নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলোমেলো। পর্বঃ২, ম্যারিটাল রেপ ও আধুনিক নারীবাদ।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪



~ম্যারিটাল রেপ যে হয় না সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু দেখছি না, আর দশটা অপরাধের মতো এটাও একটা অপরাধ। কিন্তু ম্যারিটাল রেপ নিয়া বেশি মাতামাতি করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে পরিবার প্রথাকে ভেঙ্গে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে সেটা খুবই নিন্দনীয়, এটার বিরোধিতা করছি।

~ম্যারিটাল রেপ নিয়ে কথা বলে মেদেরকে দু'দন্ড প্রগতিশীলতার বাণী শুনিয়ে তাদেরকে সংসার বিচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে পাশ্চাত্যের পা চা-টা মিডিয়া গুলো যেভাবে উঠে পরে লেগেছে সেটা আমাদের সংস্কৃতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

একটা মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার ভরণপোষণ সহ আনুসাঙ্গিক খরচা সে কিভাবে পূরণ করবে সেটা নিয়ে তো কখনো কথা বলতে দেখি না।

~যারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে উঠে পরে লেগেছেন, আপনারা কয়টা ডিভোর্সি মেয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন? তাদের কয়জনকে যৌতুকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা লড়তে সাহায্য করেছেন? কয়টা মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন? কয়জনকে চাকরি কিংবা ব্যবসার পথ তৈরি করে দিয়েছেন? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করে নিজের ছেলেকেই একজন বিধবার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন-

আপনাদের কয়জনের বউ ডিভোর্সি? একটা ডিভোর্সি মেয়ের চাপা কান্নার শব্দ এসি রুমে শুয়ে, শেরাটনে খেয়ে, বারের নর্তকীর সাথে নেচে কখনো উপলব্ধি করা যাবে না। এটা আবারো বলছি যে, 'ম্যারিটাল রেপ একটা ক্রাইম।' কিন্তু এই রেপ যাতে না হয়, এসবের ব্যপারে মানুষকে সচেতন করার জন্য কয়টা সেমিনার করেছেন? পদক্ষেপ সেগুলোই নিতে হবে যেগুলো জাতির জন্য মঙ্গলজনক।

~যারা পাশ্চাত্যের দালালী করে ওদের জেনে রাখা উচিৎ, ফ্রী সেক্স যদি ওদের সংস্কৃতি হয় বিবাহ বন্ধন আমাদের সংস্কৃতি। মোঙ্গল শোভাযাত্রা যদি আমাদের সংস্কৃতি হতে পারে তাহলে বৈবাহিক প্রথাও আমাদেরই সংস্কৃতি। একটার জন্য মায়া কান্না করবেন আরেকটা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারবেন তা হতে পারে না-

গার্মেন্টসে ১২ ঘণ্টা খাটুনির পর বাসায় এসে রান্নাবান্নাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্ট না নিয়ে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মতো ব্যস্ততায় দিন কেটেও যখন ন্যায্য অধিকার বেতনের জন্য মাঠে লড়াই করতে হয় তখন তো সো-কল্ড নারীবাদীদেরকে দেখি না তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে? কেন, তারা টাকা দিতে পারবে না তাই তাদের পক্ষে কথা বলা যাবে না? মিডিয়াকে তো দেখা যায় না সেসব কাভারেজ দিতে? কেন, পোস্টের রীচ কমে যাবে তাই?

