![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাউকে অতিক্রম করতে চাইনা, ব্যতিক্রম হতে চাই।
জীবনের লক্ষ্য কি আমাদের.?
লিখেছেনঃ আবু মুহাম্মাদ
-
প্রত্যেকটা কাজেরই একটি লক্ষ্য রয়েছে। কাংখিত জায়গায় পৌঁছানোর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণটা খুব জরুরী। লক্ষ্যহীন ভাবে কাংখিত স্থানে পৌছানো সম্ভব নয়, সম্ভব নয় কাংখিত কাজ শেষ করা। মানুষের জীবনেরও লক্ষ্য রয়েছে। 'লক্ষ্যহীন জীবন, মাঝিবিহীন নৌকার মত' একথাটি সম্ভবত আমাদের প্রত্যেকেরই জানা। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে লক্ষ্য নির্ধারণে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ওলট-পালট করে দিতে পারে আপনার গোটা জীবনকে।
.
অভিভাবকেরা ছোট থাকতে শিশুদের মাথায় খেলার ছলে একটা লক্ষ্য ঢুকিয়ে দেয় আবার কখন শিশুরা বোঝার পর নিজেই ঠিক করে। তবে শিশুরা নিজ থেকে ঠিক করলেও তা আসলে চারপাশের মানুষের কাছ থেকে বার বার কোন বিষয় শুনে তার অবচেতন মন তা ঠিক করে রেখেছে। কারন একজন শিশুর পক্ষে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারনের মত একটি কঠিন বিষয় ঠিক করা সম্ভব নয়। যদিও আমরা অনেক সময় দেখতে পাই পরিবারের বিপরিতে শিশু নিজের মত প্রকাশ করে।
.
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তার, ইনজিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ আফিসার, ডিসি, এসপি, বিসিএস ক্যাডার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করে একেক জন।জীবন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। এই সম্পদকে সুন্দর করে সাজাতে সবাই দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, তারই আঙিকে ঠিক করে জীবনের লক্ষ্য। তবে লক্ষ্য নির্ধারনে বিভিন্ন পেশা দৃশ্যমান থাকলেও সবার মূল লক্ষ থাকে টাকা কামানো। সেটা বৈধ হোক কিংবা অবৈধ ! তাই অনেকেরই লক্ষ বদলায় বার বার...
.
সবাই বলে তার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছে তারা ভাল কিছু করতে চায় এদেশেরা অসহায় মানুষের জন্য।
কিন্তু বাস্তবে কতটুকু করে তা ভাবার বিষয় !!!
কারণ আজ যারা শীর্ষ স্হানীয় পর্যায় আছে তারাও আমাদের মত ছোট থাকতে দেশ সেবার স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু বড় হয়ে সবাই তা ভূলে গিয়েছে।
কোন ভাল শিক্ষক অসহায় ছাএদের জন্য গ্রামে গিয়ে বিনা বেতনে পড়িয়েছে ???
কোন ডাক্তার রোগী দেখেছে আর পুলিশসহ অন্যদের কথা নাই বললাম !
বরং উল্টো অনেক কাহিনী রয়েছে।
.
সবাই আসলে দুনিয়া কেন্দ্রিক জীবনের লক্ষ্য চিন্তা করে। আখিরাত কেন্দ্রিক ভাবার সংখ্যা খুব কম। মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাফেজ ছেলেটাও স্বপ্ন দেখে বড় ডাক্তার/ইন্জিনিয়ার বা বিসিএস ক্যাডার হবে। ( এগুলো হওয়া দোষের নয়) কিন্তু বড় দাঈ ( আল্লাহর পথে দাওয়াত দিবে) হতে চাওয়া কি আরো ভাল নয়.? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজের সব থেকে কম মেধাবী, বাড়ির অবহেলার ছেলে-মেয়েটিকেই মাদরাসায় পড়ানো হয়। আবার যখন কোন মেধাবী নিজ থেকে তার সাফল্য গাথা সার্টিফিকেট পিছনে ফেলে শুধু দ্বীন শেখার জন্য মাদ্রাসায় আসতে চায় তখন পরিবারের অনেকেই তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
.
কেই আবু বক্কর রাঃ, ওমর রাঃ, মুসআব রাঃ, ওসমান রাঃ এর মতো সাহাবা হতে চায় না। কেন জানি সবার লক্ষ টাকাকে কেন্দ্র করে আর্বতিত হয়। কিন্তু তার এই লক্ষ নির্ধারনটা যে ঠিক হয়নি তা কখনোই বুঝে উঠতে পারে না। আমাদের অনেক দ্বীনি ভাইদের পরিবার দেখেছি, যারা দ্বীন বোঝার পরও সন্তানদেরকে জেনারেল লাইনে পড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। তার ভাবে মাদ্রাসায় আর কি বা শিখবে .? যা লাগবে তা বাড়িতেই... কিন্তু আর শিখানো হয় না ! ফলে চোখের আড়ালে ছেলে-মেয়ে গুলো কখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে তার খেয়াল নেই।
.
এক এক মানুষের জীবনে এক এক রকম লক্ষ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যে সে লক্ষ্য হওয়া উচিত আখিরাতকে ভিত্তি করে। অথবা লক্ষ্য একটাই হবে, জান্নাত প্রাপ্তি- সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আর আমরা যে রিযিকের চিন্তা করছি তা আসবেই। সেই নির্ধারিত রিযিক ডাক্তার হলেও যে পরিমান আসবে, মাদ্রাসার শিক্ষক বা দাঈ হলেও সেই একই পরিমান আসবে আবার চোর হলেও। তাই আমাদের এমন লক্ষ্য ঠিক করা উচিত নয় যা কেবল আমাদের দুনিয়ার ফায়দাই দিবে আখিরাতের পাল্লা শুন্য করে। তাই আখিরাত কেন্দ্রিক লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে, কাংখিত লক্ষ্যার্জনে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে । যথেষ্টই দৃঢ় থাকতে হবে... তাহলেই আল্লাহর মেহেরবানীতে ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে জান্নাত ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: কিন্তু এই সত্যটা অনেকে উপলব্ধি করতে পারে না। সবাই দুনিয়া কেন্দ্রিক জীবন সাজায়
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ভাল লাগলো। যে যেই পেশা বেছে নেন না কেন সবারই আখিরাতের কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। নাহলে জান্নাত পাওয়া যাবে না, পাওয়া সম্ভব না।
শুভ ব্লগিং