নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবের ব্যবচ্ছেদঃ গুজব কিভাবে ছড়ায়?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

~সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যপক প্রসারের কারণে সবাই এখন প্রচার সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। যেহেতু সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব কিংবা নৈতিক দায়িত্ব পালনের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকেনা তাই ক্রস চেকিং (ঘটনার/ তথ্যের সত্যতা যাচাইকরণ) ছাড়াই কোনো তথ্য জানা মাত্রই তা মুহুর্তের মধ্যেই আরেকজনের সাথে শেয়ার করার প্রবণতা বেড়ে যায়।

~কোনো তথ্য যদি সাধারণের কাছে প্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সে ব্যপারে সাংবাদিকদের অবগত করলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে (ভালো মন্দ নয়, সত্যতা যাচাইকরণ সাংবাদিকদের কাজ) সঠিক তথ্য জেনে তারপর ইলেক্ট্রনিক কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানায়। এই তথ্য জানানো বা যাচাইকরণের ক্ষেত্রে সাংবাদিক কখনো তথ্যের ভালো মন্দ বিশ্লেষণ করে না কিংবা এটার প্রভাব কি হতে পারে সেটাও ভাবে না, সেটা তাদের কাজ নয়। তাদের কাজ হলো শুধুমাত্র ঘটনার বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা সেটা জেনে নেওয়া।

বিভিন্ন মিডিয়া মারফত তথ্যটি জানার পূর্বেই যখন কারোর থেকে ঘটনার ব্যপারে খুটিনাটি জানা হয়ে যায় তখন আর সেটার ব্যপারে গভীর জ্ঞানার্জন করাটা সম্ভব হয়না। পত্রিকা কিংবা টিভিতে সেই একই নিউজ দিলেও সেটা আর দেখা হয়ে উঠে না। প্রথম যে তথ্যটা জেনেছি সেটার উপরই নির্ভরতা চলে আসে, আর মিডিয়া গুলোর প্রতি নির্ভরশীলতা কমে যায়।

~মূল ঘটনাঃ জামালের ঘরে ছেলে হইছে। ছেলেটা একটু শ্যামলা।
১ম ব্যক্তিঃ জামালের ঘরে একটা কালো ছেলে হইছে।
২য় ব্যক্তিঃ জানেন ভাবি, জামালের ঘরে কুচকুচে কালো একটা ছেলে হইছে।
৩য় ব্যক্তিঃ শুনছস, জামালের ঘরে কাউয়ার মতো কালো একটা ছেলে হইছে।
৪র্থ ব্যক্তিঃ শুনলাম, জামালের ঘরে নাকি একটা কাউয়া হইছে।
৫ম ব্যক্তিঃ জানো বেবি, আমাদের পাশের বাড়িতে যে লোকটা থাকে না, তার ঘরে একটা কাউয়া হইছে, সেটা নাকি আবার উড়ে চলে গেছে।

শেষ ব্যক্তিটি সবসময় একটু লিজেন্ড টাইপের হয়।

~আপনার কাছে যে খবরটা পৌছাচ্ছে সে সবসময় একটু আল্ট্রা বুদ্ধিজীবি হয়। নিজে বিশ্লেষণ করে গোবর যুক্ত ব্রেন থেকে উদ্ধৃত ছাই আবার গর্ব করে প্রচার করে। আর আপনি সেটাই বিশ্বাস করেন। অথচ আপনার কাছে পৌছানোর পূর্বে হাজারো মানুষের এক এক ক্লিকে খবরটা ধিরে ধিরে পরিবর্তন হতে হতে তার নিজস্ব সত্তাটাকেই হারিয়ে ফেলে।

~কিন্তু কোনো সাংবাদিক একটা তথ্য প্রচার করার পর লাখো মানুষের কাছে একই আকৃতিতে সেটা পৌছে যায় কোনরূপ বিকৃতি ছাড়াই। তারপর যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই তথ্যের অপব্যাখ্যা করে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে তখন সহজেই সেই ব্যক্তিটির মোটিভ সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। গুজব ছড়ানোর পূর্বেই আসল ঘটনার প্রবাহ সকলের হাতে হাতে থাকার কারণে কিংবা ঢুঁ মেরে অনলাইনের মাধ্যমে নিউজ পোর্টাল গুলো থেকে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হয় বলে তখন আর সেই গুজব কার্যকরীতার মুখ দেখে না।

(উপমার ঘটনা প্রবাহের আইডিয়া অচেনা কারোর কোনো একসময়ের লেখা এরকম কোনো একটি লেখনী হতে ধার করা।)

বিঃদ্রঃ গুজবের আদ্যোপান্ত এই সিরিজে পাওয়া যাবে। বড় লেখা না দিয়ে ছোট ছোট করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কখনও গুজবে কান দেই না। গুজবে কান দেয় নির্বোধ লোকেরা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমরা অনেক সময় এমন কিছু গুজবে কান দেই, সেটা যে আদতে গুজব ছিলো সেটাও জানিনা।

পদ্মার জন্য মাথা লাগবে কিংবা লবণের দাম বেড়ে যাবে এগুলাই যে একমাত্র গুজব তা কিন্তু ন; এগুলা হলো বিচ্ছিন্ন মানুষের সৃষ্ট গুজব। আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকা কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যা দেখি তার সবটাই কি বাস্তব?! কখনো কি আড়ালের সত্যতা খুজে বেড়াই?!

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: একটা ম্যাসেজ প্রথমজন যেভাবে গ্রহণ করে পরের জন্য সেভাবে গ্রহণ করেনা। (এটা আমার কাছে মনে হয় মানুষের স্বভাবজাত
বৈশিষ্ট্য একটা) এটাকে আসলে কমিউনিকেশন গ্যাপ। যার কারনে মূল ম্যাসেজটাই বিকৃত হয়ে যায়।

তবে আমাদের সমাজে কিছু মানুষের স্বভাবই হল তিল কে তাল বানানো। এদেরকে এভয়েড করাই ভালো।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

আলামিন১০৪ বলেছেন: দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে তবে আমি কোথা দিয়ে ঢুকি?
মিডিয়ার টুটি চেপে ধরে গুজব ঠেকাবেন?..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.