নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন)

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য বুঝার জন্য একটা ডায়লগ ! হুমায়ুন কবির (সুমন)

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৩

আস্সালামুআলাইকুম, আজ আপনাদের কাছে একটা কথোপকোথন উঠিয়ে ধরব, যার মাধ্যম্যে আপনি অনেক গোমরাহকারী থেকে সাবধান হতে পারবেন । গত বেশ কিছুদিন আগে আমি ডঃ জাকির নায়েককে নিয়ে একটা পোষ্ট করেছি, যার মধ্যে আমাদের এক ভাই কমেনট করেছেন এমন " সহীহ হাদীস ও কুরআন ধারা প্রমানিত ডাঃ জাকির নায়েক কাফের । এবং এই বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে উনার মোবাইল নাম্বারও দিয়ে দিল । ” এই লিংকটা হচ্ছে উক্ত ব্যক্তির প্রফাইলের “https://www.facebook.com/…/Hafez-Mohammad-M…/100006252960416 ” । যে কেউ চাইলে আমি তার মোবাইল নাম্বারও দিতে পারব । উক্ত ব্যক্তির এমন মতামত দেখে আমি উনার কাছে ফোন করলাম এবং ১১৯ মিনিট কথা বলেছিলাম ।

কথাগুলোর মধ্যে গুরত্বপূর্ন বিষয় গুলো সংহ্মিপ্ত আকারো উপস্থাপনের চেষ্টা করব যদি আল্লাহ তওফিক দান করেন ।
প্রথমে আমি সালাম বলেই লোকটা জিজ্ঞেস করলাম আপনিতো একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া হাফেজ তাহলে কিভাবে আপনি একজনকে কাফের বলে চ্যলেঞ্জ করলেন ।

