![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।
আস্স্লামুআলাইকুম ; হে আমার দ্বীনি ভাইয়েরা,আমি একজন ঈমানদার হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার কর্তব্য হিসেবে এই লেখা ।আমরা সবাই চায় আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের বাসিন্দা হতে ।কিভাবে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করব বাস্তবে তা দেখানোর জন্য যুগে যুগে আল্লাহ বহু নবী ও রাসূল প্রেরন করেছেন । সর্বশেষ আমাদের রাসূলকে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে একজন রাখাল থেকে রাষ্ট্রপতি হতে পারে । আজ আমার জামাত ইসলামী ভায়েরা দ্বীন কায়েমের জন্য যে আন্দোলনের মধ্যে আছে তা দেখে আমি খুব মর্মাহত ।ভুল বুঝবেন না পুরো লেখাটা পড়ে যদি মনে হয় কোন কিছু ভুল বলেছি তাহলে কুরআন সুন্নাহর মাধ্যমে সংশোধন করবেন । আপনারা আজকে যে ইসলামী আন্দোলন করতেছেন তা আমাদের রাসূলের প্রদর্শিত পথ নয় তা আব্রাহাম লিংকনের প্রদর্শিত । যা আজ বিশ্বের সকল গ্রহনযোগ্য আলেমরা যে গনতন্ত্রকে হারাম আর কুফুরী বলেছে এমনকি আপনাদের মধ্যেও অনেকেই কুফুরী মনে করে সেই গনতন্ত্রের মাধ্যমে আপনারা চাচ্ছেন দ্বীন কায়েম করতে ।আমার মতে এটা অনেকটা এমন, যে ভাবে পায়খানার উপর পা দিয়ে হেটে গিয়ে যতই খুশু খুজুর সহিত সালাত আদায় করে না কেন তার সালাত যেমন গ্রহনযোগ্য নয় ঠিক একই রকম হারাম বা কুফুরী গনতন্ত্রের মাধ্যমেও দ্বীন কায়েমের চেষ্টাকে কহ্মনো গ্রহন করা হবে না ।আল্লাহ আমাদেরকে তার বাস্তব প্রমান দেখিয়েছে সর্বশেষ মিশর থেকে । কারন আল্লাহ বলেছেন ,তোমরা যদি আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তাহলে রাসূলকে অনুস্বরন করো । যদি তাই হয় তাহলে আপনারা রাসূলের পথকে অনুস্বরন না করার কারনে অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্ট থেকে বচ্ঞিত হবেন । আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলে আপনারা নাকি ইসলামী গনতন্ত্র অনুস্বরন করতেছেন। আমি বলতে চাই যে কোন কিছুর আগে ইসলামীক শব্দ যোগ করলেই কি তা ইসলামীক হয়ে যায় ? না তা কহ্মনো হতে পারে না । আপনারা যেটাকে ইসলামীক গনতন্ত্র বলেন সেটাকে ইসলামের ভাষায় শুরা বলে তবে কিছু পার্থক্য আছে । শুরা কি তা জানতে হলে কুরআনের একটা সূরা আছে আস-শুরা তা পড়ুন । আপনাদের দলের ভিতরে যেমন যে কেউ শুরা হতে পারে না , হতে হলে তার তেমন যোগ্যতা লাগে। ঠিক তেমনি ইসলামের কোন ব্যপারে কোন মতামত দিতে হলে তাকে সেই বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে । যেমনটা জেনেছেন খলিফা নির্বাচনে সেই থানে সবার মতামতকে প্রাধান্য দেয় নি যেমন দিতেছে বর্তমান গনতন্ত্র । এটা অতন্ত্য হাস্যকর যে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী আর একজন সুইফারকে এক করে দিয়েছে গনতন্ত্র যা কহ্মনো মেনে নেওয়া যায় না কারন তাদের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে গনতন্ত্রের প্রতিবাদ করে আল্লাহ নিজেই বলেছেন,আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। সূরা আনআম- ১১৬. একটু ভেবে দেখুন আমাদের দেশের নামদারী মুসলীম একটা নায়িকাকে যদি বলেন আপনি যে অভিনয় করতেছেন তা যে হারাম তাকি জানেন ? তখন সেই সাধ্যমত চেষ্টা করবে তার কর্মকান্ডকে ইসলামীক বলে প্রমান করতে । ঠিক একই ভাবে জামাত ইসলামকে যখন বলা হয় আপনাদের এই এই কাজতো ইসলাম বিরোধী তখন তারাও ঐ নায়িকার মত কুরআন সুন্নাকে বিভিন্ন