নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমন মানব জনম আর কি হবে !

ৎঁৎঁৎঁ

আমি যুক্তিশূন্য ঈশ্বর মানতে রাজী আছি, কিন্তু কোন হৃদয়হীন ঈশ্বর না।

ৎঁৎঁৎঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নদী, নারী ও ছেলেটা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

একটা গল্প বলছি শোন;-

নদীর সাথে, নারীর সাথে- ছেলেটার গল্প।

তিন এর গল্প, এখানেও বুঝি সেই পবিত্র ত্রিত্ব!

যা হোক ছেলেটার কথায় আসি,

মায়ালু চোখ, যখন সময় সবুজ বয়সের,

ধীবর পুত্র, পৈত্রিক পেশাই যার শিরোধার্য।

বয়স এর সাথে তাল মিলিয়ে-

ওর আছে এক নবিন নৌকো।

ছেলেটার ছোটবেলা থেকেই এক আজব নেশা!

যেমন করেই হোক,

অচিনপুর এর সুর তুলবেই বাঁশিতে।

যে সুরের মায়ায়;-

স্বর্গ থেকেও মুখ ঘুরিয়ে নেয়া যায়।



রাতের বেলা যখন সূর্য ঘুমে,

ছেলেটা তার নৌকোই ভেসে পড়ে ...

ও নদীর কথা বলিনি এখনও,

মায়াবী, সুরেলা নদীর কথা!

রাত হলেই যে আদিম সঙ্গীতে

বেজে চলে, বাজে জল এ।

বাতাস মাঝে মাঝেই কান পাতে;-

বাঁশীতে, নদীতে কত কথা যে হয়!

সে এক অপূর্ব যুগলবন্দী !

বাঁশীর সুর বুকে নিয়ে,

নদী বয়ে চলে, নদী বয়ে চলে।

আর যেদিন আকাশ ফুটে জ্যোৎস্না ঝরত

নদীটা যে কেমন রূপালী শাড়ীতে সাজত!

আহা, সে কি রূপ! চাঁদের আলোতে,

রূপার আভায় সে নদীর উথাল পাথাল যৌবন।



আর ওদিকে তরুন ধীবর,

ছোট্ট জাদুকর, রক্তে ওরও ডাকতো তুমুল বান!

রূপোর পাড়ে নৌকো ছেড়ে;-

তুলত বাঁশীতে অচিন সুর।

নদীর শিরায়, বাঁকে, উজানে, জোয়ারে...

চাঁদের আলোয় আকণ্ঠ সুর পান করে

নদীও উঠত নেচে, স্রোতে, ঢেউয়ে, বাতাসে, তালে।

কোথায় কোথায় যে ভেসে যেত ওরা,

কোন প্রাচীনে, কোন অচিনপুরে!



এভাবে যা হোক যাচ্ছিল দিন চলে,

নদীতে-বাঁশীতে-ছেলেতে চলছিল

যুগলবন্দী মেঘ মল্লার।



মেয়েটা থাকত সেই নদীর পাড় ঘেঁষে।

সজীব, সবুজ, আলোর টুকরো এক মেয়ে।

রাতে যখন দূর বাঁশী ভেসে আসত,

ঝাপটা মেরে নাড়িয়ে দিত বুকের দরজাগুলো,

সিঁদুকের মধ্যে ঢুকে কোথায় যে এক মোচড় দিয়ে

মেলে ধরত অজস্র পাল্লা...



বাঁশীর সুরে মজে গেল মেয়েটা !

বাঁশীর সুরে ডুবে গেল মেয়েটা ! !



বাঁশি থেকে বাঁশিওয়ালা আর দূর কত !

আশিক পেল মাশুকের দ্যাখা,

সুর খুঁজে নিল বুকের একটা বারান্দা,

দেখা হল দুজনে, ছেলেটা মেয়েটা!

বেজে উঠল আদিম মানবীয় ঐকতান,

বাসনার ঢেউয়ে ছুটল আর এক তরী,

যার নাম তোমরা বলেছ ‘ভালবাসা’।



যে পূর্ণিমার গর্ভে এ গল্পের জন্ম,

এবার বলছি সেই পূর্ণিমার কথা।

মেয়েটার দাবী নদীর বুকে,

চাঁদের সভাতে শুনবে মাতাল বাঁশী!

বাজবে বাজাবে, নাচবে নাচাবে, মিলবে মেলাবে!

ছেলেটার কথা আর বলার কি?

অভূতপূর্ব রোমাঞ্চ সুরে জেগেছে মানব!



এদিকে নদীও সেজেছে সাজে, আজ ওর জ্যোৎস্না বাসর!

চাঁদের আলোয় ঝলমলিয়ে ফুলে ফেঁপে,

আসর সাজিয়ে অপেক্ষায়, ঢেউয়ের পসরা তুলে...



হাল ছেড়ে ভাসিয়ে নৌকো;-

যাত্রা হল শুরু, উঠল বাঁশী বেজে।

বাতাসে পাখা মেলল অচিন সুর,

মেয়েটার বুকের ঢেউগুলো নেচে ওঠে।

কিন্তু আজকে এমন কেন যে?

কোথায় নদীর সেইসঙ্গত উচ্ছ্বাস?

বাতাস তো উন্মাতাল নয়!

আকাশ জুড়ে তো মেঘের কাল বিস্তার ঘটেনি!

তবে কেন নদীর চিরচেনা ঢেউয়ে;-

অচেনা বেসুরা বেরসিক মাতম?

বোঝেনি মানুষ,

বোঝেনা ছেলেটা, বোঝেনা মেয়েটা।



দিঘীর জলের মত টলটলে নীরব এক জোছনায়,

আজব ঝড়ে ফুসে উঠল নদীর বুক!

প্রচণ্ড এক ঘূর্ণি তুলে নেচে উঠে,

হিংসুটে এক রাক্ষস জাগে করুণ গ্রাসে!

অন্ধকার যখন ছেয়ে যায়,

হাতটা যখন ছুটে যায়,

সব কিছু যখন ডুবে যায়,

ঠিক সেই মুহূর্তে, ঠিক এক মুহূর্তের জন্য;-

মেয়েটা বুঝি বুঝেছিল!

নারী বুঝেছিল নদীর বেদন!

পুরুষ বোঝেনি ...

বাঁশি বোঝেনি...

কেউ বোঝেনি...





২০।০৬।২০১২-শীতলক্ষা, নারায়নগঞ্জ।







** আবারো কবিতায় গল্প, আবারো রিপোস্ট! এই কবিতায় আমি ব্লগ জীবনে প্রথম ভালো লাগা পেয়েছিলাম ব্লগার শব্দহীন জোছনা এর কাছ থেকে। কবিতাটি শব্দহীন জোছনা'র প্রতি বিনীত উৎসর্গ করলাম !!!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
+++++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন । পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।


ভালো থাকুন।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ভালো লাগলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ আলাউদ্দিন আহমেদ সরকার! কেমন আছেন?

পাঠে কৃতজ্ঞতা, শুভকামনা রইলো। :)

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

shfikul বলেছেন: +++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ shfikul। পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।


ভালো থাকুন।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

ভিয়েনাস বলেছেন: আবারো গল্প কবিতা :)

ভালো লাগা রইলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো ভিয়েনাস । :)


ভালো থাকুন অনেক।


৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

একজন আরমান বলেছেন:
কাব্য গল্প ভালো লাগলো।
কিন্তু শেষ প্যারায় এসে মন খারাপ হয়ে গেলো।

ভালো লাগা বরাবরের মতো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শেষ প্যারায় মন খারাপ? :(

নদীর থেকে মায়াবী, নদী থেকে নিষ্ঠুর আর কে আছে?

অনেক ধন্যবাদ একজন আরমান।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাহিদা আশরাফি বলেছেন: নারী বুঝেছিল নদীর বেদন!
পুরুষ বোঝেনি ...
বাঁশি বোঝেনি...
কেউ বোঝেনি...

