![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূর ঐ নীল আকাশে, তারা-নক্ষত্রের মতই হাজার হাজার গল্প ঝুলে রয়েছে, আমি সেই গল্পগুলোই বলতে চাই।
নদীর কলকল ধ্বনি এখন আর মিঠুনের ভাল লাগে না। চারপাশে কত হুর ঘুরে বেড়াচ্ছে চাইলেই সে তাদের সাথে সময় কাটাতে পারে। কিন্তু সেটাও তার কাছে এখন যন্ত্রণার মত মনে হয়। তাই নদীর ধারে বসে বসে ভাবছে কি করবে সে? চাইলে সে নদীতে ময়ুর-পক্ষীতে চড়ে ঘুরতে পারে।
সে উঠে নদীর পাড় ঘেষে হাঁটতে শুরু করে, কোন দিক-বিদ্বিক চিন্তা না করেই। সামনে এক হুর অনেক ফল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তাকে দেখেও না দেখার ভান করে হাঁটতে থাকে। তার কাছে এইসব খাবার এখন তিতকুটে তিতকুটে লাগতে শুরু করেছে।
সে তার প্রাসাদে আসার জন্যে প্রায় ১০ হাজার ঘন্টা সময় ব্যয় করেছে। কিন্তু চাইলে সে মুহূর্তের মধ্যেই যেকোন জায়গায় পৌছে যেতে পারে।
এত বড় প্রাসাদ; অথচ সে একা। সে এই রাজ্যের রাজা। এত বড় রাজত্ব, সে আগে কল্পনাও করে নি। প্রথম কিছুদিন তার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে নিজের প্রতি ও যে তাকে এই রাজ্য দিয়েছে তার প্রতি বিরক্ত হয়েছে।
সে দেখল, এখানে আসলে তেমন কিছু করার নেই। মানুষের যা দরকার তা নেই। শুধু রাজ্য আছে প্রজা নেই। কল্পনা করার সুযোগ নেই। সে মন মত কিছুই করতে পারছে না। কি দরকার তার এই রাজ্যের?
সে অনেক ভেবে ঠিক করল, কপালে যা আছে হবে, সে এই রাজ্য পরিত্যাগ করে চলে যাবে। কোথায় যাবে? এটা নিয়ে ভাবল কিছুক্ষণ।
সে মনে মনে বলল, অনেকদিন তো এখানে সুখে-শান্তিতে কাটালাম, এখন সেই রাজ্যে যাব যেখানে সবাইকে আগুনের মধ্যে সেকা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সবার শরীরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যত ধরণের শাস্থি আছে, তাদের দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে কাউকে ধরে এখানে পাঠিয়ে দিয়ে আমি সেখানে স্থায়ী হব।
তারপর সে হাসতে হাসতে সেই রাজ্যের পথে যেতে লাগল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৩
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮
সায়ান তানভি বলেছেন: ভালো লিখেছেন
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: ধন্যবাদ, সায়ান তানভি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল !