![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন বিশিষ্ট সাইকো, নির্জনতা প্রিয় অদ্ভুত প্রকৃতির একজন মানুষ, মাঝে মাঝে আত্মমস্তিষ্কে এমন কিছু কল্পনা করি যা হয়তো কারো নিকট ভিত্তিহীন, কিন্তু আমার নিকট মহামূল্যবান ।
. ( গন্তব্যহীন পথে যাত্রা )
আবু রায়হান ইফাত
( ৪র্থ পর্বের পর থেকে )
( পাঁচ )
দুটি অবুঝ মনের মাঝে বিস্তৃত ছিলো সীমাহীন ভালোবাসা, যার কোনো দিক দিয়েই কমতি ছিলো না,
একসাথে হাতে হাত ধরে সবুজ বিস্তৃত প্রান্তরে হাটাহাটি , কাশবনের উচু ঢিলায় বসে আবিদ রিশিতা কে কবিতা আবৃত্তি করে শুনায় আর রিশিতা আবিদের কোলে শুয়ে কবিতা আবৃত্তি শুনে, মাঝে মাঝে আবিদ রিশিতার চুলের খোপায় সফেদ কাশ ফুল গেঁথে দেয় এবং নিজের ইচ্ছে মতো কাশ ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেয় রিশিতা কে, সাজাবেই না বা কেনো আবিদ....?? কাশ ফুল দিয় এলোমেলো সাজিয়ে আবিদ রিশিতার মাঝে খুঁজে পায় তার স্বপ্নে আশা অপ্সরী কে।
আবিদ স্বপ্ন বুনে ছোট্ট একটি সাজানো সংসারের যেখানে থাকবে রিশিতা আবিদ আর তাদের কোল জুড়ে দুটি ফুটফুটে সন্তান।
আবিদ তার স্বপ্ন বুনা কথা টি রিশিতা কে বলে এবং রিশিতা আবিদ কে আশ্বাস দেয় এই সাজানো স্বপ্ন নিয়ে......
-" রিশিতা আমাদের ছোট্ট একটি সংসার হবে, সেখানে থাকবো শুধু আমরা দুজন আর আমাদের কোলজুড়ে আসবে দুটি নতুন মুখ, আর তারাই হবে আমাদের পৃথিবী।
-" হুম, আমি ও তা আশা করি, আমাদের দুটি সন্তান থাকবে এক মেয়ে এবং ছেলে।
- " রিশিতা তুমি ওদের নাম রেখে দাও...
-" না আমি পারবো না, তুমি ই বলো তাদের কি নাম রাখবো
-" আমি না, তুমি বলো
-" ওকে ডান, আমি মেয়ের নাম রাখবো আর তুমি ছেলের নাম রাখবা
-" ওকে মহারাণী আপনার কথা শিরোধার্য, প্রথমে আপনি বলেন আমাদের রাজকন্যার নাম কি হবে......
-" মহারাজ, আমাদের কন্যার নাম হবে আদিভা, এইবার আপনি বলেন আমাদের রাজপুত্রের কি নাম হবে...??
-" হ্যা, মহারাণী আমাদের ভবিষৎ প্রদীপ পুত্র সন্তানের নাম হবে রিশাত।
এইভাবে চলতে থাকে তাদের আলাপচয়িতা, দুজনেই সর্বদা এমনকরে ভালোবাসায় পূর্ন এক নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্নে বিভোর থাকে।
( ছয় )
আজ আবিদ তার বাড়ি যাবে, তার মায়ের চিঠি এসেছিল দু'দিন আগে, একমাত্র বোনের বিয়ে উপলক্ষে বাবার অবর্তমানে পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসেবে তাকে বিয়েতে থাকতেই হবে, তার উপর একমাত্র ছোট বোন বলে কথা।
রিশিতা জানতো আবিদ যে আজ বাড়ি যাবে তাই সে আগে থেকেই ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে স্টেশনে আবিদ আশার জন্য অপেক্ষা করছিলো, আবিদ স্টেশনে পৌঁছে দেখে সর্বদা হাসজ্জোল থাকা মলিন মুখে প্লাটফর্মে বসে আছে, মেয়েটির চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে যেন এখনই অশ্রুর ঝড় বয়ে যাবে।
আবিদ রিশিতার কাছে গেলো, আবিদ কে দেখার পরেই রিশিতা কেঁদে দিলো।
আবিদ -" এইমেয়ে এমন করে কাঁদছো ক্যানো..???
রিশিতা-" কাঁদো কাঁদো গলায়... তুমি না গেলে হয় না....?
-" না, আমার তো যেতেই হবে
-" তোমাকে ছাড়া আমি থাকবো কি করে...??
আমি যে তোমাকে বড্ড ভালোবাসি
-" তোমাকে ছেড়ে থাকতে আমার ও অনেক কষ্ট হবে, কিন্তু তারপরেও আমার যেতে হবে
-" আমাকে ভুলে যাবে না তো,
- " তোমাকে ভুলা সম্ভব নাহ, তুমিই তো আমার সব
- " কবে ফিরে আসবে...??
-" বিয়ের সকল ঝামেলা শেষ হওয়ার পরেই চলে আসবো।
প্লাটফর্মে ট্রেন চলে আসলো
-" আসি, কয়েকদিন পরেই চলে আসবো, ভালো থেকো
-" তুমি ও ভালো থেকো, তাড়াতাড়ি চলে আসবা কিন্তু
-" আচ্ছা, আমি আসি ট্রেন ছেড়ে দিবে,
আবিদ চলে গেলো ট্রেনের দিকে, ট্রেন ছেড়ে দিলো প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে গেলো, রিশিতা যতদুর পর্যন্ত ট্রেন দেখতে পাচ্ছিল ট্রেনের দিকেই তাকিয়ে ছিলো, ট্রেন আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে গেলো আর রিশিতা ও মলিন মুখে বাড়ির দিকে ফিরে গেলো।
( চলবে.........)
©somewhere in net ltd.