নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইব্রাহীম মুহাম্মদ

এক জন মানুষ । কোন রকম বেচে আছি।

ইব্রাহীম মুহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের প্রিয় গ্রাম , মনে পড়ে কি সবার

১০ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮


আমাদের গ্রাম

সূচনা ঃ কবি বলেছিলেন, “আমাদের গ্রামখানি ছবির মত।” সত্যি আমাদের পলাশপুর গ্রামটি একটি জীবন্ত ছবি। এ গ্রামের দক্ষিণ পাশ ঘেষে বয়ে চলেছে খরস্রোতা গোমতি নদী। পায়ে চলা মেঠো পথ গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে অনেক দূর। রোদেলা দুপুরে গ্রামের ঝোপঝাড়ের ভেতর হতে অবিরত ডাকাডাকি করে ঘুঘু পাখির দল। বাউল একতারা হাতে নিয়ে গায় আমাদের অতি পরিচিত গান।

বৈশিষ্ট্য ঃ আমাদের পলাশপুর গ্রামটি দৈর্ঘ্য-েপ্রস্থে সমান। এই গ্রামটি দু’টি পাড়ায় বিভক্ত। একটি বড় আটরা, অপরটি ছোট আটরা। গ্রামের পশ্চিম দিকে রয়েছে কয়েকটি বড় পাহাড়। পাহাড়ের পাদদেশে আছে নানা ধরনের ফলবান গাছের বাগান। আমাদের গ্রামে আম,জাম,কাঁঠাল ও আনারস প্রচুর পরিমানে জন্মে।

লোকসংখ্যা ঃ পলাশপুর গ্রামটি বেশ বড়। এই গ্রামে দুটি সম্প্রদায়ের লোক বাস করে। তবে হিন্দুর তুলনায় মুসলমান বেশি। গ্রামের অধিকাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। হিন্দু পরিবারগুলো সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এ গ্রামে প্রায় ৪০০০(চার হাজার) লোকের বাস।

এক নজরে আমাদের গ্রাম ঃ অনেক বছর আগে আমাদের গ্রামে একজন ঐতিহ্যবাহী হিন্দু জমিদার বাস করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঐসব জমিদারদের পাকা ঘরবাড়ি পাঞ্জাবিরা পুড়ে ফেলেছে। আমাদের গ্রামে সপ্তাহে একটি হাট বসে। এ হাটটি আমাদের গ্রমাটিকে সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ করেছে। এ ছাড়াও আমাদের গ্রামে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল ও দুটি মাদ্রাসা। উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দিন ধরে তার সুনাম বজায় রেখেছে। প্রত্যেক বছর এই বিদ্যালয় থেকে মতকরা ৭৫ জন ছেলেমেয়ে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি. পাস করে।

উপসংহার ঃ আমি আমার গ্রামকে ভালবাসি। আমার গ্রামে একে অন্যের প্রতি সহযোগিতার অভাব নেই। আপদে-বিপদে, অনুষ্ঠানে ও সামাজিক কর্মকান্ডে আমরা একে অপরের নিকটতম প্রতিবেশী। এ গ্রামের একজন অধিবাসী হয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.