নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভ্রমনকারী মানুষ। ভ্রমন করতে এবং করাতে ভালবাসি। ফেসবুকে আমিঃ https://web.facebook.com/IAbuMuhammad

আবু মুহাম্মদ

কাউকে অতিক্রম করতে চাইনা, ব্যতিক্রম হতে চাই।

আবু মুহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দময় ভ্রমনের জন্য ট্র্যাভেল ব্যাগ কেমন হওয়া উচিত

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮


কাজ, কাজ আর কাজ। চাই একটা বিরতি। একটু যদি ফুরসত মেলে তাহলে বেড়িয়ে আসা যায় বাইরে কোথাও। ভ্রমণ যেখানেই হোক, দূরে কিংবা কাছে, সবার আগে দরকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া। যাতে করে আপনার ভ্রমণের আনন্দটা মাটি না হয়ে যায়। ভ্রমণ যাঁদের নেশা, তাঁদের জন্য প্রস্তুতি পর্বটাও কম ঝক্কির নয়। বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় কত কিছুই না দরকার। যেখানেই যাই না কেন, দূরের যাত্রার জন্য আপনার সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দরকার সেটি হচ্ছে ট্রাভেল ব্যাগ। কারণ ভ্রমণগাড়ির সঙ্গে ভ্রমণসঙ্গী ট্র্যাভেল ব্যাগটি যদি সুবিধাজনক না হয়, তা হলে মেজাজটাই যেতে পারে চড়ে। ভ্রমণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো প্যাকিং-প্রসেস। এ ক্ষেত্রে সঠিক ব্যাগ নিবার্চন করতে পরিচয় দিতে হবে খানিকটা বুদ্ধিমত্তার। যেমন, কোথায় যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পরিমাণ কেমন হতে পারে। আর এজন্য কী ধরনের ব্যাগ নিলে ভালো সেটাও বুঝতে হবে। অযথা বড় ব্যাগ নিয়ে গেলে পোহাতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা। অনেক সময় বড় ব্যাগ বহন করাটাও ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং সব থেকে ভালো হলো সহজে বহন করা যায় এমন ধরনের ব্যাগ সাথে নেওয়া।
ঘুরতে যাওয়ার সময় ব্যাগ যত ছোট হবে, ততই ভালো। আবার ব্যাগের ভেতর যথেষ্ট জায়গা থাকা চাই, মজবুতও হওয়া চাই, হওয়া চাই পানিরোধকও। ভাবছেন এত কিছু কি আর এক ব্যাগে পাওয়া সম্ভব.?


গ্রীষ্ম কি বর্ষা, ঘুরে বেড়ানোর নির্দিষ্ট সময় নেই। তাই যে ঋতুতেই ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করুন না কেন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনকারী ব্যাগটি উপযোগী হতে হয়। এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখা ভালো। বৃষ্টি কিংবা পানি থেকে সাধের পোশাক-আশাক আর দরকারি জিনিস বাঁচাতে কেনার সময়ই দেখে নিন ব্যাগটি পানিরোধক (ওয়াটারপ্রুফ) কি না। বাইরের কড়া রোদ দেখে বেড়িয়েছেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সেই রোদ যে মেঘে ঢেকে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি। অন্যদিকে পাহাড়, বন-জঙ্গল, সমুদ্র কিংবা হ্রদ, যেখানেই হোক না কেন পানির সংস্পর্শে আপনাকে যেতে হতেই পারে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার ব্যাগটি পানি নিরোধক হয়, তাহলেই রক্ষা। এ ক্ষেত্রে ব্যাগের কাপড়টা একটু দেখে কিনতে হবে। কমফোর্ট বা প্যারাস্যুট কাপড়গুলো বেশ ভালো। কিনতে পারেন জিনস, ম্যাক্স, লিনেন কিংবা লেদারের ব্যাগও। ব্যাগের চেইনগুলোও একটু দেখে নেওয়া ভালো। সাধারণত একটু মোটা ধরনের চেইন বেশি টেকসই হয়।
দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে এবং সাথে পরিবারের বাকি সদস্যরা থাকলে ট্র্যাভেল ব্যাগের জায়গায় ট্রলি ব্যাগ বেশি ভালো। এতে জায়গা অনেক বেশি এবং আপনি আপনার সুবিধা এবং মনের ইচ্ছা অনুযায়ী আপনার ভ্রমনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।


ট্রলি ব্যাগের ক্ষেত্রে চাকা লাগানো লোহার ব্যাগ গুলো বেশ মজবুত। এই ব্যাগগুলো টেকেও বেশি দিন। আর যেসব চাকা ব্যাগের সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত সেই ব্যাগ তুলনামূলক টেকে বেশিদিন। ট্রলি ব্যাগের ক্ষেত্রে স্টেইলের হাতল বেশি মজবুত হলেও প্লাস্টিকের হাতল মন্দ নয়।
এ ছাড়া রয়েছে কাঁধে ঝোলানোর বড় ব্যাগ। এগুলো ট্র্যাভেল ব্যাগের মতো যেমন নেওয়া যায়, তেমনি মাঝেমধ্যে এগুলোতে লাগানো চাকায় টেনে কিংবা হাতল ধরেও নেওয়া যায়। আবার ফ্যাশনেবল বলে তরুণ প্রজন্মের কাছেও এগুলো বেশ প্রিয়। কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগগুলো ল্যাপটপ নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন স্বচ্ছন্দে।


দেশি ট্র্যাভেল ব্যাগগুলোর মধ্যে পাটের ব্যাগও বেশ মজবুত। আর কাপড়ের ওপর নকশা করা ব্যাগ নিয়েও বেরিয়ে পড়তে পারেন স্বচ্ছন্দে। শখের ট্র্যাভেল ব্যাগের যত্ন নিতে হবে ঠিকমতো। এ ক্ষেত্রে পোকামাকড় আর ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কাজ শেষে পলিথিনের বড় প্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন আপনার ব্যাগটি।



সাধারণ ট্র্যাভেল ব্যাগের মধ্যে হাইস্যান, প্রেসিডেন্ট, ইকোলাক, ম্যাক্স, ম্যাক ব্র্যান্ড বেশ চলনসই। দেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে ভালো পোলো, নেয়াগেরা প্রভৃতি। এ ছাড়া দেশি কিছু ব্যাগ পাবেন আরও কমে। ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ফ্যান্টাসিয়া, লিবিস্টিং, স্প্রিন্ট, প্রেসিডেন্ট, ম্যাক্স, ম্যাক, ইকুলার ব্র্যান্ড পাবেন । এ ছাড়া কাঁধের ব্যাগগুলোর মধ্যে ডেসিডোনাল, চেরি মাউন্টেন, পাওয়ার, সেন্টিগাল, অপটিক মার্টিন, জেব্রার ব্যাগ বাজারে সহজলভ্য।

ট্র্যাভেল ব্যাগের ক্ষেত্রে যে গুনগুলো থাকা আবশ্যকঃ
(এক নজরে)


পানিরোধক
বাইরের কড়া রোদ দেখে বেড়িয়েছেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সেই রোদ যে মেঘে ঢেকে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি। অন্যদিকে পাহাড়, বন-জঙ্গল, সমুদ্র কিংবা হ্রদ, যেখানেই হোক না কেন পানির সংস্পর্শে আপনাকে যেতে হতেই পারে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার ব্যাগটি পানি নিরোধক হয়, তাহলেই রক্ষা।


লক করুন যখন-তখন
ভ্রমণ মানেই তো সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গায় গিয়ে প্রাণ ভরে দম নেয়া। কিন্তু যদি ঘুরতে গিয়েও ব্যাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়, তাহলে পুরো ভ্রমণটাই ব্যর্থ হবে। এসব দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই মিলবে, যদি জুতসই ব্যাগ নির্বাচন করেন ভ্রমণের আগেই। এমন ব্যাগ বেছে নিন যেখানে যখন-তখন তালাবদ্ধ করার সুবিধা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাবি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হবে বলে চিন্তায় পড়েছেন যারা, তাদের জন্য বলছি এখন বাজারে বেশ আধুনিক ব্যবস্থার ট্রাভেল ব্যাগের জয়জয়কার। মাত্র কয়েকটি বোতাম টিপে গোপন নম্বর সেট করে নিলেই লক হয়ে যাবে আপনার ব্যাগ।

অনেক পকেট
ভ্রমণের ব্যাগ নির্বাচনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ব্যাগের ভেতরের জায়গা কতটুকু তা দেখে নেয়া। পাশাপাশি খেয়াল রাখুন ভেতরে যাতে অনেক বেশি পকেট থাকে। মনে রাখবেন যত বেশি পকেট, তত বেশি সুবিধা। কেননা তাতে জিনিসপত্র, কাপড়চোপড় আলাদা আলাদাভাবে গুছিয়ে রাখা যাবে, আবার অনেক কিছু একসঙ্গেও রাখা সম্ভব হবে।



মজবুত ফ্রেম
শুধু বাইরের চাকচিক্য দেখে ভ্রমণের জন্য ব্যাগ নির্বাচন করা বোকামি। এর সঙ্গে ভেতরটাও দেখে নিন। ব্যাগের ভেতরে বসানো মেটাল ফ্রেমটি কতটা মজবুত তার ওপর নির্ভর করে ব্যাগটি কতটা টেকসই হবে।
অতিরিক্ত বেল্টযুক্ত ব্যাগ
এখন অধিকাংশ ব্যাগের সঙ্গেই সোল্ডার বেল্ট বা কাঁধ বন্ধনি যুক্ত থাকে। আবার কিছু ব্যাগের সঙ্গে কোমরে লাগানোর জন্য অতিরিক্ত বেল্টও যুক্ত থাকে। এ ধরনের ব্যাগ বহনে সুবিধাজনক। খেয়াল রাখুন এমন ধরনের ব্যাগ নির্বাচন করতে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কিব্যাগ ট্যাগের দোকান আছে নাকি?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: না ভাই আমার কোন ব্যাগের দোকান নেই। আমি ভ্রমন নিয়ে কাজ করি। তাই ভ্রমন সম্পর্কিত লেখা প্রদান করি।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কিব্যাগ ট্যাগের দোকান আছে নাকি?

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.