নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় তুই,
আমি জানতাম, তোর আর কখনও ফেরা হবে না,
এক জনমে বৃষ্টির জল যেমন,
কখনও ফেরে না ঝরে পড়া মেঘে।
অতলে ডুববার নেশায় যার ঢুলুঢুলু আত্মা,
তার ফিরে আসবার পথে থাকে লাগাতার অবরোধ,
আমি জানতাম, আমরা আমাদের ঠিকই ভুলে যাব একদিন!
নিউরন খেকো ঘুগরো পোকারা ঝিঁঝি ডাকা রাতে
বসাবে ভোজ, ভেজাবে গলা আমাদের ফারমেন্টেড স্মৃতিরসে।
জীবনের মহুয়া মায়া, কামনার জলজ তরী,
এক শঙ্খনীল সৌরঝড়ে, দাঁড় টেনে এলোমেলো পালে,
পথহারানো ক্যানভাসে হাঁপ ছাড়ে ক্লান্ত কাপ্তান।
জল পরীদের তৃষ্ণা নেই, তবু ওর চোখ ভেসে যায় জলে,
জলপরীদের ডানা থাকে না, তবুও ওর চোখে বাজে নূপুরের স্বপ্ন!
আমি জানতাম, ঘুম ভেঙ্গে আর তোর ঘুম রাঙ্গা চোখ দেখা হবে না,
তুই জানতি, তোর জন্য আর আমার মেলায় গিয়ে আলতা কেনা হল না,
তোর কি এখন আর রুদ্রাক্ষ ভোরে বৈশাখী আগুনে জ্বলতে ইচ্ছে করে না?
বাঁশিটা অনেক পোড়ায় জানিস,
ওর কপালে আর কেউ টিপ এঁকে দেয় নি,
ওর মেঘে কেউ পরিয়ে দেয় নি,
রংধনু রেশমী চুরির আদর।
বহুদিন হয়ে গেল,
তোকেও আর কেউ আমার মত দুঃখ দিয়ে,
কেটে ছিড়ে চুর চুর উড়িয়ে দিলো না,
ঘন ঘোর বাউন্ডুলে বাউলা বাতাসে!
আর কি কখনও নদী হবি না?
তুই তো জানিস আমার বুকে সাজিয়ে রাখা ধু ধু বালু চরের অপেক্ষা!
তোর বুকের অন্ধকারে মখমল সুরভিত শয্যায়,
সেই যে হাড় কাঁপানো হিমে, এক বিকাল উষ্ণতার খোঁজে,
আমরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম শহরের গোটা উদ্যান।
শুধু তুই, - তোর আঁচলের কোনা ছিড়ে দিয়েছিলি বলে,
তখন আমি তোর হাতে হাত ঘসে আগুন জ্বালাতে জানতাম!
মেঘেদের যদি জন্ম আকাশের অশ্রু হয়ে ঝরবে বলে,
পোড়া যে কাজল কালিমা, সেও তোর চোখে মায়া হল চন্দ্র প্রতাপে,
যার কেউ থাকে না, তারও থাকে নিঃসঙ্গতার গান,
রাঁধাচূড়া রাত্রির লালসালু জোছনায়,
কামনার সন্তুর, যুগলবন্দী কিউপিড কামনীল মুর্ছনায়,
তোর বেঁচে উঠবার প্রতিটি ভোরে,
দেখিস তুই, তোর দলে চলা ঘাসফুলে ঘাসফুলে,
শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
ইতি,
আমি!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম!
কবিতা পাঠে আনন্দ হল!
ঈদ ও পূজা শুভেচ্ছা!
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: মুগ্ধপাঠ! এতো চমৎকার করে লিখেছেন। খুব ভালো লাগল।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ রাধাচূড়া ফুল ! কবিতা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে!
ঈদ ও পূজার যুগল শুভকামনা রইলো!
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
মায়াবী ছায়া বলেছেন: শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
........সুন্দর লিখেছেন ।।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী ছায়া! যার ছায়ারা মায়াবী তার অবয়বের মায়া কিরূপ?!
কবিতা পাঠে আনন্দ!
ঈদ ও পূজার মিলিত শুভেচ্ছা!
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
সুখপাঠ কবি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি! আপনার ভালোলাগা অবশ্যই বিশেষ ভালোলাগার!
ঈদ সাথে পুজা,
দ্বিগুণ ডাবল মজা!
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
বৃতি বলেছেন: চমৎকার কাব্যময় চিঠি! ইদানীং অনেক চিঠি পড়ছি ব্লগে এবং বেশ ভালো লাগছে ব্যাপারটা ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি! এইটা ঠিক বলেছেন, আশেপাশে প্রচুর চমৎকার চিঠি লেখা হচ্ছে! আমিও কবিতাটা চিঠির ঢঙ্গে সাজিয়ে ফেললাম! আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগছে!
ঈদ ও পূজার একাকার শুভেচ্ছা!
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
রাইসুল নয়ন বলেছেন:
দুটো লাইন পড়ে এলোমেলো হবার উপক্রম কবি!!!
তবে বলবো না কোন দুই লাইন!
সুন্দরতর সৃষ্টি।।
ভালো থাকুন।।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: খুব অন্যায়! ভালো লাগার লাইন আপনি বলেননা, এই জন্য কবির মাইনাস গ্রহন করুন!
কবিতা ভালো লাগায় আনন্দ হল কবি!!
ঈদ আর পূজার শুভেচ্ছা, কুষ্টিয়া আসলে দেখা হওয়ার আশায় রইলাম!
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো হইছে ভালো থাকুন কবি
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ভাই! কবিতা ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো!
ঈদ আর পূজা,
আহা কত মজা!
শুভেচ্ছা রইলো!
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
তওসীফ সাদাত বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম তওসীফ সাদাত ! লেখা ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দ হল!
ঈদ ও পূজার যৌথ শুভেচ্ছা!
অনেক ভালো কাটুক উৎসব!
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন কবিতা। +++++
ভাই আমি ফোন দেবো....!! গরু নিয়ে ঝামেলায় আছি।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই! গরু নিয়ে ঝামেলা তাহলে শেষ!
আশা করি আজ দেখা হবে!
শুভকামনা!
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: দেখিস তুই, তোর দলে চলা ঘাসফুলে ঘাসফুলে,
শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো!
চমৎকার!
ঈদ শুভেচ্ছা প্রিয় ইফতি
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই!
আশা করি চমৎকার ঈদ কাটিয়েছেন!
শুভকামনা রইলো!
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেখিস তুই, তোর দলে চলা ঘাসফুলে ঘাসফুলে,
শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো! সুন্দর। ভাল হয়েছে
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই! আশা করি উৎসব ছিল উৎসবেরই মতন!
শুভকামনা!
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ,
বেশ সুন্দর লিখেছেন -
....যার কেউ থাকে না, তারও থাকে নিঃসঙ্গতার গান....
শুভেচ্ছান্তে ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই! বেশ কিছুদিন পরে ব্লগে আসা হল এবং আপনাদের সাথে দেখা হল!
শুভকামনা রইল!
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: কবিতা আকারের চিঠি বেশ সুন্দর লাগলো। শুভেচ্ছা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই!
শুভকামনা রইল!
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এরকম মুগ্ধ করা কবিতা একটা সন্ধ্যাকে ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে দূর্জয় কবি!
শুভকামনা রইল!
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জেগে আছি!
ঈদের শুভেচ্ছা নিন!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে স্বপ্নবাজ!
স্বপ্নে থাকুন!
ভালো থাকুন!
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্রিয় তুই,
.............
................
........................
........................................
......................................................
......................................................................
ইতি,
আমি!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কবিতা পাঠে ধন্যবাদ bashor_17!
শুভকামনা রইল!
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: যার জন্যে এই চিঠি
সে কতই না ভাগ্যবতী!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: তোকেও আর কেউ আমার মত দুঃখ দিয়ে,
কেটে ছিড়ে চুর চুর উড়িয়ে দিলো না,
ঘন ঘোর বাউন্ডুলে বাউলা বাতাসে!
কবিতা পাঠে ধন্যবাদ হামা ভাই!
শুভকামনা!
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাঁশীটা এখনো কতটা পোড়ায় ?
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যতটা সে বাঁজতে চায়, ঠিক ততটাই!
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মনের মাঝে দুঃখগুলো উঁকি দিয়ে গেলো
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কান্ডারী!
শুভকামনা রইল!
২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
ভিয়েনাস বলেছেন: জল পরীদের তৃষ্ণা নেই, তবু ওর চোখ ভেসে যায় জলে,
জলপরীদের ডানা থাকে না, তবুও ওর চোখে বাজে নূপুরের স্বপ্ন!
ভালো লাগলো...
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস!
শুভকামনা রইল!
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: চমৎকার একটা কবিতা। হাসান মাহবুব ভাইয়ের মতোই বলতে ইচ্ছে করছে- ভাগ্যবতী হয়তো এর মর্ম বুঝলো না। সত্যি হলো, ভাগ্যবতীরা মর্ম বোঝেনা দেখেই এমন একটা কবিতার জন্ম হয়।
অনেক ভালো লাগলো। এই দু-জায়গায় এভাবে পড়লাম।
আমরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম শহরের গোটা উদ্যান।
শুধু তুই, - তোর আঁচলের কোণা ছিড়ে দিয়েছিলি বলে,
ভালো থাকুন। সব সময়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সজীব ভাই! নিচে আপনি এবং সোনাবীজ ভাই যে আলোচনা চালিয়েছেন এর জন্য এই পোস্টটাকে আমার নিজেরই প্রিয়তে নিতে ইচ্ছে করছে!
জ্বালিয়ে ঠিক করেছি! কোনা বিষয়ে আপনাদের কথা সবগুলো পড়ে নেই আগে!
আশা করি ঈদে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন!
শুভকামনা রইল!
২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতায় প্রেমানুভূতির সাথে আরও কিছু ছিল। অন্যরকম করে তুলেছে। সম্ভবতঃ সেটা কবির নিজস্ব স্বাক্ষর। কাব্যরূপ চিঠি বা চিঠিরূপ কাব্য উদ্বেলিত করল অনেক দিন পর।
শুভেচ্ছা কবি।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর! আপনার ভালো লাগলে কবিরও ভালো লাগে!
ভালো থাকুন! শুভকামনা রইলো!
২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
সায়েম মুন বলেছেন: কবিতায় অনেক ভাললাগা রইলো।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম ভাই!
ভালো থাকুন!
শুভকামনা রইলো!
২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তোর বেঁচে উঠবার প্রতিটি ভোরে,
দেখিস তুই, তোর দলে চলা ঘাসফুলে ঘাসফুলে,
শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
চমৎকার লাগলো।
সজীভ ভাই@
কোনা বানান ঠিক আছে। কোণ বানান হবে ‘ণ’ দিয়ে। আপনার বানান-জ্ঞান আমার ভালো লাগছে।
শুভ কামনা এবং ইদের শুভেচ্ছা।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই! ভালো লাগায় আনন্দ তো বটেই, সেই সাথে মূল ভালোলাগা আপনাদের আলোচনায়!
আমি বলতে পারেন নাপিতের মত ফোঁড়া কাটি, মানে আন্দাজে বানান লেখি, ভুল বা ঠিক যে কোনোটাই হতে পারে!
আশা করি চমৎকার ঈদ উৎসব গেল!
শুভকামনা!
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই, কেমন আছেন? ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
কোনা বানানটা ভুল নয়। এটা ঠিক আছে। তবে আঁচলের কোনা এর চেয়ে আঁচলের কোণা বেশি প্রচলিত। তাই আমি এভাবে পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আসলে এখানেও তো সেই কোণই।
শব্দটা ঠিক ঠিক জানা থাকলে তার ব্যবহার নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কেবল এজন্যই, এখানে আমি বলিনি কোনা বানানটি ভুল। অন্যদের ব্লগে ঠিক যেভাবে বলি আর কী। ধন্যবাদ। কিন্তু আমার নামের বানানটার কি হবে?
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমি কিন্তু আপনাদের আলোচনার স্রেফ দর্শক! আমি বড়জোর অভিধান খুলে বানান দেখতে পারি। তাও সবসময়ে হয়ে ওঠে না!
আপনাদের আলোচনার সাথে আছি! এবং মজা পাচ্ছি!
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
নিয়েল হিমু বলেছেন:
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো নিয়েল হিমু ভাই!
ভাল থাকুন!
জোছনায় থাকুন!
২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সজীব ভাই@
ভালো লাগলো। প্রচলিত এক জিনিস, আর শুদ্ধ বানান অন্য জিনিস। আঁচলের কোনা এবং আঁচলের কোণ- শুদ্ধ বানান এইরূপ। এর বাইরে অন্য কিছু প্রচলিত থাকলেও সেটা অশুদ্ধ।
বানানের ব্যাপারে আমি স্মৃতির চেয়ে বানান-অভিধানের উপরই নির্ভরশীল। এজন্য সব সময় হাতের কাছে বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান বইটি রাখি ধরণিতে চিরকালই রমণীরা এক ধরনের তরণিতে চড়ে কথার তির ছুঁড়তে ছুঁড়তে উল্লাসে ফেটে পড়েন। সম্যক বানান-জ্ঞান না থাকলে আমার এ বাক্যে যে কেউ অন্তত ৪টি বানান ভুল বের করবেন কিন্তু আদতে এ বাক্যের ঐ চারটি বানান সঠিক।
ইদ ভালো কাটুক সজীব ভাই। আপনি নাকি দোহারের ছেলে?
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধরণিতে চিরকালই রমণীরা এক ধরনের তরণিতে চড়ে কথার তির ছুঁড়তে ছুঁড়তে উল্লাসে ফেটে পড়েন। - ইয়ে, আপনি তো ঠিকই বলেছেন, আমার এখানে বেশ কিছু বানান ভুল বলে মনে হল! তার মানে বানান ঠিক হল না ভুল হল এইটা একটা কঠিন ব্যাপার বটে!
২৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই, ঈদ ভালো কেটেছে নিশ্চয়ই আপনারো ভালো কেটেছে। আমি ঠিক দোহার না, নবাবগঞ্জের ছেলে। প্রচলিত হলেও অশুদ্ধ, এইটা মানতে মন সায় দেয় না।
আচ্ছা, আমাদের বাংলা অভিধান পেয়েছি কবে? খুব বেশি দিন আগে নয় কিন্তু। কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৮৫ তে এরপর কাজ শেষ হতে হতে ১৯৯২। এখন এর আগে যারা লিখেছেন তাদের বানানকে আমরা কি অশুদ্ধ বলতে পারবো? এক কথায় না।
এখন যারা আগে থেকেই লিখে অভ্যস্ত তারা যদি এই অভিধান অনুসরণ না করেন তবে কি বলবেন তাদেরটাও অশুদ্ধ?
আমি আসলে এই রকম রিজিট হতে চাইনা। তবে এখন আমাদের অবশ্যই বাংলা একাডেমীর বাংলা অভিধান অনুসরণ করা উচিত। এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ এক মত। একই সাথে কোনা এবং কোণা দুটি শব্দই সঠিক। আপনি একটু খেয়াল করবেন, এই বাংলা একাডেমীর অভিধানেই কোথায়ও চারকোনা আবার কোথায়ও চারকোণা ব্যবহার করেছে। আপনার হাতে বাংলা একাডেমীর কোন অভিধানটি আছে বলতে পারছিনা। আমার হাতে রয়েছে বাংলা একাডেমীর সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান এর ২য় সংস্করণ। এর ২০৭ নম্বর পৃষ্ঠায় চৌবাচ্চা এর অর্থ লিখেছে- পানি রাখার চারকোণা আধার; আবার একই পৃষ্ঠায় চোরস, চোরশ, চৌরস এর অর্থ লিখেছে চারকোনা। এখন আপনি বলেন বাংলা একাডেমীর যারা এই লিখেছে তার কি ভুল করেছে? তবে আমি কোনটাকে গ্রহণ করবো?
আমার মনে হয়, কোণা শব্দটি এতো বেশি প্রচলিত যে বাংলা অভিধান প্রণেতারাও এর থেকে বের হয়ে আসতে পারেন নি। আর কোণ থেকে কোণা অনেক বেশি সহজ। জোর করে কোনা বলতে যেমন আমার অসুবিধে হয় তেমনি এর অন্য অর্থও আছে। ব্যবহার ভেদে অবশ্য আমরা বুঝে নেই কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
কয়েকদিন আগে একটা টক'শো দেখছিলাম। সলিমুল্লাহ খান বলছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র তার লেখার কোথাতেও দীর্ঘ-ই কার ব্যবহার করেন নি। আমাদের বানান নীতি যারা করেছেন তারা অহেতুক জটিল করেছেন।
এরকম আলাপ করলে আরো দীর্ঘ আলাপ হতে পারে। কেবল তর্কের খাতিরে তর্ক করা আমার স্বভাব নয়। আপনার সাথে আলাপ করে অনেক সুবিধে। এতে যেমন জানা যায়, তেমনি শেখাও যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সব সময়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: প্রচলিত হলেও অশুদ্ধ, এইটা মানতে মন সায় দেয় না। - এই কথাটার সাথে আমিও একমত! অনেক কিছু জানা হল আপনার এই মন্তব্য থেকে! বানানের যেহেতু বেশ কিছু রকম আছে, সে ক্ষেত্রে কোনো বানান ভুল দাবী করাটা যেমন মুশকিল, তেমনি একি শব্দের নানান বানান থাকাটাও মুশকিল!
২৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সজীব ভাই@
আমার ইদ ভালো কেটেছে। আশা করি আপনার ইদও অপরিসীম আনন্দে কাটলো।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি একটা উপভোগ্য আলোচনা সূত্রপাতের জন্য।
প্রচলিত হলেও অশুদ্ধ, এইটা মানতে মন সায় দেয় না। বানানের ব্যাপারে আমার মনোভাব ঠিক এরকম না। সচরাচর যে কোনো পরিবর্তন বা চেঞ্জ তুমুল বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। আমি যে-কোনো পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে আনন্দ পাই। পরিবর্তনশীলতাই উন্নয়নের বা অগ্রগতির মূল সূত্র। এজন্য বাংলাদেশে যায়যায়দিন, প্রথম আলো, ইত্যাদি পত্রিকাগুলো যখন আমাদের আজন্ম-পরিচিত বানানগুলোকে অন্য ভাবে লেখা শুরু করলো, তখন এর প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হলো। আমার অনুসন্ধানের ফলেই জানতে পারলাম এ পত্রিকাগুলো বাংলা বানানের প্রমিত নিয়ম অনুসরণ করছে। এরপর প্রমিত বানান-রীতি বুঝবার চেষ্টা করি। এটি আমার কাছে একটা সম্পূর্ণ নতুন ভুবন হিসাবে উন্মোচিত হলো। এর অনেক আগে, ১৯৮০-৮১ সালের দিকে আমাদের ক্লাস-টিচার ‘জানুয়ারি’, ‘ফেব্রুয়ারি’ বানানগুলোকে ‘রি’ দ্বারা লিখে আমাদেরকে চমকে দিয়েছিলেন, এবং ওটি ‘অশদ্ধ’ বলে শিক্ষককে ভুল প্রমাণিত করতে আমরা সচেষ্ট হয়েছিলাম। এরপর যখন বানান প্রমিতকরণের ইতিহাস পড়ি, তখন জানতে পারি ঐ শিক্ষক এরূপ বানান প্রমিতকরণ আন্দোলনের সাথে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন।
আমাদের বাংলা অভিধান পেয়েছি কবে? খুব বেশি দিন আগে নয় কিন্তু। কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৮৫ তে এরপর কাজ শেষ হতে হতে ১৯৯২। এখন এর আগে যারা লিখেছেন তাদের বানানকে আমরা কি অশুদ্ধ বলতে পারবো? এক কথায় না। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে বানান প্রমিতকরণের ইতিহাস বলেছি। ১৯৮৫ সালের আগে এরকম কোনো বানান-রীতি ছিল না, তখন বানান চলতো প্রচলিত বানান-রূপ অনুযায়ী, সংস্কৃত শব্দগুলোকে প্রধানত সংস্কৃতের বানান মেনে লেখা হতো। ঐ সময়ে ‘চারকোনা’ অশুদ্ধ ছিল, তেমনি অশুদ্ধ ছিল স্টেশন (শুদ্ধ ষ্টেশন), তির (তীর-ধনুক), বাড়ি (বাড়ী), চাচি (চাচী) ইত্যাদি। এখন যেহেতু একটা বানান-রীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, আমাদের শব্দগুলো সেই রীতিতেই লেখা সমীচীন। হয়তো আপনি বলতে পারেন- না, আমি ওগুলো মানবো না। ফাইন, মানা-না-মানা কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এখতিয়ারভুক্ত। আমাদের ট্র্যাফিক আইন অনুযায়ী রাস্তার বাম দিক দিয়ে সামনের দিকে গাড়ি চালাতে হয়, কেউ যদি এ আইন না মেনে ডান দিক দিয়ে চালায়, কোনো ক্ষতি নেই- তবে, ঐ ব্যক্তি একটা আইন ভঙ্গ করলেন এ আর কী, যেজন্য দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তিনি বিচারের সম্মুখীন হবেন।
রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র আলাউদ্দিন আল আজাদের বইগুলো দেখলাম, যেগুলো ৯৫-এর পরে প্রকাশিত হয়েছে। খুব গভীরভাবে দেখার সুযোগ হয় নি, তবে যেটুকু দেখেছি তাতে আমি অবাক হয়ে দেখলাম এগুলো বাংলা প্রমিত রীতি অনুসরণ করে ছাপানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অবাক হলাম ইন্টারমিডিয়েটে পাঠ্যতালিকাভুক্ত ‘পদ্মানদীর মাঝি’র বানান-রীতি দেখে- এটি হবহু প্রমিত-রীতি অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। এমনকি, ‘কোনাকুনি’, ‘বাড়ি’ শব্দসহ ‘কী’-এর ব্যবহারও এই প্রমিত-রীতি অনুসরণ করে লেখা হয়েছে।
এখন যারা আগে থেকেই লিখে অভ্যস্ত তারা যদি এই অভিধান অনুসরণ না করেন তবে কি বলবেন তাদেরটাও অশুদ্ধ? আমিও সেই আগের যুগের মানুষই। যাঁরা এসমস্ত বই-পুস্তক ছাপছেন, তাঁরাও অনেকেই আগের জমানার মানুষ। যাঁরা এই প্রমিত রীতি প্রণয়ন করেছেন তাঁরা আরও পুরোনো যুগের মানুষ। সুতরাং যাঁরা ষ্টেশন বা চাচী বা কোণা লিখে অভ্যস্ত, শুদ্ধরূপে লিখতে হলে তাঁদেরকে স্টেশন, চাচি বা কোনাই লিখতে হবে। ‘অভ্যস্ততা’ কোনো অজুহাত হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
আমি আসলে এই রকম রিজিট হতে চাইনা। তবে এখন আমাদের অবশ্যই বাংলা একাডেমীর বাংলা অভিধান অনুসরণ করা উচিত। এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ এক মত। একই সাথে কোনা এবং কোণা দুটি শব্দই সঠিক। আমি যে রিজিডিটির বিপক্ষে তা আগেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, বানান-রীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে তা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এজন্যই আমি ‘কোনা’ বানানটাকে আগের মতো ‘কোণা’ লিখতে চাই না। তবে ‘কোণা’ বানানটি শুদ্ধ নয় সজীব ভাই। আপনি যে অভিধানের কথা লিখেছেন ওগুলো প্রধানত শব্দকোষ। বাংলা একাডেমী থেকে বানান-অভিধান নামে আরেকটা বই বের করা হয়েছে, বানানের ক্ষেত্রে ওটাই অনুসরণযোগ্য।
আমি ‘সবুজ অঙ্গন’ নামে একটা সাহিত্যপত্রিকা বের করি। ওটাতে পুরোপুরি প্রমিত-রীতি অনুসরণ করা হয়, কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে তা ‘ভুল হয়েছে’ পরিগণ্য। এ সবুজ অঙ্গনের একটি সংখ্যা দেখে এ ব্লগের একজন সেলিব্রেটি ব্লগার (তিনি প্রায় দু বছর ধরে এখানে নেই) বলেছিলেন, ‘প্রচুর বানান ভুল।’ আমি মনে মনে হেসেছিলাম এটা ভেবে যে প্রমিত-রীতিতে তিনি এখনো অভ্যস্ত হতে পারেন নি
