নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন)

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ করলে কি মুসলীম হওয়া যায় না ??

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২



বেশ কিছুদিন আগ থেকেই আমি একজনকে সব প্রায় সময় আমাদের মসজিদে নামাজে দেখি হঠাৎ আমি জানতে পারি লোকটি আওয়ামী লীগের একজন নেতা । এই কথা শুনার পর থেকে আমি ভাবতেছি কিভাবে তার সাথে কথা বলা যায় ? পরে একদিন সুযোগ পেয়েও গেলাম তখন আমি বললাম ভাই আপনি এতকষ্ট করে নামাজ পড়ে কি হবে ? লোকটি বলল, কেন ? আমি বললাম আপনি নাকি আওয়ামী লীগ করেন ? লোকটি উত্তর দিল তা হলে সমস্যা কি ? আমি বললাম আওয়ামী লীগ সমর্থন করে নামাজ পড়ে কোন লাভ হবে না ? লোকটি আমাকে ভাল মনে করে তাই রেগে উঠেনি । এরপর বললাম আচ্ছা ভাই কোন মুসলীম যদি হিন্দুদের দেবতার আগমনকে কল্যান মনে করে তাহলে আপনার সাধারন জ্ঞানে কি বলে, সেই কি মুসলীম থাকবে ? লোকটি বলল না । আমি বললাম আপনার মা বাবাও যদি এমন ধারনা রাখে তাহলে কি করবেন ?? সেই বলল তাদের কে বুঝাতে হবে । আচ্ছা ভাই কোন মুসলীম যদি মনে করে কুরআনের আইন থেকেও ভাল কিছূ আছে তাই সেই কুরআনকে না মেনে অন্য কিছূকে গ্রহন করে নিছে তাহলে সেই কি মুসলীম থাকবে ? লোকটি বলল না । তাহলে বলুন শেখ হাছিনা বলেছিল দূর্গা দেবী গজে ছড়ে আসার কারনে ফসল ভাল হয়েছে এবং কুরআনের আইনকে না মেনে সংবিধানকে মানতে বাধ্য করতেছে ,অথচ ঐ সংবিধানে কুরআনের আইনকে বদলানো হয়েছে । এরপরেও একজন মুসলীম হিসেবে আপনি কি “ আওয়ামী লীগ ” কে সমর্থন করতে পারেন ? লোকটি চুপ হয়ে গেলে । কিছূহ্মন পরে বলল আমি তো এতকিছু জানি না । আমি বললাম আপনি কি জানার চেষ্টা করেছেন ? লোকটি বলল না । আমি বললাম ভাই আপনার দলের অনেকের অনেক ইতিহাস আপনি জানেন অথচ রাসূলের জীবনের ইতিহাস জানেন না সেটা কার দোষ ? আপনার দলের অনেক নিয়ম কানুন আপনি জেনে আজ নেতা হয়েছেন , আপনি কি কখনো কুরআনের নিয়ম কানুন জানতে চেষ্টা করেছেন ? লোকটি বলল না । আমি বললাম যদি আপনি জানতে চেষ্টা করতেন তাহলে আজ আওয়ামী লীগের নেতা না হয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা হতেন । আওয়ামী লীগ হয়ে মরে গেলে শহীদ তো দূরের কথা জান্নাতের ঘ্রান পাবেন কিনা সন্দেহ । যদিও আজ কোটি লোক আওয়ামী লীগ করে মারা গেলেও শহীদ বলে তবে তাতে কোন লাভ নেই কারন শহীদ উপহার হল কুরআন থেকে অথচ ঐ কুরআনকেই আওয়ামী লীগসহ গনতন্ত্রপন্থি কোন লোক মানে না । অপর দিকে ইসলামী আন্দোলন করে মরেও লাভ কারন তারা শহীদী মর্যাদা পাবে । আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে ধর্ম নিরপেহ্ম মতবাদের বিশ্বাসী বলে অথচ ইসলামে ধর্ম নিরপেহ্মদের কোন স্থান নেই । ভাই আজ আপনিসহ আওয়ামী লীগ হ্মমতার জোরে যা করতেছেন তার হিসাব দিতে হবে প্রস্তুত থাকুন । লোকটি বলে উঠল আপনি কি শিবির করেন নাকি ?? আমি বললাম না , আমি বাংলাদেশের তথাকথিত কোন দল করি না ,জামায়াত শিবির আর আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রের মাঠে একই পথের পথিক । তবে আমার দেখা অনেক শিবির ভাইয়েরা নিজেদের ভুল বুঝতে শুরু করেছে তারা গনতন্ত্র ছেড়ে খিলাপতের ময়দানে আসতেছে । এরপর থেকে লোকটি আমাকে দেখলেও আগের মত আর কথা বলে না ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যে শাসকের, আল মনসুর, প্রধান কাজী হতে রাজী হন নাই তারই ছাত্র আবু ইউসুফ কাজী হলেন, এই অমান্যতার অপরাধে ইমাম সাহেবের জেল হলো, সেখানেই নির্যাতন করে মেরে ফেলা হলো, এটাই উনার মৃত্যুর কারন বলে সবচেয়ে গ্রহন যোগ্য মত।

এখন বলেন, আবু ইউসুফ মুসলিম ছিলেন না!!!!!

