![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূর ঐ নীল আকাশে, তারা-নক্ষত্রের মতই হাজার হাজার গল্প ঝুলে রয়েছে, আমি সেই গল্পগুলোই বলতে চাই।
পিন্টু রাতের রাস্তা দিয়ে হন্ত-দন্ত হয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। শীতকাল। কুয়াশার জন্যে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবু সে থামছে না। পা চালিয়ে যাচ্ছে এক মনে। এমনভাবে হাঁটছে যেন তাকে ভুতে পেয়েছে। গাছ-পালাগুলো শীতে মুমূর্ষ হয়ে পড়েছে। কোন কথাবার্তা বলছে না। গাছ আসলে কথা বলতে জানে কি না, পিন্টু জানে না। কিন্তু তার মনে হচ্ছে গাছেরাও কথা বলতে পারে। এই প্রচন্ড শীতে তাদের মাড়ি লেগে গেছে। তাদের শরীরে দরদর করে ঘামের মতন শিশির ঝরে পড়ছে।
তার শরীর থেকে এই শীতেও টপটপ করে ঘাম পড়ছে। ঠিক যেন গাছের গায়ের শিশির ঝরার মত। একটা পাখি ঝপাট করে ডানা মেলা একটি মেহগনি গাছ থেকে উড়ে গেল। মানুষের সারা পেয়ে হয়ত পালিয়ে গেল। মাঝে মাঝে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা গেলেও চারপাশ শান্তুই বলা যায়।
এতরাতে গ্রামের কেউ জেগে নেই, সেটা সে জানে। আর আপদটাতো বিদায় হয়েছে। তার কাজ সে ঠিক মতনই সম্পূর্ণ করতে পারবে, এটা ভেবে তার আনন্দ হল। এখন সঠিক সময়ের অপেক্ষা।
কিছুদূর একটানা হাঁটার পর সে বিশ্রামের জন্যে একটা খুপরির মতন দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পড়ল। তার শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতই চলছে। কিন্তু একটু দ্রুত। এতদূর হেঁটে সে বেশি একটা ক্লান্ত হয় নি। তার অভ্যেশ হয়ে গেছে। প্রায়ই এই পথে হেঁটে এই জায়গায় বসে বসে সে বিশ্রাম নেয়, তারপর তার গন্তব্যস্থলের দিকে যায়।
তার পড়নে একটা ছেড়া শার্ট, হাফ প্যান্ট। মুখে উস্কো-খুস্কো দাড়ি। বাবরি চুল। সবকিছু মিলিয়ে তাকে দেখে কেউ পাগল ছাড়া অন্যকিছু ভাববে না। এটা তার জন্যে একটা পজেটিভ দিক। তাই সে কখনও কারো প্রশ্নের সম্মুখীন হয় নি।
তার বিশ্রাম নেওয়া শেষ হল। সে উঠে আবার আগের মত হাঁটতে শুরু করল। বেড়িবাধের উপর উঠে দক্ষিণ দিকে যেতে লাগল। একটা মোটর গাড়ি চলে গেল ধুলো উড়িয়ে দিয়ে। সে তার নাক চেপে ধরল। কয়েকটা কুকুরকে দেখল দলা বেধে ঘুমুচ্ছে।
সে এবার তার গন্তব্যস্থলে পৌছানোর জন্যে আরো গতি বাড়িয়ে দিল। যেন সেই একটি মোটর সাইকেল। পানিকাউর পর্যন্ত যাওয়ার পর দূর হতে একটি বাইকের হেডলাইটের আলো দেখতে পেল। কিন্তু কোন রকম ভাবান্তর হল না তার। বাইকটা তার সামনে দিয়ে বেশ জোরে-সোরে চলে গেল। সে আশয়পুর পাড় হয়ে থামল। এতক্ষণে সে গন্তব্যস্থলে পৌছে গেছে। এখানে সারি সারি গাছ। অন্ধকারকে আরো বেশি করে আধারে পরিণত করেছে গাছগুলো। তার উপর কুয়াশা।
সে এসে গাছের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে পড়ল। সে জানে সোনাবাজু একটা মদের আড্ডা আছে, কেউ না কেউ একটু পর এখান দিয়ে যাবে। তখনই তার কার্য সম্পন্ন হবে। তাই তার ধৈর্য ধরা ছাড়া কোন উপায় নাই। এতক্ষণ অনেক দ্রুত হাঁটার কারণেই হোক আর টেনশনের কারণে হোক তার শীত তেমন একটা লাগে নি। কিন্তু গাছের সাথে হেলান দিয়ে বুঝল না একটা জ্যাকেট পড়ে আসাই উচিত ছিল।
প্যান্টের ডান পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করল। বাম পকেট থেকে একটা লাইটার। সিগারেটটা ঠোটে লাগিয়ে লাইটার জ্বালিয়ে টান দিল। সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটে আগুন ধরে গেলে, সে লাইটারটা আবার পটেকে চালান করে দিল।
সে একমনে সিগারেট টানছে; আর তার কাজের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হল না। সে দেখল দূর হতে কেউ হেলে-দুলে তার দিকেই আসছে। যদিও সে আবছা ভাবে এই দৃশ্য দেখছে, কারণ কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে রয়েছে, কিন্তু সে শিয়োর এটা তার চোখের ভুল নয়।
তার ধারণা সঠিক করে কেউ একজন তার কাছাকাছি চলে আসল। সে একটু অপেক্ষা করল। দেখল না ঠিক আছে। আর যখনই তার কাছে আসল, সে তার পকেটে হাত ঢুকিয়ে ক্লোরোফর্মের রুমালটা বের করে হাতে রাখল। লোকটা আগের মতন হেলে-দুলে চলতে লাগল, সে তো আর জানে না তার পিছনে ওৎ পেতে আছে কোন এক হিংস্র জানোয়ার।
পিন্টু লোকটার পিছন পিছন গিয়ে তার মুখে রুমাল চেপে ধরল। লোকটা এমনিতেই নেশাগ্রস্থ তাই সে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে গেল। সে তখন লোকটাকে নিয়ে বেড়িবাধের নিচে নেমে গেল। আশে-পাশে ভাল মতন নজর দিল কেউ আছে কিনা। না কেউ নাই। সে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলল।
নিচে সে একটা গুহার মতন বানিয়েছে যাতে কেউ তার কাজে বাধা দিতে না পারে। সে অনেকবার একই পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কর্মটি সম্পন্ন করেছে। গ্রামের মানুষগুলো এত বোকা কেন, সে ভাবল। আর মনে মনে খানিক্ষণ হেসে নিল।
তারপর গুহা মুখে দাড়িয়ে আরেকবার দেখে নিল কেউ আছে কিনা। ঝোপঝাড় সরিয়ে সে প্রবেশ করল, তার বানানো আদিম গুহায়। ঢুকেই লোকটাকে ধপাস করে ফেলল। লোকটার আশে-পাশে ধুলা উড়ে ঢেউয়ের সৃষ্টি করল।
ঢুকেই প্রথমে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিল। তারপর আরেকটা জ্বালালো। এভাবে প্রায় ২০টার মতন মোমবাতি জ্বালিয়ে সে একটা চেয়ারে বসে পড়ল। তারপর আগের পড়ে থাকা অনেক হাড়-গোর তার চোখের সামনে ভেসে উঠল কিন্তু তার কোন ভাবান্তর হল না।
