নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছাত্র আন্দোলনঃ শান্তিপূর্ণ না অসহযোগ!? বিশ্লেষণ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৩


~বাংলাদেশের ইতিহাস খুব বৈচিত্র্যময়। দেশটার জন্ম হয়েছে অনেক নাটকীয়তার সাক্ষী রেখে। এমন দেশ হয়তো পৃথিবীতে খুজে আর একটিও পাওয়া যাবেনা যাদের গর্ব করার মত একটা অতীত ছিল। নিজেকে বিশ্বমঞ্চে উত্তোলিত করার মত একটা অতীত ইতিহাস ছিল। ভাষা আন্দোলন তৎপরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলনের শেষ পরিণতি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। প্রতিটি সময় আমরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছি। আচ্ছা প্রতিটি সময়ে কি আমরা ছিলাম? আমরা মানে আমরা সবায়? না কখনো না। আমরা কতিপয় ছিলাম, যারা দেশের জন্য, দেশ ও দশের ভালোর জন্য মুক্তিসংগ্রামগুলো করেছিল। তবে সেই কতিপয় আমরার মধ্যে ছাত্ররা (ছাত্রছাত্রী) সবসময় ছিল। অন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে পাওয়া গেলেও নেতৃত্ব কিন্তু অনেক সময় ছাত্ররাই দিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাস যতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ এর মধ্যে ছাত্রদের অবধান ছিল বেশি। আজ ঠিক সেই ছাত্র সমাজ আবার জেগে উঠেছে। কেন উঠেছে? অবগত সবাই আছি, কিন্তু পাশে নেই কেউ!!!

~পাশে নেই কেন কেউ আমরা? কারণ এবারের ছাত্র আন্দোলন গুলো শুধু ছাত্রদের সুবিধা, স্বার্থের জন্যই, ওদের ভাই-বোন হত্যার বিচার চাইছে। এতে আমাদের কি? আমাদের কিছু যায় আসে এতে? ওদের স্বার্থ, ওদের আন্দোলন। সব দায় ও ওদের ই!! এই চিন্তাধারা নিয়ে কিন্তু এখনো বেচে আছি আমরা, আমরা সাধারণ জনগণ।

চলুন একটু দেখে আসি ছাত্রদের আন্দোলনের নয় দফা দাবিগুলোঃ
১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

~আচ্ছা আমাকে কেউ বলতে পারবেন ৬ আর ৭ ছাড়া বাকি দফা গুলো বাস্তবায়িত হলে সেখান থেকে আপনারা সড়ক চলাচলে একটু বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন না? হয়ত ৬,৭ দফা গুলো তাদের জন্যই একটু সুবিধা নিয়ে আসবে যাদের সন্তানরা স্কুল কলেজে পড়ে এবং বাবার গাড়ি না থাকাতে পাবলিক বাসে যাতায়াত করে।

~যদি আমাদের মত ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আপনাদের জীবনের নিরাপত্তা দানে একটু সহায়ক হতে পারে তবে কেন আমাদের আন্দোলনটাকে আপনারা সাপোর্ট করতেছেন না প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে!!!

~আচ্ছা মূল কথায় আসিঃ
একটা ছাত্র আন্দোলন সবসময় ন্যায় এর জন্য হয়। গণতান্ত্রিক দেশে জনমানুষের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য হয়। তাহলে এসব আন্দোলনের বাস্তব ফলাফল পাওয়া যায়না কেন? কেন অপরাধীদের বিচার হয়না? অপরাধীদের এমন কি আলাদিনের চেরাগ আছে যার শক্তি বলে ওরা প্রতিবার পার পেয়ে যায়? বানিয়ে বলছি? না, একদম ই না। পত্রিকার পৃষ্ঠা খুলে দেখে বলেন তো, তিতুমির কলেজের সেই ছেলের হাত যারা কেড়ে নিয়েছিল তাদের বিচার হয়েছিল কিনা? বলেন তো, পায়েল হত্যার বিচার হয়েছে কিনা? -আদালতের প্রসেস ভাই একটুতো সময় লাগবে। -আচ্ছা জীবন কেড়ে নেওয়ার সময় তাহলে কেন একটু সময় দেওয়া হয়না? কেন শুধুমাত্র সাধারণ জনমানুষকে স্পট ডেড হতে হয়। -সবায় স্পট ডেড হয়নাতো ভাই। -মানে বুঝলাম না? -কাউ কে প্লান পরিকল্পনা করেও সুস্থ করার বদলে মেরে ফেলা হয় যেমনটা করা হয়েছিল পায়েল এর সময়ে!