~সারাজীবন সভ্যতার মনোরঞ্জনের জন্য কাজ করা যদি প্রগতিশীলতা হতে পারে, তাহলে নিজের স্বামী নিজের বাচ্চা, নিজের পরিবারের দেখাশোনা করাও প্রগতিশীলতা। অন্তত এখানে অপরের পা চাটতে হয় না।

~ম্যারিটাল রেপ হতে পারে, সবার মন মানসিকতা তো আর এক না। সঙ্গী হিসেবে মেয়েদের ও দায় থাকে, তার মানসিকতা পরিবর্তন করার। কয়েকদিনেই তার সামগ্রিক অবস্থা বুঝা যায়, সম্ভব না হলে চোখ বুজে সব সহ্য করার কোনো মানে হয় না। ডিভোর্স দিয়ে দেন। কিন্তু ২০/৩০ লাখ টাকা কাবিনে মেয়েকে বিয়ে করাইয়া জীবনের যে সিকিউরিটি বাবারা নিশ্চিত করে সেই সিকিউরিটিতে ছেলেরা সারাজীবন মেয়েকে আগলে রাখে। শুধুমাত্র মানসিকতার অমিল হওয়ায় এতো বিশাল অর্থ দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। সম্পর্কে শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকলে টাকার পাহাড় দিয়ে সেটার নিশ্চয়তা দিতে হয় না। যখনি টাকার শিকলে মেয়েকে আবদ্ধ করাবেন বুঝতে হবে মেয়েকে কোনো ছেলের সাথে বিয়ে দেন নি, বিয়ে দিয়েছেন পাষণ্ডের সাথে যে আপনার মেয়েকে টাকার ছলে (মায়ার ছলের বদলে) বুকে টেনে খুবলে খাবলে খাবে!

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মেয়েরা, বুঝ হোক প্রতিটি বাবার, ক্যাপিটালিজমের ঘোর কেটে যাক নারীবাদীদের...

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২০

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: ভাই, এটা শুধু ম্যারিটাল রেপ এর বিষয়ে না। সকল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিছু পন্ডিত সমস্যা নিয়ে খোচুখুচি করবে কিন্তু সমাধানের বেলায় কর্পূর এর মত হাওয়া হয়ে যাবে। এরা পারে শুধু আতঙ্ক তৈরী করতে; সমাধান এদের কাছ থেকে আশা করা ঠিক না।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। নিত্যনতুন ক্যাঁচাল তৈরি করে এরা শুধু লাইমলাইটে থেকে পকেট ভরায় ব্যস্ত!

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব মানুষ ভালো হয়ে যাক।
পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে যাক।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সেটাই প্রত্যাশা!

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধরুন একটা মসজিদ বা একটা মন্দির অথবা একটা গীর্জা সম্পূর্ন বিনাকারনে ভেঙ্গে ফেলা হলো।

তখনও দেখবেন, একদল লোক পক্ষে থাকবে, আরেক দল বিপক্ষে থাকবে।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: পক্ষে বিপক্ষে থাকাটা দোষনীয় কিছু নয় যদি যৌক্তিক আলোচনা করা হয় আর বিষয়বস্তুটা প্রাসঙ্গিক হয়। তা না করে হিপোক্রেসি করলে-

বাঙ্গালিকে এই হিপোক্রেসির জন্য চরম মূল্য চোকাতে হবে!

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: এটা আর দশটা অপরাধের মত না কারণ এটা নিয়ে সমাজে সচেতনতা খুবই কম।
একটা সার্ভেতে পড়েছিলাম অনেকে এটাকে অপরাধ হিসেবেই দেখে না।
এই দৃষ্টিভংগিটা বদলানো দরকার।

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এটার ব্যপারে সচেতনতা অবশ্যই তৈরি করতে হবে। কিন্তু শুধুমাত্র সচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমেই নিজের দায়কে সীমাবদ্ধ রেখে তাদেরকে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলে দিতে পারি না।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের মানুষ সভ্য হবে কবে কে জানে

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এখন সভ্যতার মুখোশ কিনা যায়, কি দরকার ত্যাগের বিনিময়ে সভ্য হওয়ার!

৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৭

নতুন বলেছেন: ভাই আপনি যেটা বললেন যে বিয়েতে মেয়েদের একটু মানিয়ে নিতে হবে কারন স্বামীকে ছেড়ে গেলে তাদের কি অবস্থা হবে !!!