সে খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে উদ্যত হল। কিন্তু তখনই একটা ব্যাপার ঘটল। সেই নেশাগ্রস্থ লোকটি জেগে উঠল। পিন্টু অনেক অবাক হল, আবার ভয়ও পেল। এত তাড়াতাড়ি লোকটির জেগে উঠার কথা না। কিভাবে সে জেগে উঠল। কিন্তু লোকটিকে দেখে এখন নেশাগ্রস্থ মনে হচ্ছে না। লোকটি তার কোমর থেকে একটা ছোট্ট পিস্তল বের করে তার দিকে তাক করল। তারপর বলল, পিন্টু শেখ, তোমার ভাগ্য খারাপ আমার চোখে পড়েছিলে।
পিন্টু ঘাবড়ালো না। সে জানে এখন ভয় থেকে উত্তরণ না করতে পারলে তার কপালে খারাপি আছে। তাই সে পাগলের মতন ব্যবহার করতে আড়ম্ভ করল। সে লোকটিকে ঝাপটে ধরতে গেল। কিন্তু লোকটি সরে দাড়ালো। সে তার সাদা সাদা দাঁত বের করে হাসতে শুরু করল। এখন লোকটি একটু অবাক হল। কিন্তু তার হাতের পিস্তল নামালো না। সে জানে এই পিন্টু কি ধরণের শয়তান। তাই তাকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
লোকটি হুংকার দিল। কিন্তু তাতেও তার ভাবান্তর হল না। এবার লোকটি বলল, তুমি যতই চালাকি কর, কোন লাভ নেই।
সে হাসতে হাসতে বলল, তুই কে? কন্ঠে হিংস্রতা। সাথে পাগলের মত হাসি।
আমি ইব্রাহিম আহমেদ। প্রাইভেট গোয়েন্দা। তুমি আমাকে খুব ভাল করেই চিনো। কি চেনো না?
এবার পিন্টুর হাসি থেমে গেল। কিন্তু পরক্ষণেই আবার সেই ভৌতিক হাসি। যেন তার ভিতরে আত্মা নেই। তার কংকাল গুলো হেসে যাচ্ছে।
এবার ইব্রাহিম তার পাকে লক্ষ্য করে একটা গুলি ছুড়ল। সঙ্গে সঙ্গে পিন্টু বসে পড়ল। হিংস্রভাবে তাকে ধরতে আসল। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ধরে ফেলল। একজন বলল, স্যার, এটাকে কি করব?
জেলে ভরে দাও। তারপর বিচার করে যা হয় হবে। সে একটু ভেবে নিয়ে আবার বলল, না থাক আগে তাকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে।
পিন্টুকে ভালমতন পিছমুড়া করে বেঁধে ফেলা হল। কিন্তু তার গায়ে প্রচন্ড শক্তি, সে ছুটে যেতে চাইল, কিন্তু এতশক্ত দড়ির বাধন সে খুলতে পারল না।।
পরের দিন প্রথমে তাকে গ্রামের সবার সামনে হাজির করা হল। সবাই তো দেখে অবাক অনেকে বলাবলি করল, পিন্টু শেখ এইরকম কাজ করতে পারে!!
একজন বলল, না ভাই কি যুগ আইলো কারে বিশ্বাস করুম?
অন্যজন বলল, আরে এ তো এমন কাজ করতেই পারে না। কোন ভুল হচ্ছে।
এমনভাবে অনেকে অনেক কথা বলল। কেউ তার পক্ষে গেল, কেউ বিপক্ষে।
ইব্রাহিম শেখ উঠে দাড়াল। মূলত গ্রাম্য বিচারের মত বসানো হয়েছে। পিন্টুকে পিছমুড়া করে আগের মতই বেধে রাখা হয়েছে। সে চুপচাপ বসে আছে। কারণ গ্রামে তার একটা সম্মান ছিল। তার হাঁটুতে এখন একটা ব্যান্ডেজ দেখা যাচ্ছে।
সে বলল, শুনুন সবাই, এইলোকটিকে দেখতে পাচ্ছেন তো। সবাই মাথা নাড়াল।
ওনিই আপনাদের খুনি। যে গতমাসে ৩ জনকে খুন করেছে। এমনকি লাশ পর্যন্ত মিলে নি। কারণ কি জানেন?
