নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম অধিকার। সিজন থ্রি, এপিসোড টু-

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০৭

*সম অধিকারের ব্যপারে কথা আসলে প্রথমেই আসে পৈতৃক সম্পত্তিতে পুত্র ও কন্যার সমান ভাগের প্রসঙ্গে।

*দ্বিতীয়ত উল্লেখ করা যেতে পারে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারী ও পুরুষের সিট বণ্টন নিয়ে।

~শুরুটা করি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট দিয়েই-
সম অধিকার মানে কি সেটা আগে বুঝতে হবে। সম অধিকারে যেমন উভয়ে সমান সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে তেমনি উভয়কেই সমান দায়িত্ব পালন করতে হবে।

একটা লোক যার উচ্চতা ৬ ফুট তার জন্য একটা জামা বানাতে যদি ৬ গজ কাপড় দরকার হয় আরেকটা লোক যার উচ্চতা ৪ ফুট তার জন্য তো অবশ্যই ৬ গজের কম (ধরি ৪ গজ) কাপড় দরকার হবে। এখন আপনার কাছে যদি ১০ গজ কাপড় থাকে আর আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় উভয়কেই সমানভাবে বণ্টন করে দিতে আপনি কি দুইজনকে ৫ গজ করে ভাগ করে দিবেন না একজন কে ৬ গজ আরেকজন কে ৪ গজ ভাগ করে দিবেন?

সম অধিকারে সমান সুযোগ সুবিধাটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো প্রয়োজন পূর্ণ হওয়া। এক্ষেত্রে যদি বণ্টনে ১৯/২০ হয় সেটা দোষের হবেনা, দেখতে হবে ইন্ডিভিজুয়ালি তাদের প্রয়োজন পূর্ণ হয়েছে কিনা।

~যেহেতু প্রকৃতিগতভাগে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা দুর্বল হয়ে গড়ে উঠে। তাই পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একটা সিটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হয়। কিন্তু এমন সম অধিকার যদি আমরা মেনে নেই তাহলে এর সাথে প্যারালালি অন্যান্য বিষয়গুলোও আমাদেরকে মানতে হবে। যেহেতু অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা সেটা মানতে নারাজ তাই এক্ষেত্রে মেয়েরা সেই সুবিধা পাচ্ছেনা।

~পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লেখা থাকে মহিলা শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৯ টি (কোথাও ৪টা কোথাওবা ৬ টা লেখা থাকে।) শারীরিকভাবে শিশু ও প্রতিবন্ধীরা দুর্বল, বাসে লং টাইম দাঁড়িয়ে বা গিজগিজে পরিবেশে তারা যাতায়াত করতে পারবেনা তাই তাদের জন্য সিটের ব্যবস্থা রাখা দরকার এবং সেটা রাখা যুক্তিযুক্ত ও। কিন্তু শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সাথে যে মহিলা শব্দটাও জুরে দেওয়া থাকে, আচ্ছা তাহলে কি মহিলারাও শিশু ও প্রতিবন্ধীদের মতো অক্ষম শ্রেণীর বা দুর্বল প্রাণী!!!

~যেহেতু সম অধিকার তাই অনেকে যুক্তি উপস্থান করে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ছেলেদের জন্য অর্ধেক সিট বরাদ্ধ থাকবে বাকি অর্ধেক মেয়েদের জন্য। আমরা সবাইতো দেখি যে ঢাকা শহরে সিটিং সার্ভিসের কথিত অস্তিত্ব থাকলে বাস্তবে সেটা দেখা যায়না, এর কারণ বাসের তুলনায় যাত্রীদের সংখ্যাধিক্য। ৫০ সিটের একটা বাসে ২৫ জন বসে আরো ১৫ জন পুরুষ দাঁড়িয়ে যাবে কিন্তু বাকী ২৫ সিটের মধ্যে মাত্র ৫ জন মহিলা বসবে অবশিষ্ট ২০ টা সিট খালি নিয়ে বাস তার গন্তব্যে যাবে (ইম্যাজিন করুন) আর সেটা দাঁড়িয়ে থাকা ১৫ জন পুরুষ মেনে নিবে!!! বাস মালিক মেনে নেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই উঠেনা! কোনো পুরুষই সেটা মেনে নিবেনা, কোনো কর্তৃপক্ষ সেটা মেনে নিবেনা, মানবেন আপনাদের মতো এসি গাড়িতে যাতায়াত করা কিছু সুধি!