সেই হাফেজ লোকটি : ডাঃ জাকির নায়েক কাফের, এই বিষয়ে আমার কাছে ১০০টির ও বেশী প্রমান আছে ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে, কিছু প্রমান আমাকে দিন ।
সেই হাফেজ লোকটি : জাকির নায়েক বলেছে কুরআনে গ্রামারগত ভুল আছে , তাই সেই কাফের । তিনি আরো বলেছেন হিন্দুদের দেবতা রাম নাকি নবী ছিলেন ??
আমি : আপনি কি তার লেকচারটি পুরোটা শুনেছেন ??
সেই হাফেজ লোকটি : না ।
আমি : আপনার সমস্যা এখানে । পুরো লেকচারটা শুনলে হয়ত এমন হত না । কারন ঐ প্রশ্ন উত্তরে তিনি সুন্দর করে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, কুরআনে কোন গ্রামারে ভুল নেই কারন কুরআন থেকেই গ্রামারের সৃষ্টি । ইচ্ছা করলে আপনারা নিজে শুনতে পারেন কি বলেছে ?? https://www.youtube.com/watch?v=6KyXGL0l-OA
তারপর দেখেুন রাম সম্বন্ধে জাকির নায়েক কি বলেছেন ??
https://www.youtube.com/watch?v=Kt8C_yVRQIQ
এরপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কাট পিস দিয়ে আপনি কোন একজনকে কাফের বলতে পারেন না কারন কাট পিস থেকে পুরো সত্য বুঝা যায় না, আপনি কি ডাঃ জাকির নায়েকের কোন লেকচার পুরোপুরি শুনেছেন ??
সেই হাফেজ লোকটি : না , পুরোপুরি কোন লেকচার শুনেনি । তবে আমার কাছে যা আছে সবই কাট পিস এবং তা বাংলাতে ।
আমি : ভাই দেখুন এক জায়গায় লেখা আছে “ এখানে প্রসাব করবেন না, করিলে জরিমানা হবে ।” এই বাক্যের মধ্যে যদি ”না” শব্দটির পরে কমা না থাকে তাহলে যে যার মত বুঝবে । আর আপনি জাকির নায়েকের লেকচার বাংলাতে শুনেছেন অথচ উনি বাংলাতে কোন লেকচার দেয়নি । আপনি যা শুনেছেন তা ডাবিং করা , হতেও পারে কোন দুষ্ট লোক আসল বক্তব্য উপস্থাপন না করে ভুল উপস্থাপন করেছেন । আমি আপনাকে বলেছি, আপনি জাকির নায়েকের লেকচার ইংলিশ এবং উর্দুতে পুরোপুরো শুনেন ঐসব বিষয়ে, যেসব বিষয় নিয়ে আপনার কাছে ১০০ এরও বেশী প্রমান আছে তাহলে জানতে সহজ হবে সত্য না মিথ্যা এবং অপপ্রচারের প্রমানও পাবেন । প্রমান ছাড়া কোন ব্যক্তিকে কাফের বললে কি হবে, তাতো আপনি হয়ত জানেন ??
সেই হাফেজ লোকটি : আমি কুরআনের সব জানি কারন আমি হাফেজ । আচ্ছা বেপর্দা নারীদের সামনে উনি কেন সভা সমাবেশ করেন ??
আমি : ভাই আপনি বেপর্দা যাদেরকে দেখছেন তারা সবাই অমুসলীম, তারা পর্দা কি তা জানে নাকি ??এইসব বিষয়ে সব বলা আছে আপনি অন্ধত্ব ছেড়ে বাস্তবে আসুন । আচ্ছা আপনি কি চরমোনাই বা অন্য কোন পীরের মুরীদ ??
সেই হাফেজ লোকটি : আমি চরমোনাইয়ের মুরীদ না তবে পীরদের সবাইকে ভাল জানি কারন তারা আল্লাহর ওলী । আর পীরের মাধ্যমেই আমরা ইসলাম পেয়েছি ।যার কারনে আজ আমরা মুসলাম হয়েছি ।
আমি : দু একটা পীরের নাম বলুন, যাদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে ??
সেই হাফেজ লোকটি : এইতো খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী, বখতিয়ার খলজী, হযরত শাহ জালাল এদের মাধ্যমেই আমরা ইসলাম পেয়েছি আর এরা সবাই পীর ছিলেন ??
আমি : এরা যে পীর দাবী করেছে বা বর্তমান পীরদের মত কাউকে বাইয়াতের মাধ্যমে মুরীদ বানিয়েছে এমন কোন প্রমান আপনার কাছে আছে কি ?? আর আপনি কি জানেন হযরত শাহ জালাল বাংলাদেশে কেন এসেছে ??
সেই হাফেজ লোকটি : না কোন প্রমান নাই তবে তারা পীর ছিল এটা জানি ??
আমি : হযরত শাহ জালাল বাংলাদেশে এসেছে হিন্দু রাজার যুলুম থেকে সাধারনকে বাচানোর জন্য যুদ্ধ করতে, যার অকাট্য প্রমান আপনি শাহ জালালের মাজারে গেলে দেখবেন মাজারের পাশে তার তলোয়ারও আছে । আচ্ছা বলুনতো উনি যদি পীর হয়ে থাকে তাহলে উনার কোন মুরীদের কাছে এখন তলোয়ার আছে বা উনার মত পীর যদি বাংলার বর্তমান পীরেরা হয়ে থাকে তাহলে বলুন বর্তমানে কোন পীরের কাছে তলোয়ার আছে ?? আচ্ছা বলুনতো মুসলীম শব্দের অর্থ কি ??
সেই হাফেজ লোকটি : আমি জানি না আপনিই বলুন ??
আমি : তাহলে আপনি কিভাবে দাবী করেন আপনি মুসলীম ??
সেই হাফেজ লোকটি : আমার বাপ দাদারা মুসলমান ছিল তাই আমিও মুসলীম ।
আমি : না এইভাবে মুসলীম হওয়া যায় না । আপনাকে আগ জানতে হবে মুসলীম মানে কি ? আপনি না জানলে মানবেন কিভাবে ?? আপনি কি জানেন না ইসলামকে আগে জানতে বলেছে তারপর মানতে বলেছে , তাইতো কুরআনের নাযীলকৃত প্রথম শব্দটি হচ্ছে ইকরা মানে পড় এটা সূরা আলাকের প্রথম আয়াতে বলেছে ।
সেই হাফেজ লোকটি : আমি নিশ্চিত আপনার বাপও জানে না মুসলীম কাকে বলে তাই বলে কি উনি মুসলীম নয় । আর আমাদের দেশের বেশীর ভাগই জানে না তাহলে তারা কি মুসলীম নয় ??মুসলমান মানে যে আল্লাহতে, কিতাবের প্রতি , রসূলের প্রতি, ফেরেশতার প্রতি ও আখেরাতের উপর বিশ্বাস করে সেই মুসলমান ।
আমি : আপনিতো মাদ্রাসায় পড়েছেন তাহলে কি মীযান মুনশায়িব কিতাব পড়েননি সেইখানেতো স্পষ্ট লেখা আছে মুসলীম কাকে বলে ?? আর জেনে বুঝে হুকুম আহকাম পালন না করলে কোনদিনই মুসলীম হওয়া সম্ভব নয় সেই যেই হোক না কেন ?? আপনি যা বললেন তাতো বিশ্বাস করলে ঈমানদার হওয়া যাবে । কিন্তু মুসলীম আর ঈমানদারতো এক জিনিস নয় তাকি জানেন না ??
সেই হাফেজ লোকটি : সেটা আবার কেমন কথা ?
আমি : দেখুন আল্লাহ বলতেছে,হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। সূরা আল-ইমরান ১০২ । এইখানে ঈমানদারকে সম্বোধন করে বলেছে মুসলীম হতে , তার মানে ঈমানদার আর মুসলীম এক নয় তা স্পষ্ট বুঝা যায় । আমি বুঝি না আপনার কেমন পড়া লেখা করলেন ?? আচ্ছা আপনি কি জানেন কুরআনে আল্লাহ বলেছে , আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার আগে একটা জিনিসকে বর্জন করতে তা কি আপনি কি জানেন ??
সেই হাফেজ লোকটি : না আমি জানি আপনি বলুন ।
আমি : আপনি কি সূরা বাক্কারাহ ২৫৬ পড়েননি যেখানে আল্লাহ বলেছে, দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন। এখানে স্পষ্ট আল্লাহ বলেছে যে, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার আগে তাগুতকে বর্জন করতে, আপনি কি জানেন তাগুত কি এবং আপনি কি তাগুতকে বর্জন করেছেন ??
সেই হাফেজ লোকটি : আপনিই বলেন তাগুত কাকে বলে ??