সবাই হা করে তাকিয়ে রইল। কেউ জানে না। তখন তিনি এক পুলিশকে বস্তায় করে আনা হাড্ডিগুলো আনতে বলল। পুলিশটি না আনা পর্যন্ত সবাই চুপচাপ। যখন একটা সাদামাটা বস্তা এনে সে ইব্রাহিমের সামনে রাখল, তিনি সেটা ধরে তার মুখ খুলে সরাসরি ঢেলে দিল মাটিতে। তার পর সেখান থেকে বের হয়ে গেল বিভিন্ন সাইজের হাড্ডি। সেগুলো দেখেও গ্রামের মানুষগুলো কিছু বুঝল না। তারপর তিনি আবার বলতে লাগলেন, এই হাড্ডি গুলো দেখতে পাচ্ছেন তো, এইগুলো হচ্ছে মানুষের হাড্ডি। এবার সবাই একটু নড়ে-চড়ে বসল।
এই পিন্টু এক এক করে মানুষগুলো খুন করেছে। খালি খুন করেই ক্ষ্যান্ত দেয় নি। তাদের মাংস গুলো চেটে-পুটে খেয়েছে। তার টার্গেট ছিল দূর গ্রামের নীরিহ মানুষগুলো। কিন্তু যখন সে দেখল এই রাস্তা দিয়ে অন্য গ্রামের মানুষগুলো আসা বন্ধ করে দিয়েছে তখন সে সিদ্ধান্ত নিল, এখন থেকে আশে-পাশের সব মানুষই তার খাদ্য। আমরা হিসেব করে দেখেছি এখানে প্রায় ৮ জন মানুষের হাড্ডি রয়েছে। এবার আপনারাই বুঝুন।
সবার ব্যাপারটা বুঝতে একটু কষ্টই হল। কিন্তু যা বোঝার বুঝে গেল। একজন বলে উঠল, ওনি ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধার শিক্ষক আর ওনিই কিনা...
সবাই তার শাস্থির জন্যে বলাবলি করতে লাগল। একজন বলল, কিন্তু ওনি কেন মানুষের মাংস ভক্ষণ করতেন?
ইব্রাহিম বললেন, এটা আমরা জানি না। তবে যতদূর মনে হয়েছে তিনি মানসিকভাবে কোন কারণে অনেক আগ থেকে বিকারগ্রস্থ ছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয় , তিনি এটা ইচ্ছে করেই করতেন। কারণ তাকে কেউ অস্বাভাবিক বলে নি। বা কোনভাবে তিনি মানুষের মাংসের স্বাদ পেয়েছিল। তাই হয়ত সেই লোভ কোনদিন ছাড়তে পারেন নি।
কিন্তু আপনি তাকে ধরলেন কিভাবে? আমরা জানতে চাই। সবাই হ্যা হ্যা করে উঠল।
আমি যখন গ্রামে এসে এইসব শুনলাম। তখন তো আমি কিছু জানি না। অনেকের কাছে অনেক প্রশ্ন করলাম কিন্তু কেউ তেমন ভাল উত্তর দিতে পারলেন না। তখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। ব্যাপারটা কি মানুষগুলো এভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে কেন। তাই প্রতিদিন রাতে আমি বের হতাম। একদিন দেখি পিন্টু ভাই বের হয়েছেন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোথায় যান?