আপনি ঠিকই বলেছেন যে ম্যারিটাল রেপ খুব বড় একটা বড় বিষয় হয়তো না।

স্বামীরা যখন কোন স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তখন বিয়েটার মৃত্যু হয়।

সমাজে অনেকেই নারীকে স্বামীর অত্যাচারকে মেনে নিতে বলবেন। যদি ডিভোস হয় তবে নারীটির কি হবে এই ভেবে?

যৌতুকের কারনে, পরকিয়ার কারনে, সম্পত্তির কারনে, বা অন্য কোন কারনে কতজন নারী প্রান হারায় বিশ্বে???????

একটা জিনিস অনেকেই বুঝতে চায় না যে মানুষের জীবন থেমে থাকেনা। সমাজ যদি ডিভো`সের পরে নারীকে খারাপ চোখে না দেখে তখন কেন নারীর সমস্যা হবে?

আসে সমাজকে ঠিক হতে হবে। তখন এই সব সমস্যায় নারীকে পড়তে হবে না।

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মানিয়ে নেওয়ার কথা কেন বলছিঃ অধিকাংশ মেয়েরাই সিরিয়ালে আসক্ত। সিরিয়ালে কি দেখায় সেটা মনে হয় না আর বলতে হবে.। শ্বশুর বাড়িতে গেলে সব কিছুকেই তিল থেকে তাল বানিয়ে ফেলে হয়তো বুঝে হয়তো বা না বুঝেই। দুই পরিবারের চিন্তাধারা এক নাও হতে পারে, এজন্যই কিছুদিন ধৈর্যের প্রসঙ্গ আসে। ম্যারিটাল রেপকে মানিয়ে নিতে বলিনি, যেহেতু প্রসঙ্গ আসছে তাই সামগ্রিকভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়েই বললাম।

গায়ে হাত তোলাটাকে নপুংশকের কাজ বলে মনে করি, তবে কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে যায়। এটা পুরোটাই আপেক্ষিক। তার অপকর্মের জন্য তাকে ডিভোর্স দিবো তাও তাকে কাবিনের ১৫/২০ লাখ টাকা দিতে হবে, টাকা কি ভেসে আসে!!! তাই ক্ষেত্র বিশেষে শাসনটা অপরিহার্য হয়ে পরে। অনেকে বীরত্ব দেখাতে গিয়ে যে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেনা সেটা কিন্তু বলছি না, এমনটাও হয়। তখন সেসব সহ্য না করে সরে আসাটাই ভালো।

পরকীয়ায় মেয়েরা শাস্তির আওতায় পরে না। পরকীয়া করবে, স্বামীর সংসারে অশান্তি করবে, কিছু বললেই ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা চাইবে, জীবনটা কি একটা খেলনা!!! বাংলাদেশের সমাধানকৃত ৯০ ভাগ নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ২০১৭ সালের ১৭ হাজার নারী নির্যাতন মামলার মধ্যে ৪ হাজার মামলা পুলিশ ইনভেস্টিগেশনের সময়ই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা আর আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে নাই।

~আপনি ঠিকই বলেছেন, জীবন কি আর থেমে থাকে? জীবন থেমে থাকে না। ১২/১৪ ঘণ্টা ডিউটি করে আবার সেই টাকার জন্যই রাস্তায় নামতে হয়। ক্যাপিটালিজমের স্বার্থে আবার তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কোম্পানি থেকে বের করে দেয়। ভেবে দেখেছেন কি, তার পরে তারা কি করে খাবে?

জীবন থেমে থাকে, কিন্তু পেট থেমে থাকে না!

৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানিয়ে নেওয়ার কথা কেন বলছিঃ অধিকাংশ মেয়েরাই সিরিয়ালে আসক্ত। সিরিয়ালে কি দেখায় সেটা মনে হয় না আর বলতে হবে.। শ্বশুর বাড়িতে গেলে সব কিছুকেই তিল থেকে তাল বানিয়ে ফেলে হয়তো বুঝে হয়তো বা না বুঝেই। দুই পরিবারের চিন্তাধারা এক নাও হতে পারে, এজন্যই কিছুদিন ধৈর্যের প্রসঙ্গ আসে। ম্যারিটাল রেপকে মানিয়ে নিতে বলিনি, যেহেতু প্রসঙ্গ আসছে তাই সামগ্রিকভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়েই বললাম।


একটা মেয়ে বাবার বাড়ী ছেলে ছেলের বাড়ী চলে আসে। অধিকাংশ মেয়ে সিরিয়ালে আসক্ত কথাটা ব্লগার হিসেবে আপনি বলতে পারেন না, এতো জেনারেল ভাবে সবাইকে একটা দোষ দিতে পারেন না।

শশুর বাড়ীর মানুষকেই প্রথমে মেয়েটিকে মানিয়ে নেবার দায়িত্ত নিতে হবে। মেয়েটা সবকিছু ছেড়ে এসেছে।

যদি কোন নারী স্বামীর দ্বারা ধষিত হয় তবে তার কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?

মেনে নেওয়া নাকি প্রতিবাদ করা?


গায়ে হাত তোলাটাকে নপুংশকের কাজ বলে মনে করি, তবে কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে যায়। এটা পুরোটাই আপেক্ষিক। তার অপকর্মের জন্য তাকে ডিভোর্স দিবো তাও তাকে কাবিনের ১৫/২০ লাখ টাকা দিতে হবে, টাকা কি ভেসে আসে!!! তাই ক্ষেত্র বিশেষে শাসনটা অপরিহার্য হয়ে পরে। অনেকে বীরত্ব দেখাতে গিয়ে যে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেনা সেটা কিন্তু বলছি না, এমনটাও হয়। তখন সেসব সহ্য না করে সরে আসাটাই ভালো।


আপনার গায়ে যদি কেউ হাত তোলে তবে সেটা আপনি মেনে নেবেন? হয়তো সে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে হাত তুলেছে তাই আপনি মেনে নিতে পারবেন?

আপনার সাধ্য মতন কাবিন করবেন আপনি! আপনাকে কে বাধ্য করেছে ২০ লক্ষটাকা দিয়ে কাবিন করতে? আপনি যখন ভাব দেখিয়ে ২০ লক্ষটাকা কাবিন করবেন তখন তার পরিনামও ভাব দেখিয়ে মোকাবেলা করবেন। বিয়ের শুরুটা যদি ভন্ডমী দিয়ে শুরু করে তবে তাদের উদ্দেশ্য ভালো না।

পরকীয়ায় মেয়েরা শাস্তির আওতায় পরে না। পরকীয়া করবে, স্বামীর সংসারে অশান্তি করবে, কিছু বললেই ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা চাইবে, জীবনটা কি একটা খেলনা!!! বাংলাদেশের সমাধানকৃত ৯০ ভাগ নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ২০১৭ সালের ১৭ হাজার নারী নির্যাতন মামলার মধ্যে ৪ হাজার মামলা পুলিশ ইনভেস্টিগেশনের সময়ই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা আর আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে নাই।

হা হা হা হাসি পেলো। একটা নারী কার সাথে পরকিয়া করে?????? নারীর সাথে? না কি আরেকটা পুরুষের সাথে...

তাহলে পরকিয়ার জন্য নারী এবং পুরুষ উভয়ই সমান দায়ী। বরং পুরুষই একটা নারীকে প্রলুব্ধ করে পরকিয়াতে টেনে আনে। খুব ই কম পাবেন যেখানে বিবাহিত নারী একজন পুরুষকে পরকিয়াতে টেনে আনে।

~আপনি ঠিকই বলেছেন, জীবন কি আর থেমে থাকে? জীবন থেমে থাকে না। ১২/১৪ ঘণ্টা ডিউটি করে আবার সেই টাকার জন্যই রাস্তায় নামতে হয়। ক্যাপিটালিজমের স্বার্থে আবার তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কোম্পানি থেকে বের করে দেয়। ভেবে দেখেছেন কি, তার পরে তারা কি করে খাবে?

