নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহসিকতার পরিচয় B:-) B:-)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০



মাঝে মাঝে কিছু প্রকৃতির সৃষ্টি দেখলে অবাক না হয়ে পারা যায়না। কারো প্রতি প্রকৃতিগত ভাবেই দুর্বল হয়ে যাই বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে, আবার যদি কখনো কারো সাথে সাক্ষাৎ করা যায় হয়ত তার প্রেমে না পরে কোন উপায় থাকেনা। সুন্দর আর সৌন্দর্যের প্রতি মানুষ প্রকৃতিগত ভাবেই দুর্বল।

ছেলে বলে কথা!
মাঝে মাঝে কিছু মেয়ের উপর এতটাই ক্রাশ্ড হয়ে পড়ি সেটা হয়ত বলে বুঝানো যাবেনা। প্রকৃতির সৃষ্টি কতইনা অপরূপ!
ক্রাশ্ড হওয়ার জন্য সবসময় যে সমবয়সী কারো উপর হতে হবে বিষয়টা কিন্তু ঠিক সেটা নয়। মনের দুর্বলতা কখন কার প্রতি আসে সেটা বলা যায়না, যেহেতু এটা প্রকৃতি প্রদত্ত আর এখানে আমার কোন হাত ও নেই।

আজকে শিশুমেলা থেকে সেফটি বাসে করে ধানমণ্ডি যাচ্ছিলাম। লক্ষ লেব-এইড হসপিটাল। গ্রামের বাড়ি থেকে থেকে বড় ভাই আব্বুকে নিয়ে আসবে ডাক্তারকে দেখানোর জন্য। বাসে উঠার পরই খুব টেনসন কাজ করছিল কখন সেখানে গিয়ে পৌঁছব। ডাক্তার দেখানোর সময় আমার উপস্থিত থাকাটা খুবই জরুরি। কারণ প্রতিটা সময় ই আমি সাথে ছিলাম যতবার ঢাকা আসছিল অথচ আজ থাকবনা এটা কোন কথা হল। মাঝে মাঝে হঠাৎ খুব উত্তেজনা কাজ করে মনের ভিতর, তাছাড়া আজকে আমার বাসা থেকে বের হতেও অনেক দেরী হয়ে গেছে।

ডাক্তার দেখানোর কথা ৬:৩০ এ অথচ প্রায় ৬ টা বাজে আর আমি এখনো রাস্তায়। পুরো রাস্তাই ঠিক মতো চলে আসছিলাম কিন্তু গন্তব্যস্থল এর খুব নিকটে এসেই একটু জ্যামের দেখা মিলল। আহা কয়েক কিলো অতিক্রম করে আসলাম জ্যামের দেখা পেলাম না এখন কি আর সে আমাকে সহজে ছাড়বে? সাইন্সল্যাব হয়ে সামনে যতটুকুই চোখ যায় সুধু জ্যামের সমাহার। বাস থেকে নেমে হেটে গেলে সর্বোচ্চ ৫মিনিট লাগবে এলাকাটাও খুব চিনাপরিচিত কিন্তু নেমে যে হেটে যাব সেটা আজ আমার পক্ষে সম্ভবনা।

বসে আছি চোখ দিয়ে চরপার্শ্বের পরিবেশ দেখছি, চেনা শহরটাকে আর একটু চিনতে এটার ব্যাপারে জেনে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে। হঠাৎ বাসের দরজায় চোখ গেলে একটা অপ্সরীকে দেখতে পেলাম। ইচ্ছে হচ্ছিলো আর একটু নজর দেখি। একটু নড়েচড়ে বসতে দেড়ি হল কিন্তু অপ্সরীটার স্থান ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র সময় লাগলনা।
ইচ্ছে হচ্ছিলো নেমে যাই। কিন্তু ক্লান্তির কাছে হার মানতে হলো। বাস হেটে চলছে পিপড়ার চেয়েও ধীর গতিতে তাই বসে থেকেও গন্তব্যে পৌছুবার আশ্বাস পেলাম। কিন্তু প্রায় ১০০-১৫০ মিটার দুরুত্বে এসে এমনভাবেই থমকে দাড়াল আর মনে হয় সামনে যাবেইনা।

বাধ্য হয়ে নেমে পড়লাম এতটুকু এট লিস্ট হেটেই যাইতে হবে। ওয়াও নেমেই সেই অপ্সরীর দেখা। ঠিক আমার চড়া বাসটার সাথে সাথেই এগুচ্ছিলো। মনে হচ্ছে টিয়া কালার এর চুজ পাজামা পড়া ছিল, সাদা কালার এর কামিজ এর উপর রঙিন ছোপ ছোপ ডিজাইন করা ছিল, ওরনাটা কামিজ এর সাথে মিলানোই ছিল। পায়ে স্লিপার থাকার পরও উচ্চতা যে প্রায় অনেক ছিল তাও একটা মেয়ে হয়ে সেটা অবশ্য প্রশংসা করার মতোই।