তিনি হেসে উত্তর দিলেন, এইতো নৈশ ভ্রমণে। বলে হন হন করে হাঁটা দিলেন ঠিক যেন নিশাচর প্রানি।
আমি আমার উত্তর পেলাম না। কিন্তু উত্তরটা কেমন যেন রহস্য রহস্য ছিল। তাই তার কাছ থেকে সরে এলাম। কিন্তু রাতের বেলা লক্ষ্য করি নি তার পোষাক। একটু পর দেখলাম তিনি ছেড়া জামা পড়ে আছেন, তখনই খটকা লাগল। তার তো টাকা-পয়সার অভাব হতে পারে না। আর হলেই কি তিনি কি ছেড়া জামা পড়ে বের হবেন। সেদিন তিনি আসলে আমাকে দেখে ঘাবড়ে গেছিলেন। তাই তিনি সেদিন তার কাজ হাসিল করতে পারেন নি।
আমি তখন থেকেই তার উপর নজর রাখতাম। কোথায় যায় কি করে। একদিন দেখলাম বিকালবেলা বেড়িবাধ দিয়ে তিনি কোথায় যেন যাচ্ছেন, আমি গেলাম তার পিছু পিছু। কিছুক্ষণ পর আমি প্রায় ধরা পড়েই যেতাম, কিন্তু পড়ি নি। তিনি আমাকে মেরে ফেলার জন্যে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। সেদিন একটা ট্রাক আমাকে পিষে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বেঁচে যাই। বলতে গেলে এক পথচারী আমাকে ঠেলে নিচে না ফেললে আমি মরেই যেতাম।
একদিন শুয়ে আছি, দেখি জানালা দিয়ে একটা ছায়ার হাত আমার দিকে আসছে। তিনি হয়ত ভেবেছিল আমি ঘুমিয়ে আছি। কিন্তু আমি জেগে ছিলাম, তাই রক্ষা।
তারপর ধীরে ধীরে তার আচার-আচরণ আমি ঠিক মত পর্যবেক্ষণ শুরু করি। প্রতিদিন রাতে বের হই। তাকে প্রতিদিন পেতাম না। আমি আসার পর থেকেই তার কাজে অনেক বাধা পড়েছে, এমনকি তিনি এইকয়দিনে কোন নরহত্যা করতে পারেন নি।
মাংসভক্ষণ তার একটা নেশার মতন হয়ে গিয়েছিল। যখন দেখলেন তিনি মাংস খেতে পারছেন না। তখনই একটা ভুল করে বসলেন। সেটা হল তিনি গতকাল রাতে পণ করে বের হলেন যেভাবেই হোক আজ তার মাংস চাই। তাই নেশাগ্রস্থদের বেছে নিলেন। তিনি এও জানতেন আমি আজ শহরে গেছি। তাই তার কাজে বাধা দেওয়ার মতন কেউ নাই। এটা একটা জাল ছিল, সেটা তিনি ধরতে পারেন নি। কারণ নেশাগ্রস্থ লোকজন মাতাল, জ্ঞানশূণ্য।
আমি নিজেই মাতাল সেজে তার সামনে ধরা দিলাম। রাতের বেলা তিনি আমাকে চিনতেও পারলেন না। চিনতে পেরেছিল কিনা জানিও না। হয়ত পারেন নি। তাহলে আমাকে ধরতেন না। আমাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বুঝতে পেরে এক সেকেন্ডেই জ্ঞান হারানোর ভাণ করলাম। তিনি এটাও বুঝলেন না। কারণ তার মাথায় ছিল মানুষের মাংস ভক্ষণ।
আর আগে থেকেই তার পিছু নিয়েছিল, সাইফুল। আমাকে ফোনে সে সবটা জানিয়ে দিয়ে ঘাপটি মেরে বসে ছিল কোন এক গাছের পিছে।
তারপর পর তো সবটা বুঝতেই পারছেন।
সবাই ইব্রাহিমের খুব প্রশংসা করল। আর অনেক ধন্যবাদ দিল। এমন একটা হিংস্র জানোয়ারের হাত থেকে তাদের রক্ষা করার জন্যে।
সে বিদায় নিতে চাইলে সবাই তাকে বাঁধা দিল। কারণ তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু ইব্রাহিমের কি সে সময় আছে?
পিন্টু মাস্টারকে সবার সামনে দিয়ে পুলিশ এসে বেঁধে নিয়ে গেল। তার বিচার হবে উচ্চ আদালতে, সেই রায়ের জন্যে গ্রামের সবাই অপেক্ষা করছেন।
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: শেষ করুন।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১২
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: বুঝতে পারছি, পিন্টু মাস্টার একটু বেশিই ভোজন রসিক।
পড়তে ভাল লেগেছে। শুভকামনা জানবেন।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২
সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে এবং শেষটাও....
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০
বিজন রয় বলেছেন: শেষ করতে পারিনি।
আবার আসতে হবে।