নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভ্রমনকারী মানুষ। ভ্রমন করতে এবং করাতে ভালবাসি। ফেসবুকে আমিঃ https://web.facebook.com/IAbuMuhammad

আবু মুহাম্মদ

কাউকে অতিক্রম করতে চাইনা, ব্যতিক্রম হতে চাই।

আবু মুহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরবনের রাশ উৎসব- ইতিহাস ও ঐতিহ্য

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৮


চন্দ্রিমার আলোকমালায় শোভিত নীরব চরাঞ্চল সরব হয়ে উঠবে পুণ্যার্থীদের প্রার্থনা আরাধনায়। বাঙালি হিন্দুদের অন্যতম প্রধান পার্বণ রাস উত্সব দুবলারচরের আলোরকোলে নতুন এক বিশেষ মাত্রায় সাড়া ফেলেছে বাঙালি হিন্দু সমাজে। সাগর-প্রকৃতির অভাবনীয় সৌন্দর্যের মাঝে পুণ্য অর্জন আর আনন্দ-সঞ্চার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আগে থেকেই যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা । কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষের ভরা পূর্ণিমায় সাগর যখন উছলে ওঠে, লোনা পানিতে ধবল চন্দ্রালোক ছলকে যায় অপার্থিব সৌন্দর্য রচনা করে, চন্দ্রিমার সেই আলোকমালায় সাগর-দুহিতা দুবলার চরের আলোর কোল মেতে ওঠে রাস উত্সবে। সুন্দরবনের রাশমেলা শুধুমাত্র বাগেরহাটের জন্যই একটি বড় মেলা নয় বরং এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম বড়মেলা । বাংলাদেশ একটি উৎসবমুখর দেশ । বছরের বিভিন্ন সময়ে এদেশের মানুষ বিভিন্ন রকম উৎসবে মেতে ওঠে । রাসমেলাও এমনই একটি উৎসব ।


প্রতিবছর কার্তিক -অগ্রাহায়ন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ৩-৫ দিন যাবত এই মেলা বসে । এই মেলার ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে, এটা রাসলীলা বা পূর্ণিমার ভিত্তিতে পালিত হয় । বাঙালি হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণের একটি হলো এই রাস উত্সব। বাংলাদেশের মুণীপুরি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিষ্ণুপ্রিয়া গোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষজন এই উৎসব পালন করে থাকে । এটি তাদের প্রধান উৎসব । দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য হিন্দু পুণ্যার্থী আর পর্যটক এ উৎসবে শামিল হতে ছুটে আসেন সুন্দরবনের পাশের ছোট্ট এই চরে।

সেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনায় বসেন পুণ্যার্থীরা। তারা সাগরকে সামনে নিয়ে নির্জনে কৃষ্ণপূজার সঙ্গে দেবতা নীল কমল আর গঙ্গাদেবীর আরাধনায় নিমগ্ন হন। পাপমোচন করেন সমুদ্রস্নানে। সূর্যোদয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেন ফল ফুল। অত:পর ঢাক-ঢোলক-কাসা-মন্দিরা বাজিয়ে ভজন-কীর্তনে নিনাদিত করেন চারপাশ। পূজা-অর্চনার ফাঁকে সূর্যাস্তের পর সাগরকে সাক্ষী করে আকাশের বুকে উড়িয়ে দেয়া হয় ফানুস।

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এই চরের নাম দুবলার চর, যা কিনা সুন্দরবনেরই একটি ছোট্ট অংশবিশেষ ।
রাস মেলা দুবলার চর ছাড়াও কুয়াকাটার কলাপাড়ায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এবং ভারতের কুচবিহার ও পশ্চিমবঙ্গেও পালিত হয় ।
প্রকৃতির অকৃপণ হাতের সৃষ্টি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের প্রান্তঃসীমায় এই রাস মেলায় ঢল নামে দূর-দূরান্তের বেশুমার তীর্থযাত্রীর। সেখানে একদিকে অ্যাডভেঞ্চার অন্যদিকে ভয় আর শিহরণ। জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। বনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন রহস্য আর রোমাঞ্চঘেরা। এ মেলায় দর্শনার্থীরা যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাবনীয় রূপমঞ্জরি ভরে উপভোগ করতে। নীরব সুন্দরবন প্রতি বছরের এই উত্সবের দিনগুলোতে যেন লোকালয় হয়ে জেগে ওঠে। বনের বুক চিরে জালের মতো ছড়ানো নদীগুলোতে লঞ্চ, ট্রলার-ইঞ্জিন নৌকার অবিরাম চলে ভটভট আওয়াজ।