বাস থেকে নামার সাথে সাথেই বুজতে পারলাম বাসের হেল্পার এর সাথে উনার বাক্যবিনিময় হচ্ছে। মেয়েটা শিক্ষিত এটা তার কথা বলার ধরণ এই বুঝা যাচ্ছিলো। কিন্তু যারতার সাথে যে কোন বিষয় নিয়ে বাক্যালাপ? এটা মেনে নিতে অবশ্য একটু কষ্টই হচ্ছিলো।

বাক্যচয়ন গুলো থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে কি নিয়ে কথা হচ্ছিলো। উনার মুখের কথাগুলো হয়ত উনার মুখেই ভালো মানাবে আমার মুখে নয়।

মেয়ে:জ্যামটা কতটুকু থাকবে সেটাতো আর স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছেনা.........
হেল্পার: আমিতো বলছি ইউ টার্ন নিয়ে নিব, আজিমপুর আমি যাবনা......
মেয়ে: আচ্ছা যাবিনা সেটাতো সাইন্সল্যাব সিগনাল পার হলেই বুঝা যাবে.......
হেল্পার: আমি যদি ওখানে না যাই তাহলেতো আজিমপুর এর যাত্রী উঠাইয়া আমার লাভ নাই, বরং আজিমপুর গেলে আমার গাড়ি
এখানে আসতে আরো অনেক সময় নিবে তাই আমি ইউ টার্ন নিব, দুই টাকার জন্য অত বেশি ঘুরব না।
মেয়ে:সেটা তোমার ব্যপার, কিন্তু আমাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলা হইছে এজন্য যে বাস আর সামনে যাবেনা, সামনের ক্রসেই ইউ টার্ন নিবে।

হেল্পার:কিন্তু সামনের রাস্তা যদি পুরোটাই জ্যাম ছাড়া থাকে তখন সেটা ভাইবা দেখমু।........
মেয়ে: আমি ফাও কথা বলার মানুষনা, সুধু সুধু তর্ক করে লাভ নাই। আমি সাইন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত দেখব। যদি বাস ঘুরানো হয় অনেক বড় বাচা বেচে যাবা। আর যদি সামনে একটুকো ও যায় তখন না হয় সব রিপ্লাই একসাথে দিমু। আর কার সাথে এমন তর্ক করা হচ্ছে সেটা তখনি বুঝবি।

লক্ষ করলাম হেল্পারের এদিকে আর কোন ভ্রুক্ষেপই নেই, কিন্তু মেয়েটা পিছু ছাড়ছেনা। একটু একটু জ্যাম ছাড়লে ঠিক বাসের সাথেই দৌড়াচ্ছে বাস থেমে গেলে উনিও থেমে যাচ্ছে। আবার কখনো দু'পা সামনে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। সাথে সাথে কয়েক জায়গায় যে ফোনালাপ হচ্ছিলো স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছিলো।

মেয়েটার মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয়ের সঞ্চারণ হচ্ছে যে সেটা বুঝা যাচ্ছিলোনা। এক অদ্ভূদ সাহসিকতার বাহ্যিকরুপ আজকে দেখতে পেলাম। একটু ভাবতেছিলাম আচ্ছা উনি ঢাবির ছাত্রী নয়ত? যে এভাবে সাহসিকতার প্রকাশ ঘটাচ্ছে। কিন্তু বয়সে বুঝা গেল নিশ্চিত উনি সুধু ঢাবি নয়, কোথাও এরই ছাত্রীনা। আমার মনে হচ্ছিলো উনার কথাবার্তা আর চলাফেরা মানে হাটা আর দৌড়ানোর স্টাইলে, আচ্ছা উনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
-সদস্য নয়ত?
-অথবা কোন নারীবাদী সংস্থার সদস্য?!
-হতেও পারে।

কিন্তু তাই বলেকি কখনো এভাবে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া উচিত? অথবা আদৌ কি এটা কখনো সাহসিকতার পরিচয় হতে পারে?
#MiK

পরিশিষ্টটা আজ আর একেবারেই বলতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। না হয় এটা এক ভিন্ন ট্র্যাজেডিতে রূপ নিবে।

ডায়েরি থেকেঃ-August 20, 2017

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

আবু আফিয়া বলেছেন: লেখাটি মন্দ হয়নি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

(লেখাটির পুরুটাই বাস্তব কাহিনীর ছিল।)

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
বড় ভাইয়ের অসুখটা কি? ল্যাব এইড এর চেয়ে ঢাকা মেডিকেলেওর চিকিৎসা ভালো।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আব্বুর পরিচিত ডাক্তার ছিল ল্যাব-এইড এর। অসুখটা ছিলো এক্সিডেন্টে পা ভেঙ্গে গিয়েছিলো। ডাক্তার দেখিয়ে অপারেশন এর তারিখ ফিক্সড করার জন্য আসছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.