অপব্যাখ্যা করে নিজের কাজকে ইসলামীক বলে প্রমান করতে চায় । যেভাবে জামাত ইসলাম কুফুরী ও শিরকী গনতন্ত্রকে হেকমতের মাধ্যমে হালাল করতে চায় ঠিক একইভাবে যদি ইসলামের সকল কাজকে এইভাবে হেকমত দিয়ে করে তাহলে বাতীলের সাথে আর সংঘাত হবে না যেমন করতেছে তাবলীগ । এরপর খুবই দুঃখের বিষয় অাপনার দলের নেতা কর্মীরা হুদায়বিয়ার সন্ধির কথা বলে কুফরী গনতন্ত্রকে হেকমত হিসেবে নিয়েছে ,আমি বলতে চাই আপনি কষ্ট করে ঐ সন্ধির ধারা গুলো পড়েন দেখবেন যে সেইখানে কোন শিরকী ধারা নেই অথচ গনতন্ত্রের মধ্যে আছে হাজারো কুফরী । সর্বশেষ জেনে নিন গনতন্ত্র একটা দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) তার জন্য আছে আলেদা সংবিধান এবং ইসলামও একটা দ্বীন ( জীবন ব্যবস্থা ) ইসলামেরও আছে একটি সংবিধান তাইতো আল্লাহ বলেছেন, যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত । সূরা আল ইমরান ৮৫ । যেটা আল্লাহ পছন্দ করেন না আপনারা চাইতেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান এটা কেমন হল ?? পৃথিবীর ইতিহাস দেখলে দেখবেন যে পৃথিবীতে গনতন্ত্র আসার আগে সমাজতন্ত্রের জয় জয় ছিল , তখন আপনাদের নেতাদের মত ঐ সময়ের ইসলামী নেতারা বলেছে এখনতো সমাজতন্ত্রের আন্দোলন ছাড়া ইসলাম কায়েম সম্ভব নয় আর সমাজতন্ত্রই নাকি ইসলাম কিন্তু আজ সেই সমাজতন্ত্র ধুমড়ে মুছড়ে পড়ে আছে ঠিক আজ যেমন আপনারা বলতেছেন বর্তমানে গনতন্ত্র ছাড়া ইসলাম কায়েম সম্ভব নয় এমনকি ইসলামী গনতন্ত্রও আছে । অপেহ্মায় থাকুন সেই দিন বেশী দূরে নয় সমাজতন্ত্রের মত গনতন্ত্রও ধুমড়ে মুছড়ে পড়ে থাকবে । এরপরেও বলব আপনার অবশ্যই অনেক দ্বীনি কাজ করেন কিন্তু খুব আপছোচ হয় এই ভেবে যে মদ খাওয়ার সময় যদি উত্তম সুন্নাত তরিকায়ও খায় তাহলে তা যেমন গুনাহের কাজ ঠিক আপনাদের বেশীর ভাগ কাজই হচ্ছে তেমন । গনতন্ত্রে প্রধান উপাদান হচ্ছে বহু দল বানানো যাকি না আল্লাহ নিজেই হারাম করে দিয়েছেন এইভাবে কুরআনে উল্লেখ্য করে, নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে। সূরা আনআম - ১৫৯, আপনারা মানুষদেরকে অন্যদের থেকে জিহাদের প্রতি বেশী উদ্বুদ্ধ করেন ভাল কথা কিন্তু রাসূল যেমন করে জিহাদের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন তেমন তো করছেন না । আজকে জিহাদী মনোভাব পোষন করা ব্যক্তিরা যখন মাঠে নামে তখন বাতীল আর তাগুত বাহীনির ফাকা গুলির শব্দ শুনলে পালাবার জায়গা খুজে পায় না । এমন তো জিহাদ নয় কারন জিহাদের ময়দান থেকে পিছনে ফিরে আসা মুনাফিকের কাজ এই হিসেবে আপনারা অনেককেই মুনাফিকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন । এরপরেও দেখুন যারা আপনাদের আন্দোলনে গিয়ে মারা যায় তাদেরকে আপনার শহীদ বলেন । আপনাদের একটু বিবেক থাকা দরকার রাসূল বলেছেন শহীদদেরকে যেভাবে পাবে সেইভাবে দাফন করতে কিন্তু আপনারা কি তাদেরকে কাফন ছাড়া দাফন করতেছেন । আমার জানা মতে আমি কাউকে দেখিনি তাহলে এ কেমন শহীদ ? তারপর আবার শাহাদাত বার্ষিকি পালন যা দ্বীনের কোথায়ও নেই । এর মধ্যে ৫/১০ জনের অন্দোলনের কথা আলেদা । আমি আমার নবীন জামাত ইসলামীর ভাইদেরকে ও বোনদেরকে বলব আজ আপনার যে বইগুলো পড়ে ইসলামকে জানার চেষ্টা করতেছেন তার ২/৩ ভাগ বই লিখেছে তারা যারা জামাত ইসলামে যোগ দিয়ে বই লিখেছে । যেখান থেকে আপনি সত্য ইসলামকে জানবেন না কারন ঐ লেখকদের চোখে জামাত ইসলামীর কোন ভুল নেই ।