নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।
~হাওয়াই চুমু~
~ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পর আর নিচে নামা হয়নি। ছোট খাটো কাজগুলোকে এড়িয়ে চলেছি, যেগুলোতে নিচে না গেলেই নয়। ছয় তলা বাসা বলে কথা!
~৮টা ৫০ এর দিকে এক ফ্রেন্ডের জোড়াজুড়িতে নিচে নামলাম ওর সাথে চা খেতে যেতে হবে। বাসার গেট খুলে বের হয়েছি মাত্রই একটা কাপোল আমাদেরকে অতিক্রম করলো। ছেলেটা মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে হাটছে, গতানুগতিকতার বাহিরে গিয়ে! আমি ইগ্নোর করলাম। যদিও এসব হরহামেশায় ঘটছে, তারপরও এটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছিলো। সোসাইটিতে স্ট্রিট ল্যাম্প ছিলো। ২ মিনিট হেটে গেলেই বামে একটা মোড় পরে, তার অদূরেই কিছু দোকান। এদের মাঝেই একটা চায়ের দোকান আছে যেটা আমাদের গন্তব্যস্থল। বামে মোড় নেওয়ার অংশের স্ট্রিট ল্যাম্প নষ্ট!
~উনাদের ইমিডিয়েট পরপরই আমরা হাটছিলাম। হাটা অবস্থাতেই আমি ডক ফাইলে লিখছিলাম, তাই সামানে তেমনটা নজর ছিলোনা (কারোর প্রাইভেট ব্যপারে ইন্টারেস্টেড ছিলোনা।) বামে মোড় ঘুরে হাটা অবস্থাতেই একে অপরকে লিপ কিস করলো। পরমুহূর্তেই মেয়েটা পিছন ফিরে আমাদের দিকে তাকালো (হয়ত ভেবছিলো আমরা ফলো করছি, বা কোন রেকর্ড নিচ্ছি অথবা অন্য কিছু। যে কিছুই হতে পারে, অথবা কোন কারণ ছাড়াও তাকিয়ে থাকতে পারে) আমার ফ্রেন্ড মেয়েটার উদ্দেশ্যে হাওয়াই চুমু ছেড়ে দিলো, মেয়েটাও মুচকি হেসে আবারো বামে মোড় নিয়ে নিলো। আমরা ডানে মোড় নিলাম, গন্তব্য চায়ের দোকান!
১১/০২/১৯ ইং
৮ঃ৫০-৮ঃ৫৫ মিনিট।
~ভাড়া দিমুনা~
~এইতো সেদিন। জানুয়ারীর ৩০ তারিখ ছিলো। মানিকনগর থেকে লাব্বাঈক বাসে করে গন্তব্যে ফিরছিলাম। সিটিং বাসে যথারীতি চেকপোস্ট অতিক্রম করার পরই ভাড়া নিতে আসে কন্ট্রাক্টররা। খামার বাড়ির চেকপোস্ট পার হওয়ার পর কন্ট্রাক্টর ভাড়া নিতে আসলো, আমি আগের চেকপোস্ট পার হওয়ার পরই ভাড়া দিয়েছিলাম। কন্ট্রাক্টর আমার পিছনে থাকা যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া নিতে গেলো, কিন্তু ঐ সময়ে আমার পিছনের সিটে থাকা লোকটি ঘুমাচ্ছিলো!
~বাস তখন আড়ং মোড় অতিক্রম করে আসাদ গেট এর সামনে খুব ধির গতিতে এগুচ্ছিলো, রাস্তায় মোটামুটি জ্যাম ছিলো। রাত তখন প্রায় এগারোটা!
~কন্ট্রাক্টর ভাড়া নেওয়ার জন্য আমার পিছনের সিটের লোকটির কাছে গেলো, লোকটি গুমাচ্ছিলো বলে কন্ট্রাক্টর উনাকে ডাক দিলো। খুব মোলায়েম গলায়েই ডাক দিয়েছিলো। একবার দুইবার, তিনবার, আরো কয়েকবার। এবার কন্ট্রাক্টর একটু জোড়েই ডাক দিলো, উনার গায়ে হাত দিয়েই।
-ঘুম থেকে জাগার পর লোকটির প্রথম কথাই ছিলো, আমাকে ডেকে ঘুম থেকে জাগাইলি কেন? তুই একটু পর ভাড়াটা নিলে তোর সমস্যা কি হতো?
-সাধারণত আমরা চেক পার হওয়ার পর ভাড়া নেই, সেজন্য আপনাকে ডাকা। তাছাড়া আপনি কোথায় নামবেন সেটাওতো আমি জানিনা...
-তোর এত কিছু জানতে হবে কেন? তুই আমার ঘুমটা ভাঙ্গাইলি কেন?
-আপনি এখন আমাকে ভাড়াটা দিয়ে দেন, আর কোথায় নামবেন সেটা বলে দেন। তারপর ঘুমান, আপনাকে আর বিরক্ত করবোনা। নির্দিষ্ট যায়গায় নামিয়ে দিবো। (এখনো শান্ত গলা)
-তুই আমার ঘুমটা ভাঙ্গাইছিস আবার জ্ঞান দিতে আসছিস। বলছিনা ভাড়া দিমুনা....
-(একটু গরম স্বরে) ঐ মিয়া আপনার সমস্যা কি? আপনি আমার যাত্রী, আপনার কাছে কি আমি ভাড়া চাইতে পারিনা? এতো ঘুমানোর দরকার হলে প্রাইভেট সার্ভিসে করে যাবেন.....
~আরো কয়েকবার উত্তর প্রতুত্তর। তারপর লোকটি ৫০ মিটারের মধ্যেই গণভবনের আগের সিগনাল (চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রাক্তন জিয়া উদ্যান যাওয়ার মোড়) এ নেমে গেলো বাস থেকে, ভাড়া দেয়নি...!!!
৩০/০১/১৯ ইং
রাত; ১১ টা (প্রায়)
~প্রথম পর্বঃ কুঁড়িয়ে পাওয়া বিবেকবোধ!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: তাইতো মনে হচ্ছে!
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝলাম।
বলেন তো কি বুঝলাম?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আপনি কি বুঝেছেন সেটা আমি ঠিক ধরতে পারিনি
বলে দিলে ভালো হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঘুম, ঝগড়া সবই আসলে ভাড়া না দেবার ফন্দি