আমার মনে হয়, কোণা শব্দটি এতো বেশি প্রচলিত যে বাংলা অভিধান প্রণেতারাও এর থেকে বের হয়ে আসতে পারেন নি। ধারণাটা একেবারেই ভুল প্রিয় সজীব ভাই। আমি উপরে উদাহরণ দিয়ে এসব বুঝিয়েছি। আপনি দয়া করে অথোরিটেটিভ বই দেখুন। কালেভদ্রে এ বানানটি ‘কোণা’ লেখা দেখবেন, আর যাঁরা এভাবে লিখছেন তাঁরা ভুল করেই এভাবে ‘কোণা’ লিখছেন বলে আমি মনে করি। তবে, অভিধানে কোথাও কোথাও বানান ভুল হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনাকে শব্দের ওরিজিন দেখতে হবে (সবার শেষে দেখুন)। তবে, যদিও আগে ‘কোণা’ শব্দটি শুদ্ধ ছিল বলে লিখেছি, কিন্তু আমার কাছে কোনো পুরোনো অভিধান নেই যা দেখে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়। আমার এমনও মনে হচ্ছে যে, আগেও হয়তো ‘কোনা’ শব্দটিই শুদ্ধ ছিল।
কোনো কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা কবিলেখক নিজস্ব বানান-রীতি অনুসরণ করেন। কিন্তু সেটা তাঁদের স্বেচ্চাচার নয়। তাঁদের গবেষণালব্ধ কিছু ধ্যান-ধারণা থাকে যা থেকে তাঁরা ওভাবে লিখতে উৎসাহিত হোন- বঙ্কিমচন্দ্র নিশ্চয়ই তার চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন। তিনি কেবল অন্যদের থেকে আলাদা হবার জন্যই ওভাবে লিখেন নি, আলাদা লিখবার পেছনে তাঁর সমূহ যুক্তি ছিল। কবি সাযযাদ কাদিরকে আমি দেখেছি তিনি তাঁর নিজের রীতিতে লিখেন, কিন্তু তা প্রমিত রীতি থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়- কিছু কিছু শব্দের ব্যাপারে তাঁর নিজস্ব যুক্তি রয়েছে, যার ফলে ওভাবে লিখেন।
***
১৯ শতকের আগে পর্যন্ত বাংলা বানানের নিয়ম বলতে বিশেষ কিছু ছিল না। উনিশ শতকের সূচনায় যখন বাংলা সাহিত্যের আধুনিক পর্ব শুরু হলো, বাংলা সাহিত্যিক গদ্যের উন্মেষ হলো, তখন মোটামুটি সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসন-অনুযায়ী বাংলা বানান নির্ধারিত হয়। (বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান, পৃষ্ঠা ৮৮৪)
রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানানের নিয়ম প্রকাশ করে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৯ সালে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গ সরকার মৌলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ-র নেতৃত্বে East Bengal Language Committee গঠন করে। এরপর ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমীর তদানীন্তন পরিচালক সৈয়দ আলী আহসানের নেতৃত্বে বানান-সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ব্যক্তিগত আগ্রহে ঢাকা ভার্সিটির শিক্ষা পর্ষদে বাংলা বানানন সরলায়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ আবদুল হাই এবং মুনীর চৌধুরী এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি দেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে কমিটির মাধ্যমে বাংলা বানানের নিয়মের একটি খসড়া তৈরি করে।
