নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন)

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর সম্বন্ধে ভূল বুঝানোর জবাব ! হুমায়ুন কবির (সুমন)

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

পীরের পহ্ম বা বিরুধী হয়ে নয় স্বতন্ত্র ভাবে নিরপেহ্ম হয়ে আমার এই লেখাটি পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি উপকৃত হবেন । পীর ও মুরীদ শব্দগুলো আরবী নয় ফার্সী শব্দ, সহজ বাংলাতে পীর অর্থ শিহ্মক আর মুরীদ অর্থ ছাত্র । ভারতবর্ষে তথা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত এই দেশগুলোতে যত পীর আছে বাকী পুরো বিশ্ব জুড়েও এতগুলো পীর নেই । প্রত্যেক পীরের আছে আলেদা আলেদা কিছু নিয়ম নীতি তবে মূলে তারা সবাই এক ও অভিন্ন । যেসব ভাইয়েরা পীরতন্ত্রে বিশ্বাসী বা যে কোন পীরের মুরীদ তাদেরকে যখন কেউ বলে তোমরা যেভাবে পীর মান তেমন কোন কিছু ইসলামে নেই । তখন তারা বলে আমরা তো ইসলাম সম্বন্ধে তেমন ভাল করে জানি না তাই ইসলামকে জানার জন্য শিহ্মক ধরেছি আর শিহ্মক মানেই হল পীর । আমি বলব ভাল কথা শিহ্মক মানেই যদি পীর হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই তবে তাহলে দুনিয়ার সকল শিহ্মককে পীর বলেন না কেন ?? আমাদের দেশে হাজার হাজার মাদ্রাসায় লহ্ম লহ্ম শিহ্মক আছে আমরা সবাইকে পীর বলে ডাকি না কেন ?? এরপর দেখুন আপনি কত ভুলের মধ্যে আছেন , আমাদের দেশে যারা পীর দাবী করে তাদের অনেক মুরীদ ঐ পীরের থেকেও উচ্চ ডিগ্রীধারী শিহ্মিত তাহলে কেমন হল বলুন তো ?? দেখুন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী হক্কানী পীর দাবী করে চরমোনাই পীর , ঐ পীর একজন মুফতী কিন্তু তার থেকেও বেশী ডিগ্রীধারী অনেক অধ্যহ্ম ও ডাবল মুফতী তার মুরীদ যা নিতান্তই অন্যায় , সঠিক হবার কথা ছিল যে বেশী জ্ঞানী সেই পীর হবে যদি পীর মানেই শিহ্মক হয় । আসলে জন সাধারনকে ভুল বুঝানো হচ্ছে চরমোনাই পীর সহ সকল পীরের ছেলেরাই পীর হয় অন্যরা হতে পারবে না সেই যতই জ্ঞানী হোক । এরপর দেখুন হাটহাজারীর মুফতী শফি সাহেব একজন পীর অথচ ঐ হাটহাজারীতে আরো অনেক উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন অনেক আলেম আছে যাদেরকে পীর বলা হয় না , বলুনতো কেন বলে না ?? মূল কথা পীর মানে শিহ্মক বলাটা সম্পূর্ন একটা ভেলকিবাজী । তর্কের মাধ্যমে পীরের মুরীদরা বলে শিহ্মককে আমরা পীর বললে দোষ তোমরা শায়খ বললে দোষ হয় না কেন ?? এর সহজ উত্তর আমরা নির্দিষ্ট কাউকে শায়খ বলে তাকে অতিরিক্ত সম্মান করি না বরং যারাই ইসলামের জ্ঞানে জ্ঞানী আমরা তাদের সকলকেই শায়খ বলে সম্বোধন করে থাকি সেই পৃথিবীর যেই প্রান্তের বা যেমন পরিবারের হোক না কেন আর আমরা কোন শায়খের কাছে কোন রকমের বাইয়াত নিই না যেমনটি মুরীদরা নিয়ে থাকে । এরপর দেখুন সব পীরের বাইয়াত আছে । ইসলামে বাইয়াত নিতে পারে একমাত্র শাসক ও যুদ্ধের সেনাপতি । স্পষ্ট ভাষায় ইসলামীক ফাউন্ডেশন অনুবাদকৃত সহীহ মুসলীমের ৪৬২৫ নং হাদীসে স্পষ্ট আছে যখন কোন একজন আমীর বাইয়াত নেয় তখন যদি দেখ দ্বিতীয় আরেক জনও বাইয়াত নিচ্ছে তাহলে প্রথমজনকে রেখে বাকী সব কে হত্যা কর । তাহলে হাদীস অনুযায়ী কেবল একজন বাইয়াত নিবে তাহলে কোন একজন পীরকে রেখে বাকী পীরগুলোকে হত্যা করা দরকার ?? চরমোনাইকে রাখলে শফী সাহেব সহ বাংলার সকল পীরকে হত্যা করা দরকার বা শফী সাহেবকে পীর মানলে চরমোনাই পীর সহ বাকী সবাইকে হত্যা করা দরকার । এখন কাকে হত্যা করা হবে ?? এমনকি এহ্মেত্রে জামায়াত ইসলামও বাইয়াত নিয়ে ইসলামের নামে প্রতারনা করতেছে । পীরের ধোকাবাজী বুঝতে আরো দেখুন মনে করেন আপনার কাছে ১ লহ্ম টাকা আছে তা দিয়ে ব্যবসা করে যদি আপনি ৫০০০ টাকা লাভ করেন তাহলে তা সম্পূর্ন হালাল কিন্তু যদি ১ লহ্ম টাকা কাউকে ধার দিয়ে যদি বলেন মাসের শেষে ৫০০০ টাকা বাড়তি দিতে বলেন তাহলে তা হবে সম্পূর্ন হারাম । ঠিক তেমনি ইসলামকে বুঝতে হলে শিহ্মকের কাছে যাবেন কোন সমস্যা নেই তবে শিহ্মকের নামে যদি কোন পীরের কাছে যান তাহলে আপনি মুশরেকের কাতারে দাড়াবেন । পীরতন্ত্রের আরেক নাম সূফীতন্ত্র । আপনি দেখবেন যে সকল পীর একজন লোককে অনেক বেশী সম্মান করে সব সময় ওয়াজ করে তার নাম হল মনসূর হাল্লাজ । মনসূর হাল্লাজ হলো সূফীতন্ত্রের উদ্ভাবক । এই লোকটি নিজেকে আল্লাহ দাবী করার কারনে তাকে তৎকালীন সকল আলেমের ঐক্যমতে হত্যা করা হয়েছিল । এমনকি তার অন্ধ ভক্তরা যাতে তাকে নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করতে না পারে তাই তাকে আগুনে পুড়ে তারপর তার ছাই পানিতে ভাসিয়ে দেয় । বিশ্বের মধ্যে সকল হক্ক আলেমের কাছে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য এবং প্রাচীন ইসলামীক ইতিহাসের কিতাব হচ্ছে “ আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া ” এই কিতাবে মনসূর হাল্লাজের জীবনি লেখা আছে আপনি আরবী না পারলে বাংলা পড়ে দেখবেন ইসলামীক ফাউন্ডেশন বইটি বাংলা করেছে । এই মনসূর হাল্লাজ একেক সময় একেক বেশ ধারন করত সেই ভেড়ার পশমের বিভিন্ন ধরনের কোট পরত আর আরবীতে পশমকে বলা হয় সূফ । এই সূফ থেকেই সূফীতন্ত্রের জন্ম । সবার প্রতি আহ্ববান কোন ধরনের পীর নামে কোন ব্যক্তির কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে আপনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী ইসলামকে জানতে চেষ্টা করুন এবং তা আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহ সন্তুষ্ট অর্জনের চেষ্টা করুন । কুরআন সুন্নাহ বুঝতে আপনি যে কোন আলেমের কাছ থেকে শিখতে চেষ্টা করুন সমস্যা নেই তবে পীর থেকে দূরে থাকুন । বেহেশতে যাবার জন্য পীর ধরার কোন প্রয়োজন নেই , প্রয়োজন হল ইসলামের আনুগত্য করার । হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সত্য বুঝার ও তা মানার তওফিক দান করুন । আমীন