~এটা কি অসহযোগ আন্দোলন না শান্তিপূর্ন?!!

~অসহযোগ শব্দটা আসে যখন প্রকৃতি স্বাভাবিক গতিতে চলার সময়ে একটু একটু করে অনেকাংশে বাধার সম্মুখীন হয়। একটা এক্সিডেন্ট ঘটেছে, বিচারের দাবীতে তার আত্মীয়রা আহ্বান জানাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ছাত্রদের ব্যাপারে না বিষয়টা ঠিক এভাবে ঘটেনা, কারণ অতীত ঐতিহ্য ছাত্রদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে। আহ্বান, মিষ্টি-মধুর সম্ভাষণে কখনো এখানে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব না। -তারপর ও কি তারা কোন অনৈতিক কাজ করেছিল? -না, করেনাই। প্রথম দিন ওরা সুন্দর ভাবে মানববন্ধন করেছিলো, করেছিলো বলতে করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করতে দেওয়া হয়নাই তারপর ই কিন্তু ওরা নিজেদের হাতে লাঠি নিয়েছিল, মূলত সেই ঘাতক জাবালে নূর এর কিছু বাস ভাঙ্গার জন্য (প্রথম দিনের হিসেব ভিন্ন।) সাথে অন্যান্য যেসব পরিবহনের বাস গুলোও ব্যাপরোয়াভাবে চালায় এবং হাফ ভাড়া নেয়না সেগুলো। রমিজ উদ্দিন কলেজের সাথে সাথে একাত্নতা পোষণ করে সেদিন সোমবার ঢাকা কলেজ সহ আরো কিছু স্কুল-কলেজ আন্দোলন করেছিলো প্রথম দিন। এরই মধ্যে আপনি ভাবেন যদি পরিবহন মন্ত্রী এমন ভাবে হাসিমুখে কথা বলে মিডিয়া এর সামনে, সাথে এই ব্যপারটাকে ক্ষুদ্র, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উরিয়ে দেয় এবং এও বলে বিচার চাইতে হলে আরো ৩০ টা লাশ লাগবে (উনার বক্তব্যটা বিশ্লেষণ করে দেখবেন) তখন ছাত্রসমাজ কি বসে থাকবে? কখনোই থাকবেনা।


বুটের তলায় বাঙলার ছাত্রসমাজ!!!
~সোমবারের কতিপয় স্কুল কলেজের আন্দোলনের পর ও যদি কর্তৃপক্ষ আশ্বাস না দেয় যে, এতদিনের মধ্যে আমরা এর সঠিক বিচার করব এবং তোমাদের দাবিগুলো খতিয়ে দেখে এগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। তখন ছাত্ররা কি করবে? আর তাই গতকাল (মঙ্গলবার) আরো জোড়ালভাবে আরো স্কুল কলেজ এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। কিন্তু কালকেও হল কি? কর্তৃপক্ষ থেকে কোন ধরণের আশ্বাস বাণী শোনা গেলোনা। ছাত্রদেরকে যেভাবে দমীয়ে রাখা যায় সেভাবে অগ্রসর না হয়ে গতকালকে উলটো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর মারধর করে। মারধর করে আন্দোলনটাকে স্থগিত করে রাখতে চেষ্টা করে। সোজা আঙ্গুলে ঘি আসার পরও যদি আপনি আঙ্গুল বাকা করে ঘি খেতে চান তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই হয়েছে। গতকাল কে কিছু ছাত্র আহত হয়েছে, যার দরুন আজকে আরো জোড়াল ভাবে আন্দোলনের জন্য মাঠে নেমেছে একটা কিশোর ছাত্রসমাজ। -বেশি কিছু চেয়েছিল তারা? -না। সুধু চেয়েছিল তাদের ভাইবোনদের হত্যার বিচার।