ভাল লাগলো খুব।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সাহিদা আশরাফি । পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো!

একমাত্র নারীরই তো নদীর বেদন বোঝার কথা, আর কে বোঝার আছে?!

ভালো থাকুন, নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০

চারকল বলেছেন: 'নারী বুঝেছিল নদীর বেদন!
পুরুষ বোঝেনি…
বাঁশি বোঝেনি…
কেউ বোঝেনি…'

ভাল লাগা রেখে গেলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম চারকল ! পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।


শুভকামনা রইলো।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

শ্রাবণ জল বলেছেন: সুর খুঁজে নিল বুকের একটা বারান্দা..

পুরো কবিতায় কেমন একটা মায়া ছড়িয়ে আছে।
চোখের সামনে চলে আসছিল একটা নদী- রুপোলী চাঁদ- আর দুজন মানুষ।
শেষে নদীর উন্মত্ত রূপটাও যেন দেখতে পাচ্ছিলাম।

অনেক ভাল লাগা জানবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শ্রাবন জল, কেমন আছেন? গল্পটা মাথায় ছিল অনেকদিন, একদিন হুট করে লিখে ফেললাম। আর জানেনই তো, কবিতায় গল্প বলতে যাওয়াটা বেশ মুশকিল। গল্প আর কাব্যের মধ্যে একটা সমঝোতার কাজ করতে হয় :(

পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। :)


ভালো থাকুন, শুভকামনা রইলো নিরন্তর।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: দেখা হল দুজনে, ছেলেটা মেয়েটা!
বেজে উঠল আদিম মানবীয় ঐকতান,
বাসনার ঢেউয়ে ছুটল আর এক তরী,
যার নাম তোমরা বলেছ ‘ভালবাসা’।


কবিতার গল্প ভালো লাগলো :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন৬৫৩ , গল্প কবিতা ভালো লাগায় আনন্দিত! :)

ভালো থাকুন, নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

স্বপনবাজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো !

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপনবাজ ।

শুভকামনা রইলো।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: ++++++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তমেষূ । পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।



ভালো থাকুন। :)

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর। একটা ছোটগল্পের মত কবিতা। একদম ঝরঝরে কবিতা। কবিতাটা পড়েই আপনাকে অনুসারিত করে নিলাম। সময় করে আপনার অন্য লেখাগুলোও পড়া যাবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম সায়েম মুন ! দারুন সুন্দর একটা মন্তব্য করলেন, ভরসা পাইলাম। অন্য কবিতা গুলোপড়ার সাদর আমন্ত্রন রইলো। অনেক খুশী হব।

পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভকামনা রইলো, নিরন্তর ভালো থাকুন।

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

মাক্স বলেছেন: +++++++++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স ! স্যার, আপনার ক্লাস কেমুন চলে? নতুন কিছু লেকচার দিলে বড় উপকার হইত! :)

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৫

শূন্য পথিক বলেছেন: ++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য পথিক। পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।


ভালো থাকুন।

১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: শুধু মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম, শব্দর দারুন ব্যাবহার আর বাক্যের অপূর্ব ছন্দ, খুব ভাল লেগেছে। আপনার লেখা নিয়ে আর কি বলবো, আমার যোগ্যতা নেই। মুগ্ধ পাঠক।

++++++++++++

একুশ নিয়ে লিখেছি, সুযোগ পেলে. Click This Link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত*পথিক! অনেক বেশী বললেন, কবি লজ্জা পাইল ও খুশী হইল। আপনার পাঠে করে ভালো লাগা জানান বলেই লেখার ভরসা পাই।


একুশের কবিতা পড়লাম, আসলেই ভালো লিখেছেন অভিনন্দন রইলো।


ভালো থাকুন, শুভকামনা রইলো নিরন্তর।

১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

চয়নিকা আহমেদ বলেছেন:

নদী নারী ও ছেলেটার গল্প
অনেক সুন্দর তো!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম চয়নিকা আহমেদ। আপনার আগমনে খুশী লাগছে! :)


পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো।

শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.