নারী পুরুষ দুইজন ঘরে বাইরে দুই দিকটা সামলায়। তাই পুরুষ যেমন বাইরে কাজ করে নারীও ঘরের সব কাজ করে। সন্তান বড় করে।

একজন পুরুষ শুধুই অফিস করে টাকা আয় করলেই কি সন্তান দেখা শুনা করে সংসার করতে পারে স্ত্রীর সাহাজ্য ছাড়া???

তাই যদি পুরুষের সংসার করা, পরিবার করার ইচ্ছা থাকে তবে তাকে নারীকে সন্মান করে, ভালোবেসে করতে হবে।

আয় করে বলে পুরুষ নারীর মালিক না। নারীর গায়ে হাত তোলার ক্ষমতা পুরুষের নাই এটা একটা অপরাধ তার জন্য আইনে সাজাও আছে মনে হয়।

জীবন থেমে থাকে, কিন্তু পেট থেমে থাকে না!

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: দি কোন নারী স্বামীর দ্বারা ধষিত হয় তবে তার কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?

মেনে নেওয়া নাকি প্রতিবাদ করা?

~অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। কিন্তু সবকিছুর একটা সময় আছে। আইন ও কখনো হুট করেই কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের মেয়েদের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না। রোমান্টিসিজমে কোনটা স্বাভাবিক আচরণ আর কোনটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সেটা বুঝার জন্য ও সময় লাগে। ছেলেদের স্বাভাবিক যৌন আচরণ আর মেয়েদের আচরণ এক না। উভয়ে উভয়কে মানিয়ে নিয়ে সংসার কিরিতে পারবে কিনা সেটা মূখ্য। না হলে দরকার নেই।


আপনার গায়ে যদি কেউ হাত তোলে তবে সেটা আপনি মেনে নেবেন? হয়তো সে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে হাত তুলেছে তাই আপনি মেনে নিতে পারবেন?

~আমার বাবা-চাচা কিংবা ভাই যদি গায়ে হাত তোলে নিশ্চয়ই অযথা তুলবে না। আমার শিক্ষক্ব্র ও সেই অধিকার আছে, প্রয়োজনে আমাকে শাসন করার। আপনার সাথে দু'দন্ড তর্কে যদি আমার গায়ে হাত তোলেন তাহলে নুশ্চয়ই আমি সহ্য করবো না। কারণ আমার সাথে আপনার সেই সম্পর্ক নেই যাতে আপনি গায়ে হাত দিয়ে শাসন করার অধিকার পাবেন। স্বামীর সাথে স্ত্রীর কি এমন দূর দূর সম্পর্ক যে কেউ কাউকে প্রয়োজনে শাসনের অধিকার পাবে না?

আপনার সাধ্য মতন কাবিন করবেন আপনি! আপনাকে কে বাধ্য করেছে ২০ লক্ষটাকা দিয়ে কাবিন করতে? আপনি যখন ভাব দেখিয়ে ২০ লক্ষটাকা কাবিন করবেন তখন তার পরিনামও ভাব দেখিয়ে মোকাবেলা করবেন। বিয়ের শুরুটা যদি ভন্ডমী দিয়ে শুরু করে তবে তাদের উদ্দেশ্য ভালো না।

~২০ লক্ষ টাকা এটা আলোচনা প্রসঙ্গ। এমন হাজারো বিয়ে আছে যেখানে ছেলে ৫/৭ বছরে যা ইনকাম করতে না পারবে তার থেকে কাবিনের টাকা বেশি। ছেলেরা কখনো এতো কাবিন দিয়ে বিয়ে করতে যায় না, কিন্তু হাটের সব গরুর দামই যদি বেশি হয় কুরবানি দেওয়ার জন্য একটা না একটা তো কিনতেই হবে। কুরবানী আপনি নাই বা দিতে পারেন, তাই বলে বিয়ে ছাড়া থাকা সম্ভব? (অড যুক্তি এজন্য দিলাম যাতে তারপরও বুঝানো যায়। কিন্তু অনেকেই বাস্তবতা অন্ধ। এমন ভাষার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।)