~সোমবার, মঙ্গলবার এবং আজ বুধবারের সকল রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিগত ক্ষয়ক্ষতির দায় পরিবহণ মালিক সমিতি সহ আমাদের মন্ত্রী মহোদয় এর।

যেই বয়সে আমরা হাটার জন্য বড় কারোর হাত আকড়ে রাখতাম, সেই বয়সের বাচ্চারা আজ ৫০ প্লাস যাত্রীর জীবন নিয়ে রাস্তায় নামে (একটি ভিডিওঃরাজধানীতে শিশু বাসচালকের ভিডিও ভাইরাল) । আজকে (বুধবারের) বেশীরভাগ আন্দোলনের মুখ্য কাজটা ছিল;
১/ ফিটনেসবিহীন গাড়ি সনাক্তকরণ ও সেগুলো পুলিশের হাতে সোপর্দ করা।
২/ লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে দেওয়া। কিন্তু পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স যদি না থাকে তবে পুলিশকে কার হাতে সোপর্দ করা উচিৎ!!! (ভিডিওটা হারিয়ে ফেলছি, একটা পুলিশ এর বাইক ধরেছিল ছাত্ররা যেটার লাইসেন্স ছিলনা। ভিডিওটা কেউ পেলে শেয়ার করবেন।)
গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বললে এটা দেখায়। আমরা এতটা আপডেট কবে হলাম? এত স্মার্ট প্রযুক্তি আমাদের, একটা চাবির রিংয়ে গাড়ির ডকুমেন্টস থাকে। (স্মার্ট আইডি কার্ড এর মত!)

~কিন্তু এসব কি? একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যদি পুলিশ এভাবে লাঠিচার্জ করে তাহলে ছাত্রসমাজ অসহযোগ এর সাথে নিজেকে অভ্যস্থ করাবেনা কেন? দেখে ভয় পাচ্ছেেন? ভয় পাবার কিছু নেই। এসব এডিট করা যায়। আন্দোলনটাকে অসহযোগ করার জন্য ছাত্র সমাজ ফটো এডিটের সহায়তা নিয়েছে। হাসি পাচ্ছে আমার! সম্ভাবনার বাংলাদেশ এভাবেই ঝরে যাবে! সম্ভাবনার বাংলাদেশ আজ পিষ্ট হচ্ছে ট্রাকের চাকায়!
~ভিডিওটি দেখুন কালেরকণ্ঠের সৌজন্যেঃ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ওপর পিক-আপ উঠিয়ে দিল চালক (ভিডিও)

~শিশু ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা কেন? এবার যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের গাড়িচাপা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা
~ছাত্রদের আন্দোলন কি অসহযোগ আন্দোলন ছিল? ছাত্ররা দেখছিল লাইসেন্স, গাড়ি ভাঙছিল কে? ছাত্ররা সবসময় ন্যায্য আন্দোলন করে, এর মধ্যে কতিপয় অসাধু নিজ স্বার্থ লুটতে ব্যস্ত থাকে। এর দায় তো আর তাদের না!
~যে কাজ আপনাদের করার কথা ছিল সেটা করতে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে কি ছাত্ররাও ব্যর্থ হবে? দেখুন এরাই একটা সময়ে জাতিকে সঠিক পথের নিশানা দেখিয়ে দিবেঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছে শিশু শিক্ষার্থীরা!
~শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্তিতে রূপান্তরিত করছে কারা? এক ছাত্রের মা এগিয়ে এসে বাঁচায় ছেলেকে (ভিডিও)

