নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানতে চাই। সমালোচনা করি বলেই তো সমালোচিত!

ইব্‌রাহীম আই কে

লিখতে পারিনা। মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব সবার অভিযোগ আমি গল্প লিখতে পারিনা আমার লেখা গুলো প্রবন্ধ টাইপের হয় আর খুব বড় হয় তাই কারোর পড়ার ইচ্ছে হয়না।

ইব্‌রাহীম আই কে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন কখনো ন্যায়বিচার দিতে পারে না, আইন হলো শাসকের নির্দেশ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩০

একটা সময় দাস প্রথা বৈধ ছিলো, আইন করে সেটার বৈধতা দেওয়া হয়েছিলো। বৈধ ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী কর্তৃক ইহুদিদের গণহত্যা। দীর্ঘ ২০০ বছরের প্রচেষ্টার বিনিময়ে ভারতীয় উপমহাদেশ কলোনিয়ালিজম থেকে মুক্তি পায়।
শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয়, তৃতীয় বিশ্ব খ্যাত সকল দেশই একটা সময় কলোনিয়ালিজমের ছত্রছায়ায় নিগৃহীত হয়েছিলো। তখন এসব অনাচারগুলো বৈধ ছিলো।


বরং এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ব্যক্তিটি সমাজের চোখে, রাষ্ট্রের চোখে এবং অবশ্যই অবশ্যই আইনের চোখে দোষী ছিলো।

আজ আমরা সভ্য হয়েছি, অসভ্য বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সেটার বিরোধিতা করছি। আইন করে দাস প্রথাকে অবৈধ ঘোষণা করার সক্ষমতা অর্জন করছি।

আজ আমরা যেটাকে বৈধ বলে ভাবছি নিজেদের সর্বজ্ঞান প্রয়োগ করে, কয়েক প্রজন্ম পর মানুষ সেটাকে যে বর্বর, অসভ্য সংস্কৃতি হিসেবে চিহ্নিত করবে না তার নিশ্চয়তা কি? নিশ্চয় আমাদের থেকে তারা অধিক জ্ঞানী হবে, বেশি মানবিকতা বোধ সম্পন্ন হবে ঠিক যেভাবে আমরা আমাদের পূর্ব প্রজন্ম থেকে একটু বেশি আধুনিক হচ্ছি।

তারমানে আমাদের যুগে আমরা যত ভালো কাজই (আমাদের দৃষ্টিতে) করি না কেন অদূর ভবিষ্যতে সেটাকে বর্বরতা হিসেবে আখ্যা দেওয়াই স্বাভাবিক। আমাদের পক্ষে তো আর ভবিষ্যতে যেয়ে নিজের বর্তমানে কৃত কর্মকাণ্ডকে জাস্টিফাই করার সুযোগ থাকছে না যে, আমাদের দ্বারা সংঘটিত কোন কাজটি ভবিষ্যতেও ঐতিহ্য/বীরত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃত পাবে সেটা জেনে শুধুমাত্র সেটাকেই গ্রহণ করবো। এজন্যই ধর্মীয় নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য যাতে টাইম ডাইমেনশনের পূর্ব পরে সকল অবস্থাতেই নিজের কৃত কর্মকাণ্ডে কোনো রুপ অবিচার অনাচারের অবকাশ টুকু না থাকে।

কারণ স্রষ্টা সময়ের উর্ধ্বে, অনন্তকালের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা একমাত্র তারই আছে। সুতরাং তার দেওয়া দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে পথচ্যুত হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭

সাসুম বলেছেন: একটা বেশ থট প্রভোকিং লিখা। বেশ ভাল ছিল- লাস্টে গিয়ে থমকে গেলাম।

আমার এমন কোন কাজ করা উচিত হবেনা যেটা নেক্সট জেনারেশন বা ফিউচারে কারো কাছে অপরাধ বা অবৈধ বলে গন্য হয় এবং এই কারনে আমাকে স্রস্টার বিধান মেনে চলতে হবে!!

