নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন)

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিকৃত সমাজকে বদলে দাও !! হুমায়ুন কবির (সুমন)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪





আমি হতবাক আজ সমাজের দিকে তাকিয়ে। নাম মাত্র মুসলীম সমাজে কি হবার কথা ছিল আর কি হচ্ছে ?? সমাজ আজ নানা সমস্যায় র্জজরিত যা থেকে মুক্তির পথ খুজতে অনেকেই আত্নহত্যার পথ বেচে নিয়েছে । সমাজের সব সমস্যা সবারই জানা তবে সবাই নিজেদের দোষগুলো না দেখে শুধু অন্যের দোষ নিয়ে চিন্তায় মগ্ন এটাই বড় সমস্যা। অথচ যদি অন্যের দোষ না খুজে নিজের সংশোধনের জন্য চিন্তা করত তাহলে এত অশান্তি বিরাজ করত না বলে আমার ধারনা। সমাজের মানুষগুলো বিভিন্ন ধরনের অন্যায় আর অপকর্মে লিপ্ত তবে সেইগুলোকে তারা খারাপ মনে করে না। তার মধ্যে একটা উদাহরন দেখুন ছেলে মেয়েকে নাচ গান শিখিয়ে আজ অনেক পিতা মাতাই গর্ব করতেছে অথচ যখন তার এই আদরের সন্তানটি মাদকাসক্ত হয় বা মেয়েকে যখন কেউ ধর্ষন করে তখন তাদের আহাজারি দেখে খুব আপছোচ হয় আর বলতে চাই এখন দুঃখ কর কেন তুমিইতো এইসবের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছ । মানুষের ভিতরে নৈতিকতা আর সদস্বভাব তৈরির মূল মন্ত্রই হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান অর্জন ও তার অনুস্বরনের মাধ্যম অথচ আজকাল মানুষ কুরআনকেই বড় অবহেলার পাত্র বানিয়ে রেখেছে । এমনটি কুরআনে আগেই বলেছে, রসূল বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে । সূরা ফুরকান - ৩০ । আপনি আপনার সন্তানকে জেনারেল শিহ্মায় শিহ্মিত করবেন সমস্যা নেই তবে তার পাশাপাশি যদি দ্বীনী শিহ্মা দিয়ে থাকেন , আর যদি দ্বীনি শিহ্মা না দিয়ে জেনারেল শিহ্মায় যত বড় ডিগ্রীধারীই হোক না কেন সেই মূর্খ আর এটা কোন মুসলীমের জন্য যায়েযও নেই । আজকের সমাজে যেসব ছেলে মেয়ে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়েছে তারা সবাই জেনারেল শিহ্মায় শিহ্মিত, এমন একটিও খুজে পাওয়া যাবে না যে কোন দ্বীনি ভাই বোন তাদের মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়েছে কারন তারা জানে মা বাবা কি জিনিস ?? এরপরেও আজ নৈতিকতার অবহ্ময়ের কারনে এটাও দেখতে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে প্রেম করে বিয়ে আর এটাকে সুশীল নামে শয়তানরা বাহবাও দিচ্ছে, কোথায় মানুষের বিবেক ?? আজ বাবা তার মেয়েকে ধর্ষন করতেছে , ছেলে মাকে আর এটাক মিডিয়া খুব ঘটা করে প্রচার করে অন্যদেরকে সচেতনের নামে উৎসাহ দিচ্ছে । এই মিডিয়ার কারনে আজ প্রায় সংসারে অশান্তি এর কাছে সবাই যেন হার মেনে নিয়েছে ।একজন আরেক জনকে হত্যা করাতো এখন অভিনয়ের মত হয়ে গেছে । ঐশীর মত মেয়ে ইংলিশ মিডিয়া স্কুলে পড়ে মা বাবাকে হত্যা করে, কই কোথায়ও তো দেখলাম না যে কোন আলেম পড়ুয়া মেয়ে কাউকে বিনা কারনে আঘাত করতে , কারন কি জানেন সেই মাদ্রাসায় পড়েছে । এরপরেও আজ কিছু কুলাঙ্গার, মানুষ নামে জানোয়ার মাদ্রাসা নিয়ে কুটুক্তি করতেছে কারন মাদ্রাসা থেকে কোন ঐশী বের হবে না । এইসব সমস্যা দেখে তা থেকে বাচার উপায় নিয়ে আমাদের নীতি নির্ধারক ও বুদ্ধিজীবিদের মন্তব্য হচ্ছে সিগারেটের মত । গ্রাহককে বলে সিগারেট সর্বনাশী অন্যদিকে তা বাজারজাতের জন্য ভর্তুকি । আজকের সমাজে বড়দের সম্মান নেই বললেই চলে আর ছোটরা প্রায় জায়গায় বিচারকের আসনে বসে আছে । সমাজের মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে ছোট বড় সব দায়িত্বশীলের জায়গায় মূর্খ ও সুযোগ সন্ধানীরা বসে আছে । যেখানে নেই কোন ন্যায় বিচার বরং অন্যায়ের পথকে সহজ করে দিচ্ছে । যার কারনে আজ ধর্ষন করাটা সহজ তবে বিবাহ করাটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে । মানবতা আজ হ্মমতাশীলদের হাতে বন্ধি । সুদের মত অভিশাপ আজ ঘরে ঘরে বৈধ হয়ে গেছে । মহিলাদের সুরহ্মার জন্য অনেক কঠিন আইন থাকার পরও প্রতিদিন ঘটে চলছে ধর্ষন ও যৌতুকের দায়ে আগুনে পুড়ে হত্যাসহ নানা রকমের শাসনের নামে অত্যাচার । বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মহড়া দেখে সহজেই মনে হবে সমাজের বেশীর ভাগই আইন শৃংখলা বাহীনির লোক অথচ সত্য হচ্ছে বেশীর ভাগ লোকের কাছে হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র যা ব্যবহার হয় হ্মমতা প্রদর্শনের জন্য। এত কিছুর মাঝে আরোও আছে ইসলামের নামে বানানো অনেক দল ও সংঘঠন, যাদের প্রত্যেকের আছে আলেদা করে নিজস্ব কর্ম পদ্ধতী ও চিন্তা ধারা । অবাক করার বিষয় তাদের সবার দাবী তারা কুরআনের হুকুম ও সুন্নাতকে বাস্তবায়ন করতে চায় অথচ তারা বিচ্ছিন্ন ভাবে দলে দলে বিভক্ত যা ইসলামে সম্পূর্ন হারাম । আল্লাহ বলেন আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না । সূরা আলে ইমরান ১০৩ ।
সমাজে শান্তিু প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে প্রত্যেক স্কুল কলেজে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কুরআন ও হাদীসের বিষয় বাধ্যতামূলক রাখতে হবে তাহলে ডাক্তার হবার সাথে সাথে সেই আলেমও হবে যার মাধ্যমে সেই সত্য জানতে পারবে । সমাজের দায়িত্বশীল হবে সেই লোক যে জ্ঞানে ও আচার আচরনে শ্রেষ্ঠ । সমাজের প্রত্যেক নারীকে পর্দা করা বাধ্যতামুলক করতে হবে, যে তা করবে না তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করবে । সমাজের সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র কুরআন সুন্নাহ থেকে নিতে হবে । হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং (অন্য কিছুর অনুস্বরন করে) নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না । সূরা মুহাম্মদ - ৩৩ । আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সত্য বুঝার তওফিক দান করেন । আমীন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