আন্দোলনের কিছু ফটোঃ আমি একটা সুষ্ঠ বিচার চাই, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার। তবে গতকালকে ছাত্রদের উপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তবে শাজাহান খান স্যারের অবশ্যই এই বাংলার ছাত্র সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। হাসি ‘ক্ষমাসুন্দরভাবে’ দেখতে নৌমন্ত্রীর অনুরোধ আপনি যদি লাখো ছাত্রসমাজের কান্নার প্রতিদান হাসিমুখে উড়াইয়া দিতে পারেন, তবে ছাত্রসমাজ ও আপনার হাসিকে কেন
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারবেনা, আপনি নিজে একটু ভেবে দেখবেন!!!
কাঁদতে নাকি জানেনা উনি মন্ত্রী বলেছে ভাই, চলেন উনার মন খারাপের একটা ছবি দেইখা আসি ভাই।

বিচার চাইতে এসেছে এক বাবা। আপনার পরিবারের কেউ কি কখনো সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়নি? যদি বলেন, না। তাহলে বলব; আপনার জন্য একদিন কঠিন কান্নার মুহূর্ত অপেক্ষা করতেছে যেদিন আপনাকে টিস্যু এগিয়ে দেওয়ার জন্য ও কাউকে পাবেন না। আর যদি বলেন, আপনিও পরোক্ষ দুর্ঘটনার শিকার। তাহলে বলব এই ন্যায় এর আন্দোলনে আপনারাও এগিয়ে আসুন।
বাংলার ছাত্রসমাজ সব পারে। যেসব গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গেছিল গাড়ি অপসারণের পর সেইসব ভাঙ্গা কাঁচের টুকরা নিজেরাই পরিষ্কার করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আপনারা এই তরুণ সমাজটাকে কিভাবে ব্যবহার করবেন তার উপর।
আমরা কি আসলেই খুব বেশি কিছু দাবী পেশ করেছি যে যেসবের বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের খুব বেশি বেগ পেতে হবে বা যেসব সম্ভব না! আমরা শুধু্মাত্র একটা ন্যায় বিচার চেয়েছিলাম। এখনো সেটাই চাচ্ছি।

~মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের গাড়ি যখন আজ উলটো পথে যাচ্ছিলোঃ আইনের প্রয়োগকারী ব্যাক্তি যখন আইন ভঙ্গ করে তখন কর্তৃপক্ষকে সেই আইন কিভাবে বাস্তবায়ন করাতে হয় তা ছাত্রসমাজ দেখিয়ে দিবে।

চারপাশ ভিজে যায় মিঠা পানি আর নোনা জ্বলে। দেখার কেউ নেই! ন্যায় বিচার চাবিনা, একদম খাইয়া ফালামু!

~মারা যাওয়া এক শিক্ষার্থীর (মিম) বাবাও একজন ড্রাইভার। সর্বশেষ ড্রাইভারের হাতেই তার মেয়ের খুনের পর উনার কিছু কথা শুনে আসুনঃ আর বাস চালাবেন না মিমের বাবা

~সম্পূর্ণ লেখাটা পড়ার পর ও যদি আপনার কাছে মনে হয় ছাত্রদের এই আন্দোলনটা শান্তিপূর্ণ না, অসহযোগ আন্দোলন। তবে আপনাকে বলতে হয়ঃ আপনিও শাজাহান খানের মত হাসতে থাকুন, কারণ আপনার ও কমনসেন্স এর অভাব প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে!!!

~এই সম্পর্কিত আগের লেখাটি পড়তে ক্লিক করুণঃ বাসচাপায় ৩ শিক্ষার্থী নিহতঃ এর দায়ভার কার!?

~বিঃদ্রঃ যাদের মনে এই প্রশ্নের উদয় হয় যে, ছাত্ররা প্রথমেই কেন এমন ভাঙচুর এর আন্দোলন করে? উনারা দয়া করে আমাকে জানাবেন, তিতুমির কলেজের সেই শিক্ষার্থীর ঘাতকদের বিচার হয়েছিলো কিনা এবং পায়েল হত্যার বিচার কতটুকু এগিয়েছে? ওদের সময় কিন্তু কোন আন্দোলন করা হয়নি (শুধুমাত্র মানববন্ধন ছাড়া।) এছাড়াও অতীতের ছাত্রদের কোন দাবীগুলো আন্দোলন ছাড়া মেনে নেওয়া হয়েছে???
আমার শিরা-ধমনীতে আমার ঐতিহ্যের রক্ত থাকবে। তাই নয় কি!!!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৭

