নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার পরিহাসঃ প্রাইভেট বনাম পাবলিক ভার্চুয়াল যুদ্ধ!

১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

বৈশ্বিক ক্রান্তিলগ্নে জাতির সূর্যসন্তানদের এমন আচরণ কাম্য নয়। হ্যাঁ, আমি জাতির সূর্য সন্তান হিসেবে আখ্যা দিচ্ছি তাদেরকে যারা উচ্চ শিক্ষার সাথে সংযুক্ত। এটা পিছন না ফিরে এগিয়ে যাওয়ার বয়স, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার বয়স, নিজে না খেয়ে ভাইয়ের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার বয়স, জীবন বাজি রেখে বোনের সম্ভ্রম রক্ষা করার বয়স!

কিন্তু এই বয়সে উপনীত হয়েও যখন আমরা স্রেফ বিনোদনের নাম করে শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছি.....

~অনেকেই বলতে পারেন যে, এখন অফ ক্যাম্পাসে আছে বলে সময় কাটানোর জন্য নতুন কোনো ট্রেন্ড না আসায় নিজেরা এটার মুখাপেক্ষী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন ক্যাম্পাসে থাকাকালীন ও প্রতিনিয়ত এসব দেখা যাচ্ছে/যাবে, যেগুলো এখন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা অনুকরণ করা শুরু করছে/করবে, নিজেদের স্কুল কলেজের বিষয়াবলী নিয়ে। আমি স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের দোষ দিচ্ছিনা।

অনলাইনের প্রসারের কারণে যেখানে বিশ্বের এক প্রান্তে থেকে আরেক প্রান্তের খোজ নেওয়া যাচ্ছে সেখানে ভার্চুয়াল জগতে বড় ভাইদের লেইম কথাবার্তাকে আইডল ভেবে নিজেকে আরেকটু স্মার্ট হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তাদেরকে অনুকরণ করা মোটেই দোষনীয় নয়।

~অধিকাংশ সময় এসবের সূত্রপাত হয় বিভিন্ন ক্যাম্পাসের পেজে অন্যের ক্যাম্পাস নিয়ে ক্রিটিসাইজ করা ট্রলের মাধ্যমে কিংবা ক্লোজড গ্রুপে অন্যের ক্যাম্পাস নিয়ে করা বিদ্রুপাত্মক পোস্ট / কমেন্ট লিকের মাধ্যমে। সাধারণত এসব তারাই করে যারা বাপ-দাদার হোটেলে বসে খায় আর করার মতো কোনো কাজ পায় না। কিন্তু যখন নিজের ক্যাম্পাসের নামে সমালোচনা দেখে তখন কেউ ই সেটা সহ্য করতে পারে না।

প্রত্যেকের কাছে তার ক্যাম্পাস অনন্য, ক্যাম্পাস প্রাণের স্পন্দন। নিজের ক্যাম্পাস যেমনই হোক সেটা নিয়ে অন্যের ক্রিটিসাইজ করা সমালোচনা কেউ সহ্য করতে পারে না। ফলস্বরূপ, সে দেয় একটা পোস্ট, তারটা দেখে দেয় আরেকজন পোস্ট। মুহুর্তের মধ্যেই ভার্চুয়াল জগত রেষারেষিতে ছেয়ে যায়।

~প্রাইভেটে সব বড় লোকের মেধাহীন বাচ্চারা পড়ে আর পাবলিকে সব ফকিন্নির মেধাবী ছেলে-মেয়েরা পড়ে এমন একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যায় এসব ক্রিটিসিজম দেখলে। কিন্তু বাস্তবে এমন অনেক দেখা যায় যে-

ক্যাম্পাসের ওয়েভার আর টিউশন করিয়ে আয় করা টাকা দিয়ে টিউশন ফী দেওয়া অনেক গরীব ঘরের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা পড়ছে আবার নিজের শহর ছেড়ে বাবা-মা যেতে না দেওয়ায় দূরের পাবলিকে ভালো সাবজেক্টে চান্স পাওয়ার পরও বাধ্য হয়েই টাকা খরচ করে প্রাইভেটে পড়তে হচ্ছে। পাবলিকেও অহরহ ধনিক শ্রেণীর এমন ছেলে-মেয়েদের দেখা যায় যারা গাড়িতে চড়া ব্যাতিত কখনো দু'কদম হাটেনি, তারা মেধার পরিচয় দিয়েই পাবলিকে এবং ভালো সাবজেক্টেই পড়ছে।