ফার্মগেট বাসের জন্য কখনো ২/৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে তারপর বাদুরের মতো আরো ২/৩ ঘণ্টা ঝুলে জ্যামে থেকে বাসায় গেছেন কখনো?......
এই যে আপনারা প্রতি নিয়ত প্রেস ব্রিফিং করেন, কিছু ফলোয়ার সম্বলিত ফেবুতে পোস্ট করেন, সম-অধিকারের বুলি আওড়ান, এতো কিছুর পরও মানুষ সেগুলো মেনে নিচ্ছেনা কেন? কেন প্রতিনিয়ত বাসে নারীরা এবিউজের স্বীকার হচ্ছে? এসি কারে চড়ে বাসে ঝুলে যাওয়া মানুষের অনুভূতি কখনো ফিল করতে পারবেন না!!!

যদি সম অধিকারের কথা আসেই তাহলে এই ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যে আগে আসবে সে আগে বসবে ভিত্তিতে সিট বরাদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র বাচ্চা, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী আর রোগিদের জন্য প্রত্যেক বাসে ৫ টা করে সিট বরাদ্ধ রাখলেই যথেষ্ট।

~পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারীদের জন্য সিট বরাদ্ধের কথা এজন্য আসে যে, নারীরা প্রতিনিয়ত পাবলিক বাসে হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে। একটা কথা বলি, গায়ে নিবেন না মাথায় সেটা আপনার ব্যপার, তাই বলে কিন্তু বাস্তবতা চ্যাঞ্জ হবেনা। ফ্রি মিক্সিং এর ব্যবস্থা করে দিবেন অথচ কোনো পক্ষ থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ শুনবেন না তা কিন্তু হয়না। মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা বাস সার্ভিস চালু করুন, এছাড়া নারীদেরকে যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করাটা অসম্ভব ও বলা যায়!

~বাকিটা আরেকদিন-

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেয়েদের আলাদা বাস দরকার নেই।
বাসে দুটি দরজা থাকা দরকার।
সামনেরটা মেয়েদের জন্য, পেছনের টা ছেলেদের জন্য।

আর প্রতিবন্ধি, অসুস্থ বা বয়ষ্কদের জন্য কোন সিট দরকার নেই। যে যেখানে থাকুক ওনারা বাসে ওঠা মাত্র সিট ছেড়ে দিতে হবে।

২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: পাবলিক বাসে কখনো চড়ছিলেন বলে তো মনে হয় না!

নোটঃ যেহেতু বাসের জন্য আলাদা দরজার কথা বলছেন, তাহলে নিশ্চয় সিট বণ্টনের একটা নির্দেশনাও দেখিয়ে দিবেন।

~আর প্রতিবন্ধি, অসুস্থ বা বয়ষ্কদের জন্য কোন সিট দরকার নেই। যে যেখানে থাকুক ওনারা বাসে ওঠা মাত্র সিট ছেড়ে দিতে হবে।

উনাদের জন্য বাসে আলাদা ভাবে সিট বরাদ্ধ না রাখলে উনাদেরকে দাঁড়িয়েই যেতে হতে পারে, সবাইকেই সিট ছাড়তে হবে এই দায়িত্বে কেউ দায়িত্ব পালন করবে না।

২| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিট বণ্টন? বাসে বেশিরভাগ যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে।

পাবলিক বাসে আপনে চড়ছিলেন বলে মনে হয় না!

২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ~কিন্তু দাঁড়িয়ে যাওয়াটাকে তো আপনি কখনো মেজর ফ্যাক্টর হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবেন না।

~মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন তাহলে কেন রাখা হয়?

~আপনি যেরকমভাবে বললেন, বাসে দু'টি দরজা থাকবে, একটি মহিলাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আর অন্যটি ছেলেদের জন্য।

তাহলে মহিলাদের জন্য কি আলাদা হেল্পার/কন্ট্রাক্টর রাখা হবে? অনেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ও তো অভিযোগ শোনা গেছে, তাহলে কি একই বাসে মেয়েদের অংশে আলাদা ড্রাইভার নিয়োগ দিবেন?