তাহলে পরকিয়ার জন্য নারী এবং পুরুষ উভয়ই সমান দায়ী। বরং পুরুষই একটা নারীকে প্রলুব্ধ করে পরকিয়াতে টেনে আনে। খুব ই কম পাবেন যেখানে বিবাহিত নারী একজন পুরুষকে পরকিয়াতে টেনে আনে।

~আমি বলেছি, নারী পুরুষ উভয়ে পরকীয়া করলেও পরকীয়ার শাস্তির আওতাভুক্ত শুধুমাত্র একজন পুরুষ হয়। নারীকে এক্ষেত্রে বিচারের আওতায় আনা হয় না।

~অন্যান্য কথার কিছুটা সমর্থন করছি, কিছুটা বিরোধিতা করছি। তবে সেসব ঠুনকো আলোচনা করে লাভ হবে দেখছিনা। সমস্যার গোড়া থেকে সমাধান না করলে যতই রসালো আলাপ করি না কেন, সমস্যা কেবলই বাড়বে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ও মত প্রকাশে স্বাগত জানাই।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: দি কোন নারী স্বামীর দ্বারা ধষিত হয় তবে তার কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?

মেনে নেওয়া নাকি প্রতিবাদ করা?

~অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। কিন্তু সবকিছুর একটা সময় আছে। আইন ও কখনো হুট করেই কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের মেয়েদের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না। রোমান্টিসিজমে কোনটা স্বাভাবিক আচরণ আর কোনটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সেটা বুঝার জন্য ও সময় লাগে। ছেলেদের স্বাভাবিক যৌন আচরণ আর মেয়েদের আচরণ এক না। উভয়ে উভয়কে মানিয়ে নিয়ে সংসার কিরিতে পারবে কিনা সেটা মূখ্য। না হলে দরকার নেই।


আপনার কথায় মনে হচ্ছে আপনি বিবাহিত না। স্বামী স্ত্রীর মাঝে রোমান্ছ আর স্বামী জোর করার জন্য সময় লাগে যেহেতু বলছেন তাই এখনো আপনি ঐ পরিস্থিতি বোঝার মতন অভিঙ্গতা আপনার নাই মনে হচ্ছে।

আপনার গায়ে যদি কেউ হাত তোলে তবে সেটা আপনি মেনে নেবেন? হয়তো সে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে হাত তুলেছে তাই আপনি মেনে নিতে পারবেন?

~আমার বাবা-চাচা কিংবা ভাই যদি গায়ে হাত তোলে নিশ্চয়ই অযথা তুলবে না। আমার শিক্ষক্ব্র ও সেই অধিকার আছে, প্রয়োজনে আমাকে শাসন করার। আপনার সাথে দু'দন্ড তর্কে যদি আমার গায়ে হাত তোলেন তাহলে নুশ্চয়ই আমি সহ্য করবো না। কারণ আমার সাথে আপনার সেই সম্পর্ক নেই যাতে আপনি গায়ে হাত দিয়ে শাসন করার অধিকার পাবেন। স্বামীর সাথে স্ত্রীর কি এমন দূর দূর সম্পর্ক যে কেউ কাউকে প্রয়োজনে শাসনের অধিকার পাবে না?


আপনার কথায় যদি বিরক্ত হয়ে আপনার স্ত্রী গায়ে হাত তোলে আপনি মেনে নেবেন?

আপনার তো মেনে নেবার কথা কারন আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার কি এমন দূর দূর সম্পর্ক যে কেউ কাউকে প্রয়োজনে শাসনের অধিকার পাবে না?


কাবিনের ধর্মীয় নিয়ম এখন কেউই মানেনা। স্ত্রীদের ঠকায় এবং লোকদেখানোর জন্য বেশি কাবিন লেখে।

অবশ্যই পরকিয়ার জন্য উভয়েরই সাজার আইন থাকা উচিত।
কাউকে পছন্দ হলে তালাক নিয়ে অন্যকে বিয়ে করা উচিত। প্রতারনা করা উচিত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.