নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

RIP সমাচার

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে একটা ট্রেন্ড পালন করছি, কেউ মারা গেলে আমরা সেইসব নিউজে RIP RIP কমেন্ট করে মুখে ফেনা তুলে ফেলি। বেশি আবেগী হয়ে কখনো কখনো তার নামে পোস্ট করি, আর আমিন আমিন বলে তাকে স্বর্গে পাঠাতে উদ্ভুদ্ধ হই।

RIP এর অর্থ করলে দাড়ায়, শান্তিতে থেকো, ভালো থেকো। মৃত ব্যক্তির আত্মা যাতে কষ্ট না পায় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আমাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।

কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখিনা, যেই মানুষটা মারা যাওয়াতে আমরা RIP RIP বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেছি, সেই মানুষটা আদতে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী কিনা! যেই মানুষটা মারা যাওয়াতে আমিন আমিন বলছি, ভেবে দেখিনা সেই মানুষটার লালিত ধর্মে পরজন্মকে বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে কিনা! যেই মানুষটা মারা যাওয়াতে "আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাত নসিব করো" বলে কমেন্ট কিংবা পোস্ট করছি, সেই মানুষটা জান্নাতের ধরণা ব্যক্ত করার ধর্মের অনুসারী আদৌ ছিলো কিনা!

যেই মানুষটা আদৌ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয়, কোনো ধর্মের অনুসারী নয়, যে নিজেই পরকালে বিশ্বাসী নয় তার মৃত্যুতে কিনা আমরা তার আত্মা যাতে পরকালে শান্তিতে থাকে সেই প্রত্যাশা করছি!

উপারে ভালো থাকা কিংবা পরকালে জান্নাত পাওয়া কি পাড়ার মোড়ের টং দোকানের এক কাপ চায়ের মতো সহজলভ্য দ্রব্য যে, যেটা কপালে দু মুঠো ভাত না থাকলেও প্রত্যাশা করতে পারি!

যে ইহকালে সুন্দর জীবন লালন করে নি, সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে চলে নি, পরকালের অস্তিত্ব থাকলেও (তার মতাদর্শানুযায়ী) কি সে সেই জীবনে শুধুমাত্র আমরা RIP বলে তার মৃত্যুর পর আমাদের অভিমত প্রকাশ করেছি বলে সে একটা সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারবে, কিংবা তার আত্মা শান্তিতে থাকতে পারবে?! সে সেই জীবনেও যে অন্যের উপর অবিচার করবেনা তার নিশ্চয়তা কিভাবে দিচ্ছি, যেখানে এই জীবনেই তার অপকর্মগুলো তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারিনি!

উপারের জীবন যদি আমরা বিশ্বাসই করি, সাথে সাথে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, এই জীবন সৃষ্টিকর্তা আমাদের দান করলেও এটা পরিচালনা করার স্বাধীনতা আমাদের দিয়েছে, আর এটাকে কিভাবে ব্যবহার করছি তার উপরই নির্ভর করবে উপারের জীবন আমাদের কেমন কাটবে। এই জীবন আমার ইচ্ছানুযায়ী কাটানোর অধিকার আমার থাকলেও পরপারের জীবনে আমি চাইলেই আমার ইচ্ছানুযায়ী কাটাতে পারবোনা।

উপারে ভালো থাকাটা যেখানে তার মর্জির উপর নির্ভর করছে না, তার আত্মা শান্তিতে থাকবে কিনা এটা যখন তার ইচ্ছানুসারে হচ্ছে না, তখন আমরা সর্বোচ্চ সৃষ্টিকর্তা তাকে যাতে ক্ষমা করে দেয় সেই দোয়া করতে পারি। এটাও তখন করতে পারবো যদি সেই ব্যক্তিটা সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসী হয়, তার প্রণীত জীবনবিধানের উপর আনুগত্য প্রদর্শন করে। এর বাহিরে এটাও প্রত্যাশা করার অধিকার আমাদের নাই যে, সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করে দিবেন!

মনে রাখতে হবে, "অতিরঞ্জিত কিছুই আল্লাহ মেনে নিবেন না, সীমালঙ্ঘন কারীদের আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।"

~RIP: Rest In Peace, এটা প্রচলিত হওয়ার ইতিহাস আরেকদিন আলোকপাত করবো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

জাহিদ হাসান বলেছেন: কে বেহেশতে যাবে আর কে দোযখে যাবে সেটা কি আপনারা ঠিক করবেন?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সেটা আমরা কেন ঠিক করবো?

যিনি বেহেশত আর দোজখের মালিক তিনি ঠিক করবেন, কে কে কোথায় যাবে।

তিনি কোন মানদণ্ডে ঠিক করবেন, সেটা যেহেতু আমাদের আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন তাই সেই আঙ্গিকেই বলা যায় কে কি কাজ করলে জান্নাতে যাবে আর কোন কোন কাজগুলো করলে জাহান্নামে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ কখন কাকে কিভাবে দয়া করবেন তা তো মানুষ আগে ভাগে জানে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: তা মানুষ কখনোই জানতে পারতোনা না, যদি না আল্লাহ আগে থেকেই সেই ব্যপারে কোনো দিক নির্দেশনা প্রদর্শন না করতেন।

তিনি দিক নির্দেশনা প্রদর্শন করার কারণেই তো মানুষ হিসেবে আমরা সেই জ্ঞান টুকু অর্জন করতে পেরেছি যে, আল্লাহ কখন কার উপর দয়া করবেন।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি।
বেশিরভাগ মানুষই ফেসবুকে কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সবাইকে সঠিকটা জানাতে হবে, তাদের ও জানতে হবে। সুশিক্ষা দিতে না পারলে ওদের দ্বারা এমন কাজ সম্পাদন হবে এটাই স্বাভাবিক!

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

এখওয়ানআখী বলেছেন: সুন্দর বিষয় এবং যথেষ্ট যুক্তিসংগত। তারপরও দেখবেন কিছু মানুষ কুযুক্তি দেখাবে। ঐ মুখ দিয়ে না খেয়ে ড্যাশ দিয়ে খাওয়ার মতো। তারমানে কেউ সারাজীবন স্রস্টার বিরোধিতা করলেও তাকে আরআইপি বলেই যাও। পোস্ট ভাল লেগেছে ধন্যবাদ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কুযুক্তি কত দিবে! একটা সময় মিথ্যার ভান্ডার ফুরিয়ে আসবে। সত্যের জয় সবসময় হবে, মাঝে মাঝে সত্য একটু আড়ালে চলে যায় যাতে সেটাকে উপলব্ধি করার একটা সুযোগ পাই, কিন্তু কিছু মানুষ সেটাকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজে লাগায়!


৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: কেউ অনু পরিমাণ সৎ কাজ করলে তার প্রতিদান সে পাবে, আবার কেউ অনু পরিমাণ অসৎ কাজ করলে তার শাস্তি ও সে পাবে।আল্লাহতাআলা ক্ষমাশীল। মানুষের সব সময় উচিৎ আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মাটি থেকে সৃষ্টি হয়ে মাটির উপর বসবাস করে দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে।

বরই অকৃতজ্ঞ প্রাণী!

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: পোস্ট খুবই ভাল লেগেছে। অত্যন্ত দরকারী পোস্ট।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ, মোঃ ইকবাল ২৭।

ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। এগুলো, আরো লিখতে উদ্দীপনা যোগাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.