সিট বণ্টনে যদি না যান, তাহলে বাসের ঠিক কোন যায়গায় পার্টিশন দেওয়া থাকবে (সিটের অনুপাত কত বাই কত দিবেন?) আর যদি পার্টিশন দেওয়া না হয় তাহলে আলাদা দরজা করার মানেই বা কি হবে?

সিট বণটনে যদি না যান, তাহলে ছেলেদের দরজা দিয়ে প্রবেশ কৃত কোনো ছেলে যদি বাসে সিট না পায় তাহলে সে মেয়েদের অধিকৃত কতটুকু অংশে যেতে পারবে। যদি যেতেই নাই বা পারে তাহলে তো পার্টিশন দেওয়া ছাড়া ভিন্ন কোনো ওয়ে দেখছিনা, কারণ বাসে উঠার জন্য তখন ও শত শত মানুষ প্রেসার ক্রিয়েট করবে। পার্টিশন না দিয়ে যদি মানবিকতা দেখান হয় আর তখন যদি কোনো ছেলে দাঁড়িয়ে সিটে বসে থাকা কোনো মেয়েকে এবিউজ করে তাহলে আলাদা দরুজা দিয়ে প্রবেশ করানোর সার্থকতা কি রইলো?

আমি এতো ক্যাচাল বুঝিনা, একটু বুঝাবেন কাইন্ডলি?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৮

নতুন বলেছেন: সভ্য দেশে একজন নারী বাসে উঠে পুরুষের পাসের সিটেই বসে তাদের জন্য আলাদা সিট খাকেনা। আসলে দরকার পরেনা।

আসল সমস্যা আমাদের দেশের পুরুষের মনে.... সিটের সংখা কম বেশি যতই করেন আগে পুরুষের মনের সমস্যা ঠিক হতে হবে।

২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ~আপনি চাইলেই কি সকল পুরুষের মানসিকতা ঠিক করতে পারবেন?

~যদি চাইলেই যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যেতো তাহলে আর দেশে হত্যা, গুম-খুন, ঘুস, সুদ, চুরি ডাকাতি, মারামারির মতো লাখো অপরাধ সংঘটিত হতোনা। এ ব্যপারে আর যাচ্ছিনা, শুধু এটাই বলছি-

~ঢাকায় যদি ২ কোটি + জনসংখ্যা থাকে তার মধ্যে যদি ১ কোটি পুরুষ থাকে, এর মধ্যে যদি ৫০ লাখকে পাবলিক সার্ভিস নিতে হয়, তার মাঝে যদি ১০ লাখ ও প্রতিনিয়ত পাবলিক বাসে যাতায়াত করে, এর ও মধ্য থেকে যদি অন্তত ১ লাখের মানসিকতা খারাপ থাকে, তারমধ্য থেকে যদি ১০ হাজার জন নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, এর মধ্যেও যদি ১ হাজার ডেইলি মহিলাদেরকে এবিউজ করে তাহলেও কি সেই সংখ্যাটা কম হবে???

~কোনো অপরাধকেই অবজ্ঞা বা ছোট করে দেখার উপায় নেই। অন্য কোনো সেক্টরের দূর্নীতি যদি রোধ করতে না পারেন তাহলে কোন দৈব বলে বিশ্বাস করেন আমি আপনি চাইলেই সকল পুরুষের মানসিকতা ঠিক হয়ে যাবে?

~সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষা খাতের জন্য, পাসের হার অনেক বাড়ছে, কিন্তু শিক্ষার হার কতটুকু বৃদ্ধি পাইছে বলে মনে করেন?

~কোনো অপরাধকেই ছোট করে দেখা উচিৎ না, আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তাটাই হলো মেইন। সব সময় আবেগ দিয়ে চলা যায়না দাদা, বিবেক দিয়ে একটু ভাবুন, সমস্যা সমাধান করার উপায় পেয়ে যাবেন।

~মন্তব্যে ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, একটু কষ্ট করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে যদি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আমাকে সমস্যা সমাধানের সঠিক পথটা দেখাতেন, খুব কৃতজ্ঞ থাকতাম।

অন্যদেশের তুলনা দিলে, অন্য দেশের বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলোর প্রতিও একটু নজর দিবেন!