আগামী ২২ নভেম্বর থেকে তিন দিনের রাসমেলায় আগমনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা। মেলায় দর্শনার্থী ও পুর্ণার্থীদের নিরাপত্তায় বনরক্ষীদের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের কঠোর টহল ব্যবস্থা থাকে্।
দুবলার চরের আয়তন ৮১ বর্গ কি.মি. । আলোরকোল, কোকিলমনি, মাঝিরকিল্লা, কবরখালি, হলদিখালী, অফিসকিল্লা, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আমবারিয়া, মেহের আলির চর এবং শেলার চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত ।

লোকালয় থেকে বহুদূরে সুন্দরবনের দক্ষিণে কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে বিচ্ছিন্ন চর দুবলার আলোরকোলের এই রাস উত্সব ধারণ করে আছে বহু বছরের ইতিহাস। দুবলার চরের রাস মেলার ইতিহাস নিয়ে নানান মত প্রচলিত আছে।
ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফলমূল খেয়ে অলৌকিক জীবনযাপন করতেন। নিকটবর্তী গ্রাম গুলোতে তার অনেক শিষ্য ছিল । অন্য একটি মতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কোনও এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাস মেলা।

আবার কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষেই দুবলার চরে পালিত হয়ে আসছে রাস উৎসব। হরি ভজনের বিভিন্ন কার্যক্রম গুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো এই রাশমেলা ।

হরি ভজন মূলত ঠাকুর হরি চাঁদের শিষ্য ছিলেন । গুরুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই ভক্তরা মূলত জেলেরা প্রতিবছর ৫ দিন ব্যাপী এই রাসমেলার আয়োজন করে থাকেন । লেখক আব্দুল জলিলের সুন্দরবনের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ফরিদপুর জেলার ওড়াকান্দি গ্রামের জনৈক হরিচাঁদ ঠাকুর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পূজা পার্বণাদি ও অনুষ্ঠান শুরু করেন দুবলার চরে গিয়ে। তারপর থেকে মেলা বসছে।

যেখানে সাগরের ঢেউয়ের গর্জন আর বনের হিরণ্ময় নিস্তব্ধতা ছাড়া কিছুই নেই। সেই সাগরের চর তিনদিনের রাস উত্সবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। আলোয় আলোয় ভরে যায়। হিন্দু নর-নারী এ মেলাকে গঙ্গাসাগরের মতো তীর্থস্থান মনে করে। এই মেলাকে অনেকে মগদের মেলা বলে মনে করে থাকেন। লাখ লাখ ভ্রমণবিলাসী মানুষ সুন্দরবন এবং সাগরদর্শনে আনন্দ উপভোগের জন্য যান সেখানে।

সমুদ্র কোলে পাঁচ মাইল প্রশস্ত বালুকাবেলায় পদব্রজে ভ্রমণ করেন। সৌন্দর্য পিপাসুদের ক্যামেরায় বন্দী হয় আশ্চর্য সুন্দর সব চিত্র। তীর্থযাত্রী ও ভ্রমণকারীরা নৌকায় রান্না ও আহার এবং বালুচরে ঘুরে বেড়ান।