যাচাই করার জন্য একটু খোজ নিয়ে দেখুন । তাই আমার আহ্ববান সত্য ইসলামকে জানতে আপনি বিশ্ব বরেন্য আলেমদের বই পড়ুন । আপনি স্পষ্টভাবে দেখবেন জামাতের অনেক নেত্রী স্থানীয় নেতারা দ্বীনের হুকুম পালনে অবহেলা করে আমি সমর্থক বা কর্মীদের কথা বলছি না ।যে নেতারা কুরআন সুন্নাহমত নিজেরাই চলে না তারা উপদেশ দিবে কিভাবে ? প্রমানের জন্য দেখুন ১৯৭৮ সাল থেকে একজন শিবিরের সভাপতিও সুন্নাতের অনুস্বরন করে নি । আজ একটা কথা বলে সাধারনকে তারা বোকা বানাচ্ছে, তারা বলে তারা হক্ক পথে আছে বলেই বাতীলরা তাদের নির্যাতন করতেছে, আমি বলব যদি এই হয় হ্ক্ক বুঝার রাস্তা তাহলে তাদের থেকে বেশী হক্কপন্থি হচ্ছে হিজবুত তাহরীর ও জামায়াতুল মুজাহেদিন কারন বাতীলরা তাদের সহ্য করতে না পেরে নিষিদ্ধ করেছে । আসলে বর্তমান জামাত ইসলাম রাজনৈতিক ধন্দ ও প্রতিহিংসার স্বীকার ,ইসলামী প্রতিহিংসার নয় । যদি আপনি মনে করেন জামাতের উপর নির্যাতন ইসলামের কারনে তাহলে বলতে হবে বি.এন.পিও একটা ইসলামীক দল কারন তারাও নির্যাতীত হচ্ছে । আপনারা পুরো ইসলামে পথে না চলে কিছুটা ইসলামীক কিছুটা বাতীলের মত চলেন তাই আপনারা এখনও আছেন । যে দলের নেত্রীস্থানীয়রা কুরআনের ফরজ হুকুম পর্দার আইন মানে না তারা হক্ক কিভাবে হয় । প্রমানের জন্য অবশ্যই আপনারা দেখেছেন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাদের অনেক ছবি দেখেছেন এটা কেমন হেকমত ? এটা কেমন আন্দোলন আপনাদের, এক তাগুত শেখ হাছিনাকে সরিয়ে আরেক তাগুত খালেদাকে হ্মমতায় বসানোর জন্য জিহাদ করতেছেন । এটাতো কহ্মনো ইসলামী আন্দোলন হতে পারে না । আমার এমন উপলব্ধি হচ্ছে আমি প্রায় ৭ বছরের বেশী জামাত ইসলামীর সাথে ছিলাম তাই আপনারা মনে করবেন না আমি জামাত ইসলাম সম্বন্ধে না জেনে কিছু লিখেছি । আমি এরপরও বলব আমার বুঝার মধ্যে ভুল হতে পারে যদি আপনার চোখে কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে আমাকে কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে সংশোধন করবেন । তবে অবশ্যই অন্ধ আনুগত্য বা শুনা ইলমের মাধ্যমে যদি আমাকে ভুল বুঝেন তাহলে কাল কিয়ামতের দিন আপনার সাথে আমার দেখা হবে মনে রাখবেন । আল্লাহকে সাহ্মি রেখে বলতেছি জামাত ইসলামের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন হ্মোভ বা অভিযোগ নেই একমাত্র দ্বীনের সম্পর্ক ছাড়া । যদি আমি দ্বীনি সম্পর্ক ছাড়া জামাত ইসলামের বিরুধিতা করে থাকি তাহলে আল্লাহ যেন নির্ধারিত শাস্তির চেয়েও আমাকে দ্বিগুন শাস্তি দেয় । আশা করি এর পরেও ভুল বুঝবেন না । নিজের যদি ইসলামের জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে একটু সময় নিয়ে চিন্তা করুন । মনে রাখবেন পীর, সূফিদের মত হালালকে হারাম, হারামকে হালাল বানানোর অপচেষ্টা করবেন না । সর্বশেষ আপনাদেরকে আহ্ববান করবো কুরআনের দুটো আয়াতের মাধ্যমে এইভাবে. হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।সূরা বাক্কারাহ - ১০৮ । এবং, হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান অবস্থা ছাড়া মৃত্যুবরণ করো না। সূরা আল-ইমরান -- ১০২ .আসুন কুরআন হাদীসের দেখানো পথে সংঘবদ্ধভাবে বাতীলকে নির্মুল করতে সবাই এগিয়ে আসি । হে আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝার তওফিক দান করো এবং দ্বীন কায়েমের জন্য আমাদের কবুল করো । আমীন
বিঃদ্রঃ - আবদুল কাদের মোল্লা এবং কামরুজ্জামান ভাই যদি জেলে শিরক এর জন্য তাওবাহ করে থাকেন তাহলে আল্লাহ যেন তাদের তাওবাহ কবুল করেন মাগফেরাত দান করেন । আমীন
©somewhere in net ltd.