নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবের ব্যবচ্ছেদঃ সংবাদ মাধ্যমের দায়বদ্ধতা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

~বদহজম হবে কিনা সেটা বিবেচনা করার প্রয়োজনবোধ করে না এজন্য যে, ইতঃপূর্বে খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকতে থাকতে যখন পেপটিক আলসারের মতো মরণব্যাধি রোগ শরীরে বাধিয়ে ফেলছে তখন নিশ্চিত মৃত্যু জেনে বাকি জীবনটা কোনোরকমে পার করে দেওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।

গুজবের ব্যবচ্ছেদঃ গুজব কিভাবে ছড়ায়?
গুজবের ব্যবচ্ছেদঃ তথ্য কি? গুজব কেন ছড়ায়?
~তথ্য আত্মার খোরাক হিসেবে কাজ করে। পাঁচটি মৌলিক অধিকারে যদিও তথ্যের কথা উল্লেখ নেই এবং বৈশ্বিকভাবে আলোচিত 'নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ' ইস্যুটাকে মানুষের ষষ্ঠতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত দিতে বিভিন্ন চেষ্টা তদবির চালানো হচ্ছে তথাপি মনে হয়ে ইনফরমেশন বুলিং / প্রপাগাণ্ডার কথা মাথায় রেখে 'সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ' কে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন।

~সঠিক তথ্যের অভাবে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার; খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজে কি পরিমাণ অর্থ লুটপাট হয় সেটা মানুষের কাছে প্রকাশিত হলে মানুষ সেটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার ফলাফলে যদি দূর্নীতি কমানো সম্ভব হয় তাহলে মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে অর্থ যোগান দেওয়া সহ যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজের সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে।

~গণমাধ্যমকে বলা হয়; ভয়েস অব পিপল। জনগণের নিজের কণ্ঠস্বর যদি নিজের অধিকার নিশ্চিতকরণে উচ্চস্বরে আওয়াজ তুলতে না পারে তাহলে সেই কণ্ঠস্বর ভিন্ন অন্য কোনো উপায় মানুষ খুজে নিবে এটাই তো স্বাভাবিক। তাই নয় কি?!

~আমি কোনো সংজ্ঞায়ন কিংবা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতামতে যাচ্ছিনা, কারণ সবাই কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত; হয়তো আমিও, হয়তো বা না। কিন্তু গণমাধ্যমের সূচনা হয়ে ছিলো সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে সঠিক তথ্য প্রচার, সকল ধরনের দূর্নীতি সহ কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্ত যা জনগণের বিরুদ্ধে যায়, বৃহৎ স্বার্থের পরিপন্থী কাজগুলোকে মানুষের সামনে উপস্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে শাসকশ্রেণি পর্যন্ত পৌছাবার জন্য এই ভিত্তিগুলোকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

~যদি কোনো কারণে গণমাধ্যমের আদর্শচ্যুতি ঘটে তখন স্বভাবতই সাধারণ মানুষ তার স্বরকে উঁচু পর্যন্ত পৌছাবার জন্য ভিন্ন উপায় খুজে বের করে নিবে, এটাই স্বাভাবিক। আর ঠিক সেই মুহুর্তে যদি এমন কোনো তথ্য আমাদের সামনে আসে যা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক বলে প্রতীয়মান হয় তখন সেটার প্রতি আমাদের বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে, যদিও পরবর্তীতে বিচ্ছিন্ন সোর্সদাতারা প্রপাগাণ্ডা ছড়ায়, কারণ আমরা সবাই আমাদের চারপাশ থেকে কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত যেটা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাই না।

এজন্য, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় গুজব ছড়ানোর প্রতিকার হিসেবে সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ এবং সাধারণ মানুষকে তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনো আবারো বলছি কোনো বিকল্প নেই।

বিঃদ্রঃ প্রত্যেকটা পর্বে যদিও আলাদা আলাদা বিষয়বস্তুকে পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করছি, তারপর ও সবগুলোতে লেখার একটা ধারাবাহিকতা থেকেই যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে না পড়লে সামগ্রিকভানে মূল কারণগুলো আইডেন্টিফাই করাটা হয়তো সম্ভব হবে না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আজকাল গুজব দিয়ে মিডিয়া মুফতে ফায়দা হাসিল করে। হতে পারে আর্থিক ফায়দা বা অন্য কোন প্রকারে সুবিধা বা প্রচারণা বা অন্য কোন ফায়দা। আর মিডিয়া মনে হয় মিডিয়ার প্রকৃত কাজ থেকে অনেকটাই সরে গেছে। অনেক মিডিয়াই তোতা পাখির মতো হয়ে গেছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মিডিয়াগুলো ভয়েস অব পিপল থেকে ভয়েস অব পলিটিশিয়ান হয়ে গেছে। কোনোরকমে পা ধরে মাটি কামড়ে পড়ে ত্থাকতে হচ্ছে।

ভালো প্রোগ্রাম প্রচার, সত্য বলা থেকে বের হওয়ার কারণে জনমনের আস্থা যখন উঠে গেছে তখন স্পন্সর, বিজ্ঞাপনের অভাবে এটা ভিন্ন অন্য কিছু করার সুযোগ ও থাকছেনা।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষিত মানুষ গুজন ছড়ায়। এবং বিশ্বাস করে।
আর যারা গুজব ছড়ায় বা বিশ্বাস করে তারা নির্বোধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.