ছিলো সব দিয়া গিফট দিসেন? খাওয়াইসেন? মনে করেন সব শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট কইরা ধরা খাইসেন। নতুন করে টাকা পয়সা কামানো শুরু করেন।
নাকি লেখা পড়ায় হেল্প করসেন? সব নোট কইরা দিতেন? আপনেরে ছাড়া পাস করতো না? তাহলে তো আরো ভালো। এখন সে কি করবে? সামনের পরীক্ষাগুলাতে দেখায়া দেন আপনে কি জিনিস!
৪.
ভাই, ওর সাথে আমার গুপন ফটু আছে। এইবার দিমু ছাইড়া। বুঝুক ঠ্যালা।
ভাই/বোন, একটু দম নেন। আইসিটি অ্যাক্টের নাম শুনসেন? কেইস কইরা দিলে এমন অবস্থা হইবো ফটু কুন দিক দিয়া বাইরাইবো টেরও পাইবেন না।
তাইলে কি ভাই মুখ বুইজ্জা সহ্য করুম? কিছুই করুম না?
অবশ্যই করবেন। তবে এমনভাবে করবেন যাতে আপনি বিপদে না পড়েন।
আপনেরে প্রেমিকা কেন ছাড়সে? আপনের চেয়েও পয়সাওয়ালা কাউরে বিয়া করসে? নিজের টেবিলের উপরে লেইখা রাখেন- আমিই নেকস্ট বিল গেটস! নিজেরে তৈরি করেন। রাইত দিন এক কইরা ফালান। ১০ বছর পর ওর জামাইর থেকে যখন বড় পজিশনে যাবেন তখন দেখবেন তার চোখের হতাসা- হিংসা। এতবড় “দাও” মিস করার দুঃখে সে কপাল চাপড়াবে। বিশ্বাস করুন- এইরকম অপরচুনিস্ট মানুষের আফসোস আমি নিজে দেখসি।
আপনার প্রেমিক আপনার থেকেও সুন্দরী বিয়ে করসে? ওয়েট করেন। সুন্দর ধুইয়া পানি কতদিন খাইবো? ৫ বছর? ১০ বছর? মিনহোয়াইল আপনি নিজেরে নিয়া যান অন্য উচ্চতায়। কোনো বিষয়ে এক্সপার্ট হন। ১০ বছর পর প্রতিদিন পেপারে আপনার কলাম ছাপা হবে। নিউজ রিপোর্টার আপনার থেকে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন নিবে। প্রতিদিন সে এগুলা পড়বে আর নিজেরে অভিশাপ দিবে।
সালমা খাতুন কে চেনেন? কিংবা ওয়াসফিয়া? তাঁদের চেয়ে সুন্দর মেয়ে দেশে নাই? তারপরও কি তাঁরা হেডলাইনে আসেন নাই? নিজের যোগ্যতার দ্যুতিতে অন্যদের মেকি সৌন্দর্য ম্লান করে দেন নাই? তাহলে আপনি পারবেন না কেন?
মনে রাখবেন- যে মানুষ আপনার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারবে না, সে কোনভাবেই আপনার জীবনসঙ্গী হবার যোগ্য না। আই রিপিট- কোনভাবেই না।
এভাবেই নিতে হয় প্রতিশোধ। আপনাকে যে ডাম্প করলো সে হেরে গেলো। সবাই বলবে- বেকুবটা কি ভুলটাই না করলো। এরকম মানুষ ফেলে একটা গাধার কাছে গেলো? আপনার কিছু করতে হবে না। মিডিয়া, বন্ধু, পরিচিতজন সবাই নিজদায়িত্বে ক্ষণে ক্ষণে তাকে মনে করিয়ে দেবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটার কথা। ভার্সিটির অ্যালামনাই গেট-টুগেদারে যখন সবাই তাকে ফেলে আপনার চারপাশে ঘুরঘুর করবে, একটা সেলফি তোলার বায়না করবে- তখন আপনি হাসবেন বিজয়ীর হাসি। এর চেয়ে ভালো রিভেঞ্জ কি হতে পারে, বলুন তো?
আর যদি মনে করেন- আমি পারবোনা, আমাকে দিয়ে হবে না। তাহলে সে ঠিক করেছে। এরকম মেরুদন্ডহীন একটা কীটের সাথে না থেকে অন্যকারো হাত ধরেছে। আপনি এরচে ভালো কিছু ডিজার্ভ করেন না।
আজ তাহলে কাঁদুন কিছুটা সময়। নষ্ট করে দিন তার সব স্মৃতি। একটা ছবি শুধু দেয়ালে লটকে দিন। তাতে লিখে রাখুন- Forgiven, Not forgotten! -এটাই আপনার সাফল্যের রকেটের জ্বালানী। যখন আর পারবেন না, ক্লান্ত লাগবে- এই ছবিটা দিবে এগিয়ে চলার প্রেরণা।
“কুকুরের মত চিৎকার করুন। সিংহ হয়েও ঘুমিয়ে থেকে কি লাভ?”
তাহলে কবে দেখছি আপনাকে? টিভিতে
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
হুমায়ন রশিদ বলেছেন:
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: অসাধারণ, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার জন্যে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
হুমায়ন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য :-)
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: এইবার দেখাইয়া দিতে হইবো। কিন্তু কারে দেখা দেখামু। কেউ তো আমারে ডাম্প করে নাই।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
হুমায়ন রশিদ বলেছেন: যাদের আপনি ডাম্প করছেন, তারা এইবার দেখাইয়া দিবো !
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মজার ছলে ভালই বলেছেন। হে হে
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
হুমায়ন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ :-)
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
তার আর পর নেই… বলেছেন: হাহাহা করে হাসলাম, দুদিন পরেই তো সে গা ছেড়ে বলবে, তো কি হইছে কষ্ট দিছে! আবার নতুন কইরা শুরু করবো।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
হুমায়ন রশিদ বলেছেন: ধরতে ধরতে আর ছাড়তে ছাড়তে একদিন তো একটা স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছবে?
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন: . রিসেন্টলি সে বায়েজিদ বোস্তামির জীবনী পড়েছে! (আর মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে )