নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাউন্ডুলে পরিব্রাজক

বাউন্ডুলে পরিব্রাজক

নীলপথিক

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়, কতটা পথ পেরোলে পাখি জিরোবে তার ডানা, কতটা অপচয়ের পরে মানুষ চেনা যায়, প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তর তো জানা

নীলপথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুনিয়া কাঁপানো কয়েক'টি মানুষখেকোর কাহিনী (শেষ পর্ব)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯





কেন আমরা মানুষখেকো প্রাণীদের নিয়ে আগ্রহ দেখাই? নিছকই তাদের খাদ্যের অস্বাভাবিকতার জন্যেই? তাদের ভয়াবহতা কিংবা চাতুর্যতার জন্য? নাকি অন্য কোন কিছু? পেটের তাগিদেই তো শিকার করা। জানা কথা, সাবধানতাই শিকারের মূলমন্ত্র। আর এক্ষেত্রে মানুষখেকোদের তো আরও সাবধান থাকতে হয়, কারণ তাদের শিকার পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণীরা। প্রতি পদেই সাবধানতা তাকে শেখায় বেঁচে থাকতে হলে কিভাবে আরও সতর্ক থাকতে হয়। আর ধূর্ত হতে হতে ক্রমেই সাক্ষাৎ শয়তান হয়ে ওঠে জানোয়ারগুলো। তাদের চলাফেরায় তখন ফুটে ওঠে অস্বাভাবিকতা। সৃষ্টি হয় ঐতিহাসিক কোন ত্রাসের। শেষ পর্বে আসুন জেনে নিই এমনই কয়েক'টি কাহিনী।















দ্য গোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেসঃ



মাংশাসী প্রাণী মাত্রেরই নিয়ম হলো খিদে না পেলে শিকার ধরে না তারা। মানুষখেকোও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অস্বাভাবিকতাই মানুষখেকোর বৈশিষ্ট্য। সাভোর এই সিংহ দুটো দুনিয়াজোড়া কুখ্যাতি পেয়েছে শুধুমাত্র তাদের অস্বাভাবিক বৈশিষ্টের জন্যেই। তাদের অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট কি ছিলো জানেন? স্রেফ মজা করবার জন্যেই মানুষ মারতো তারা, চাই খিদে পাক কিংবা না পাক।



১৮৯৮, সাভো, কেনিয়া।

সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা সাভো নদীতে রেলওয়ে ব্রীজ বানাবার চেষ্টায় রত। ফরাসীদের তারা যে কোন মূল্যে পিছু হটাতে চায়। এই ব্রীজ অর্থনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজদের কাছে। সাভোর ওপারে রয়েছে মূল্যবান খনিজ, আর সেই খনিজ পরিবহনের জন্য চাই রেলরাস্তা, ব্রীজ। সুতরাং, যারা আগে ব্রীজ বানাবে তারা কূটনৈতিক বিজয় অর্জন করবে সেটা নিশ্চিত। আর এটাই ছিলো সাভোর মানুষখেকোদের মানুষ হত্যার সূত্রপাত। প্রথমদিকে অনেক লম্বা বিরতিতে মানুষ মারা পড়তো। কালো কুলি-কামিনরাই ছিলো মূল শিকার। কেউ খুঁজেও পেতো না লাশ। সবার ধারণা হতো ভেগে গেছে হতভাগা কুলি। আর কুলিরা সবাই স্থানীয় না হওয়ায় তার খোঁজ পড়তো না তখনই। কিন্তু পরের দিকে নিহত কুলিদের আত্নীয় স্বজনেরা যখন খোঁজ নিতে আসতে শুরু করলো তখন টনক নড়লো কর্তৃপক্ষের। কুলিরা যদিও আগেই দাবী করেছিলো এটা অতিকায় এক সিংহের কাজ। কেউ কেউ দুটি সিংহ দেখেছে বলেও দাবী করেছিলো, অনেকে বলেছিলো ওটা সিংহ নয়, সিংহীর কাজ। কারণ, সিংহ দুটোর কোনটারই কেশর ছিলো না। কিন্তু যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় তাদের কথা বিশ্বাস করেনি কেউ। তাছাড়া মানুষখেকোর ধুঁয়া উঠলে কুলি-মজুরের দল পালাবে এমন আশংকায় ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। ততদিনে মানুষখেকো দুটো অনেক সাহসী হয়ে উঠেছিলো, প্রথম প্রথম শিকারকে টেনে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে খাবার প্রবনতা থাকলেও পরবর্তীতে এরা এতটাই দূধর্ষ হয়ে ওঠে যে স্রেফ শিকারকে মেরে কুলিদের তাঁবুর কয়েক গজ দুরেই খাওয়া শুরু করে দিতো। স্বচক্ষে এ ঘটনা দেখবার পরে দলে দলে লোক পালাতে শুরু করলো। কুসংস্কারাচ্ছন্ন নেটিভদের মনে ধারণা জন্মালো মৃত রাজারা সিংহের রূপ ধরে ব্রিটিশদের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এসেছে। যারাই ইংরেজদের হয়ে কাজ করবে তাদের কপালেই দুর্গতি আছে। সিংহদুটোকে পরে নাম দেয়া হয়েছিলো "দ্য গোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেস"। ভূত এবং অন্ধকার এক সাথেই থাকে, সিংহ দুটোও ঠিক এমনই ছিলো বলেই হয়ত এমন নাম।



রেলওয়ে প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলো। কুলির দল জান বাঁচাতে পালিয়ে গেলো। ভয়ে কেউ আর কাজ করতে চাইতো না। ব্রিটিশদের এই রেলওয়ে প্রজেক্টের চীফ এঞ্জিনিয়ার জন হেনরি প্যাটারসন চিন্তা করলেন একমাত্র সমাধান মানুষখেকোগুলোকে হত্যা করা। তাহলেই নেটিভদের মন থেকে এই ভয় দূর করা সম্ভব। রাইফেল হাতে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। কয়েকবার খুব কাছাকাছি গিয়েও সিংহদুটোকে মারতে ব্যর্থ হয়ে মুষড়ে পড়লেন। তারমনেও কেমন যেন ধারণা জন্মে গেলো সিংহদুটো অতিপ্রাকৃত কিছু। তারপরেও নিজের অদম্য মনোবলের ওপর ভরসা করে কাজ চালিয়ে গেলেন। অবশেষে ফল মিললো। অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরের বছর ডিসেম্বর নাগাদ একটাকে মারতে সক্ষম হলেন প্যাটারসন। দু'হপ্তা পরেই অন্যটাও মারা পড়লো। শেষ হলো সাভোর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। বিশেষজ্ঞদের মতে ১৪০ জন মানুষ মারা পড়েছিলো সিংহদুটোর হাতে। প্রায় তিন মিটার লম্বা অতিকায় দানব দুটোর কেশর ছিলো না কোন এক অজানা কারণে। সাভো নদীর তীরেই এক গুহায় পাওয়া গেলো অসংখ্য হাড়গোড়, মেয়েদের অলংকার, আধ-খাওয়া মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি। মোটমাট ৩৫ জন মানুষকে খাবার জন্য মারা হয়েছিলো। বাকীরা মারা পড়েছে স্রেফ পিশাচ দুটোর ইচ্ছেখেলার বলী হয়ে।











করবেটের মানুষখেকোঃ



শিকারকাহিনী পড়েন অথচ জিম করবেটের নাম শোনেন নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। করবেটের প্রতিটি শিকারই আমাকে রোমাঞ্চিত করেছে। বারবার পড়েও মনে হয়েছে আবার পড়ি। শিকারী করবেটই শুধু নয়, ব্যক্তি হিসেবেও জিম করবেট আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। করবেটের প্রতি দূর্বলতা থেকেই হয়ত আমি তার যে কোন একটি শিকারকে বেছে নিতে পারিনি। সুতরাং তার কয়েকটি শিকার এখানে আলোচনায় উঠে আসবে।



"বিগ ক্যাট"-দের মাঝে চিতাবাঘই (জাগুয়ার কিংবা চিতা নয় কিন্তু) সবচাইতে ছোট। কিন্তু তাই বলে একে কম ভয়ংকর ভাববার অবকাশ নেই। চিতাবাঘ আমাদের পুরনো শিকারী। আমাদের পূর্বপুরুষের মাথার খুলির ফসিলে চিতাবাঘের দাঁতের চিহ্ন সেই স্বাক্ষ্যই দেয়। অনেকের মতেই চিতাবাঘ যদি সিংহের আকারের হত তাহলে সেটা হত সিংহের চেয়ে অন্তত দশগুন ভয়াবহ। গত শতকের একেবারে গোড়ার দিকের একটা ঘটনা বলি। কুমায়ুনের অনেক মানুষখেকোর মধ্যে পানারের নরখাদক ছিলো এক ইতিহাস। তার মানুষখেকো হবার অনেক কারণ থাকতে পারে। রোগে ভুগে কেউ মারা গেলে তাকে দাহ করা হয় সেটাই হিন্দু শাস্ত্রের প্রথা। এমনিতেই এটা একটা জটিল এবং সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি, মুখাগ্নি করবার সময় নির্দিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে হয়, লগ্নের ব্যাপারও থেকে থাকতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। সমস্যা বাঁধে মহামারীর সময়। দলে দলে লোক মারা পড়লে তাকে দাহ করার আর সময় পাওয়া যায় না। কোনক্রমে মন্ত্রপাঠ করে খাদে ঠেলে ফেলা হয়। ভাগ্য ভালো হয় যখন হতভাগ্য মৃতদেহ শকুন কিংবা হায়েনার খাদ্য হয়। মন্দভাগ্য হয় তখনই যদি কোন বাঘ খায়, মানুষের মাংসের স্বাদ তাকে অন্য যেকোন খাবার থেকে আলাদা করে ফেলে। মহামারী যতক্ষণ চলে সব ঠিকঠাক থাকে। মহামরী শেষে লাশের আকাল পড়লে শুরু হয় নরখাদকের হত্যাযজ্ঞ। অনেক সময় মিলন ঋতুতেও নরখাদকের সান্নিধ্যে এসে সাধারণ বাঘও নরমাংসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার মা নরখাদক হলে তার শাবকেরও নরমাংসে রুচি হয়ে যায়। পানারের চিতাবাঘ ঠিক কি কারণে নরখাদক হয়েছিলো তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। করবেটের ভাষ্যমতে শিকারীর গুলিতে আহত হয়ে তার স্বাভাবিক শিকার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিলো। তাতেই হয়ত সে মানুষখেকো হয়ে ওঠে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী চার শতাধিক মানুষ তার পেটে যায়। আসল সংখ্যাটা হয়ত আরো বেশী হবে। তার আক্রমণে আহত হয়ে যারা বেঁচে গিয়েছিলো তাদের মধ্যে অনেকেই কিছুদিন পরেই মারা গেছে। এমন মৃত্যু পরোক্ষভাবে বাঘের কারণেই হলেও নথিপত্রে তার উল্লেখ নেই। কাজেই অনুমান করা শক্ত নয় ১৯১০ সালে করবেট তাকে মারবার আগ পর্যন্ত সে কি রকম ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।



"সন্ত্রাস" শব্দটার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে পরিচিত রুদ্রপ্রয়াগের লোকগুলো। আপনি হয়ত ভাবছেন বাঘের ক্ষমতা আর কতটুকু? আর আপনি যদি তাইই ভেবে থাকেন তাহলে জেনে নিন আপনি ভুল ভাবছেন। এ কোন বোমা হামলা নয়, যে ঘটনা ঘটবার দু'মাস বাদে সবাই ভুলে যাবে। এ ছিলো সাত/আট বছর ধরে রুদ্রপ্রয়াগে চলা এক অলিখিত অবরোধ। সন্ধ্যা ঘনাবার আগেই যার যার কাজ শেষে বাড়ি ফিরতো সবাই। কেউ বাড়ি থেকে দূরে থাকলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতো। মোদ্দাকথা সুর্য্য ডোবার সাথে সাথেই বিশাল জনপদটা পরিণত হত মৃত্যুপুরীতে। সেখানে নেমে আসতো কবরের নিস্তব্ধতা। সম্ভবত এ বাঘটিই করবেটের স্নায়ুপরীক্ষা নিয়েছিলো সবচাইতে বেশী। ফাঁদ পেতে কিংবা মড়িতে পটাশিয়াম সায়নাইড বিষ মিশিয়েও মারা যায়নি পিশাচটাকে। বছরের পর বছর ঘুরে মারার চেষ্টা চালাতেন করবেট। সরকারী চাকুরী করতেন বিধায় ছুটি ফুরোলেই কাজে যোগ দিতে হত তাকে। মানুষখেকোটার কাছে অসহায় লোকগুলোর ভাগ্যকে রেখে যেতে মন সায় দিতো না তার। বছরের পর বছর ঘুরেও মানুষখেকোটাকে মারতে না পেরে করবেট লিখেছিলেন, "একসময় আমিও সবার মত বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম চিতাবাঘটার শরীরটা পশুর আর মাথাটা শয়তানের।" মানুষের সাহচর্যে থাকতে থাকতে একটা পশু যে কি পরিমান ধূর্ত হতে পারে তা আন্দাজ করাও কঠিন। যেন মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপ তার চেনা। ছোট্ট একটা ঘটনার উদাহরণ দিয়ে রুদ্রপ্রয়াগের চিতার কাহিনীর ইতি টানছি। রুদ্রপ্রয়াগ কিন্তু দুটো পবিত্র নদীর সঙ্গমস্থল, হিন্দু শ্রাইন বা তীর্থ ভূমি। ফি বছর বহুলোকের সমাগম ঘটে এখানে। একবার তীর্থযাত্রীদের এক দল মানুষখেকোর এলাকার কাছ দিয়েই যাচ্ছিল। পথে সন্ধ্যা হয়ে এলে সবাই বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিলো। গাঁয়ের মোড়ল হুঁশিয়ার করে দিলো বাঘটার সম্বন্ধে, বললো সামনের কোন গাঁয়ে আশ্রয় নিতে। তীর্থযাত্রীদের মধ্যে একজন পুরুত ঠাকুর ছিলেন। তিনি বললেন পায়ে হেঁটে এতদূর আসায় সবাই ক্লান্ত, তাছাড়া এতগুলো লোকের মধ্যে বাঘ আসার সাহস পাবে না। এদিকে তীর্থযাত্রীদের সবার একসঙ্গে কোথাও থাকবার মতন জায়গাও ছিলো না। পাছে খোলা মাঠে থাকতে দিতে হয় এই ভেবে মোড়ল তার গোলাঘরেই সাবাইকে রাত কাটিয়ে যাবার প্রস্তাব দিলেন। এই প্রস্তাবে খুশি হয়ে পুরুত ঠাকুর আশীর্বাদ করে বললেন বাঘ যদি আসে তাহলে সেটাই হবে বাঘের শেষ দিন। রাতে খাবার শেষে ভক্তবৃন্দেরা সবাই পুরুত ঠাকুরকে ঘিরে গোল হয়ে শুয়ে পড়লেন। পরদিন খুব সকালে পুরুত ঠাকুরের দেখা মিললো না, সবাই মনে করেছিলো প্রাতকৃত্য সারতেই হয়ত তিনি বাইরে গেছেন। কিন্তু বড় বড় ফোঁটায় রক্তের ধারা দেখে সবাই নিঃসন্দেহ হলো এটা কার কাজ। এতগুলো লোককে ডিঙিয়ে ঠাকুরকে বাঘে খাবার কথাই ছিলো না। বাঘে ধরলে সবচেয়ে কিনারার লোকটিকেই ধরবার কথা ছিলো। কাউকে কিছু টের না পেতে দিয়ে কিভাবে এত বড় একজন লোককে উঠিয়ে নিয়ে গেলো সেটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।

বাঘরূপী এই পিশাচটিকে করবেট হত্যা করেন ১৯২৬ সালে। মরবার আগে দীর্ঘ সাত/আট বছরে মাত্র ১২৫ জনকে মারতে সক্ষম হয়েছিলো সে। নিউইয়র্ক টাইমস সহ সম-সাময়িক বিখ্যাত পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো সে খবর।



এবারে আসি করবেটের নিজের ভাষায় সবচাইতে ভয়ংকর মানুষখেকোর গল্পে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ভারতের উত্তরাঞ্চলের জঙ্গলেই নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি কোথাও জন্মেছিলো সে। মানবজাতীর জন্য অভিশাপ? হ্যাঁ, সেটা বলতে পারেন। কোন প্রাণী হত্যার জন্য কি সেনাবাহিনী তলব করা হয়? হলিউডের মুভিতে সম্ভব হলেও বাস্তব বোধহয় এমনটি নয়। কিন্তু এই অসম্ভব কাজটিই সম্ভব হয়েছিলো তখন। আমার লিস্টে পৃথিবীর সবচাইতে ভয়াবহ মানুষখেকো এখন পর্যন্ত এটিই। শিকারীর গুলিতে শ্বদন্ত ভেঙ্গে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে শিকার করতে পারতো না সে। ফলশ্রুতিতে মানুষ শিকারের দিকে ঝুঁকতে হয় তাকে। ক্রমেই এ কাজে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে সে। অসম্ভব ক্ষিপ্র ছিলো সে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিকার কিছু টের পাবার আগেই মারা পড়তো। প্রতিটি মানুষ মারবার সাথে সাথে তার সাহস এবং অভিজ্ঞতাও বাড়তে লাগলো। শিগগিরই শিকার সংখ্যা ২০০ পেরিয়ে গেলো। আর টনক নড়লো নেপাল সরকারের। তাকে মারতে সেনাবাহিনী তলব করা হলো, কারণ নেপাল সরকারের পাঠানো সব শিকারীই ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেনাবাহিনীও সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করলো। মারতে ব্যর্থ হলেও বিট দিয়ে তাকে সীমানা ছাড়া করা হলো যেন নেপালে সে ফিরে আসতে না পারে।



এদিকে নেপাল অধ্যায় শেষ করে নতুন করে মানুষ শিকার শুরু হলো রয়েল বেঙ্গলের। নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এই গাঁয়ের নাম চম্পাবত। পরবর্তীতে চম্পাবতের বাঘিনী নামেই পরিচিতি পায় সে। তার আক্রমণ এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে পুরুষেরা কুঁড়ের দরজা খুলে কাজে যাবার সাহস পেতো না। কারণ রয়েল বেঙ্গল দিনের বেলায়ও মানুষ শিকার করে। লৌহমানব করবেট ১৯০৭ সালে বাঘটিকে মারেন। আপনার কাছে হয়ত এ লাইনটি পড়ে মনে হবে খুব সহজেই হয়ে গেলো কাজটা। বাস্তবে পুরোই উল্টো। করবেটের মারা সবচেয়ে কঠিন শিকার ছিলো এটি। করবেটের হাতে মরবার আগ পর্যন্ত সরকারী হিসেবেই তার শিকার ছিলো ৪৩৬ জন, যা একটা প্রাণীর দ্বারা এ পর্যন্ত এত বেশী সংখ্যক মানুষ শিকারের রেকর্ড।



এবারে আসি আরেক মানুষখেকো বাঘ "থাক" এর ঘটনায়। এর আক্রমণ ছিলো পুরোপুরিই ভৌতিক। পাহাড়ী গাঁ। একদম গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কুঁড়েগুলো তৈরী। গাঁয়ের অলি-গলি দিয়ে যখন হেঁটে বেড়াতো মানুষখেকোটা, তখন কেমন যেন একটা অস্পষ্ট গোঙানীর মতন আওয়াজ শোনা যেতো। কুঁড়ের দরজাগুলোতে থাবা দিয়ে চলতো বাঘিনী, যদি কোনোটা খোলা যায়। আর ভেতরে বসে ভয়ে কাঁপতো অসহায় মানুষগুলো। প্রায়ই কেউ না কেউ মারা পড়তো। কোন সময় পাহাড়ের ওপরের দিকের কোন গাঁয়ে, কোন সময় নীচের দিকে। বাঘের ভয়ে আশে-পাশের কয়েক'টি গ্রাম পুরোপুরিই জনশূন্য হয়ে পড়েছিলো। একটা প্রেতপুরীতে পরিণত হয়েছিলো "থাক" গ্রামটা। বাঘটাকে শিকার করতে গিয়ে করবেট পাহাড়ের ঢালে এমন বিপজ্জনক অবস্থায় আটকে ছিলেন যে সেখান থেকে গুলি করা প্রায় অসম্ভব ছিলো। আর গুলি ব্যর্থ হলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিলো তার নিজেরই। যেন পুরোপুরিই ছায়াছবির সাজানো নাট্যমঞ্চ। বাঘের মৃতদেহ পরদিন দেখে রহস্যের সমাধান করেন তিনি। বাঘটার একটা থাবায় বেশ ক'টি বড় বড় শজারুর কাঁটা আটকে ছিলো। শজারুর কাঁটা কিন্তু তার আত্নরক্ষার মারাত্নক অস্ত্র। এমনিতে শক্ত তবে মাংসে বিঁধে গেলে ভেঙ্গে যায়। অসহায় বাঘের কিছুই করার থাকে না। থাকের মানুষখেকোরও একই অবস্থা হয়েছিলো। এমন কি পায়ে পচনও ধরে গিয়েছিলো তার। হাঁটবার সময় ব্যথা হত বলে মুখ দিয়ে এক ধরণের গোঙানীর আওয়াজ বের হতো যা শুনে ভৌতিক আওয়াজ বলে মনে করতো গ্রামবাসী।









গুস্তাভঃ



আসুন জেনে নিই ব্যতিক্রমী এক মানুষখেকোর কাহিনী। ব্যতিক্রম বলছি এ কারণে, যে এটি এখনও জীবিত এবং মানুষ মেরে চলেছে। গোটা আফ্রিকা মহাদেশের সবচাইতে বড় আকারের শিকারী বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। ছয় মিটার লম্বা এবং প্রায় একটন ওজনের এই কুমিরটিকে বলা হয়ে থাকে শুধুমাত্র মজা করবার জন্যই এটি মানুষ মেরে থাকে (সাভোর মানুষখেকোদের মতন)। একেকবার আক্রমণে কয়েকজন করে মানুষ মারবার ঘটনা গুস্তাভের জন্য নতুন কিছু নয়। বুরুন্ডির আদিবাসীদের দেয়া তথ্যানুসারে গুস্তাভের জলহস্তী মেরে খেয়ে ফেলবার ঘটনাও আছে (জানিয়ে রাখি, জলহস্তীকে কুমিরেরা এড়িয়েই চলে তার রগচটা মেজাজ আর শক্তিশালী শরীরের জন্য)। অবশ্য প্রায় কুড়ি ফুট লম্বা এ দানবের পক্ষে যে সেটা অসম্ভব কিছু নয় তা একে দেখলেই বোঝা যায়। ফরাসী প্রকৃতিবিদ প্যাট্রিস ফে (যিনি গুস্তাভের নাম দিয়েছিলেন) এবং স্থানীয় আদিবাসীদের হিসাবমতে গুস্তাভের পেটে এ পর্যন্ত ৩০০ জন মানুষ গেছে। প্রতিবার আক্রমণের পরপরই গুস্তাভ অদৃশ্য হয়ে যায় কয়েকহপ্তা, মাস এমনকি কয়েক বছরের জন্যেও। সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেক জায়গায় সে ভেসে ওঠে যেখানে কেউ চেনে না তাকে। কেউ জানে না তার পরবর্তী শিকার কে হবে আর কোথায়ই বা হবে। ষাটোর্ধ গুস্তাভকে প্যাট্রিস ফে একবার পানির তলে খাঁচার ফাঁদ পেতে ধরবার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিফল হয়ে তিনি পরে বলেছিলেন, "গুস্তাভ খাঁচার চারপাশে সাঁতার কেটে যেন আমাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছিলো। দানবটি সম্ভবত মানুষের সাহচর্যে এসে মাত্রাতিরিক্ত চতুর হয়ে গিয়েছে"। সত্যিই তাই। গুস্তাভের শরীরে রয়েছে অসংখ্য ছুরি, বল্লম এবং আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত। কোনকিছুই তার ওপরে প্রভাব ফেলতে পারেনি। অবশ্য ফে এখন আর গুস্তাভকে মেরে ফেলতে রাজী নন। গুস্তাভের রাজত্বের অবসান হোক, সেটা চান তিনি। আর চান গুস্তাভকে বন্দী করে নীলনদের ইতিহাসের সেরা কুমিরটিকে রক্ষা করতে। গুস্তাভকে ব্যবহার করা হোক প্রজননের কাজে। আমাদের সময়ের সেরা নরখাদককে নিষ্ক্রীয় করে রাখা হোক, এমন চাওয়া আমাদেরও।





উৎসর্গঃ চেয়ারম্যান০০৭ (উনি শুধু হাসাতে পারেন, আমি চেষ্টা করলাম উনাকে ভয় দেখাবার জন্য, মনে হয় না সফল হব)



আগের পর্বগুলোঃ



দুনিয়া কাঁপানো কয়েক'টি মানুষখেকোর কাহিনী - প্রথম পর্বঃ Click This Link



দুনিয়া কাঁপানো কয়েক'টি মানুষখেকোর কাহিনী - দ্বিতীয় পর্বঃ Click This Link

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। পোষ্টটি পড়ার সময় খুব ভয় ভয় লাগছিল। আমি আবার এসব জিনিস (সাপ, কুমিড়, বাঘ ইত্যাদি) পড়া বা দেখার সময় একধরনের ভয় অনুভব করি। মনে হয় এগুলো এক্ষুনি আমার পেছন দিক দিয়ে আক্রমণ করবে।

আমি শুনেছি মানুষখেকো গাছও আছে। সত্যি নাকি??????

ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

নীলপথিক বলেছেন: ব্যাপারটা মনে হয় সত্যি না। পতঙ্গভূক কিছু গাছ আছে যেগুলোকে আমরা মাংসাশী গাছ বলে অভিহিত করি তবে মানুষের জন্য সেগুলো একেবারেই ছোট।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
বরাবরের মতই অভিনবত্ব আর নিমিষেই পড়ার মাধু্য্যে ভরা..........
গুস্তাভের কাহিনীটায় ভয় পেয়েছি :(

পোষ্টে ভালোলাগা; প্রিয়তে রাখলাম!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালী ডানার চিল। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভাই।

করবেটের কাহিনী আপনার লেখায় উঠে এসেছে দেখে ভাল লাগল।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

নীলপথিক বলেছেন: করবেটকে ছাড়া শিকার কাহিনী কি কল্পনা করা যায়?

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১

মাহমুদ গজনবী বলেছেন: আগে স্কুল জীবনে এই ধরনের অনেক গল্পের বই পড়েছিলাম পাঠাগার থেকে। আজকে আবার সেই পড়ার মত স্বাদ পেলাম। ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্টের জন্য।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০

নীলপথিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো, আমিও স্কুল জীবনে পড়তাম। এখনও যে পড়ি না এমনটি নয়। চাকরী নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে কম পড়া হয়। তবে আগের সেই রোমাঞ্চটুকু কিন্তু উপভোগ করি ষোলআনাই।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: আমি মুগ্ধ :) :) +++++++++++++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

নীলপথিক বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায়ই আমার লিখনীর সার্থকতা। কষ্ট করে আগের লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন। হয়তো বা ভালো লেগেও যেতে পারে।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

আপনার পাসওয়ার্ড ভুল বলেছেন: ভয় এবং মজা দুইটাই পেলাম, করভেটের কথা জানি না( আমার ব্যর্থতা) তবে বুদ্ধদেবগুহের কিছু শিকার কাহিনি পড়েছি। করভেটের বইয়ের কিছু লিঙ্ক দিলে খুশি হতাম, অন্য দুইটা পর্বের মত এটাও প্লাস এবং প্রিয়তে :-& :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

নীলপথিক বলেছেন: করবেটের বইয়ের লিংক আসলে জানা নেই। আমি একটু সেকেলে কিনা। বুদ্ধদেব গুহ একজন অসাধারণ লেখক, ওনার "নিনিকুমারীর বাঘ" বইটা ক'দিন আগেই পড়লাম। আগেও উনার বেশ কিছু বই পড়া ছিলো অবশ্য। তবে সত্যি কথা বলতে কি আসল কাহিনী আর গল্পের মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সম্ভব হলে জিম করবেট রচনা সমগ্র কিনে ফেলুন নীলক্ষেত থেকে। দেশের বাইরে থাকলে অবশ্য আমাজন থেকে ইংরেজী ভার্সন কিনতে হবে (ওটা আরও মজার, বিশ্বাস করুন)। পাশাপাশি কেনেথ অ্যান্ডারসন এবং জন হান্টারও পড়তে পারেন। তিনজনেই শুধু ভালো শিকারীই নন, ভালো মানুষও বটে।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: শিকারী করবেটই শুধু নয়, ব্যক্তি হিসেবেও জিম করবেট আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।

আপনি তো আমার মনের কথা বলছেন , করবেট আমার খুব প্রিয় । কতবার যে পড়েছি , মাই ইন্ডিয়া , জংগল লোর , হিসেব নেই । আর শিকার কাহিনী তো আছেই । করবেট কে নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে ।

আর আপনার পোষ্টে শত প্লাস

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

নীলপথিক বলেছেন: আপনাকে রইলো শত কৃতজ্ঞতা। সামনেই একটা গল্প লিখবার ইচ্ছে আছে নরখাদক নিয়ে। আগাম নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলাম পড়বার।

আর ও হ্যাঁ, আপনি জানতে চেয়েছিলেন কোনটা আমার মজা লেগেছে? পিঠার রেসিপি নাকি ছবি? আমার আসলে মজা লেগেছে পোস্টের আইডিয়াটা।

অপেক্ষায় থাকলাম করবেটের পোস্টের।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার পোস্ট খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম এবং খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগার একটা বড় কারণ হচ্ছে আমার খুব প্রিয় কিছু বিষয়কে উঠে আসতে দেখলাম। সেই কৈশোর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত জিম করবেট রচনা সমগ্র আমার খুব প্রিয় একটা বই, এতবার পড়েছি কিন্তু এখনও প্রথমবার পড়ার মত শিহরণ পাই। শিকারের কাহিনীগুলো ছাড়াও "জাঙ্গল লোর" এবং
"মাই ইন্ডিয়া"ও খুব ভালো লাগে। উনি ভারতকে প্রচন্ড ভালবাসতেন বুঝা যায়। উনার লেখা পড়তে পড়তে নৈনিতাল আর কালাধুঙ্গি চোখ বন্ধ করে দেখতে পারি। তবে দেশভাগের পর উনার কেনিয়া চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়েছে। হয়তো তিনি থেকে যেতে পারতেন ভারতে। তাকে তো সবাই খুব ভালোবাসতো, সেটা তাঁর লেখায় জানা যায়। আর সাভো নদীর তীরের যা বর্ণনা করলেন সেটা নিয়ে একটা ম্যুভি আছে The Ghost and the Darkness নামে এটাও আমার খুব প্রিয় একটা ম্যুভি। ডেক্সটপে সেইভ করা প্রায়ই জাবর কাটি। অনেক বড় মন্তব্য করে ফেললাম, নিজের প্রিয় বিষয়গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারিনি।

গুস্তাভের সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো।

পোস্টে অনেক গুলো প্লাস দিয়ে গেলাম।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

নীলপথিক বলেছেন: দ্য গোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেস আমারও একটি প্রিয় মুভি। তবে মূল কাহিনীর কিছুটা ফ্যাব্রিকেশন হয়েছে এখানে। মাইকেল ডগলাসের চরিত্রটি পুরোটাই ফ্যাব্রিকেটেড। তারপরেও বিগ গেম হান্টিং এর ওপর সেরা মুভি এটাই, মানতে দ্বিধা নেই।

করবেট একজন অসাধারণ মানুষ, সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আপনি কেনেথ অ্যান্ডারসন এবং জনহান্টারও পড়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। অ্যান্ডারসনও ইন্ডিয়ারই ছিলেন। মধ্যপ্রদেশে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সম্ভবত। আর শেষোক্তজন ছিলেন আফ্রিকার। লেক ভিক্টোরিয়ার একটি দ্বীপে প্রিয়তমা স্ত্রী আর বাচ্চা-কাচ্চাদের নিয়ে জীবনটা পার করে দিয়েছিলেন। ভালো লাগবে, পড়ে দেখেন।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++ ও প্রিয়তে ভ্রাতা :)

দারুন পোস্ট :)

কেমন আছেন ?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

নীলপথিক বলেছেন: তবু ভালো আমাকে ভুলে যান নি। ভালো আছি। কিঞ্চিৎ বিরক্তও বলতে পারেন। আপনার কি খবর? ওঃ আগেই ক্ষমা চেয়ে নিই, আপনার পোস্টেও অনেকদিন ঢুঁ মারা হয় না।

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

সুস্ময় পাল বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা ... বেশ ভাল লাগল পড়তে। :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

নীলপথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন। প্রশংসার জন্যও আলাদা ভাবে ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: করবেটকে নিয়ে লিখছেন আমার খুব প্রিয় একজন মানূষ। আমার ভাল লাগা জানুন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ শের শায়রী। আপনার আনারকলি আর সেলিমের কাহিনীও পড়লাম, ভালো লেগেছিলো। করবেট আমারও সবচেয়ে প্রিয়। উনার মোকামাঘাটের জীবন পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়েছি বারবার। ভালো থাকবেন।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
করবেটের কাহিনী লেখায় উঠে এসেছে দেখে ভাল লাগল।

++++++++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

নীলপথিক বলেছেন: করবেট ছাড়া কি শিকার কাহিনী হয়? আপনিই বলুন।

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

কেএসরথি বলেছেন: +++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

আদিম পুরুষ বলেছেন: জিম করবেটের পুরো কালেকশন পড়েছি। আপনার পোস্ট ভালো লাগল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা রইলো। ভালো থাকবেন।

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

মেহেরুন বলেছেন: দারুন ++++++

২ নং ছবির প্রাণীর কি চোখে সমস্যা??? আজকেই ডাক্তার দেখাতে বলেন :)

কেমন আছেন???? নতুন পোস্ট দেখার আমন্ত্রন রইলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

নীলপথিক বলেছেন: দু'নম্বর প্রাণীর চোখে সমস্যা, ঠিকই ধরেছেন। গ্লুকোমা হয়েছিলো মনে হয়।

একটু আগেই তো আপনার পোস্টে বেড়িয়ে এলাম। সব আমার চোখ এড়িয়ে যায় কেন?

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: এক এক করে সিরিজের ৩ টা পর্বই পড়লাম।গা শিউরে উঠার মতোন এবং লোমহর্ষক ঘটনা।আপনার লেখার সাবলীল ভংগির প্রশংসা করতেই হবে।

চমৎকার লিখেন আপনি।পোস্টে ভালোলাগা এবং প্রিয়তে।আশা করি এমন সুন্দর কোনো নতুন সিরিজ নিয়ে শিঘ্রই আমাদের সামনে আসবেন।
উৎসর্গের জন্য কৃতজ্ঞতা।( একটু ভয় পেয়েছি বৈকি ;) )

ভালো থাকবেন,শুভকামনা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

নীলপথিক বলেছেন: আপনি বরাবরই আমার পছন্দের একজন ব্লগার। স্বীকার করছি, নিজে ব্লগিং শুরু করবার পর থেকে অবশ্য আপনার ব্লগ পড়া কমে গেছে। উৎসর্গ একটু দেরীতেই হয়ে গেলো, তবে সেরা পর্বটাই আপনাকে উৎসর্গের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম।

আর হ্যাঁ, সামনে একটা শিকার কাহিনী লিখছি। দুই/তিন পর্বে শেষ করবো। ভালো থাকবেন।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

মাক্স বলেছেন: ভালোলাগলো!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স। অনেকদিন পরে এলেন। ভালো আছেন তো?

১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

সেয়ানা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

যাযাবর৮১ বলেছেন:





কলঙ্ক মুক্তি চাই (গীতি কবিতা)

বসন্ত আজ যে আবার এসেছে
আগুন ঝরা উত্তাল বানে
ধূসর জীবনের পাতায় পাতায়
রক্ত রাগে দ্রোহের গানে।

জাগরণ জেগেছে নব প্রজন্ম
প্রদৃপ্ত প্রজন্ম চত্বর
আবার জনতা খুঁজে পেয়েছে পথ
চাইছি আবার একাত্তর।

হৃদয়ে বসন্ত জ্বলছে আগুন
গণদাবি আজকে একটাই
জাগে বাংলাদেশ দৃপ্ত স্লোগানে
কলঙ্ক মুক্তি চাই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

নীলপথিক বলেছেন: হ্যাঁ, শাপমোচন হোক, এটাই একমাত্র চাওয়া।

২১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

মেহেরুন বলেছেন: কি খবর নীল ভাই?? কেমন আছেন??? নতুন পোস্ট কোই???

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

নীলপথিক বলেছেন: আরে বাহ! দারুন লাগছে তো আপনাদের দু'জনকে। একটু ব্যস্ত আছি ভাই। আগামী মাসে দিল্লী যাওয়া পড়বে হয়ত। পরে পোস্ট দেবো।

২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

নীলপথিক বলেছেন: আরে ! নিরূপম দা'-র পোস্ট বুঝি?
এ মূহুর্তে ভীষণ ব্যস্ত। হরতাল সহ চারদিন ছুটিতে ছিলাম। বড্ড কাজ পড়ে গেছে। মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে পড়তে চাই। আপাতত বিদায় নিচ্ছি। আপনারা দু'জনেই খুব ভালো থাকুন।

২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

আরও একটা দিলাম

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

নীলপথিক বলেছেন: আচ্ছা, দেখছি এখনই।

২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

নীলপথিক বলেছেন: মেহেরুন, আপনি খুব ভালো থাকুন। আর আপনার স্বামীর সঙ্গে এভাবেই থাকুন সারাজীবন। দোয়া রইলো।

আর আমাকে ঘাড় ধরে নিরুপমদা'র ক্লাসে ঢোকাতে হবে না। হা হা হা। আমি ওনাকে অনুসরণে নিয়েছি।

২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: +++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

নীলপথিক বলেছেন: অ-নেক দিন পরে এলেন। ভালো লাগলো।

২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

মেহেরুন বলেছেন: নীল ভাই আপনার চুকচুক কেমন আছে??

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

নীলপথিক বলেছেন: দূর্দান্ত !
সমস্যা হলো সে যখনই ফূর্তিতে থাকে, আমার আর ওর মায়ের জীবনে টেনশন নেমে আসে। ছোট্ট এত্তটুকুন বাচ্চা, কিন্তু দুষ্টুমীর খামতি নেই এক রত্তি। প্রতিদিন ছাদে নিয়ে যাবার বায়নাক্কা তো আছেই, বাসায় ফিরলেই লাফিয়ে পড়ে কোলে। আমার খুব ভালো লাগে, আবার ভয় লাগে কোথাও বুঝি আবার ব্যথা পেলো...
আমি আছি মধুর সমস্যায়।

২৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

আমি-টর্নেডো বলেছেন: ব্রো খবর নিতে আসলাম ;) B-)) :P

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

নীলপথিক বলেছেন: কেমন আছেন মোশারফ ব্রো?
দেলুর ফাঁসীতে খুব খুশি নিশ্চয়ই।

২৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: ভালোলাগা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

নীলপথিক বলেছেন: গ্রাম্যবালিকা-কে ধন্যবাদ। আমি লিখার সময় পাই কম, টুকটাক যা লিখেছি পড়ে দেখবার নিমন্ত্রন রইলো।

২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০

shfikul বলেছেন: +++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রোফাইল পিকচার বদলে দিলেন কবে?

৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: কেমন আছেন? বিদেশ ভ্রমণে গেছেন নাকি? লেখালেখি বন্ধ কেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

নীলপথিক বলেছেন: এই তো আছি ভাই। দু/এক জায়গায় যাবার কথা ছিলো, তবে মনে হয় না হবে। এ বছর ছোটবোনের বিয়ে দিতে হবে। হাত টানে পড়তে চাই না।

লেখালেখি করতে তো চাই, কিন্তু ছোট আকারে লেখবার মতন কিছু পাচ্ছি না। বড় করেই লিখতে হবে হয়ত। আপনার ব্লগে যাই না কতদিন। নতুন কোন লেখা দিয়েছেন নাকি?

৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: না দিই নাই ভাই। ব্লগ তো অন্য কারণে উত্তাল। আমার টপিক নিয়ে লেখা দিলে কেমন জানি বেমানান লাগবে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

নীলপথিক বলেছেন: হুমম। ঠিক বলেছেন। রাজাকারের ফাঁসি চাই নিশ্চয়ই, কিন্তু এ বিষয় নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লেখা পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।

৩২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা...........@নীল ভাই

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ, সময় থাকলে আগের পর্বগুলোও পড়ে নিয়েন।

৩৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আমার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল শিকারী হওয়ার........যখন বাসার সবাই এনকারেজ করত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য তখন আমি ভাবতাম মাচায় বসে রাত্রে বেলায় বাঘের জন্য অপেক্ষা করার অনুভুতিটা কেমন হয়..........করবেট আর গাই মালদুনের শিকার কাহিনী বারবার পড়েছি............আল্যান কোয়াটারমেইন এর গল্প পড়ার সময় ভাবতাম ইশ দক্ষিন আফ্রিকায় হাতি শিকারের একটা সুযোগ পেলে জীবনে আর কিছু চাইতাম না.........হলনা, জীবন আর দশটা ছাপোষা মানুষের মতই চলতে লাগলো...............কিন্তু এখনো স্বপ্ন দেখি আফ্রিকায় হাতি শিকারের........রাইফেলের ট্রিগারে হাত রেখে চুপিসারে বাঘের জন্য অপেক্ষা করার, আমাজনের জঙ্গলে বোয়ার চোখে চোখ রাখার..........

সিরিজটা খুব খুব ভালো লাগলো +++++

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

নীলপথিক বলেছেন: আরে ! এগুলো তো আমারই কথা। আপনার মুখ থেকে বেরোচ্ছে কি করে? গাই মালদুন পড়া হয়ে ওঠেনি বটে তবে জিম করবেট, কেনেথ অ্যান্ডারসন, জন হান্টার, বুদ্ধদেব গুহ, তাহাওয়ার আলী খান পড়েছি।
আমাদের দেশের পচাব্দী গাজী পাইনি বলে পড়া হয়নি। আপনার কাছে কোন এদের ফ্রি লিংক অথবা ই-বুক থাকলে অনুরোধ রইলো দেবার।

আমেরিকায় আগামী বছর যাবার ইচ্ছে আছে। আপনার সাথে খাতির হয়ে ভালোই হলো। ফাও পরামর্শ তো পাওয়া যাবে, কি বলেন?

৩৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

রুদ্র মানব বলেছেন: +++++

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

নীলপথিক বলেছেন: প্লাস এর চেয়ে আপনার কথার দাম বেশী ছিলো আমার কাছে। যাকগে, দামী জিনিস পাওয়াও মুশকিল হয়ে গেছে আজকাল।

৩৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: যে কোনো সাহায্যর প্রয়োজন হলে বলবেন.........বইয়ের লিংক পেলে দিব।

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

নীলপথিক বলেছেন: অবশ্যই। আপনাকে তো এখানেই পাওয়া যাবে। নাকি?

অ্যাপ্লাই- করবার প্রসিডিওর মোটামুটি সব জানি, তবে অভিজ্ঞ লোকের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনাকে হয়ত এ তথ্যের ব্যাপারেই নক করতে হতে পারে।

৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।

এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link

দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

নীলপথিক বলেছেন: ভাই, আপনি সম্ভবত ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন। আমি ইনাদের কাউকেই তেমন ভালো করে চিনি না। আর মনে হয় এটা ওনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, তাই এখানে আমার মন্তব্য না করাই ভালো হবে।

৩৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

তাবাসসুম ফেরদৌস বলেছেন: ****
+++++

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০০

নীলপথিক বলেছেন: বাপরে! স্টার এবং প্লাস একসাথে?
আমার মানুষখেকো সিরিজটা কি তাহলে তাহলে স্টারপ্লাসের সিরিয়াল হয়ে গেলো?

৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

নীলপথিক বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা। আপনার কি খবর?

৩৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

শায়েরী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ শায়েরী, ভালো থাকবেন।

৪০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

মেহেরুন বলেছেন: Click This Link

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

নীলপথিক বলেছেন: দেখছি এখনই।

৪১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

মেহেরুন বলেছেন: নীল ভাই এরকম চুপ হয়ে গেলেন কেন?? নতুন পোস্ট ও তো দিচ্ছেন না :(

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

নীলপথিক বলেছেন: শুক্রবার থেকে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছি। তার আগে সব কাজ গুছিয়ে নিতে হচ্ছে, আরেকজনকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে কি না। আপনাদের সংসার কেমন যাচ্ছে? নতুন লেখা এগোচ্ছে না মোটেও। ইন্সপাইরেশন পাচ্ছি না। ভ্রমণ কাহিনী লিখবার সময় আপনার কথা মনে করি খুব। খানিকটা উৎসাহ পাই তাতে। অন্য কোন লেখা এগোয় না তেমন।

৪২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

মেহেরুন বলেছেন: হুম!!! কিন্তু আপনার লেখার ভক্ত হিসেবেই আবদার করছি, লিখতে থাকুন। থেমে যাবেন না। নতুন সংসার ভালোই চলছে। কিছুটা ব্যস্ত তাই লিখতে পারছি না। সময় পেলে আবার পোস্ট দিবো।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নীলপথিক বলেছেন: সন্মানিত বোধ করছি। আপনি বরাবরই আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ, বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো থাকুন নতুন সংসারে। শুভেচ্ছা রইলো নিরন্তর।
ছুটিতে বসে বিরক্তিকর ভ্রমণকাহিনী লিখে ফেলবো, চিন্তা করবেন না।

৪৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

মেহেরুন বলেছেন: নীল ভাই আমার নতুন পোস্ট এ আমন্ত্রন রইলো। অনেক দিন ভ্রমণ কাহিনী লিখি না। কোন ইতিহাস নিয়ে লিখি না। সময় পাই না। কিন্তু ইচ্ছে করে অনেক জানেন। আছেন কেমন??

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

নীলপথিক বলেছেন: ভালো আছি মেহেরুন। ইস্তাম্বুল হয়ে ইউরোপে গিয়েছিলাম। রমজানে ইস্তাম্বুলের চেহারা কেমন হয় দেখলাম।
এবারে আর আয়া সোফিয়া আর ব্লু-মস্ক ভালো করে দেখতে ভুল করিনি। ভালো ভালো কিছু ছবি (ইস্তাম্বুল আর স্লোভানিয়া) দিয়ে একটা ভ্রমণ কাহিনী লিখে ফেলবো ভাবছিলাম, সময়ই করে উঠতে পারছি না।

৪৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: বাউন্ডুলে নীলপথিক ভাই কি সত্যি সত্যিই বাউন্ডুলে হয়ে গেলেন? মাঝে মাঝে শুধু আমার ব্লগের ভিজিটর লিস্টে ধুমকেতুর মতন হাজির হন, তারপর আবার উধাও !! যাই হোক, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। আমায় মনে রেখেছেন এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা !! :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

নীলপথিক বলেছেন: ২/৩ জনের কথাই মনে থাকে সবসময়। যখনই ব্লগে ঢুঁ মারি, আপনাদের এ ক'জনের নতুন কোন লেখা এলো কিনা পড়ে দেখি। আমি সত্যি ভীষণ মিস করি আপনাদের। বুড়ো বয়সে খানিকটা পড়াশুনার সাধ-আহলাদ হয়েছে,তাই বিদেশে পড়তে যাওয়া নিয়েই আপাত ব্যস্ততা। তবে নিয়মিত হবো শিগগীরই।

৪৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

মেহেরুন বলেছেন: নীল ভাই খবর কি?? আমার মত দেখি আপনিও গায়েব হয়ে গেলেন ব্লগ থেকে। এভাবে কি হয়??

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

নীলপথিক বলেছেন: কাজের চাপ যাচ্ছে ভীষণ। ব্লগে আসি না। সুযোগ পেলে বনে-বাঁদাড়ে পাখি দেখা হয় অবশ্য। এই আছি কোন রকম। আপনারা নেই, তাই আমিও আসি না। হা হা হা।

৪৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৪

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। চমৎকার একটা লেখা++++++++++++++

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

৪৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আসলেই চমৎকার। খুব দারুণ একটা পোষ্ট চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০২

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ দা'।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।

৪৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বহুদিন পর আপনার আগমন। কেন?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

নীলপথিক বলেছেন: লেখালেখি থেকে সাময়িক অবসর তাই....

৪৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

মেহেরুন বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগ এ দেখলাম। কোথায় ছিলেন?? পোস্ট দিবেন না আর??

আপনার জন্য কিছু পোস্ট সময় করে পড়ার জন্য Click This LinkClick This Link

আশা করি আবার নিয়মিত হবেন। ভালো থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

নীলপথিক বলেছেন: পোস্ট দেব তো নিশ্চয়ই। আমার কম্পিউটারটা নষ্ট হয়ে গেছে বলে বাসায় লেখা হচ্ছে না। অফিসে লিখি কি করে বলুন?!
এত করে বলছেন, আপনার জন্য হলেও লিখবো।

৫০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

মেহেরুন বলেছেন: হুম!!! তাড়াতাড়ি যেন লেখা পাই :) আমি নিজেও ভাই অফিসেই লিখি। বাসায় সময় পাইনা। অফিসের কাজের ফাকে যে টাইম পাই তখন লিখি। আপনার পিছিটা কেমন আছে?? ঘুরতে গিয়েছেন কোথাও??

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

নীলপথিক বলেছেন: দেশের বাইরে কোথাও বেড়ানো হয়ে ওঠেনি। অদ্বিত ভালো আছে। পুরোদস্তুর কথাও বলে। ভাবা যায়?

আমি কখন যে লিখবো বুঝতে পারছি না। সমস্যা এটাই। ইদানিং পাখি দেখার রোগ হয়েছে। সময় পেলে পাখি দেখতে বেরোই। মোটামুটি বার-বি-কিউ করতে পারি (ইয়ে.. অনেকের ধারণা খুবই ভালো করি) বলে অনেকেই ডাকে-টাকে। তাদেরও সময় দিতে পারি না। মূল সমস্যা হলো, আমার অফিস মতিঝিলে, আমি থাকি মিরপুর-১৪ ক্যান্টনমেন্টের এখানে। যাতায়াতে যে পরিমান সময় যায় তাতে, আপনাদের দিন হয় ২৪ ঘন্টায়। আর আমার ২০ ঘন্টায়...।

বুঝুন অবস্থা।

৫১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এখানে দেখছি আমার মতো অনেকেরই

বন/সুন্দরবন,
শিকারী/শিকার ইত্যাদিতে আগ্রহ !!

ভালো লাগলো, ভালো থাকুন ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

নীলপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ গ্রানমা। মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট থাকলে ইনফরমেশন/ই-বুক ইত্যাদি শেয়ার করা যেতে পারে। ইংরেজী ভার্সন ই-বুক থাকলেও জানাতে পারেন (আমি ইংরেজীতে মোটামুটি ভালোই, পড়তে কোন অসুবিধে হয় না)
ভালো থাকবেন।

৫২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

মেহেরুন বলেছেন: ফাল্গুনের শুভেছা

৫৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

নীলপথিক বলেছেন: আপনাকেও মেহেরুন।

আজ সারাদিনে আপনার শুভেচ্ছাটাই একমাত্র রোজগার, হা হা হা।

৫৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঈদ মুবারক !:#P


আপনার লেখা মিস করি ভ্রাতা , ব্লগে ফিরে আসার অনুরোধ রইল :(

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

নীলপথিক বলেছেন: সময় করে উঠতে পারছি না ব্রাদার।
অরণ্যপ্রেমিক হয়ে গেছি। খালি বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই।
অাসবো নিশ্চয়ই একদিন।

৫৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

মেহেরুন বলেছেন: নীল ভাই এভাবে হারিয়ে গেলে কিভাবে চলবে??? এতদিনেও একটা পোস্ট দিলেন না :( এটা কিন্তু ঠিক না। পুরাতন ব্লগার ভাইদের ও দেখিনা। সবাই কেমন যেন চুপ মেরে গেছে। কেমন চলছে আপনার দিনকাল?? আমি তো দৌরের উপরে চলে যাচ্ছি। আশা করি আপনি খুব দ্রুত একটা ভ্রমণ কাহিনী উপহার দিবেন। অথবা কোন ছবি ব্লগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.