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরান কি আইনের পুস্তক ?? সুরা আনাম আয়াত ৯০ -- এটি সারা বিশ্বের জন্যে একটি উপদেশমাত্র। --- যারা কোরানের উপদেশ বিরুধী শরিয়া আইনকে আল্লাহ আইন মনে করে এবং বিশ্বাষ করে তারা কি মুসলমান ?? উদাহরন

“(স্বামীর) বৌ-তালাকে সাক্ষ্য শর্ত নহে” (বি-ই-আ ১ম খণ্ড, ধারা ৩৪৪)। এবারে খুলুন কোরাণ, সুরা ত্বালাক, আয়াত ২ − “তোমরা যখন স্ত্রীদিগকে তালাক দিতে চাও তখন দুইজন সাক্ষী রাখিবে।”
শারিয়ায় চুরি, ডাকাতি, পরকীয়া, মদ্যপান, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদির শাস্তি হল হাত-পা কাটা, জনসমক্ষে চাবুকের আঘাত, জনসমক্ষে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড, ইত্যাদি। কিন্তু ওই শারিয়া আইনেই আছে “রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে হুদুদ মামলা করা যাবে না” (বি-ই-আ ৩য় খণ্ড নং ৯১৪গ এবং হানাফি আইন পৃঃ ১৮৮)।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩০১ ঃ “যদি রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি কাউকে বাধ্য করে কোন নারীকে ধর্ষণ করতে, তবে ধর্ষণকারী শাস্তি পাবে না।”এ-আইনে “রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি”র কোন শাস্তির উলেখ নেই। কেউ বলতে পারেন, অন্যত্র শাস্তির কথা আছে। কিন্তু এখানেও সেটা নেই বলে কোন বাকপটু দুর্ধর্ষ উকিল তার অপরাধী মক্কেলকে খালাস করে নেবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩১১, ধারা ১৪৯ ঃ “বোবা’র সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়।” কিন্তু বোবা’র তো চোখ আছে, সে তো দেখতে পারে। তার সাক্ষ্য ছাড়া চোর-ডাকাতখুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না।
দাস-দাসী, গায়িকা এবং সমাজের নীচু ব্যক্তির (উদ্ধৃতি ঃ রাস্তা পরিষ্কারকারী বা শৌচাগারের প্রহরী, ইত্যাদি) সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। হানাফি আইন পৃঃ ৩৬১ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৬ − Law #o.24.3.3 ; পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৬ ; বিধিবন্ধ ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬৩)। কিন্তু ওদেরও তো চোখ-কান-বিবেক আছে। ওরা তো চুরি-ডাকাতি দেখতে পারে ঠিক আমার-আপনার মতই। ওদের সাক্ষ্য ছাড়া চোর- ডাকাত-খুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না। তাছাড়া, আইনটায় গায়কের কোন কথা নেই, এটাও তো অন্যায় হয়ে গেল।
হুদুদ মামলায়, বিশেষত ব্যভিচারে ও খুনের মামলায়, নারী-সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। (হানাফি আইন পৃঃ ৩৫৩ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৮ − Law #o.24.9। ক্রিমিন্যাল ল’ ইন্ ইসলাম অ্যাণ্ড দ্য মুসলিম ওয়ার্লড পৃঃ ২৫১। মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ২৩৯। পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৪ ; বিধিবদ্ধ ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৩ ও ২য় খণ্ড, ধারা ৫৭৬)।
নারীদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নহে, তাহাদের (১) স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, (২) পরিচালন- ক্ষমতার দুর্বলতা ও (৩) বুঝিবার অক্ষমতার জন্য। (পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৫)।
স্বামীর তরফ থেকে দেন-মোহর হতে পারে কোরাণ থেকে কিছু তেলাওয়াত বা লোহার আংটি বা একজোড়া জুতো। (শারিয়া দি ইসলামিক ল’ পৃঃ ১৬৩, ১৬৪ ; বিধিবদ্ধ ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৯৭৬ ; সহি হাদিস তিরমিজি, হাদিস নং ৯৫১)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.