সেই সাথে এই ৩ দিন বনের ভিতরে নির্ভয়ে চলাফেরা করে মেলায় আগত মানুষ। শত শত নৌকা-ট্রলার ও লঞ্চের সমাগমে স্থানটি সজ্জিত হয়ে ওঠে আলোর ঝলকে। সন্তানহীন ধর্মনুরাগী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা দুবলার মেলায় মানত করেন এবং মেলায় এসে মানতকারীরা আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে থাকেন। মেলায় বাদ্য, নৃত্য, গীত ও বিবিধ প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। পসার বসে কুটির শিল্পের দোকান ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ফল-ফলাদি, মিষ্টান্ন, মনোহারির সামগ্রীর। দুবলার রাস মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও আসেন ভারত, আমেরিকা, মিয়ানমারসহ আশপাশ দেশের বিদেশি পর্যটক। অর্ধ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর এ উৎসবে অংশ নেন। বিভিন্ন রকম হস্তশিল্প সামগ্রীর সমাগম ঘটে এ মেলায়। হিন্দুদের নানান পূজার্চনার ফাঁকে সন্ধ্যায় ওড়ানো হয় ফানুস।

মেলার মূল প্রার্থনা শুরু হয় ভোরের প্রথম জোয়ারে পুণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে। এইদিন সূর্য ওঠার আগেই সমুদ্রের বেলাভূমিতে প্রার্থণায় বসেন পুণ্যার্থীরা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রেও জোয়ার শুরু হয়। জোয়ারের পানি পুণ্যার্থীদের ছুঁলেই স্নানে নামেন তারা। দীর্ঘ বিরতির পর সুন্দরবনে মাছ ধরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় রাস মেলার এই প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। তাই জেলেরা এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে থাকে । কারন মাছ ধরেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয় । দুবলার চরে কয়েক হাজার জেলের বসবাস। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এসব জেলেরা এখানে সাধারণত শুঁটকি তৈরি করেন। এ জায়গায় তাই দেখা যাবে জেলেদের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা। এছাড়া জেলেদের মাছ ধরার নানান দৃশ্য আর কলাকৌশলও দেখা যাবে দুবলার চরে।

বর্তমান কালে এই উৎসবটি একটি সাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে কিন্তু প্রাচীন কালে এটি শুধুমাত্র রাজ পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল । এ বছর নভেম্বর এর ১৩ তারিখ থেকে রাস মেলা শুরু হচ্ছে, তাই স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার বাবস্থা করেছেন । কারন রাস মেলাকে কেন্দ্র দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবনে প্রায় অর্ধ লাখ পর্যটকদের সমাগম ঘটে । দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ।

মেলায় গিয়ে যা অবলোকন হবে
এখন মাছের মৌসুম। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ১২ হাজার জেলে অস্থায়ী ডেরা গেড়েছে দুবলার চরে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে জেলেরা এখানে শুঁটকি তৈরি করে। দেখা যাবে জেলেদের জীবনধারা। এছাড়া জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য আর কলাকৌশলও দেখা যাবে দুবলার চরে বসে। দেখা যাবে উভচর, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী। পাখির কুজন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হরিণ। তার অপরূপ মায়াবী চোখ ও দেহসৌষ্ঠব দিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। দুবলার চরের আশেপাশে হরিণের পাল দেখা যায় বেশি। আছে অসংখ্য বানর, মদনট্যাক, মাছরাঙ্গা। ভাগ্য থাকলে বাঘের পদচিহ্ন দেখা যেতে পারে। সুন্দরবনে ২২ প্রজাতির উভচর, ১৪৩ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পরেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হরিণ। সাগর উপকূলে প্রশস্ত বনভূমি। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাজুড়ে বিস্তৃত। ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশের ভাগে।

রাস মেলায় গমনে ৮ পথ
এদিকে রাস মেলা উপলক্ষে বন বিভাগ ৮টি পথ নির্ধারণ করেছে। সেগুলো হলো বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদারগাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।

কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

রাসমেলা উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগর কূলে সুন্দরবনের দুবলার চরে আলোর কোলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অতীতে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উত্সবে যোগ দিলেও কালের বিবর্তনে এখন তা নানা ধর্ম-বর্ণের লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। জিয়াউদ্দিন জানান, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এবার বেশ জমজমাটভাবে মেলা উদ্যাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মংলাসহ সুন্দরবনের ৮টি পয়েন্ট দিয়ে রাসমেলায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। রাসমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও এর নিরাপত্তায় বন বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তাসহ হরিণ শিকার রোধে বনরক্ষীদের পাশাপাশি মেলায় এবারও র্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল থাকবে। মেলায় চোরা শিকারিদের রুখতে সব ধরনের দর্শনার্থীর অগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দুবলার চরে এবারের রাস উৎসব দেখানোর ব্যবস্থা করেছে বেসরকারী ভ্রমণ সংস্থা ভিজিট সুন্দরবন এ ছাড়াও আরো অনেক এজেন্সি রয়েছে । রাস মেলা ছাড়াও সুন্দরবনের আকর্ষণীয় জায়গা নীলকমলের জঙ্গলে বেড়ানোর সুযোগ থাকছে এ ভ্রমণে। খুলনা থেকে বেঙ্গলের নিজস্ব জলযানে চেপে দুবলার চর, নীলকমলসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ। ভ্রমণ মূল্যে অন্তর্ভুক্ত খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা যাতায়াত, লঞ্চের দ্বৈত কেবিনে থাকা, ভ্রমণকালীন খাবার, সুন্দরবনে প্রবেশ মূল্য, অস্ত্রসহ নিরাপত্তা কর্মী, গাইড সেবা প্রভৃতি।

সুন্দরবনের রাশমেলাসুন্দরবন ভ্রমন

লেখকঃ আবু মুহাম্মাদ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
আমি বেশ কয়েকবার সুন্দরবন গিয়েছি কিন্তু কখনও রাশ উৎসব পাইনি।
ইনশাল্লাহ আবার যাবো। সব খোজ খবর নিয়ে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: প্রতিবছর নভেম্বর মাসে রাশউৎসব হয়। পুর্নিমাতে মেলার আয়োজন করা হয়। এজন্য নভেম্বর মাসে খোজ নিয়ে আসলে পেয়ে যাবেন হয়ত।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এ সম্পর্কে কিছুই জানা ছিলনা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০২

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: হুম সুন্দরবনে আরো অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আমি চেষ্টা করবো আস্তে আস্তে আমার জানা বিষয় গুলো তুলে ধরার।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: রাশমেলা নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য। এটা যে এত জনপ্রিয় তা তো জানা ছিল না। চমৎকার।

আপনার লেখায় কিছু তথ্যগত গড়মিল দেখলাম মনে হচ্ছে। এক জায়গায় লিখেছেন অর্ধ লক্ষ লোক সমাগম হয় (এরা কি বিদেশী)। আর জায়গায় বলছেন লক্ষ লক্ষ লোকের জন্য ব্যবস্থা করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে কত লোকের সমাগম হতে পারে এই রাশমেলায়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি এডিট করে দিবো...

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাশ মেলা সম্পর্কে এর আগেও শুনেছি বটে, তবে তেমন কোন তথ্য জানা ছিলনা। আপনার এ পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সবিস্তারে লেখার জন্য।
মেজর জিয়াউদ্দিন (অবঃ) সাহেব কি এখনো বেঁচে আছেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ঐ অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন। এবং তার পরেও জীবনের অনেকটা অংশ তিনি সুন্দরবনে কাটিয়েছেন।
আমি জনাকীর্ণতা পছন্দ করিনা। মেলার সময় ব্যতীত অন্য কোন পূর্ণিমায় দুবলার চরে নিরিবিলি ও নিরাপদ ভ্রমণের কোন ব্যবস্থা আছে কি?
পোস্টে প্লাস দিলাম, 'প্রিয়'তে নিলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: মেজর জিয়াউদ্দিন (অবঃ) সাহেব কি এখনো বেঁচে আছেন? না মেজর জিয়াউদ্দিন বেচে নেই। আগে সুন্দরবনকে সেই নিয়ন্ত্রন করতো। এখন বিভিন্ন ছোট দলে বিভক্ত কিছু গ্রুপ রয়েছে। হুম সুন্দরবনের নিরিবিলি ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাকে ফেসবুকে নক করতে পারেন। আমি কয়েকবছর যাবত সুন্দরবন ভ্রমন নিয়ে কাজ করছি।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: যেমন সুন্দর ছবি , তেমন আগ্রহজাগানিয়া বর্ণনা

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৯

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: রাশ উৎসব সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান ছিলোনা। আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.