নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোল্ডেন এ+আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গি!

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৭

প্রায় দু'বছর আগের নাটক, হঠাৎ হোমপেজে চলে আসলো, ক্লিক করলাম। ইন্ট্রোটা বাস্তবিক ছিলো। দেখে ফেললাম।

~শিক্ষার সংস্কৃতি কখনো এমন হওয়া উচিৎ নয়, যাতে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব তাদেরকে পালন করতে বাধ্য করা হয়!

~বাবা-মার স্বপ্ন, সমাজের প্রত্যাশা পূরণ, দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন, পাশের বাসার আন্টি/ভাবিদের মুখ বন্ধ করন ই যদি একটা ছাত্রের লক্ষ্যমাত্রা হয় তাহলে সে হতাশ, ডিপ্রেসড না হয়ে যাবে কোথায়? সুষ্ঠু মস্তিষ্ক সম্পন্ন একটি মেধাবী জাতি গঠনে আমাদের জোর দেওয়া উচিৎ, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই সে তার চারপাশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। তাকে আগে নিজের মতো করে জানা, নিজের হয়ে বাচতে শিখা, নিজের মতো করে ভাবতে শিখানো, সবাইকে ফ্রেন্ডলি জানানো উচিৎ। তাহলেই কেবল এবং কেবলমাত্র একটি মানবিক জাতি গঠনে সক্ষম হবো আমরা!

~গার্ডিয়ান হিসেবে আমাদেরকে সফলতার মানদণ্ড সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিৎ। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার কিংবা শিক্ষক হতে পারাটাই সার্থকতা নয়! যদি এমন হতো তাহলে ভুল চিকিৎসায় কিংবা ব্রণ টেস্ট করার নামে কেউ গালে চুমু দিতোনা, রানা প্লাজা ধ্বস কিংবা প্রস্তুতাবস্থায় ওভারব্রীজ ভেঙ্গে পড়তোনা অথবা বালিশ কেনা-তোলায় সাগর লুট হতোনা, স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক কোনো কিছুর অনুমোদন দেওয়া কিংবা অনুজ ভালো কাজ করেছে বলে বাসায় ফেরার পূর্বেই তার বদলির নোটিশ দেওয়া হতোনা, বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে বাসায় এনে পড়ানোতেই নিজেকে স্বার্থক ভাবা কিংবা শিক্ষক হিসেবে অহমিকা প্রদর্শন বা বাবা-মায়ের সমতুল্য হয়েও বিকৃত যৌনাচারে সাফল্যমণ্ডিত অংশগ্রহণ অথবা সামগ্রিক ভাবেই একটা তলা বিহীন ঝুড়ির মতো বাংলাদেশকে গঠন করা হতোনা।

~আপনি যখন প্যাশন নিয়ে একটি কাজ করবেন, সেখানে কখনো ক্লান্তি চলে আসবেনা, অদক্ষতার রেশ কিংবা অনভিজ্ঞতার আশ্রয়ে কাজ হতে পলায়ন বা শিক্ষার্জনের প্রতি লজ্জা কখনো আসবেনা।

~যখনি আমাদের অনুজরা হবি হিসেবে গার্ডেনিং ছাড়া অন্য বিষয়েও প্রবন্ধ লিখতে পারবে, এইম ইন লাইফে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই ছাড়া নিজের স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী লিখতে পারবে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, আমি এভারেস্ট জয় করতে চাই, আমি ল্যাম্বো ফেরারির মতো সুপারকার বানাতে চাই, আমি নিউটন আইন্সটাইন জামাল-নজরুলের মতো সায়েন্টিস্ট হতে চাই, আমি নৌকায় প্রশান্ত মহাসাগর পারি দিতে চাই, আমি মানুষ হতে চাই!!! আর যেদিন এই লেখাগুলো পড়ে আমরা না হেসে তার মনের অপ্রকাশিত সুপ্ত ইচ্ছা বাস্তবায়নে তাকে সব সময়ে সাহায্য করতে পারবো তখন বুঝতে পারবো আমরা জাতি গঠনের সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে পেরেছি।

~অন্যথায় জনৈক ব্যক্তির মতো আমাকেও বলতে হবে, 'আজকে অফিসে যাওয়ার সময় অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল ব্যারিস্টার টিচার দেখেছি কিন্তু একটি মানুষ ও দেখলাম না!'

নাটকঃ গোল্ডেন এ+ সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইলো। :|

বিঃদ্রঃ এটা নাটকের রিভিউ নয়। নাটকটা দেখার সাথে সাথে অপ্রকাশিত, বিবেকের কৌটায় বন্দী সুপ্ত কিছু বাক্য প্রকাশ করলাম, এই যা!

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২১

মোগল সম্রাট বলেছেন: যারা এসব পরিবর্তন করবে তারা লেজুড়বৃত্তিক ক্যারিয়ার গড়তে ব্যস্থ। চৌকিদার দফাদার দিয়ে এসব হয়না। মগজের বিষয় চাটুকারিতা সম্পন্ন দুবৃত্তদের দিয়ে হবে না।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষুধ দেবো কোথা!

মগজের বিষয় চাটুকারিতা সম্পন্ন দুর্বৃত্তদের দিয়ে হবে না। যথার্থই বলেছেন। তেল দেওয়া স্বভাব আগে বর্জন করা উচিৎ।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি নিজকে শিক্ষানীতি বিষয়ে দক্ষ মানুষ হিসেবে দেখেন?

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এখানে শিক্ষানীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয় নাই। শিক্ষাব্যবস্থার চাপে শিক্ষানীতি নিয়ে যে দু'দণ্ড ভাববো বা লিখবো সে সময়টা কোথায়? :(

~শিক্ষানীতি বিষয়ে শিক্ষানীতিবীদ হয়েও অদক্ষ থাকার চেয়ে আম মানুষ হয়েও দক্ষ হতে চাওয়াটাতো দোষের কিছু নয়!

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: লাইফে ''গোল'' থাকা খারাপ কিছু নয়। তবে লক্ষ্য যদি পুরন না হয় তবে ভেঙ্গে পড়ারও কিছু নাই। এই মানসিকতাটাই বেশি জরুরি।

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বাবা-মার চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রাকে (ইচ্ছাকে) সন্তানের জন্য যদি একমাত্র গোল হিসেবে সেট করে দেওয়া হয় , তবে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারাটাকেই স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেই।

মানুষ নিজের প্যাশন থেকে যে কাজটা করতে বেশি কম্ফোর্টেবল ফিল করে, সেখানে সফলতা অর্জন করা অন্যান্য মানুষের কাছে দুরূহ মনে হলেও আজ হোক কাল হোক সে সফলতা অর্জন করবেই। এই জায়গায় সে যতবারই সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হোকনা কেন প্রকৃতিগতভাবেই আবার উঠে দাড়ানোর মানসিকতার বীজ তার মধ্যে বপন করা থাকে।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার প্রশ্ন হলো, আপনি কি নিজকে শিক্ষানীতি বিষয়ে দক্ষ মানুষ হিসেবে দেখেন?

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: দক্ষ মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছি :|

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শিক্ষক হচ্ছে একজন পথ নির্দেশক। আর তার সঠিক নির্দেশনাই পারে একজন মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।

একইসাথে অভিভাবকদের ও কিছু দায়িত্ব থাকে যার সমন্বয়ে একজন মানুষ পার্ফেক্ট হয়ে গড়ে উঠে।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক ভালো কথা লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.