নতুন বলেছেন: আমি হতবাক আজ সমাজের দিকে তাকিয়ে। নাম মাত্র মুসলীম সমাজে কি হবার কথা ছিল আর কি হচ্ছে ??

এটাকে বলে পরিবত`ন....আর Change is inevitable ...

মানুষের ভিতরে নৈতিকতা আর সদস্বভাব তৈরির মূল মন্ত্রই হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান অর্জন ও তার অনুস্বরনের মাধ্যম অথচ আজকাল মানুষ কুরআনকেই বড় অবহেলার পাত্র বানিয়ে রেখেছে ।

দুনিয়ার ২১% মানুষ মুসলমান<< বাকীরা কি সবাই অনৈতিক ভাবেই চলে?

আমাদের দেশের নৈতিক/মানবিক সমস্যার কারন কি জানেন???????????

এতো দিন আমাদের নৈতিকতার উতস ছিলো ধম`। নরক/দোজকের ভয়ে সবাই ভাল থাকতো। কিন্তু দিন দিন মানুষের ধমে`র ভয় কমে যাচ্ছে তাই নৈতিকরা ভীতও নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে।

যখন মানুষ দোজকের ভয়ে না বরং মানুষের উপকারের জন্য মানবতার গুরুত্ব বুঝতে পারবে। তখন তারা দূনিতি/ভন্ডামী বাদ দেবে।

যতদিন না ধমের সাথে আধুনিক মানবতা/নৈতিকতার শিক্ষা আমাদের সমাজে শুরু না হবে ততদিন আমাদের সমাজে এই সব সমস্যা বাড়তেই থাকবে। কারন সমাজে প্রতিদিন ধমের প্রভাব এবং বিশ্বাস কমে যাচ্ছে।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: আমাদের সমস্যা হল আমাদের সমাজে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয় না। ধর্ম নৈতিক শিক্ষা দেয়ার একটা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান ছিল, কিন্তু এখন ধর্ম মানতে গেলেই আপনি ক্ষ্যাত, অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষ হয়ে যান। এর পরে আসে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্তু আমাদের দেশে একাডেমিক ভাবে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয় না। পৃথিবীতে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক এনটিটি। সে যদি নিজেকে নিয়ম এর মধ্যে না রাখে তাহলে সে একটা পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠে। যেই সমাজে নৈতিকতাকে কবর দিয়ে দেয়া হয়, সেই সমাজের অবস্থা এই রকম ই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.