নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা-অজানা

ইব্রাহীমলিজা

সুস্থ্য ব্লগিং বাঞ্ছনীয়...

ইব্রাহীমলিজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ পহেলা বৈশাখ!B-) নাকি গত কাল-ই ছিল?:-*

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৪

আজ পহেলা বৈশাখ!B-) নাকি গত কাল-ই ছিল?:-* হঠাৎ থমকে গেলাম সকালে বিবিসি বাংলা শুনে। গতকাল ঢাকায় বাংলা বর্ষবরণ করলাম সারাদিন (মুটামুটি ক্লান্ত) কত কষ্ট করে, কিন্তু আজকে আবার পশ্চিম বংগে বাংলা বর্ষবরণ হচ্ছে... ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেলো না? যেহেতু বাংলা সাল একটাই, সেহেতু একটাই ক্যালেন্ডার হওয়া উচিৎ নয় কি?



এর পিছনে এক এক জন এক এক রকম যুক্তি তর্ক ও দেখিয়েছেন... বাংলাদেশ (ঢাকা) এর প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উজ্জ্বাপন করার যুক্তি হলো... ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর সাথে বাংলা পিক্স করে পেলেছে...:-/:-/

তাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তাহলে বাংলা সাল এর নিজস্ব/সক্রিয়তা কোথায়? এটা কি ঠিক? যেহেতু বাংলা মাস আর ইংরেজি মাস সমান/সমান সংখ্যক দিনও না, সেখানে কিভাবে ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর সাথে বাংলা ক্যালেন্ডার পিক্স/নির্ধারন করা যায়? তবে কলকাতার/ওয়েস্ট বেংগল এর যুক্তি আমার হিসাবে ঠিক আছে। এদের যুক্তি হচ্ছে... বাংলা দিন/মাস/বছর হিসেবে যেদিন বাংলা সাল শেষ হবে তার পর দিন ই পহেলা বৈশাখ, এবার এটা যদি ১৪ই এপ্রিল হয় হবে আর যদি ১৫ই এপ্রিল হয় হবে। আমার মনে হয় এতে বাংলা বর্ষ/সাল এর নিজস্ব/সক্রিয়তা বজায় থাকবে...



কারো যুক্তি/মতামত থাকলে স্বাদরে গ্রহণযোগ্য...



আমি কিছু বাংলা ক্যালেন্ডার উপস্থাপন করলাম যেখানে ১৪১৮ সাল ১৫ই এপ্রিল, মানে আজকে...

বৈশাখঃ



জৈষ্ঠঃ



আষাঢ়ঃ



শ্রাবণঃ



ভাদ্রঃ



আশ্বিনঃ



কার্ত্তিকঃ



অগ্রহায়ণঃ



পৌষঃ



মাঘঃ



ফাগুনঃ



চৈত্রঃ









বাংলা সাল পহেলা বৈশাখঃ

বাংলা ইংরেজি দিন

1360 1953 14-Apr 31

1361 1954 14-Apr

1362 1955 15-Apr 31

1363 1956 14-Apr 31

1364 1957 14-Apr 31

1365 1958 14-Apr

1368 1961 14-Apr 31

1369 1962 14-Apr 31

1370 1963 15-Apr 31

1371 1964 14-Apr

1373 1966 15-Apr 30

1374 1967 15-Apr 31

1375 1968 14-Apr

1376 1969 14-Apr 31

1377 1970 15-Apr 30

1378 1971 15-Apr 31

1379 1972 14-Apr 31

1380 1973 14-Apr 31

1381 1974 15-Apr 30

1382 1975 15-Apr 31

1383 1976 14-Apr

1384 1977 14-Apr 31

1385 1978 15-Apr 31

1386 1979 14-Apr

1388 1981 14-Apr 31

1389 1982 15-Apr 31

1390 1983 15-Apr 31

1391 1984 14-Apr 31

1392 1985 14-Apr

1393 1986 15-Apr 31

1394 1987 15-Apr

1395 1988 14-Apr 31

1396 1989 14-Apr 31

1397 1990 15-Apr

1398 1991 15-Apr 31

1399 1992 14-Apr 31

1400 1993 14-Apr

1401 1994 15-Apr 31

1402 1995 15-Apr 31

1403 1996 14-Apr

1404 1997 14-Apr 31

1405 1998 15-Apr 31

1406 1999 15-Apr 31

1407 2000 14-Apr 31

1408 2001 14-Apr 31

1409 2002 15-Apr 31

1410 2003 15-Apr 31

1411 2004 14-Apr 31

1412 2005 15-Apr 31

1413 2006 15-Apr 31

1414 2007 15-Apr 31

1415 2008 14-Apr 31

1416 2009 15-Apr 31

1417 2010 15-Apr 31

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২৬

রাগিব বলেছেন: ভারতে এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষ পুরানো পঞ্জিকা মতে বাংলা সালের হিসাব করে থাকে। সেই ক্যালেন্ডারে অনেক সমস্যা থাকায় বহু আগেই ড: শহীদুল্লাহ সহ অনেকজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে বাংলা একাডেমী কমিটি গঠন করে, বৈজ্ঞানিক ভাবে বাংলা সাল সংস্কার করা হয়। বাংলাদেশে সরকারী ভাবে সেটাই ব্যবহার করা হয়।


বাংলা সাল আর ইংরেজি সাল, দুইটাই সৌর বছর। কাজেই দুটির দিন সব সময় একই হওয়া উচিৎ। আগের পঞ্জিকায় সেটা হতো না। তাছাড়া কোনো কোনো মাস ৩২ দিনেও হতো। আপনার দেয়া (ভারতীয়??) পঞ্জিকাতেই দেখছি আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে ৩২ দিন। ওরকম বিদঘুটে ও অবৈজ্ঞানিক পঞ্জিকা ব্যবহার করার পেছনে ধর্মীয় ছাড়া আর কোনো যুক্তিই দেখি না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩২

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ....
কিন্তু এটা ভারতীয়রা এটা কেন করছে...? কোন যুক্তি আছে...?

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

সোহরাব সুমন বলেছেন: যুক্তি যাই হোক এতে করে দুই বাংলার দুরত্ব আরো বাড়ছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: সহমত

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

রাগিব বলেছেন: ভারতীয়রা পুরানো ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করে চলেছে। এরকম ঘটনা নতুন না। ইংরেজি তথা খ্রিষ্টাব্দের ক্ষেত্রে ১৫৮২ সালে পুরানো জুলিয়ান ক্যালেন্ডার বাদ দিয়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করা হলেও ইংল্যান্ডে তা চালু হয় ১৭৫২ সালে, আর রাশিয়াতে ১৯১৮ সাল অবধি তা চালু ছিলো।

এক সময় ওখানেও সংস্কার করা ক্যালেন্ডার চালু হবেই।

---

বাংলা ক্যালেন্ডারের সংস্কার প্রসঙ্গে বিস্তারিত ইতিহাস বাংলাপিডিয়াতে পাবেন


The length of a year in the Bangla calendar, as in the Gregorian calendar, is counted as 365 days. However, the actual time taken by the earth in its revolution around the sun is 365 days 5 hours 48 minutes and 47 seconds. To make up this discrepancy, the Gregorian calendar adds an extra day to the month of February every fourth year (except in century years not divisible by 400). The Bangla year did not take into account these extra hours. Bangla months too were of different lengths. In order to counter this discrepancy and make the Bangla calendar more precise, a committee to reform the Bangla calendar was set up on 17 February 1966 under the auspices of the bangla academy and under the guidance of muhammad shahidullah. Under the recommendations of the committee, the months from Baisakh to Bhadra were to be counted as of 31 days each, while the months from Asvin to Chaitra were to be considered as of 30 days, with Chaitra having 31 days every four years.