~কোনো একটা নতুন কনসেপ্ট নিয়ে কোনো গ্রুপ খোলা হলে প্রথম কিছুদিন সবার মধ্যে একতা দেখা যায়। তারপর একদিন হঠাৎ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এডমিন/মডারেটর) মালিকদের স্বজনপ্রীতির কারণে কিংবা মজা করে অন্যের ক্যাম্পাসের কোনো বিষয় নিয়ে ক্রিটিসাইজ করার পর মুহুর্তের মধ্যে হুরহুর করে পাবলিক, প্রাইভেট, কলেজ (অনার্স লেভেল) আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে বিভাজন করা যায় বিভাজন করে নতুন গ্রুপ খুলে একে অপরের বিদ্বেষ চর্চা করা শুরু করে।

তবে জুনিয়ররা (স্কুল/কলেজের) সব গ্রুপে থেকেই সব মজা নেয়, আর অচেতন মনে প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করা সেই বিদ্বেষ লালন করে। এতো হাজার হাজার গ্রুপ পরিচালনা করেই তো পারা যাচ্ছেনা, পড়াশোনা করবে কখন!

যেখানে ভার্চুয়াল জগতে আমরা এক হতে পারি না, সেখানে বাস্তবিক জীবনে একতা প্রত্যাশা করা নেহায়াতই বোকামি।

~প্রতিটি ক্যাম্পাসের অতীত ইতিহাসে যেমন গৌরব করার মতো ঐতিহ্য আছে তেমনি জীবন বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড ও পরিচালিত হয়েছে। আমরা কি কখনো এটা ভেবে দেখিনা যে, যে অতীতকে ধারণ করে বুক ফুলিয়ে চলে নিজেরদের (বিকৃত মস্তিষ্কের) চরিতার্থ করছি আমরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে আগত অতিথিদের জন্য কোন অতীত রেখে যাচ্ছি!

~পাবলিক মানেই সব না, প্রাইভেট মানেই কোনো ব্র‍্যান্ড না, কলেজ মানেই ক্ষ্যাত না। বিভাজন কখনোর জন্যই কাম্য নয়। একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে নিজের, দেশের ও দশের মঙ্গলের জন্য কাজ করাই হলো শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।

~ক্যাম্পাস আত্মপরিচয়ের বাহক হলেও এটাই কিন্তু একমাত্র আইডেন্টিটি না। দিনশেষে শিক্ষায় যে এগিয়ে যাবে সেই মানুষ হিসেবে নিজের আত্মপরিচয় তুলে ধরবে।


একটা কথা খুব ভালো করে মনে রাখা উচিৎ-

যে ঘৃণার বীজ আজ আমরা বপন করছি সেটা পরম্পরায় চলতেই থাকবে যদি না শুরুতেই এর মূলোৎপাটন করা না যায়।

আফসোস হয় জাতির সূর্য সন্তানদের নিয়ে, যারা ক্যাম্পাস নিয়ে এখনো পরে আছে, (এরা) দেশের হাল ধরবে কখন!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫১

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। ক্যাম্পাস নিয়ে মাতামাতি করা ঠিক না।
তবে কিছু কিছু প্রাইভেট ভার্সিটির পোলাপাইন কেন পাবলিকের সাথে লাগতে আসে এটা আমার মাথায় ঢোকে না।
প্রাইভেটের কিছু মুরগি তো আবার ঢাকা ভার্সিটির সাথে নর্থসাউথ এর তুলনা করে বসে।

১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:১৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এক তরফা ভাবে প্রাইভেট কিংবা পাবলিক কারোরই দোষ দেওয়া যাবে না। যখন বিদ্বেষের খেলায় নামে তখন সবাই তার জাত চিনিয়ে দেয়। বিদ্বেষ জিনিসটাই খারাপ!

২| ১৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকে দেখলাম বিরাট ক্যাচাল লেগে গেছে। আসলে ঘর বন্দি অবস্থায় মানুষ কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়।
আপনি ভালো লিখেছেন।

১৮ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বদ্ধ জীবনে একটু হাসি ঠাট্টার জন্য এগুলোর স্বরনাপন্ন হলে না হয় মানা যেত। কিন্তু এসব এখন হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে, আক্ষেপটা সেইখানেই!

৩| ১৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্নফাঁস হয়নি কোন ধরণের ক্যাম্পাসে?

১৮ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এসব বললে আবার উনাদের কলিজায় লাগে।

ভাগ্যিস আহমদ ছফা বেঁচে নেই, বেঁচে থাকলে একটা বাছুর বিত্তান্ত লিখে ফেলতেন!

৪| ১৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:

লেখক বলেছেন: এক তরফা ভাবে প্রাইভেট কিংবা পাবলিক কারোরই দোষ দেওয়া যাবে না। যখন বিদ্বেষের খেলায় নামে তখন সবাই তার জাত চিনিয়ে দেয়। বিদ্বেষ জিনিসটাই খারাপ!

===========================================================================
আমার কথা হলো বিদ্বেষের খেলা হবে কেন যেখানে কোয়ালিটিতে প্রাইভেট ভার্সিটি অনেক পিছিয়ে????

১৮ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সমস্যাটা এখানেই, আপনি কোয়ালিটি পরিমাপ করছেন মেধা দিয়ে ওরা পরিমাপ করছে টাকা দিয়ে। কারোর যুক্তিই ফেলে দেওয়ার মতো না। কিন্তু আদতে কোয়ালিটি পরিমাপের মানদণ্ড কি হবে সেটা আলোচনা যোগ্য।

৫| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৭

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:

লেখক বলেছেন: সমস্যাটা এখানেই, আপনি কোয়ালিটি পরিমাপ করছেন মেধা দিয়ে ওরা পরিমাপ করছে টাকা দিয়ে। কারোর যুক্তিই ফেলে দেওয়ার মতো না।
=========================================

টাকা দিয়ে কোয়ালিটি মরিমাপ করলে সেটা ফেলে দেওয়ার মতো না???

লেখক বলেছেন:কিন্তু আদতে কোয়ালিটি পরিমাপের মানদণ্ড কি হবে সেটা আলোচনা যোগ্য।
=======================================================

যেখানে কথা হচ্ছে টাকা বনাম মেধা, আমার মনে হয়না সেখানে আলোচনার কিছু আছে।

যাই হোক, এসব নিয়ে ক্যাচাল যত কম করা যায় তত ভালো।
ধন্যবাদ আপনাকে।


১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: প্রসঙ্গ টানছেন বলে বলছি-

প্রাইভেটের সকল শিক্ষকগুলো পাবলিকের ছাত্র ছিলো, মেধার পরিচয় দিয়েই উনারা প্রাইভেটের শিক্ষক হয়। ~পাবলিকে লবিং ছাড়া চাকরি হয় না, প্রমোশন তো দূরের কথা, অধিকাংশ সময়ই।

একটা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়ে পর্যাপ্ত সময় লাগে। দেশ সেরা পাবলিকগুলোর প্রতিষ্ঠা কাল আর দেশ সেরা প্রাইভেট গুলোর প্রতিষ্ঠা কালের দিকে একটু চোখ বুলানো উচিৎ।

প্রতিনিয়ত ক্লাস টেস্ট, কুইজ, প্রেজেন্টেশন থাকার কারণে কম বেশ প্রতিদিন পড়তে বসতে হয়। ~পাবলিকের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা ছাড়া পড়তে বসে না, অধিক সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা। প্রাইভেটের মতো এতো ঘন ঘন পরীক্ষা হয় না।

পাবলিকে যারা নিয়মিত পড়তে বসে তারা শুরু থেকেই হয় বিসিএস এর জন্য প্রি পারে নেয় অথবা কোনো চাকরির পরীক্ষার জন্য। এভাবে সকল ছাত্রছাত্রীরা যদি বিসিএস এর পিছনে ছুটে তাহলে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে রিসোর্স নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না। ~অপরদিকে প্রাইভেটের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মেধায় যতটুকুই কুলায় নিজেদের সেক্টরেই প্রতিষ্ঠিত হয়।

পাবলিকে পড়তে টাকা লাগেনা বলে পাবলিক এখনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের টানতে সক্ষম হচ্ছে। পাবলিকের শিক্ষার্থীরা জনগণের টাক্য পড়ে। ~অপরদিকে প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা বাপ-দাদার টাকায় পড়ে। যেখানে তাদের বাপ-দাদার ও একটা অর্থের যোগান থাকে পাবলিকের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য।

জনগণের টাকায় দেশ সেরা পাবলিক থেকে পড়া কতজন গ্রেজুয়েট দেশে থাকছে? ~প্রাইভেটের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের টাকায় পড়ে বলে তাদেরকে এই সেন্সে দেশ সেবার দোহাই দিতে পারবেন না।



পাবলিকে এই কোটা সেই কোটার বদৌলতে যারা ভর্তি হচ্ছে, কিংবা ভালো সাবজেক্টের আশায় প্রাইভেটে চলে যাওয়া ছাত্রের সিটটি পেয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রটিকে নিশ্চয়ই কোয়ালিটির প্রশ্নে মেধাবী বলবেন না। (যত দ্বন্দ্বের সূচনা উনারাই করে।)

পাবলিকে প্রশ্ন ফাঁসের কথা আর বলতে হবে?

জনগণের টাকায় পড়ে জনগণের বিরুদ্ধে অস্র হাতে নেয় কারা, ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাড়াচ্ছে কারা, আর বলতে হবে?

বিঃদ্রঃ আমি পক্ষপাতিত্বের পক্ষে না, একতা চাই। আপনি এক পক্ষ নিলেন বলে আমি শুধুমাত্র অন্য পক্ষের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করলাম।

৬| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৪

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: # দেশে প্রথম প্রাইভেট ভার্সিটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। আমি ১৯৯১ এর আগের সব পাবলিক ভার্সিটির কথা বাদ দিলাম। প্রাইভেট এর সাথে যাত্রা শুরু করা পাবলিক ভার্সিটিগুলো প্রাইভেট ভার্সিটিকে কেমনে ছাড়িয়ে গেল ? তারা তো একই সাথে যাত্রা শুরু করেছে।

# আপনি বলছেন প্রাইভেট ভার্সিটিতে ঘন ঘন পরীক্ষা হয়। === কেন পরীক্ষা হয় জানেন না??? উদর(পকেট) ভর্তি হবে কীভাবে যদি ঘন ঘন পরীক্ষাই না হয়??? প্রতিনিয়ত ক্লাস টেস্ট, কুইজ হয় ভালো কথা। তো এর আউটপুট কী আসে একটু বলবেন??

# পাবলিকের পোলাপাইন বিসিএস আর চাকরির পেছনে ছুটে রিসোর্স নষ্ট করে?? বস, বিসিএস এর প্রিপারেশন নিতে গেলে কলিজা থাকা লাগে। প্রাইভেট এর প্রোল্ট্রী মুরগীগুলোর সে দম আছে??? বুয়েটের ছেলে-মেয়েরা এডমিন/ফরেন ক্যাডার এ নিযুক্ত হচ্ছে। তো ওরা কী করে??? রিসোর্স বিল্ড আপ করে???? আর প্রাইভেটের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের সেক্টরে প্রতিষ্টিত হওয়ার চেষ্টা করে?? হাসালেন!! ৫০-৬০% আত্মীয়-স্বজন এর মদদে প্রতিষ্টিত হয়।

# প্রাইভেট এর ছেলে-মেয়ের বাপ-দাদার অর্থের যোগান থাকে পাবলিকের ছেলে মেয়েদের পড়ানোর জন্য। === খাঁটি কথা বলেছেন। তো, যারা পাবলিকে ভর্তি হয় তারা তো সরকারী অর্থ ডিজার্ভ করে। নাকি করেনা??? আর আপনি দেশে থাকলে তো আপনাকে আয়-কর দিতে হবে। আর সে করের অংশ তো সরকারী কাজে লাগবেই।

# পাবলিকের ছাত্ররা দেশে থাকবে কেন সেটা বলেন?? । দেশের সরকারী কলেজগুলোর পরিস্থিতি জানেন??? বিসিএস ক্যাডাররা ছাত্রদের হাতে মার খায়। তো মার খেতে দেশে থাকবে??? আর প্রাইভেট এর ছেলে-মেয়েদের কাছে কেউ জানতে চায়না তোমরা কেন দেশ ছাড়ছ। পুলিশ আর প্রশাাসন ছাড়া কোন ক্যাডার এর সদস্য দেশে নিরাপদ না।

# ভালো সাবজেক্ট এর জন্য প্রাইভেট এ চলে যায়??? আপনি মনে হয় রুপকথা বলতে পছন্দ করেন। বাবার ভিটে ছেড়ে দেয় কিন্তু পাবলিক ভার্সিটি ছাড়ে না এমন ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কি বেশি নয়??? আর হ্যাঁ কোটায় ভর্তির থেকে টাকায় ভর্তি প্রক্রিয়া বেশি জঘন্য প্রক্রিয়া।

# আরে ভাই পাবলিকে তো প্রশ্ন ফাঁস হয় এটা সবাই জানে; না আপনাকে বলতে হবেনা। তো, আপনার কি মনে হয়নি কেন প্রশ্ন ফাঁস হয়??? প্রতিযোগীতা আছে অথচ দূর্নীতি নেই কোথায় একটু বলবেন??? আর এমন ও তো হতে পারে, যারা প্রাইভেটে পড়ে তাদের একটা বড় অংশ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কেনার মিশনে নেমে ব্যার্থ হয়েছে। প্রাইভেট ভার্সিটির সার্টিফিকেট বিক্রি হয়; এটা তো ওপেন সিক্রেট।

# আমি জানি পাবলিকের ছাত্ররা ভায়োলেন্ট। তো কেন হবেনা?? কোটা সংস্কার আন্দোলোনে কয়টা প্রাইভেট এর মুরগি ছিল??? দেশে কোন অনিয়ম হলে কোথায় আন্দোলন এর সূচনা হয়- পাবলিক ভার্সিটিতে নাকি পোল্ট্রি ফার্মে???


# আপনার যুক্তিগুলো দারুন।

(কেয়ামত এর শেষ আলামত মনে হয় এই বিষয়ে তর্ক করা যে, পাবলিক নাকি প্রাইভেট কোনটা ভালো?? কারন এটা স্পষ্ট বিষয় যে প্রাইভেট ভার্সিটি মরা মাছের পুকুর; চুন দানা দিয়ে অর্ধমৃত মাছ জীবন্ত রাখার চেষ্টা করা হয়)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.