নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ কেন হয়? একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

~ছয় বছরের শিশু, আপাদমস্তক বোরকাবৃতা কিংবা ৬০ বছরের বৃদ্ধারা ধর্ষিত হওয়ার মেডিকেল ব্যাখ্যাটা অনেক পুরনো।

~অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলেও সত্য ১৩৮ বছর আগে রাশিয়ান বিজ্ঞানী পাভলভ এই ব্যাখ্যাটা দিয়ে গেছেন। বিজ্ঞানী পাভলভের এই কনসেপ্ট প্রত্যেক ডাক্তারকে তার মেডিকেল লাইফের সেকেন্ড ইয়ারে পড়তে হয়। সহজভাবে বলার চেষ্টা করি, নন-মেডিকেলদের জন্য দেখি বলতে পারি কিনা।

~বিজ্ঞানী পাভলভ একদল কুকুরকে ল্যাবে বেঁধে রেখে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তিনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে তাদের খাবার দিতেন। কুকুরের সামনে থাকত খাবারের বাটি এবং আয়না। সেখানে পাভলভ কুকুরের আচরণ পর্যবেক্ষণ করতেন। প্রতিদিন ঠিক একই সময়গুলোতে কুকুরগুলোকে খাবার দেয়া হতো। পাভলভের সঙ্গে থাকতেন তার ল্যাব সহকারী। খাবার গ্রহণের সময় কুকুরের কী পরিমাণ লালা ঝরত সেটি একটি কন্টেইনারে মাপা হতো।

~ব্রেইনের স্বাভাবিক রিফ্লেক্স হলো খাবার গ্রহণের সময় লালা ঝরা। কিন্তু পাভলভ দেখলেন যে, খাবার গ্রহণ নয়, খাবার দেখেও এবার কুকুরের লালা ঝরতে শুরু করেছে। পাভলভ খাবার দেখে কুকুরের কী পরিমাণ লালা ঝরত সেটিও কন্টেইনারে মাপার ব্যবস্থা করলেন।

~বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর পাভলভ দেখলেন তিনি ল্যাবে ঢুকলেই কুকুরের লালা বের হচ্ছে। সঙ্গে খাবার থাক আর না থাক।

~পাভলভ এবার নিজে ল্যাবে না গিয়ে খাবারবিহীন অবস্থায় তার ল্যাব সহকারীকে ল্যাবে পাঠালেন। ল্যাব সহকারী অবাক হয়ে দেখলেন তাকে দেখেও (ল্যাব সহকারী) কুকুরের লালা ঝরছে। পাভলভ এবার ভিন্ন কিছু করলেন। তিনি কুকুরকে খাবার দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে একই সময়ে একটি ঘণ্টি বাজাতে থাকলেন। খাবার দেয়া হচ্ছে এবং ঘণ্টি বাজানো হচ্ছে।

~এরপর পাভলভ এবং সহকারী একদিন খাবার ছাড়াই ল্যাবে আসলেন এবং ঘণ্টি বাজাতে শুরু করলেন। দেখলেন খাবার না দেয়া সত্ত্বেও কুকুরগুলোর একই পরিমাণ লালা ক্ষরণ হচ্ছে।

~পাভলভ সিদ্ধান্তে আসলেন খাবারের প্যাকেট, ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট, ঘণ্টির শব্দ, এগুলো সব নিউট্রাল স্টিমুলেশন। এগুলোর সঙ্গে লালা ক্ষরণের সম্পর্ক নেই। কিন্তু কুকুর তার লার্নিং বিহেভিয়ারে খাবারের সঙ্গে খাবারের প্যাকেট, পাভলভ, ল্যাব সহকারী বা ঘণ্টার শব্দকে কো রিলেট করে ফেলেছে এবং খাবারের সঙ্গে যা যা ঘটে সব কিছুকেই লালা ক্ষরণের উপাদান হিসেবে তার ব্রেইন ডিটেক্ট করছে।

~ব্রেইনের এই লার্নিং মেথডকে তিনি “কন্ডিশনিং” এবং “কন্ডিশন্ড রিফ্লেক্স” বলেছেন। অর্থাৎ ব্রেইন এমন একটি স্টিমুলেশনের প্রতি সাড়া দিচ্ছে, যেটিতে ব্রেইনের আদৌ রেস্পন্স করা উচিত না, কিন্তু করার কারণ হচ্ছে ব্রেইন এই স্টিমুলেশনকে আরেকটি স্টিমুলেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ফেলেছে।

~মানুষ কুকুর নয় যে, মেয়ে দেখলেই তাকে ধর্ষণ করবে।তবে মানুষের মধ্যে পশুত্ব আছে।


~বিখ্যাত নিউরোলোজিস্ট এবং পরবর্তীতে সাইকিয়াট্রিস্ট ফ্রয়েড বলেছিলেন, যাকে আমরা মন বলি সেটি মূলত তিনটি সত্ত্বার সমন্বয়ে গঠিত – ইড, ইগো এবং সুপার ইগো।

অর্থাৎ মানব মন এই তিনটি গাঠনিক উপাদানে তৈরি -

~“ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা।

মানব মনের স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে ইড।

এটিকে “মন যা চায় তাই” এর সাথে তুলনা করা যায়।

"ইড" মানুষ এবং পশু সবার মাঝেই সমানভাবে বিরাজমান। এর কোন মানবিক দিক বা বিকাশ নেই। "ইড" এর পুরোটাই লোভ লালসা ও কাম চিন্তায় ভরপুর। "ইড" এমনভাবে মানুষকে প্ররোচিত করে যে, প্ররোচনায় মানুষ যে কোন অসামাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে, খুন-ধর্ষণ পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না। এক কথায়, "ইড" হচ্ছে আমাদের ভিতরের সুপ্ত পশু।

~সুপার ইগো হচ্ছে মানুষের বিবেক।

ইড যখন জৈবিক কামনা বাসনা পুরণ করতে উদ্দীপ্ত করে, তখন সুপার ইগো একে বাধা দেয়।

সুপার ইগো মানুষকে সব সময় মানবিক দুর্বলতার উর্ধে উঠে ভাল কাজ করার জন্য মানুষকে উদ্দপ্ত করে।

এই বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক শিক্ষা এবং মুল্যবোধের উপর।

~অন্যদিকে ইগো হচ্ছে এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টিকারী একটি অবস্থা।

ইগো এবং সুপার ইগোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই এর কাজ।

ইড বলবে – I need to get it.

সুপার ইগো বলবে – You have no right to get it

ইগো বলবে – I need some plan to get it. অর্থাৎ ইগো ইডের ইচ্ছাটা বাস্তবায়ন করবে একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে।

~পশুরা ইড চালিত।

~তাই তারা কেবল জৈবিক চাহিদা (খাবার এবং যৌনতা) পূরণেই ব্যস্ত। আবার মানুষের মধ্যে যখন “ইড” ডমিনেন্ট হয়ে যায়, তখন সে উন্মাদ ও অমানুষ হয়ে যায়। আর যখন কেবল সুপার ইগো কাজ করে – তখন সে সাধু সন্যাসী পবিত্র হয়ে যায়।ইগো এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।

~যেমন মানুষের মধ্যে যখন সুপার ইগো ডমিনেন্ট হয়, তখন অনেক সময় তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন চলে আসে। ইগো তখন ব্যালেন্স করে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সুপার ইগোকে মানতে গিয়ে আমরা আমাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে পারি না। আমাদের এই অপূরণীয় চাহিদায় মন তখন বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করতে ইগো কাজ করে।

~জীব হিসেবে মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর তেমন বেশি ডিফারেন্স নেই। উভয়েরই ইড আছে। কিন্তু মানুষের এর সাথে দুইটা জিনিস আছে ইগো এবং সুপার ইগো।

~কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি-

পর্ণ মুভি দেখতে চমৎকার, অতএব পর্ণ দেখ (ইড)

পর্ণ মুভি দেখা নৈতিকতা বিরোধী, মানুষ এটাকে খারাপ বলবে, অতএব দেখা যাবে না (সুপার ইগো)

লুকিয়ে পর্ণ মুভি দেখ, অসুবিধা কী? মানুষ তো জানবে না, আর মনের চাহিদা ও মিটল (ইগো, ব্যালেন্স করতেছে দুই দিক)

মেয়েটি সুন্দরী, অতএব ওকে ইভটিজিং বা রেইপ করো (ইড)

রেইপ, ইভটিজিং অপরাধ, অতএব করা যাবে না (সুপার ইগো)

মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো, সম্ভব হলে প্রেমের প্রস্তাব দাও, মন পাওয়ার চেষ্টা করো, মন পেলে শরীর কোন এক সময় পাবে (ইগো)

ইড, ইগো এবং সুপার ইগো র আপেক্ষিক তীব্রতা স্থিতিশীল নয়, বরং পারিপার্শিকতার সাথে পরিবর্তনশীল।

যেমন সুপার ইগো তথা বিবেক অসুস্থ হয়ে গেলে তখন সে তার কাজ অর্থাৎ অন্যায় কাজে বাধা দিতে পারে না।

দেহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – খাবার না খেলে/পেটে খাবার না থাকলে ক্ষিদের অনুভূতি সৃষ্টি করে সেটি জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু ক্রমাগত না খেয়ে থাকলে, দেহের দাবী অস্বীকার করলে দেহ অসুস্থ হয়ে যায় তখন সে স্বাভাবিক ক্ষিদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না।

তেমনি সুপার ইগো তথা বিবেকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – সে খারাপ কাজে আপনাকে বাধা দিবে, কিন্তু যখন আপনি কন্টিনিউয়াসলি সুপার ইগোকে অস্বীকার করবেন, অমান্য করবেন – তখন এটি দুর্বল হয়ে যাবে এবং অন্যায় কাজে কার্যকর বাধা দিতে পারে না।

একজন মাদকাসক্ত প্রথম যে দিন মাদক সেবন করে, তখন “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে মাদক সেবন তার এই অনুশোচনা র তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

প্রথম যে ব্যক্তি পর্ণ দেখে, “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু সে যখন আসক্ত হয়ে যায়, তখন ধারাবাহিকভাবে অনুশোচনাবোধ কমে আসে।

সুতরাং মানুষ যদিও ইগো এবং সুপার ইগো দিয়ে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা, কিন্তু সুপার ইগো দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পশুত্ব জেগে উঠে।

একটি নির্দিষ্ট সিচুয়েশনে কোন ব্যক্তির মনের মধ্যে এই তিনটি অবস্থার কোনটি প্রাধান্য বিস্তার করবে – সেটি নির্ভর করে

১। ইড এবং সুপার ইগোর তুলনামূলক তীব্রতা

২। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব আর

৩। ওই নির্দিষ্ট পরিবেশ – এই তিনটির ওপর।

কিছু ইয়াং উদভ্রান্ত পুলাপাইন বাসের মধ্যে মোবাইলে পর্ণ দেখে (ইড প্রি ডমিনেন্ট)

কেউ কেউ লুকিয়ে একাকীত্বে পর্ণ দেখে (ইগো প্রি ডমিনেন্ট)

আদর্শবান মানুষেরা কোন অবস্থাতেই পর্ণ দেখে না (সুপার ইগো প্রি ডমিনেন্ট)

হজ্বের বিশাল মহাসম্মেলনে নারী পুরুষের বিশাল সমাগমে কোন নারী ধর্ষিত হয় না (পরিবেশ ইফেক্ট)

রমনা বটমূলে বা টিএসসির বৈশাখ উদযাপনে শিক্ষিতদের দ্বারা মেয়েরালাঞ্ছিত হয় (পরিবেশ ইফেক্ট)

~ফুড সেক্স এসব বায়োলোজিকপ্রয়োজনে রিফ্লেক্স প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে একইভাবে ডেভেলপ করে। পাভলভ কুকুর নিয়ে যেই গবেষণা করেছিলেন বিহেভিয়ার কন্ডিশনিং এর (আগের পোস্ট) এই বিহেভিয়ার (ইড) কন্ডিশনিং হুবহু মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং নিউরোলজিতে কন্ডিশান্ড রিফ্লেক্স এর জন্য পাভলভের এই কনসেপ্টকে আদর্শ মানা হয়। এটা মানুষের সাথে কুকুরের তুলনা না, মানুষের বায়োলোজিক দিকের সাথে কুকুরের তুলনা। ড্রাগ ডেভেলপম্যান্ট, নিউ বায়োলোজিক রিসার্স সবগুলোই প্রথমে প্রাণীর উপর করে তারপর সেইফটি দেখে মানুষের ওপর করা হয়।

৬ বছরের মেয়ে, বোরখাবৃতা মেয়ে কিংবা ৬০ বছরের বৃদ্ধা স্বাভাবিকভাবে যৌনানুভুতি সৃষ্টি করে না। কিন্তু লার্নিং মেথডের কন্ডিশানিং এর কারনে একজন ধর্ষকের ব্রেইনে এটি মারাত্মক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বাড়িয়ে দিচ্ছে ইড এর ডমিনেন্সি। দুর্বল হয়ে যাচ্ছে সুপার ইগো।

৬ বছরের মেয়ে, বোরকাবৃতা মেয়ে কিংবা ৬০ বছরের বৃদ্ধা স্বাভাবিকভাবে যৌনানুভূতি সৃষ্টি করে না। কিন্তু লার্নিং মেথডের কন্ডিশনিংয়ের কারণে একজন ধর্ষকের ব্রেইনে এটি মারাত্মক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।


~কীভাবে এই কন্ডিশনিং হচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের ডিরেক্টর ড. আলিয়াস বলেছেন, মানুষের পার্সোনালিটি লার্নিং হয় তিনটি শিক্ষা, সঙ্গ এবং পরিবেশ- এই তিনটি প্রধান ফ্যাক্টর দ্বারা। আসুন আমরা দেখি শিক্ষা, সঙ্গ এবং পরিবেশ থেকে আমরা মেয়েদের ব্যাপারে কী প্রি-কনসেপ্সন পাচ্ছি?

ক্লাস এইটে “নিজেকে জানো” বইতে ইয়াং পোলাপাইনকে কী শিখাচ্ছেন?

-পরস্পরের সম্মতিতে যৌন অনুভূতি প্রকাশ দোষণীয় নয়।

ক্লাস নাইনে “হাজার বছর ধরে” উপন্যাসে ইয়াং পোলাপাইনকে কী শিখিয়েছেন?

-হাজবেন্ডকে ফাঁকি দিয়ে অন্যের সঙ্গে সহীহ পরকীয়ার কলাকৌশল।

তের-চৌদ্দ বছর বয়সে একটা ছেলে যখন হাজার বছর ধরে উপন্যাস পড়ে এবং সেখানে টুনি মন্টুর প্রেমকাহিনী পড়তে পড়তে সে অবচেতনভাবে ছেলেটি নিজেকে মন্টু আর মেয়েকে টুনি ভাবে এবং এই ভাবনা নিউরোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু স্বাভাবিকই নয়, বরং না ভাবাটাই অস্বাভাবিক।

ক্লাস ইলেভেনে “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসে ইয়াং পোলাপাইনকে কী শিখিয়েছেন?

-ওয়াইফকে ফাঁকি দিয়ে শালীর সঙ্গে সহীহ পরকীয়ার কলাকৌশল।

কুবের কপিলার সম্পর্ক পোড়ার পর, আপনি আপনার শালীকে কী চোখে দেখেন? বাংলা সাহিত্যের গল্প, নাটক, উপন্যাস, কবিতায় নারীকে কী হিসেবে চিত্রিত করেছেন কবি সাহিত্যিকরা? এই গল্প/সাহিত্য আপনার মস্তিষ্কে কী ধরনের চিত্রকল্প তৈরি করে?

ক্লাস ইলেভেনে “শকুন্তলা নিবন্ধে” ইয়াং পোলাপাইনকে কী শিখিয়েছেন?

"শকুন্তলার অধরে নবপল্লবশোভার সম্পূর্ণ আবির্ভাব; বাহুযুগল কোমল বিটপের বিচিত্র শোভায় বিভূষিত; আর, নব যৌবন, বিকশিত কুসুমরাশির ন্যায়, সর্বাঙ্গ ব্যাপিয়া রহিয়াছে"। গাছের বাকলপড়া শকুন্তলার বর্ণনা আপনার মনের মধ্যে কী ধরনের ছবি উপস্থাপন করে?

-শকুন্তলার নগ্ন দেহের রগরগে বর্ণনা।

শকুন্তলার দেহের বর্ণনার এই লাইনগুলো আপনার কল্পনার চিত্রনাট্যে কী ধরনের ছবি তুলে ধরে?

সাহিত্যগুলোতে নারীকে কী রূপে উপস্থাপন করছেন?

-ভোগ-বিলাসের সামগ্রী।

বিজ্ঞাপনে নারীকে কী হিসেবে উপস্থাপন করছেন?

-ভোগপণ্য।

নাটক, টেলিফিল্ম, ছায়াছবিতে নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন?

-ভোগপণ্য, কামনার প্রতিমা।

ছায়ানট, শিল্পকলা একাডেমি, চারুকলা, ললিতকলায় নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন?

-ভোগপণ্য, কামনার প্রতিমা।

মিডিয়ায় নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন?

-ভোগপণ্য, কামনার প্রতিমা।

এইডসের বিজ্ঞাপনে কী শেখাচ্ছেন?

-বাঁচতে হলে জানতে হবে (মানামানির দরকার নেই, জানলেই হবে। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডে তো এইডসের জ্ঞান নেই বললেই চলে, তাই তাদের মধ্যে এত এইডস!)

~একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক, উচ্চাভিলাষী, অল্প শিক্ষিত, চরিত্রহীন, পতিতা কোয়ালিটির মেয়েকে দেশের সেরা মেয়ে করার নষ্ট প্রতিযোগিতা নিয়ে অনলাইন অফলাইন মিডিয়ার গোষ্ঠী উদ্ধার আর তার পেছনে পতিতার খদ্দের দেশের তামাম বিখ্যাত সব কর্পোরেট হাউজের ছুটে চলার মাধ্যমে কী শেখাচ্ছেন জেনারেশন নেক্সটকে? (মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান নিয়ে কামড়াকামড়ি)।

~আমাদের সাহিত্য, নাটক, শিল্পকলা, বিজ্ঞাপন, সংস্কৃতি একটা ছেলের মনে একটা মেয়ে সম্পর্কে কি ধরনের ইমেজ দিচ্ছে? এই একটা বিশেষ ছাঁচেই ছেলেদের চেতনা গড়ে উঠছে, এটাই ব্রেইনের স্মৃতিভাণ্ডারে জমা হচ্ছে। আসলে ব্রেইনের প্রি-কনসেপশনে বা স্মৃতিভাণ্ডারে নারী মানেই এমন একটি সত্তা যাকে দিয়ে দেহের এবং মনের ক্ষুধা মেটানো যায়।

~সঙ্গের কথায় আসেন।একটা শিশু প্রথম প্রথম ২৪ ঘন্টায় পরিবারের মধ্যে থাকে, ক্রমান্বয়ে পরিবারের সাথে থাকার সময় কমে যায় আর বাইরে সময় কাটানো বেড়ে যায়।এখন বাইরের জগতে আমরা প্রতিনিয়ত যেসব সার্কেলে মিশি, সেখানে নারী প্রসঙ্গে কী আলাপ করে পুরুষেরা। বন্ধুদের আড্ডায় বান্ধবীদের নিয়ে বা বান্ধবীদের আড্ডায় বন্ধুদের নিয়ে যেই আলাপ হয় সেই আলাপ দিয়ে পুরুষের মস্তিষ্কে কী নারীর ব্যাপারে কী ধরণের চিত্রকল্প তৈরি হয়?

~এরপর আসেন পরিবেশ নিয়ে। পরিবেশ দু’প্রকার– ফিজিক্যাল এনভাইরনমেন্ট এন্ড ভার্চুয়াল এনভাইরনমেন্ট (ইন্টারনেট) একটা ছেলে আমাদের পরিবেশ থেকে নারী সম্পর্কে কী ধরণের চিত্রকল্প লাভ করে? রাস্তাঘাটে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীকে কী ভূমিকায় আপনি দেখেন? আর একজন নারীই বা নিজেকে কীভাবে মুল্যায়ণ করেন?

এবার ভার্চুয়াল এনভাইরনমেন্টে আসেন। ভার্চুয়াল এনভাইরনমেন্ট এখন আমাদের হাতের মুটোই। ইন্টারনেট সুদূর গ্রামে গঞ্জে সবার হাতে হাতে চলে গেছে। যৌনতা একটি স্বাভাবিক চাহিদা। ইন্টারনেট সাইটগুলো নারী সম্পর্কে কী কনসেপ্ট দিচ্ছে?

আমাদের শিক্ষা, সঙ্গ এবং পরিবেশ, কোনটি নারীকে মানুষ হিসেবে চিন্তা করতে শেখাচ্ছে?

বরং ভোগের সামগ্রী হিসেবে চিন্তা করতে শেখায়।

এরপর যখন বলেন, নারীকে সম্মান করতে হবে, মায়ের-বোনের দৃষ্টিতে তাকাতে হবে, সেটা অনেকের ব্রেইন মেনে নেয় না। কারণ পরিবেশ থেকে নারী সম্পর্কে ব্রেইনে একটা কনসেপ্টই এস্টাব্লিশ হয়েছে– ভোগ্যপণ্য!

এই প্রি-কনসেপশন থেকেই ৬ বছর, ৬০ বছরের নারী কিংবা বোরকাবৃতা, যেই হোক ধর্ষণেচ্ছা থেকে কেউই রেহায় পাচ্ছে না।

মেডিকেলীয় টার্মে প্রত্যেক রোগের তিনটি ডায়মেনশন আছে–Agent (রোগের কারণ), Host (যার মধ্যে রোগের কারণ বা জীবাণু আক্রমণ করে) এবং Environment (যে পরিবেশে রোগ হয়)।

উদাহরণস্বরূপ টাইফয়েড রোগের এজেন্ট- হচ্ছে সালমনেলা ব্যাকটেরিয়া। হোস্ট– টাইফয়েড রোগী যিনি ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত পানি/খাবার ভক্ষণ করেছেন। আর পরিবেশ হচ্ছে–দূষিত পানি/খাবার।

আবার সড়ক দুর্ঘটনার জন্য এজেন্ট– অদক্ষ/মাদকাসক্ত ড্রাইভার। হোস্ট– ফিটনেসহীন গাড়ি আর এনভায়রনমেন্ট– আঁকাবাঁকা রাস্তা, রং পার্কিং, অস্পষ্ট রোড সাইন।

এই এজেন্ট, হোস্ট এবং পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ায় রোগ হয়।

ধর্ষণ একটি নৈতিক রোগ যার এজেন্ট– বিকৃতকাম নৈতিকতা বিবর্জিত পুরুষ। হোস্ট– নারী আর পরিবেশ– যৌন সুড়সুড়িময় পরিবেশ যেটির কথা আগেই উল্লেখ করেছি।

এখন মেডিকেলীয় পদ্ধতিতে টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে (সালমনেলা ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলার জন্য তথা এজেন্ট কন্ট্রোল করার জন্য) দূষিত খাবার/পানি খাওয়া যাবে না (হোস্ট কন্ট্রোল) এবং পানিদূষণ ও খাবারদূষণ বন্ধ করতে হবে (এনভায়রনমেন্ট কন্ট্রোল)।

তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ড্রাইভারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, তাদের মধ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণ (এজেন্ট কন্ট্রোল), ফিটনেসবিহীন গাড়ির রুট পারমিট বাতিল (হোস্ট কন্ট্রোল) আঁকাবাঁকা রাস্তা, রং পার্কিং, অস্পষ্ট রোড সাইন বন্ধ করতে হবে (এনভায়রনমেন্ট কন্ট্রোল)।

তেমনি ধর্ষণ বন্ধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক উন্নত শাস্তি, পুরুষদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা জাগ্রত করা (এজেন্ট কন্ট্রোল)। নারীদের সভ্যভাবে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ (হোস্ট কন্ট্রোল) এবং নাটক, গান, গল্প সাহিত্য, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্যরূপে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে (এনভায়রনমেন্ট কন্ট্রোল)।

আমার আছে অ্যান্টিবায়োটিক, আমি ইচ্ছামতো বিশুদ্ধ দূষিত সব খাবো কিন্তু টাইফয়েড হবে না– এটা হয় না।

তেমনি নৈতিকতাবোধ জাগ্রত না করে, নারীদের সভ্যভাবে চলতে না বলে, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ না করে, শুধু পুরুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ হবে না।

~কারণ আইনের দৌড় খুব সীমিত। সন্তান মাকে হত্যা করছে, মা সন্তানকে হত্যা করছে, স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করছে, স্ত্রী স্বামীকে হত্যা করছে– আইন এখানে কী ই বা করবে? পাহারা দিয়ে, আইন করে অন্যায় বন্ধ করা যায় না; যদি না মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। ধর্ষণে প্রথম স্থান (সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী) অধিকার করে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এই শিক্ষাই দিচ্ছে।

~লেখক: ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস, রেসিডেন্ট (নিউরোলজি), বিএসএমএমইউ।
~তথ্যসূত্রঃধর্ষণ কেন হয়? একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা


~আমি একজন ব্লগার হয়ে আর একজনের লেখা হুবহু কপি করেছি কেন? হিট খাওয়ার জন্য অর আদার্স?
~ধর্ষণ নিয়ে আমার এতো মাথা ব্যথা কেন?
~একজন মানুষের সাইকোলজির সাথে আমি একটা কুকুরের সাইকোলজি তুলনা করে প্যাভলভ এর তত্ত্ব উপস্থাপন করছি ধর্ষণ এর ব্যপারে আলোচনায়। তারমানে আপনি (আমি) কি বলতে চাচ্ছেন যে একটা মানুষের সাথে একটা কুকুরের তুলনীয়?

~এই জাতীয় আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার (পাওয়ার) জন্য নজর রাখুন পরের ব্লগে। এই ব্লগেই দিতে পারতাম, অযথা লেখা আর বড় করতে চাচ্ছিলাম না।


পরবর্তী ব্লগের পূর্বে একটু দেখে নিনঃ ধর্ষণ কেন হয়?ধর্ষণ কেন হয়? এই শিরোনামে লেখা আমার ব্লগটি।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।


ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস দারুন এক হাইপোথিসিস করেছেন। উনার বক্তব্যে সহমত।


ইডের উপর সুপার ইগো প্রাধান্য পাক, মূল্যবোধ জাগ্রত হোক।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ইডের উপর সুপার ইগো প্রাধান্য পাক, মূল্যবোধ জাগ্রত হোক। সেই আশাই করছি।

তবে এর জন্য ধর্ষণের মূল কারণ গুলো সমানে তুলে ধরার জন্য মেডিক্যাল সাইন্স বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এবং প্রতিরোধ থেকে প্রতিকার এর দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিৎ, তবেই ধর্ষণ কমবে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্যাখ্যাটা ৯ম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্রের ব্যাখ্যা লেখার সমমানের হয়েছে

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমি অনেক শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হওয়া বিসিএস ক্যাডারকে দেখেছি, যারা অষ্টম শ্রেণীর নিজস্ব সাবজেক্টগুলো ভালোভাবে পড়াতে পারেনা :|

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা সহকারে। ভালো লাগলো। -
প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা উষ্কে দিয়ে কন্ট্রোল করতে চাচ্ছি। আধুনিকতার নামে নোংড়া পানি পান করে ট্রাইফয়েড থেকে বাঁচতে চাচ্ছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আধুনিকতা খারাপ না। উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অগ্রগতি, ডিজিটালাইজড আধুনিকতা সবকিছুই দরকার আছে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, এদের নামে সমাজে যাতে নোংড়ামোর বীজ বপন করা না হয়।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন !

খুবই বিশ্লেষনাত্বক লেখা! ভাল লাগল।

+++++

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মতামত প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। বেশি কিছু বলবো না। পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

প্রতিরোধ থেকে প্রতিকার এর দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিৎ, তবেই ধর্ষণ কমবে। আর ঠিক এর জন্যই প্রতিকারের ব্যবস্থা/উপায়গুলো প্রত্যেককে জানানো উচিৎ।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ার এ নিউরোকেমিস্ট্রি কোর্স এ এই এক্সপেরিমেন্ট পড়েছিলাম , সাধারণত এই Learning & Memory process কে ভালোভাবে বোঝাতে এই এক্সপেরিমেন্ট এর উদাহরণ দেয়া হয়

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনি যেহেতু "নিউরোকেমিস্ট্রি কোর্স" এর ছাত্র ছিলেন, যেখানে Learning & Memory process বিষয়টা সম্পর্কে পড়ানো হয়। আপনার থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্বলিত একটা পোস্ট চাচ্ছি এই বিষয়টা নিয়ে, যাতে প্রতিকারের ব্যপারটা বা কিভাবে ধর্ষণ কমানো যাবে এই সম্পর্কে উপযোগী আরো কিছু ধারণা/উপায় পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ, সোনালী ঈগল২৭৪।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খুবই বিশ্লেষনাত্বক লেখা! যদিও কপি পেস্ট।
যা হোক আমার বিশ্বাস শুধু নয় দৃঢ় বিশ্বাস
যে মানুষের অগোচরে কোন পাপ নাই।
সুপার ইগো জানান দেবে কোনটা পাপ আর
কোননা পূণ্য। ইড যখন সুপার ইগোর উপর
প্রভাব বিস্তার করে অঘটন ঘটায় সেটাই পাপ।
ইডের উপর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্মীয় অনুশাসন
পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধকে জাগ্রত
করার বিকল্প নাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমার বিশ্বাস শুধু নয় দৃঢ় বিশ্বাস
যে মানুষের অগোচরে কোন পাপ নাই।
সুপার ইগো জানান দেবে কোনটা পাপ আর
কোননা পূণ্য। ইড যখন সুপার ইগোর উপর
প্রভাব বিস্তার করে অঘটন ঘটায় সেটাই পাপ।
ইডের উপর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্মীয় অনুশাসন
পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধকে জাগ্রত
করার বিকল্প নাই।


সুন্দর মতামত প্রকাশ করেছেন।

খুবই বিশ্লেষনাত্বক লেখা! যদিও কপি পেস্ট। কয়েক বছর আমি যখন ধর্ষণ কেন হয়? এই শিরোনামে লেখাটি লেখি, (সময় পেলে পড়বেন আশা করি) আমি যেখানেই যাকেই লেখাটি পড়তে দিয়েছি সেখানেই আমাকে প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। অনেকের কাছ থেকেতো, আমি ধর্ষক, আমি ধর্ষণ করাকে সাপোর্ট করার জন্য এমন লেখা লিখেছি, নারীর অগ্রযাত্রার বিরোধী ইত্যাদি ইত্যাদি সাথে আরো অনেক বিশ্রীভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সামুতেও এই লেখাটি দিয়েছিলাম। লেখাটা পড়ার পর কষ্ট করে একটু মন্তব্যগুলো পড়লেই বুঝবেন কেন আমি কপি পেস্ট করা পোস্ট দিয়েছি।

এই বিষয় নিয়ে আমি লিখে পাপ করেছি, কিন্তু এখন যখন একজন মেডিক্যাল সাইন্স বিশেষজ্ঞ এমন আরটিকেল লিখেছে এখন সব কিছু জায়েজ হয়ে গিয়েছে। আমি শুধু এটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে, লেখক দেখে লেখা বিবেচনা করা উচিৎ নয়!

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, ধর্ষণ বন্ধ করানো উচিৎ, এর জন্য সামগ্রিকভাবে পদক্ষেপ নিয়ে আগাতে হবে। মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, অনশন, বিক্ষোভ আর নয়। ধর্ষণ যাতে না হয় সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিৎ।

কি লাভ হবে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করার পর একটা ধর্ষককে ফাঁসি দিয়ে, যদিনা আমরা ধর্ষণ যাতে না হয় সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করি!!!

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যতই বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিন, ধর্ষণ বন্ধ করার একটাই ওষুধ। ধর্ষককে গুলি করে মেরে ফেলা। মাইরের উপর কোন ওষুধ নাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনাদের সাইকোলজি দেখে আমি খুব অবাক হই!

আপনারা চাচ্ছেন একটা ধর্ষককে যাতে গুলি করে মেরে ফেলতে পারেন (একটা মানুষ কখন ধর্ষক হবে? যখন সে কাউকে ধর্ষণ করবে।) , কিন্তু আমিতো চাচ্ছি যে একটা মেয়ে যাতে ধর্ষণই না হয়।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
অনেক দিন পর একটা পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্য ও প্রিয়তে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এই তো লিটন ভাই যেটা করলেন আমিও সেটা করলুম,


তবে আমি এখন পড়িনি! ফ্রি হয়ে পড়ে নেব। মনে হচ্ছে ডিপলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়ে একটা বিশ্লেষণী মতামত করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

শুভেচ্ছা নিবেন।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইগো ফিগো ইত্যাদি ইংলিশ মারাইয়া চিপা দিয়া আপনার আসল বক্তব্য ছাইরা দিলেন।

"বৈশাখি মেলা... নারীদের সভ্যভাবে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নাটক, গান, গল্প সাহিত্য, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্যরূপে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কিছু ইংলিশ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ জানা নেই। ভালো মানের একটা অভিধান সাজেস্ট করলে ভালো হতো।

~"বৈশাখি মেলা... নারীদের সভ্যভাবে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নাটক, গান, গল্প সাহিত্য, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্যরূপে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে।

সভ্যতা, আধুনিকতার সংজ্ঞায়ন করতে হবে আগে। প্রয়োজনে সংশোধন করাও জরুরি। না হয় এমন কিছু একটা বললেই নামে সাথে অনেক ট্যাগ লেগে যেতে পারে।

সে যাইহোক ধর্ষণ কেন হয়? লেখাটা পড়লে কিছু সলিউশন পেতে পারেন বলে আমি মনে করি।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পাভলভ কি ধর্ষনের ব্যাখা দিয়ে গিয়েছিলেন?