৪| ২৪ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব লিখেছেন।

ভেরি গুড।

২৪ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্যে ভালোবাসা জানবেন।

আমাদের চোখ কান খোলা রেখে বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা ও মেনে নেওয়া উচিৎ, না হয় ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!

৫| ২৪ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ~আপনি চাইলেই কি সকল পুরুষের মানসিকতা ঠিক করতে পারবেন?

মানুসিকতা ঠিক হচ্ছে আগের থেকে অনেক উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষ..... চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে... আলো আসবেই।


~যদি চাইলেই যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যেতো তাহলে আর দেশে হত্যা, গুম-খুন, ঘুস, সুদ, চুরি ডাকাতি, মারামারির মতো লাখো অপরাধ সংঘটিত হতোনা। এ ব্যপারে আর যাচ্ছিনা, শুধু এটাই বলছি-


কোন সমস্যা চিরতরে নিমূল করা যায় না... কিন্তু নিয়ন্ত্রনে আনা যায়...কমানো যায়।

~ঢাকায় যদি ২ কোটি + জনসংখ্যা থাকে তার মধ্যে যদি ১ কোটি পুরুষ থাকে, এর মধ্যে যদি ৫০ লাখকে পাবলিক সার্ভিস নিতে হয়, তার মাঝে যদি ১০ লাখ ও প্রতিনিয়ত পাবলিক বাসে যাতায়াত করে, এর ও মধ্য থেকে যদি অন্তত ১ লাখের মানসিকতা খারাপ থাকে, তারমধ্য থেকে যদি ১০ হাজার জন নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, এর মধ্যেও যদি ১ হাজার ডেইলি মহিলাদেরকে এবিউজ করে তাহলেও কি সেই সংখ্যাটা কম হবে???


যদি বাইরের দেশের সভ্য দেশের ছেলেরা বাসে পাশের মেয়ের গায়ে হাত না দেয় তবে আমাদের দেশের ছেলেরা কোন দেবে? সমস্যা টা কোথায়? খুজে বের করে সেখানে কাজ করলে অবশ্যই আমাদের দেশের মেয়েরাও বাসে টিজিংএর স্বিকার হবেনা।

~কোনো অপরাধকেই অবজ্ঞা বা ছোট করে দেখার উপায় নেই। অন্য কোনো সেক্টরের দূর্নীতি যদি রোধ করতে না পারেন তাহলে কোন দৈব বলে বিশ্বাস করেন আমি আপনি চাইলেই সকল পুরুষের মানসিকতা ঠিক হয়ে যাবে?


ভালো মন্দ সব খানেই আছে.. থাকবে... আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশের বাসে মেয়েরা টিজিংএর শিকার হবেনা.... নতুন প্রযন্মের ছেলেরা এই কাজ করবেনা। শিক্ষার অভাবেই এইগুলি বেশি হয়। শুধুই সাটিফিকেট হলেই মানুষের ম্যানার বাড়ে না।

~সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষা খাতের জন্য, পাসের হার অনেক বাড়ছে, কিন্তু শিক্ষার হার কতটুকু বৃদ্ধি পাইছে বলে মনে করেন?


সরকার আমরা আমরাই আমাদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করছিনা। স্কুলের প্রশ্ন পত্র ফাস হলে ছাত্ররা সেই প্রশ্ন কেনার জন্য টাকা পায় কোথায়??? আমাদের অভিবাবকরাই সন্তানের জন্য প্রশ্ন কেনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করে....

আগে আমাদের নিজেদের ভালো হতে হবে.... তখন সরকার ভালো হয়ে যাবে।

~কোনো অপরাধকেই ছোট করে দেখা উচিৎ না, আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তাটাই হলো মেইন। সব সময় আবেগ দিয়ে চলা যায়না দাদা, বিবেক দিয়ে একটু ভাবুন, সমস্যা সমাধান করার উপায় পেয়ে যাবেন।


মা বোনদের শুধুই ঘরে আটকে রেখে কাপর দিয়ে ঢেকে রাখলেই নিরাপদ থাকবেনা। সমস্যা থেকে লুকিয়ে থাকলেই সমাধন হয়না... সমস্যার কারনটা খুজে বের করে সমাধানের চেস্টা করুন...