আমাকে বলবেন কস্ট করে কোন স্রস্টার বিধান মেনে চলতে হবে? দুনিয়াতে হাজারো লাখো গড, দেবতা, বা স্রস্টা আছেন। একজনের হালাল আরেকজনের কাছে একদম কাট্টা হারাম! সবচেয়ে বড় কথা ইন ফিউচারে তো দূরের কথা বর্তমানেও এমন অনেক স্রস্টার নিয়ম নীতি আছে যা বর্তমান যুগেও চরম মাত্রার অপরাধ হিসেবে গন্য ভবিষ্যৎ এর কথা বাদ ই দিলাম।

আমি তাহলে এই হাজার হাজার স্রস্টা থেকে কাকে বেছে নিবো? কার আইন মেনে চলব? কার কথা ফিউচারে অপরাধ হবেনা এটা বুঝব? কোন সাজেশান?

সুন্দর পোস্টের জন্য ভালোলাগা জানাইলাম। পোস্টে প্লাস

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: অবশ্যই আমার, আপনার আমাদের স্রষ্টা তো একজনই হবেন, তিনি যিনি ই হোন না কেন। তার দেওয়া বিভিন্ন উপাত্ত থেকে তাকে চিনতে পারার মতো পর্যাপ্ত শুধু সেগুলো খুজে নিতে হবে।

নিজেদের স্বার্থে যারা স্রষ্টাকে সৃষ্টি করে তাদের মোহে পরলে তো বিপথগামী হওয়াটাই স্বাভাবিক। চোখ কান খোলা রাখতে হবে, আর সত্যকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে, তাহলে আশা করা যায় যে উনি কখনোই তার বান্দাকে নিরাশ করবেন না।

হাজারো স্রষ্টা থেকে কাকে মেনে নিতে হবে সেগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যেতে পারে। যারা এ সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান রাখে তাদের স্বরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে।

ইচ্ছুক যাত্রাপথটুকু খুবই সহজ, অন্যথায় কঠিন থেকে কঠিনতর!

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আজগুবি ভাবনা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: অবশ্যই, আজগুবি ভাবনা।

হয়তো পোস্টটা, কিংবা মন্তব্যটি।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০১

সোবুজ বলেছেন: দিন দিন মানুষ উন্নত ও আধুনিক হয়।পুরোনকে বাদদিয়ে মানুষের সুবিধার জন্য নতুন নতুন আইন ও সমাজে নতুন নিয়ম নীতি চালু হয়।যারা পুরোনকে আকড়ে থাকে তারা পিছনে পড়ে থাকে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: হয়তো, হয়তো বা না!

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আইন কিভাবে প্রনয়ন করা হয়, তা' আপনার কাছে পরিস্কার?

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৪

বিটপি বলেছেন: স্রষ্টার আইন পরিপূর্ণ হয়। স্রষ্টার আদেশকে অর্থপূর্ণ করতে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন হয়। যেমন ইসলাম ধর্মমতে একজন পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারে। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়, এজন্যে বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন করা আছে যে, দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগবে।

আবার ধরুন, ইসলামে উত্তারধিকারের ব্যাপারে বলা আছে। কিন্তু পাওনাদারের পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে বলা নাই। তাই আইন করা আছে, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে আগে সরকারের পাওনা এবং তারপর পাওনাদারের পাওনা পরিশোধের পরেই বাকী সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টিত হবে।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শুরু করেছেন শেষে আসতে আসতে খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
আজকে যেমন এক দেশের বর্ডার পেরিয়ে আরেক দেশে ঢুকতে গেলে আটকে দেওয়া হয়, গুলি করা হয় আগামীতে কোনো এমন নিয়ম নাও থাকতে পারে। তখন এই বর্ডার আইনের ব্যাপারটিকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বর্বর বলেই মনে করবে আমাদের।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা বেশ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.