![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটা কয়েকদিন দাড়ি রাখে, আবার কেটে ফেলে। এটা দেখে তাঁর সম্পর্কে সবার ধারনা হল, ছেলেটার মাঝে কোন দৃঢ়তা নেই।
মেয়েটা কখনও বুরকা পড়ে, কখনও পড়ে না। তাঁর এই আচরনের কারনে সবাই বলাবলি করে, ঐ মেয়ের মত ধর্ম পালনের দরকার নেই। ইসলাম মানতে চাইলে,পুরোপুরি মানো।
এক দ্বীনদার ভাইকে দিনের পর দিন ফজরের জামাতে দেখি না। তাই মনে মনে ভাবলাম, এই লোক মনে হয় ফেসবুকেই শুধু ভাল কথা বলে। বাস্তব জীবনে একদম ভণ্ড।
আসল কথা হল, যেই ছেলেটা দুই দিন পর পর দাড়ি কাটে, সে ততক্ষন পর্যন্ত দাড়িকে বড় করতে থাকে, যতক্ষণ না তাঁর বাবা জোর করে তাঁর দাড়ি কেটে দেয়। প্রতিবারই সে বড় করে, প্রতিবারই তাঁর বাবা এমন আচরন করে।
যে মেয়ে বুরকা কখনও পড়ে কখনও ছাড়ে, তাঁর পরিবার এতটাই ইসলাম প্রেমিক (?), বুরকা পড়তে দেখলে বাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। গায়ে হাতও তুলেছে কয়েকদিন তাঁর মা। তাই যখন বাসায় কেউ থাকে না, বাসা থেকেই বুরকা পড়ে বের হয়। যখন বাসায় লোকজন থাকে, বুরকাটা ব্যাগে থাকে। এক রাস্তা সামনে বান্ধবীর বাসা। সেখান থেকে বুরকা পড়ে তারপর সে ভার্সিটিতে যায়।
যে ভাইকে দিনের পর দিন ফজরে মসজিদে দেখি না, অধিক সাওয়াবের আশায় পায়ে হেটে সে প্রতিদিন দুরের মসজিদটিতে যায়। পায়ের কদম যত বাড়বে, সাওয়াব যে তত বেশি।
----------------
উপরের তিনজনের গল্প কোন বানানো কাহিনী নয়। বরং নিজের আশেপাশেরই তিন জন ভাই বোনের জীবনের গল্প এগুলো। তাদের সম্পর্কে মানুষেরা যা বলাবলি করতো সেগুলোও নিজ কানেই শুনেছি।
একজন মানুষ সম্পর্কে খারাপ ধারনাটা খুব সহজেই আমরা করে ফেলি, অথচ একবারও ভাবতে চেষ্টা করি না, বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাঁর এই অস্বাভাবিক কাজের পেছনে কোন কারন হয়তো রয়েছে, যা তাকে বাধ্য করছে এমন কিছু করতে।
অদ্ভুত হলেও সত্য! এভাবেই নিজের ভাণ্ডার থেকে সাওয়াবগুলো অপরের থলেতে নিজের অজান্তেই ঢেলে দেয় অনেকেই। পাহারসম আমল নিয়েও সেদিন হবে কেউ ফকির হতদরিদ্র, সামান্য আমল নিয়েও কেউ থাকবে সেদিনে চিন্তামুক্ত প্রানবন্ত।
©somewhere in net ltd.