সোহানী বলেছেন: এরা ক্ষমতার দম্ভে বোধশক্তিহীন হয়ে গেছে। সাধারন বিবেক বিচেনাবোধও হারিয়েছে। খুব কষ্ট হয় দেশের জন্য, সাধারন মানুষের জন্য, অসহায় এ ছাত্র-ছাত্রীগুলোর জন্য।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সেই ছোট কালের পড়া ভাবসম্প্রসারনের কথা আজ বড়ই মনে পরছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা বেশি কঠিন!
আমাদের আমজনতার স্বাধীনতা আজ ঘুটিকয়েক মানুষের হাতে বন্ধি। না হয় একটা ছাত্র (ছাত্র আন্দোলন বললে ভূল হবে, শিশু ছাত্রদের আন্দোলন।) আন্দোলনেও পুলিশ কিভাবে পারে এমন নৃশংস ভাবে এসব ছাত্রদের মারতে। উনাদের কি নিজেদের ছেলে মেয়ে নেই?!

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ২/১ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এই ঠিক আর হবেনা। শিক্ষামন্ত্রী একটু আগেই আগামিকালকের জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। নেক্সট শনি/রবিবার, না আর হবেনা সেই ঘাতকদের বিচার!

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

রাকু হাসান বলেছেন: আজকের তোফায়েল আহম্মেদ এর গাড়ি আটকে দেওয়া টা ছিল খুবই ভাল খবর ,জবাব ,এমন সাহস কেউ করতে পারেনি ,তাঁরা করে দেখিয়েছে । সাব্বাস

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এরাই আগামীতে আমার আপনার সবার এই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। বেঁচে থাকলে একটা সুন্দর দেশ দেখতে পাব।

শুধুমাত্র এটা দোয়া করি, আল্লাহ যাতে ওদেরকে সৎ পথে থেকে ন্যায় এর জন্য লড়াই করার জন্য বাঁচিয়ে রাখে। ওরা যাতে কখনো কোন অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ না করে, এই প্রত্যাশায়!

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

জগতারন বলেছেন:
আচমত খাঁ মোক্তারের ছাওয়াল
দানব শাজাহান খাঁ এবার লও ঠেলা।
ধমক আর অপমান কত প্রকার ও কি কি ?

খালুর বসত বাড়ী জবর দখল করেছো !
খালাতো ভাই বোনেরা আজ বাস্তুহারা !!
এ বার স্বেচ্ছাচারির মুখে চপেটাঘাত !!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এইবার দুদক যদি উনার পিছে লাগে, বাস্তুহারা উনাকেও করবে!

অপেক্ষা মাত্র।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই আন্দোলন চলবেই। বিদেশের চ্যানেলেও দেখানো হচ্ছে সরকারের বিভৎস আন্দোলন দমনের চিত্র। সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে এই আন্দোলন। অনেক স্কুলের টিচারদেরও দেখলাম ছাত্রছাত্রিদের সাথে রাস্তায় নামতে, সেলিব্রিটি তারকারাও নেমেছে রাস্তায় ছাত্রদের পাশে। সর্বস্তরের জনগন যদি রাস্তায় নামা শুরু করে তবে কি স্কুলের মত গোটা দেশও বন্ধ কর্রে দেবে স্বৈরাচার ?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: প্রথমত একটা ব্যপার, আন্দোলনটা কিন্তু হচ্ছে একটা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা চেয়ে আন্দোলন। তারপর ও কেন যে সরকার দ্রুত এটা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেনা। এর প্রভাব কিন্তু সামগ্রিক ভাবেই পরতে শুরু করবে।
কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যাবস্থা না নিয়ে বরং স্কুল কলেজ সহ সকল প্রতিষ্ঠান আগামিকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছেনা এবারের এই শিশু কিশোরদেরকে এত সহজে থামাতে পারবে। যদি সরকার এতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর প্রভাব সুদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পরবে।