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

উপকৃত হয়েছি, অনেক উপকৃত হয়েছি

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ফারগুসন বলেছেন: ভাল লেখা

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: মূল বিষয়টা হল সূফীবাদ। এইটার শিকড় এতটাই গভীরে যে এই সম্পর্কে কিছু বলা বিপদজনক হতে পারে। এর উদাহরণ খুজলে এমন অনেক নাম আসবে যাদেরকে মানুষ জেনে অথবা না জেনে এতটাই শ্রদ্ধা / ভক্তি করে যে কিছু বললে বিপদ হতে পারে। এর নামের মধ্যে আছে আব্দুল কাদের জিলানী থেকে দেওয়ানবাগী। আশা করি বুজতে পেরেছেন।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৯

মতিন রহমান বলেছেন: ভাল কথা বলছেন । ভাই মাজারে গেলে দেখবেন কিছু মানুষ হুদাই কবরে সিজদা মারে , মসজিদের ধারের কাছে যায় না ।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: একজন পীরের লাখ লাখ মুরিদ তিনি কিভাবে মুরিদের শিক্ষা দেয়?

এই শিক্ষা আবার প্রকাশ্যে দেওয়া যায়না এটা বাতেনী শিক্ষা!!!

এক জন মুরিদের সাথে পীর কতটুকু সময় দেয় শিক্ষার জন্য?

পুরাই ভন্ডামী চলতে এই পীর আর সূফীবাদ নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.