নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।
~ফুটওভার ব্রীজ দিয়ে যাতায়াতে মানুষের জ্যামকে এড়ানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশ একপাশের সিড়িকে শুধুমাত্র উঠার জন্য এবং অপরপাশের সিড়িকে শুধুমাত্র নামার জন্য নির্ধারিত করে খুব সুন্দর করে (সাইনবোর্ড) টানিয়ে দিয়েছে। এরকম নির্দেশনা আর কোথায় চোখে পরে নি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ প্রথম কিছুদিন তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলো, কিন্তু ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছিলো।
প্রথম কিছুদিন আমি সাধারণ মানুষদেরকে সুন্দরভাবে বোঝাচ্ছিলাম যে, সাইনবোর্ড দেওয়া আছে কোন পাশের সিড়ি দিয়ে উঠতে হবে, আর কোন পাশের সিড়ি দিয়ে নামতে হবে। প্রতিবার আসা-যাওয়ায় মিনিমাম ৪/৫ জনকে বুঝাতে হতো, প্রতিবার খুব সুন্দর ভাবে মানুষকে সঠিক জিনিসিটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। কিন্তু লক্ষ্য করলাম মাঝে মাঝে আশে পাশের মানুষ গুলো সেইসব মানুষদের সাথে কেমন রূঢ় আচরণ করে। বলা বাহুল্য, যেহেতু শহরের সবগুলো ফুটওভার ব্রীজে এইরকম নিয়ম করা হয়নি তাই প্রথম এরকম নিয়ম করা কোনো ব্রীজ দিয়ে মানুষের যাতায়াতে অখেয়াল বশত ভুল হতেই পারে, এতে এতো রিয়্যাক্ট করার কিছু দেখিনা।
~তারপর একদিন রাত প্রায় ১০ টার দিকে উল্টো পথে ব্রীজে উঠতেছিলাম, (ইচ্ছে করেই উঠেছিলাম। যেহেতু মানুষ তখন মোটামুটি কম, একটা এক্সপেরিমেন্ট এর জন্য।) ব্রীজে পুরোপুরি উঠে গেছি, আর মাত্র ৪ টা স্টেপ বাকি আছে। (আবারো স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি, আমি একজন নতুন পথচারী হিসেবে যাতায়াত করছিলাম, যে এই নিয়মের সাথে অভ্যস্ত না অমন কেউ যদি ভুল রাস্তা বেছে নেয় তবে পাবলিকের রিয়েকশন কেমন হয় সেটা আপনাদের কাছে বলার জন্য।)
~একজন লোক বললো, এটা তো নিচে নামার সিড়ি। উল্টো পথে উঠছেন কেন? (একটূ রাগত স্বরে।)
_সরি, জানতাম না। (নরম সুরে)
~সাইনবোর্ড টাঙ্গানো আছে, পড়তে পারেন না নাকি!
_সাইনবোর্ড খেয়াল করিনি। (ভদ্র ভাবেই বললাম।)
উনি আমার কথা শুনে মনে হয় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। একটা মানুষের ভুল হয় কিভাবে!
~খেয়াল করেন নি কেন? চোখ কি বাসায় রেখে আসেন?
_না বাসায় রেখে আসিনি। চোখের উপর চশমা পড়েছি তো, তাই কিছু দেখিনি (টিটকারির হাসি হেসে ততক্ষণে পাশ কাটিয়ে ব্রীজে উঠে হাটা শুরু করে দিলাম।)
~নিজেরা যদি নিজেদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে না পারি, ভুল শোধরানোর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে না পারি, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ভুগি, পরস্পরের প্রতি রূঢ় আচরণ করি তাহলে বাহিরের মানুষ আমাদেরকে ডমিনেট করবে এটাই তো গাণিতিক ও আধ্যাত্মিক সমীক্ষা!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আমরা সবাই মিলেই তো একটা পরিবার, একটা গোষ্ঠী, একটা সমাজ, একটা দেশ। কোনো অঙ্গ রোগাক্রান্ত হলে যেমন পুরো দেহটাই বিকল হয়ে যায়, অসুস্থতা অনুভব করে, তেমনি সমাজের নাগরিকগুলো ও এক এক জন আরেকজনের পরিপূরক। অথচ আমরা যদি কারোর প্রতি বিদ্রুপাত্মক আচরণ প্রকাশ করি, তাহলে এক সমাজে কিভাবে বাস করবো!
আম মানুষ গুলো এসব বিষয়ে আর কবে সচেতন হবে!
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা ঘর সংসার সাজাইয়া ছেলেখেলা খেলছি!
এক ফুয়ে সব উড়ে যাবে একদিন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্যটা ঠিক বুঝতে পারিনি, তবে যা বুঝেছি সেই থেকে বলছি-
নিঃশ্বাসের কোনো বিশ্বাস নেই, যে কোনো মুহুর্তে প্রাণ পাখি উড়ে যেতে পারে। তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে। পরবর্তী জেনারেশনকে সঠিকভাবে পালিত করতে, সঠিক শিক্ষা দিতে প্রতিটি মুহুর্ত ত্যাগ স্বীকার করে যেতে হবে। ধৈর্য্য ধরে আত্মিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
এরকম শিক্ষা পেলেই কেবল ওরাও ওদের জীবনে ত্যাগের মহিমা উপলব্ধি করতে সমর্থ হবে।
এসবের জন্য, প্রজাতি, স্বজাতি সংরক্ষণের জন্য, সঠিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য, ঘর সংসারের বিকল্প নেই
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
মা.হাসান বলেছেন: সহনশীলতা, ভদ্র আচরন এগুলি এমনি এমনি আসে না, শেখার জিনিস। আমাদের উপরের মানুষ যারা আছেন তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যেহেতু এগুলো শিখা যায় না, তাই পারিবারিক ভাবে এসব শিক্ষা দেওয়ার প্রতি আমাদের আরো আগ্রহী হওয়া উচিৎ।
প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি নমনীয় আচরণ প্রদর্শন করা উচিৎ।
ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নুরহোসেন নুর বলেছেন: আমরা অনেকেই দেশের নিয়মনীতি বদলাতে বলি কিন্তু নিজেদের আচরণ বদলানোর ব্যাপারে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
কারন আমরা ভদ্রতা বা সহনশীলতার সাথে খুব একটা পরিচিত নই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯
জগতারন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মন্তব্যটা ঠিক বুঝতে পারিনি, তবে যা বুঝেছি সেই থেকে বলছি-
নিঃশ্বাসের কোনো বিশ্বাস নেই, যে কোনো মুহুর্তে প্রাণ পাখি উড়ে যেতে পারে। তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে। পরবর্তী জেনারেশনকে সঠিকভাবে পালিত করতে, সঠিক শিক্ষা দিতে প্রতিটি মুহুর্ত ত্যাগ স্বীকার করে যেতে হবে। ধৈর্য্য ধরে আত্মিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
এরকম শিক্ষা পেলেই কেবল ওরাও ওদের জীবনে ত্যাগের মহিমা উপলব্ধি করতে সমর্থ হবে।
সুন্দর প্রতি মন্তব্য।
লাইক দিলাম।
এসবের জন্য, প্রজাতি, স্বজাতি সংরক্ষণের জন্য, সঠিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য, ঘর সংসারের বিকল্প নেই
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় নিয়ে লেখা মন্তব্য সাথে প্রতি মন্তব্য পড়ার জন্য।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
ওমেরা বলেছেন: আপনি যে ইচ্ছা করেই ভুল করেছেন সেটা কেন উনাকে বল্লেন না ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: জানাইলে উনার রিয়েকশনটা কি হতো বলে আপনার মনে হয়?
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১
ওমেরা বলেছেন: যদি বলতেন আমি এটা ইচ্ছা করেই করেছি, আমার একটু ভুলের জন্য মানুষ আমার সাথে কেমন আচরন করে ।এটা শুনে, হয়ত উনার চেহারাটা পেচাঁর মত হত, সরি, টরিও হয়ত বলত।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: দয়াকরে এসব এক্সপেরিমেন্ট আর করবেন না, এমনিতেই মানুষজন নিজস্ব সমস্যায় দিশেহারা, এর মাঝে আপনারা যখন মজা নেন তখন সবাই তো বিরক্তবোধ করতেই পারে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি অপরিচিত বিডি মানুষকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলি। কেন জানি এরা সব সময় শর্ট টেম্পার। মানুষগুলো বেশীরভাগই অমানুষ...