এমন সময় আমার জোহরের সালাতে সময় হয়ে গেল তাই আর কথা বলতে পারলাম না ।
আমার আপছোচ : এই লোকটি একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া হাফেজ । সেই যে ইসলাম সম্বন্ধে কি জানে তা অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন । আমাদের দেশে এমন হাজার হাজার, লহ্ম লহ্ম হাফেজ আছে যারা দ্বীনের সঠিক জ্ঞান নিজেরাই জানে না । শুধু এই হাফেজ নয় আমি কয়েকজন মুফতীর সাথেও কথা বলে অবাক হলাম তাদের মূর্খতা দেখে, একজন তো বলে বিশ্বে কোন মুনাফিক নেই । এত কিছু সত্বেও আমাদের দেশে এদেরকেই আলেম বলে । আমি তাদেরকে আলেম নয় যালেম বলি । সবার কাছে অনুরোধ কারো ডিগ্রী বা উপাধী বা সার্টিফিকেট দেখে নয় সম্মান করুন কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে । যে লোক কুরআন সুন্নাহর দলীল দিয়ে কথা বলবে তার কথা শুনুন যদিও সেই লোকটি আপনার অপছন্দ হয় । আর যে লোকটি কুরআন সুন্নাহর দলীল ছাড়া কথা বলবে তাকে বর্জন করুন সেই যতবড় ডিগ্রীযুক্ত আলেম বা আপনার কাছের লোক হোক না কেন ??লম্বা দাড়ী আর পাঞ্জাবী টুপি দেখলেই আলেম মনে করবেন না ।আমাদের দেশে অসংখ্য নামমাত্র আলেম আছে যারা নিজেদের স্বার্থের কারনে অন্যের বিরুধীতা করে । তাই কোন অপপ্রচার শুনলেই আপনি সত্যটা যাচাই করার চেষ্টা করবেন । সাবধান শোনা কথা অন্যের কাছে বলা মানেই মিথ্যা বলা যদি যাচাই না করেন । আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সত্য বুঝার এবং হিদায়াতের পথে চলার তওফিক দান করেন । আমীন

আমার আগের আইডি কে বা কারা বন্ধ করে দিয়েছে তাই এই নতুন আইডিতে রিকুয়েস্ট পাঠাবেন যারা আমাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসের ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

হিন্‌দোল শাহ বলেছেন: চমৎকার। আপনার সুগভীর বিশ্লেষনাত্নক জ্ঞানের কারণে আপনি আল্লাহ চাহেতো দ্বীনের অনেক খেদমত করতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.