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪২

মেহদী১০ বলেছেন: আষাঢ় , শ্রাবন ৩২ দিনে মাস !!!!!!!!!!!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: :( :( :(

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

কবীর হুমায়ূন বলেছেন:
লোকনাথ পঞ্জিকা মতে বাংলা তারিখ বাংলাদেশের থেকে একদিন পরে হয়। তাই, এহেন অবস্থার প্রেক্ষিতে আজ পশ্চিম বঙ্গে পহেলা বৈশাখ। এর মিমাংসা করতে পারে দু'বাংলার বিদ্বজ্জনগণ সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে।

বাংলা সন একটিই হওয়া উচিৎ। ছোট কালে দেখেছি - দু'এলাকায় বৈশাখী মেলা দুদিন হতে।

এর থেকে পরিত্রান পেতে চাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৭

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: ১০০% সহমত

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৫

আশীষ চ্যাটার্জী বলেছেন: পুরানো বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে কোন বছর ১৪ই এপ্রিল আবার কোন বছর ১৫ এপ্রিল নববর্ষ হয়। আমাদের দেশে ১৯৮৮ সাল থেকে শহিদুল্লাহর সাজানো পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়। কিন্তু এটি নিতান্তই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের নকল। তাই কোন বৈচিত্র্য নেই। অন্য বাংলা পুরানো পঞ্জিকা গণনার পদ্ধতিটি বেশ জটিল।

আসলে তৎকালীন সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানী সরকার পশ্চিম বাংলা থেকে আলাদা একটি বাংলা পঞ্জিকা চেয়েছিল। তারা শহিদুল্লাহকে দিয়ে ইংরেজি ক্যালেণ্ডার নকল করায়। তখন সরকারী কাজে বা কাগজপত্রে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা তারিখ ব্যবহারের চল ছিল না। ১৯৮৮ সালের আগে তা অব্যবহৃত পড়ে ছিল। ১৯৮৮ সালে এরশাদ চালু করে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৪

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: কিন্তু এটি নিতান্তই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের নকল। তাই কোন বৈচিত্র্য নেই।

একদম ঠিক বলেছেন.... নিজস্ব/সক্রিয়তা বলতে কিছুই থাকলো না...

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২০

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: কিন্তু এটি নিতান্তই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের নকল। তাই কোন বৈচিত্র্য নেই।

একদম ঠিক বলেছেন.... নিজস্ব/সক্রিয়তা বলতে কিছুই থাকলো না...

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

সমাধানদাতা বলেছেন: @আশীষ চ্যাটার্জী ভাই:রাগিব ভাইয়ের ১ & ৩ নং কমেন্ট পড়ুন এবং তার বিরুদ্ধে কোন যুক্তি দাঁড়া করাতে পারলে করুন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: যুক্তি দাঁড়া করাতে পারলে ভাল হয়....

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৬

সৌরভ দাশ বলেছেন: @রাগীব ভাই, ২৮ দিনে যদি ফেব্রুয়ারি মাস বিঞ্জান সম্মত হতে পারে তবে ৩২ দিনের অাষাঢ় শ্রাবন মাস কেন বিঞ্জান সম্মত হতে পারবে না। এটাতো বাংলা ক্যালেন্ডারের স্বকীয়তা প্রকাশ করে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৯

ইব্রাহীমলিজা বলেছেন: আমিও এব্যপারে একমত...

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৩৬

মুহম্মদ তুষার খান বলেছেন:

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:২৮

পঞ্জিকা বলেছেন: বাংলা পঞ্জিকা শুধু মাত্র তারিখ নির্ধারণেই সীমাবদ্ধ নই। বাংলা একাডেমী কর্তৃক যে সংস্কার সাধন করা হয়েছে তা শুধু মাত্র বাংলা তারিখ সংস্কার বলা যেতে পারে। বাংলা তারিখ কখনও ১৪ই এপ্রিল আবার কখনও ১৫ এপ্রির কেন হয়? আর বাংলা তারিখ গননার জন্য আমি একটি বিজ্ঞান সম্মত জুলিয়ান পদ্ধতি আবিস্কার করেছি যা আমাদের প্রচলিত (পুরাতন পঞ্জিকা) বাংলা পঞ্জিকার সাথে হু বহু মিলবে। দয়া করে এখানে দেখুন।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৯

পঞ্জিকা বলেছেন: সংশোধন: দয়া করে বাংলা তারিখ কখনও ১৪ই এপ্রিল আবার কখনও ১৫ এপ্রির কেন হয়?- এর পরিবর্তে: ১লা বৈশাখ কখনও ১৪ই এপ্রিল আবার কখনও ১৫ এপ্রির কেন হয়? পড়বেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.