~মন্তব্যে ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, একটু কষ্ট করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে যদি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আমাকে সমস্যা সমাধানের সঠিক পথটা দেখাতেন, খুব কৃতজ্ঞ থাকতাম।

ইভ টিচিং এর কারন সমাজের ভন্ডামী.... এলাকার বখাটে ছেলেরা নেতা,বড়ভাই,মুরুব্বির ছায়ায় থাকে বলেই তারা ইভটিজিং করে। এখনো কোন ধষন হলে সালিস করে ছেলেকে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য সবাই চেস্টা করে।

সবার ভন্ডামী ঠিক না হলে কোন সমস্যাই কমবে না। বাড়বে...


অন্যদেশের তুলনা দিলে, অন্য দেশের বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলোর প্রতিও একটু নজর দিবেন!

৬| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার আসল বক্তব্য কি?

২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমার আসল বক্তব্য কোনটা হলে আপনি খুশি হবেন? :|

৭| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইব্‌রাহীম আই কে ,




সম অধিকারে সমান সুযোগ সুবিধাটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো প্রয়োজন পূর্ণ হওয়া।
ঠিক।

তবে এই সমস্যার কোনও সমাধান নেই। ঠেকা দেয়া কাজটি হতে পারে, মেয়েদের জন্যে আলাদা বাস সার্ভিস।
দেখার চোখ ও বোঝার মতো জ্ঞান থাকলে যে কেউই দেখতে পারবেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি বাস ষ্টপেজে মেয়েরা কি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন, চোখে থাকে তাদের উৎকন্ঠা। এরা সবাই প্রায় কর্মজীবি। চাকুরী বাঁচাতে বা উপরওয়ালার চোখ রাঙানীর ভয়ে তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেন কোনও একটা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একটুখানি পা রাখতে। বাসের পেছনে পেছনে এদের দৌঁড়ুতেও দেখা যায়।
কল্পনা করাও যায়না এমন একটা ছবিতেও রাষ্ট্র নির্বিকার ও নির্লিপ্ত কেন!

বিআরটিসি মনে হয় ৫০০ বাস কিনেছে আরও কেনার কথা শুনছি। কিছু কিছু নেমেছেও রাস্তায়। এর থেকে আফিস টাইমে প্রতিটি রুটে ৫ খানা করে বাস বরাদ্দ থাকলেও না হয় নরক থেকে বাঁচতে পারতেন আমাদের মা-বোন-কন্যারা।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মাসের কিছু দিন মহিলারা শারীরিক অস্বস্তির ভিতর দিয়ে যান, থাকেন কিছু গর্ভবতিও। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ তাদের জন্য ঝুকিপুর্ন হতে পারে।
কোন মহিলা কি অবস্থায় আছেন সেটা যেহেতু জানা যায় না, সেহেতু মহিলাদের জন্য আলাদা সিটের ব্যবস্থা থাকতেই পারে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কোন মহিলা কি অবস্থায় আছেন সেটা যেহেতু জানা যায় না, সেহেতু মহিলাদের জন্য আলাদা সিটের ব্যবস্থা থাকতেই পারে।

আমরা ও তো সেটাই চাই যে, ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে। ঠিক অনুরূপ যেসব সেক্টর পুরুষদের জন্য অধিক উপযুক্ত সেখানে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ। নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়ে আর পুরুষরা ঐ সেক্টরের জন্য পার্ফেক্ট বলে।

সম অধিকারের গান যারা গায়, তাদের বোধ শক্তি দেখে অবাক হই।

~কিন্তু আপনি যদি সিচুয়েশন বিবেচনা না করে সবসময় সব জায়গায় নারী পুরুষদের সম অধিকার বলে শ্লোগান দিতে থাকেন, তখন ন্যাচারালি আপনার দুর্বল মূহুর্তে আপনি কেনো সুবিধা প্রত্যাশা করবেন? শুধুমাত্র এই বিষয়টাই বুঝানোর চেষ্টা করেছি :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.