নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূর ঐ নীল আকাশে, তারা-নক্ষত্রের মতই হাজার হাজার গল্প ঝুলে রয়েছে, আমি সেই গল্পগুলোই বলতে চাই।

সন্যাসী পিপড়া

দূর ঐ নীল আকাশে, তারা-নক্ষত্রের মতই হাজার হাজার গল্প ঝুলে রয়েছে, আমি সেই গল্পগুলোই বলতে চাই।

সন্যাসী পিপড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষণ-বিপদে কবি

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

কবিতা লিখতে বসে কবি ভাবছে, না আর কবিতা লেখা যাবে না। কবিতার মধ্যে তিনি আর জীবন খুজে পাচ্ছেন না।
কবি একদিন পরিকল্পনা করে সরাসরি এক জঙ্গলে চলে গেল, সেখানে হাজির হয়ে প্রথমে যখন দেখল চলা-ফেরা করাই তার জন্যে খুব কঠিন হয়ে গেছে, তখন তিনি এক গাছ তলায় বসে বসে ভাবতে লাগল কি করবে? কিন্তু কোন কিছু ভেবে বের করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত একটি হরিণ দেখে জিজ্ঞাসা করল, তোমরা এই জঙ্গলে কিভাবে বসবাস কর?
হরিণটি জ্বলজ্বলে চোখে তার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ কি যেন ভাবল, তারপর মুখ খুলল, কিন্তু সেই ভাষা বোঝার ক্ষমতা তখনও কবির হয় নি। কবি তখন তার ভাষা না বুঝে হতাশ হয়ে হাঁটতে শুরু করল।
কবি এখন ভাবছে, কিভাবে প্রানিদের ভাষা আয়ত্ব করা যায়। তাই স্থির করল, না আর কবি থাকা যাবে না, বিজ্ঞানী হতে হবে। তারপর এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করবে, যেটি দিয়ে প্রানিদের ভাষা বুঝতে পারবে। তাই সে আবার নিজের বাড়ির দিকে রওনা হল। কিন্তু ততক্ষণে সে পথ হারিয়ে ফেলেছে। চক্কর দিচ্ছে একই জায়গা দিয়ে। যখন বুঝল সে আসলে হারিয়ে গেছে এই বিষ-বন জঙ্গলে ততক্ষণে তার ক্ষুধায় পেট চুপসে গেছে।
সে আবার একটা গাছের ছায়া বসে পড়ে। মিষ্টি বাতাসে তার শরীরের স্বাদ যেন বদলে যায়। বদলে যায় তার চেহাড়া। কিন্তু সে টের পায় না। পাবে কি করে তার তো মনের চেহাড়া পালটে গেছে। দূর থেকে কেমন যেন একটা শব্দ আসছে। সে বুঝে কিসের শব্দ। আসলে কোন শব্দই নয়।
অনেকক্ষণ সে বসেই থাকে। হঠাৎ তার মনে উদয় হয়, আরে এই জঙ্গলে তো অনেক ফলের গাছ থাকার কথা, তা খুজে দেখা যাক।
সে খুজতে থাকে। কিছুক্ষণ খোজার পরই সে একটা আঙুর গাছ পেয়ে যায়। গাছে উঠতে হয় না, খুব ছোট গাছ। সে আঙুর ছিড়ে। তারপর খেতে থাকে যতক্ষণ না তার পেটের জ্বালা মিটে।
আবার সে বাড়ির পথ ধরে। এবার একটা দিক লক্ষ্য করে হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে সে ভাবে, আসলে কি সে দিক ঠিক রাখতে পেরেছে। সাথে অন্তত একটা কম্পাস নিয়ে আসা উচিত ছিল।
কিন্তু প্রায় ঘন্টা তিন-চার হাঁটার পর সে আবার একটি আঙুর গাছের কাছে পৌছায়। সে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে, ভাবে সেই আঙুর গাছ নয় তো। দেখে নিচে অনেক আঙুরের বিচি পড়ে আছে। সে ভাবে, হয়ত সেই জায়গায়ই ফিরে এসেছে। তাই উল্টো চলতে শুরু করে।
কিন্তু একটু দূরেই নদীর পানি চিক চিক করে, সে দেখে না। চলে যায় উল্টো দিকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.