দ্বিতীয়ত, সরকারের ভূমিকা (আপনি যেটা বললেন, স্বৈরাচার) এখানে এমন দেখাচ্ছে কেন? এটাতো কোন সরকার বা তার অঙ্গসংস্থার বিরুদ্ধয়ের আন্দোলন না! সেটা উনারাই ভালো বলতে পারবে।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন:
যদিও পিক দুইটার মধ্যে সম্পর্ক নেই (আদতে আমি জানিনা।) তথাপি এই দুইটা পিক আমাদের কে অনেক কিছুই শিক্ষা দেয়, অনেক না বলা কথাগুলোর মৌনভাবনা প্রকাশ করে।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ছবিগুলো দেখছি আর চোখের পানি টলমল করছে; এই হলো স্বাধীন বাংলাদেশ? একজন মাফিয়া মিনিস্টার হয়; একসিডেন্টে মানুষ মরলেও দাঁত কেলিয়ে মহব্বতের হাঁসি দেয়; এদের জন্যই পরিবহন সেকটরে এতো অরাজকতা!! আগে এই গডফাদার মিনিস্টারের বিচার করা হোক; দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক....... X( X( X(

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মাফিয়াদের হাতে যখন দেশের ক্ষমতা তারা এর সদ্ব্যবহার করে করবে এটাই স্বাভাবিক। আর ওদের আশকারা পেয়ে পেয়ে, একে একে বিচার না হওয়াতে ওরাও রাস্তা ঘাটে তাণ্ডব চালাচ্ছে।

বিচার সবার হবে, সুধু একটু সময়ের অপেক্ষা। সেই সময় কবে আসবে সেটা যদিও জানিনা!

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৩

যবড়জং বলেছেন: যৌক্তিক উপস্থাপনা । তবুও কিছু মানুষ ( বোধহীন ) ভাঙা রেকর্ড বাঁজাবে । হাস্যকর যুক্তি দিবে । শ্লিলতা কথা বলবে । জনদূর্ভোগ বলে চেঁচাবে । জামাত শিবির খুজবে । কথা দেবে । আই ওয়াশ দেবে । আরো কত কিছু । ।

আম জনতাকে শোকাহত করতে সামনে অনেক ...........................। আসছে !!

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ব্লগেও যখন আজকে অনবরত শ্লীলতার ব্যপারটা নিয়ে কিছু লেখা দেখলাম, আহা অনেক সুশীল আমরা। কিছু বলতে গেলে উলটা পালটা বকা শুরু করবে। তাই মাঝে মাঝে চুপ থাকাটাই বেটার।

আপনার মত .............................. দেওয়াটা শিখতে হবে আমার। কোথাও কিছু বলা যাবেনা!

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপডেটঃ ঠিক এই বক্তব্যটা আরো তিনদিন আগে দিলে এবং সাথে দোষীদের বিচার করার আশ্বাস দিলে হয়ত ব্যপারটা এতদূর গড়াত না।
'আমি দুঃখিত ও লজ্জিত'(ভিডিও)

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক দিন আপনার পোস্ট পড়া হয়না।

শেষের ছবিটা বলে দেয় রাষ্ট্রীয় বাহানীর এমন আচরণ লজ্জা ও হতাশার।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা,ফিরে এসে পোস্ট পড়ার অ সাথে মন্তব্য করার জন্য।
সরকারকে এর জন্য একদিন অনেক দাম দিতে হবে!!
সরকারি বাহিনী দ্বারা এমন অতর্কিত আক্রমণ এর জন্য!

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

কিশোর মাইনু বলেছেন: এবার তো একটা এস্পার-উস্পার করেই দম নেব।
চলবে আন্দোলন। আমাদের নয় দফা মানলেও আমরা রোড ছাড়ব না ইনশাল্লাহ। ট্রাফিক পুলিশ থাক আর না থাক,ট্রাফিক কন্ট্রোল হতে হবে। আর জীবন যাওয়া চলবে না।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ছাত্রদের দাবীগুলো যৌক্তিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.