ধর্ষন একটি অত্যন্ত জটিল মনস্ত্বাত্ত্বিক বিষয়। সাধারন ভাবে পর্ন ম্যুভি, এলকোহল, নারীর উপর কর্তৃত্বমূলক মনোভাব কিংবা নারীর পোশাকের স্বল্পতা ধর্ষনের ঝুকি বাড়াতে পারে। তবে কিছুই ঠিক ১০০ ভাগ প্রোফাইলে ফিট করে না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মেডিক্যাল সাইন্সের এক্সপেরিমেন্ট কিভাবে করা হয় আশা করি একটু জেনে নিবেন।

ধর্ষন একটি অত্যন্ত জটিল মনস্ত্বাত্ত্বিক বিষয়। সাধারন ভাবে পর্ন ম্যুভি, এলকোহল, নারীর উপর কর্তৃত্বমূলক মনোভাব কিংবা নারীর পোশাকের স্বল্পতা ধর্ষনের ঝুকি বাড়াতে পারে। তবে কিছুই ঠিক ১০০ ভাগ প্রোফাইলে ফিট করে না।

যথার্থই বলেছেন। কোন কিছুই ১০০ ভাগ প্রোফাইল ফিট করেনা। কিন্তু ধর্ষণ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে ধাপে ধাপে এগুতে হবে, হুট করেই কিন্তু কোন কিছু বন্ধ করে দেওয়া যাবেনা। এটা এখন একটা জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে।

মতামত প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিজ্ঞান টিজ্ঞান ধানাই পানাই করে শেষ মেষ ন্যাজা দেখা দিল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ন্যাজা শব্দের ভাবার্থ জানা নেই। :|

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ ভালো পোষ্ট।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

ধর্ষণের মত একটা জাতীয় সমস্যার সমাধানে, অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান করে এর সমস্যা সমাধানে লেখক সমাজকেও এগিয়েও আসা উচিত।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ, দেশ প্রেমিক বাঙালী।

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২১

সোহানী বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন। এ ধরনের লিখা কপি পেস্টের খুবই প্রয়োজন। আসলে আমাদের সমাজে এতো বেশি পচঁন ধরেছে যে এর চিকিৎসায় এখন এ্যান্টিবায়োটিক নয় দরকার কেটে ফেলা। এ সত্যটা যারা বোঝার তারা কি বোঝে?

চমৎকার একটা লিখা পড়লাম। এবং মজার ব্যাপার মাত্রই্ এ নিয়ে একটা লিখা শেষ করলাম।

প্রিয়তে নিলাম ভবিষ্যত রেফারেন্সের জন্য।

অনেক ভালো থাকেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন, প্রতিউত্তর করার মতো কিছুই নেই।

আপনার লেখাটাও পড়লাম, সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।

পাঠ, গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ ও প্রিয়তে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই ধর্ষণ কেন হয় এগুলো নিয়ে গবেষণার সময় এসেছে।

বন্ধ হোক এসব অপরাধ।

মানবিক পোস্টে++++++++

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আসলেই ধর্ষণ কেন হয় এগুলো নিয়ে গবেষণার সময় এসেছে।

সুন্দর বলেছেন।

মতামত ও পোস্টে প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা সোহানী তা যা বলেছ,
আমাদের দেশের পরিবেশ এমন ভাবে
পচে গেছে যার কারনে সুপার ইগো
দুর্বল হয়ে, ইড সুপার ক্ষমতা অর্জন
করেছে। সুপার ইডের কারনে পরোকীয়া
মহামারী নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে পুরানো
মনে হয়। সেই সাথে ধর্ষন খুন শিশু বৃদ্ধা
কেউ রেহাই পাচ্ছেনা। আচ্ছা ইড যখন
সুপারে পরিনত হয়েছে তখন এর
প্রতিশেধক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও সোহানীর
সাথে একমতে আসবে।
অসম্ভব সুন্দর বিশ্লেশন অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

বাংলার জামিনদার বলেছেন: শোনেন মাদ্রাসার কুতুব, যতই চেষ্টা করেন না কেনো, আপনারা লালা ফেলা বন্ধ করতে পারবেন না। সেই শিক্ষা আপনি পান নাই কোনোদিন, আর পাবেন ও না। খানিক ব‌্যাপক ঝাড়ি দিয়া লাষ্টে লেন্জা বাইর কইরা দিলেন। করুণা !!!!!! =p~

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আরো কোন ট্যাগ দেওয়ার থাকলে এখনি দিতে পারেন। আংশিক পড়ে মন্তব্য করলে যা হয় আর কি :-B

আপনার জ্ঞাতার্থে আবারো বলি, লেখাটা লিখেছেনঃ ডা মোহাম্মদ ইলিয়াস। রেসিডেন্ট (নিউরোলজি) বিএসএমএমইউ।

বাংলায় জমিদারি প্রথা মনে হয় আবারো শুরু হয়েছে, বাংলার জামিনদার। আমিতো শুধুমাত্র মতামত শেয়ার করে ছিলাম।

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তাহলে মূল কথা কি দাঁড়ালো ? ধর্ষণ রোধ করতে হলে মেয়েদের ঘরের ভিতর আবদ্ধ অবস্থায় থাকতে হবে!! নয়তো কোন ভাবেই পুরুষদের সামনে যাওয়া যাবে না এমন কিছু!!!
আসলে এই বৈজ্ঞানিক হিসাব নিকাশ মূর্খরা জানেনা, আবার একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ভালো পরিবেশ পরিস্থিতিতে থাকেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, ভালো মানুষদের সাথে চলাফেরা কথাবার্তা বলে থাকেন, তবুও আমরা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক শিশু ধর্ষণ বা বলৎকারের সংবাদ দেখি!! কাজেই বোরকা বা পরিবেশ পরিস্থিতি ধর্ষণের জন্য দায়ী আমি মানিনা।

আমার মতে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বল শাসনব্যবস্থা, উপযুক্ত শাস্তির অভাব, আর বোরকা বা পরিবেশ পরিস্থিতির দোহাই দেয়া কিছু লোকের দ্বারা ধর্ষকের দোষ খাটো করে দেয়া। সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে ধর্ষণ থাকবেনা, ধর্ষণ করার আগে ধর্ষকের বুক কেঁপে উঠবে বারবার।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: দুইটা অপশন দিলাম। কোনটা সিলেক্ট করবেন আপনি?

১/ আপনার বোন/মেয়েকে কেউ একজন ধর্ষণ করেছে। এখন তার ফাসির জন্য আইনের স্বরনাপন্ন হবেন।

২/ আপিনার বোন/মেয়েকে যাতে কেউ ধর্ষণ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন?

(চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো একটা অপশন তৈরি করেও বলতে পারেন।)

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: শুধু শাস্তি অপরাধ ঠেকাতে পারেনা। এর পাশাপাশি যে যুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলো অন্যতম নিয়ামক হিসাবে এই অপরাধের পেছনে কাজ করছে।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

শ্রাবন প্রধান বলেছেন: খুব ভাল লাগল ।
বোরকা বা পরিবেশ পরিস্থিতি ধর্ষণের জন্য দায়ী আমি মানিনা।
পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধকে জাগ্রত
করার বিকল্প নাই।

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

হিংস্র ঈগল বলেছেন: যখন এইসব পর্ণ মুভি, ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে ছিল না তখনো নারী ধর্ষন হয়েছিল। আপনার বৈজ্ঞানিক :-P :-P থিউরি অনুযায়ি ৭১ সালে বাঙালী মেয়েরা বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করতো আর পাকিস্তানি সৈন্যরা পর্ণ মুভি দেখে নারী ধর্ষণ করেছিল।
যত সব আজাইরা গবেষণা।

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

আখ্যাত বলেছেন: সহজ সলুশন
প্রত্যেককে দুটি করে দায়িত্ব পালন করতে হবে
দায়িত্ব১। চোখদু’টোকে পবিত্র রাকতে হবে
দায়িত্ব২। গোপনাঙ্গগুলোকে গোপন রাখতে হবে

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালোই

২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩

মুক্তা নীল বলেছেন: বিশ্লেষণ দিয়েছেন গভীরভাবে। বিস্তারিত জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আর যিনি থিসিস করেছেন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস।

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধর্ষকের ভয় বোন মেয়েকে ঘরে বন্দী করে রাখবোনা নিশ্চয়

২৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার অপশন দুটিতে আমি কোন যুক্তি পেলামনা ভাই, আপনার দুটি অপশনেই ধর্ষককে অন্তরাল করেছে। এটা নিশ্চয় কোন জ্ঞানী লোকের কথা হতে পারেনা!!

২৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: " মেডিক্যাল সাইন্সের এক্সপেরিমেন্ট কিভাবে করা হয় আশা করি একটু জেনে নিবেন। "

আপনি আমার কথার জবাব না দিয়েই উল্টো আমার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। আপনি ধরেই নিয়েছেন মেডিকেল সাইন্সের এক্সপেরিমেন্ট আমার জানা নয়। এটা সত্য নয়। বরং আপনার লেখায় ধর্ষন বিষয়ক প্রকৃত গবেষনা উঠে আসেনি। যদিও ব্লগের মত হালকা একটি প্লাটফর্মে আপনি তা করতে পারেন। কিন্তু যা পারেন না তা হল অন্যকে তাচ্ছিল্য করতে।

পাভলভ আমার অপরিচিত নন। তিনি ধর্ষনের গবেষনা করেছেন কিনা তা জানিনা। তিনি ক্লাসিক্যাল কন্ডিশনিং এর গবেষনা করেছিলেন কুকুরদের নিয়ে। সেই গবেষনার একটি প্রয়োগ হল সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এনালাইসিস করতে গিয়ে। যা বিতর্কমুক্ত নয়। নীচের লেখাটি পড়তে পারেন:

The Role of Pavlovian Conditioning in Sexual Behavior: A Comparative Analysis of Human and Nonhuman Animals

https://escholarship.org/uc/item/1wc177zt



"হিংস্র ঈগল বলেছেন: যখন এইসব পর্ণ মুভি, ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে ছিল না তখনো নারী ধর্ষন হয়েছিল। আপনার বৈজ্ঞানিক থিউরি অনুযায়ি ৭১ সালে বাঙালী মেয়েরা বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করতো আর পাকিস্তানি সৈন্যরা পর্ণ মুভি দেখে নারী ধর্ষণ করেছিল। "

@হিংস্র ঈগল, আপনার কথা সঠিক। পর্ন ম্যুভি কিংবা এলকোহল ধর্ষনের অনেক উপাদানের কয়েকটি উপাদান মাত্র। এলকোহলে মানুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারায়। পর্ন ম্যুভি বিকৃতিকে লালন করে। ধর্ষনের মূল কারন নারীর উপরে কর্তৃত্ব লাভের চেষ্টা। সেই কারনটিকে লালন করে যেসব উপাদান সেসবের মধ্যে পর্ন ম্যুভি কিংবা এলকোহলের জড়িত থাকার বিষয়টি মোটামুটি সঠিক।

কিন্তু একটি বিষয় আমাদের মেনে নিতেই হবে। তা হল: ধর্ষন সমস্যাটি মূলত ধর্ষকের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.