বানানের ক্ষেত্রে দীর্ঘদীন কোনো সর্বজনগ্রাহ্য নিয়ম চালু করা সম্ভব হয় নি। বাংলা একাডেমী ১৯৯২ এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটির রিপোর্ট জরিপের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হয়। প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রকাশ করে, যা ১৯৯৮-এ পরিমার্জিত হয়ে ২০০০-এ পুনরায় সংশোধিত হয়। ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমী বাংলা-অভিধান-এর প্রথম প্রকাশনা বের হয়।
কোনো নিয়মনীতিই জোর করে চাপিয়ে দেয়া যায় না। তবে যেখানে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক একটি নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে, তা মেনে চলা উচিৎ। বাংলা একাডেমী তাদের সকল কাজে প্রমিত বানান রীতি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। সাহিত্যিক, পত্রিকা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই রীতি ব্যবহারের সুপারিশ ও অনুরোধ করেছে।
১৯৯১ সালে আনন্দ পাবলিশার্স তাদের আনন্দ বাজার পত্রিকার জন্য নিজস্ব বানানরীতি প্রণয়ন করেছিল। ২০০৬ সালে প্রথম আলো তাদের পত্রিকার জন্য নিজস্ব ভাষারীতি প্রণয়ন করে।
আমি বাংলাদেশের যেসব পত্রিকা পড়েছি তাতে কেবল যায়যায়দিন ও প্রথম আলোকেই মনে হয়েছে বাংলা একাডেমীর প্রমিত রীতি প্রায় হুবহু মেনে চলছে। প্রত্যেক মানুষ, বিশেষত সাহিত্যিকের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা থাকে, কমবেশি। তাই তাঁরা কোনো চাপিয়ে দেয়া রীতি, যদি তাঁদের মত-বিরুদ্ধ হয়, সহজে মেনে নিতে চান না। বাংলা একাডেমীর কমিটির সদস্যগণও বেশ কিছু বানানের ক্ষেত্রে একমত হতে পারেন নি, যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে। একটা পত্রিকা ভাষার ক্রম বর্ধমান, পরিমার্জন, ও সংশোধনের ইতিহাস, আবার এসবের সহায়কও। যায়যায়দিন তাদের পত্রিকায় বিশেষ কিছু বানানের উদাহরণ ছাপতো যা লেখকগণকে অনুসরণ করতে বলা হতো।
'বাংলা একাডেমী বানান অভিধান' বইটি বানানের জন্য অথোরিটি হিসেবে ব্যবহার করি, এবং অর্থের জন্য বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক অভিধান' বইটি ব্যাপকভাবে কনসাল্ট করি। আমি সর্বত্র বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসরণ করবার চেষ্টা করি, ভুল হলে সেটা মনে না থাকার কারণে, বা ভুলে যাবার কারণে ঘটে যায়। শব্দকোষ হিসেবে যে-কোনো অভিধানই ভোকাবিউলারি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, তবে আমি মনে করি, বানানের ক্ষেত্রে যে-কোনো একটি নিয়মই অনুসরণ করা উচিৎ, আর সেটা হলো বাংলা একাডেমী প্রমিত বানান-রীতি। বিভিন্ন পত্রিকা ও সাহিত্যিকের বানান-রীতি জেনে রাখলে ক্ষতি নেই, তবে প্রমিত রীতি না জেনে ঐসব রীতি অন্ধভাবে অনুসরণ করা ক্ষতিকর মনে করি। বিভিন্ন গবেষক, সাহিত্যিকগণ প্রমিত রীতির মধ্যে থেকেও নিজস্ব বানান-রীতি গড়ে তুলতে পারেন, যা হয়তোবা প্রমিত-রীতি থেকে সামান্য হেরফের হতে পারে।
***
লক্ষ করুন, ‘কোণ’ হলো সংস্কৃত শব্দ, যার প্রকৃতি+প্রত্যয় হলো কোণ্+অ। ‘কোনা’ অর্ধ-তৎসম শব্দ যার প্রকৃতি ও প্রত্যয় হলো কোণ+আ। এটা পালটে কোণ+আ= কোণা লিখতে পারবেন তিনি, যিনি শব্দ ও ভাষার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন, এবং কোণ+আ এর সমান কেন ‘কোণা’ হবে তা তিনি সম্যক বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন; আমার দ্বারা তা সম্ভব নয়, যেহেতু আমি ব্যাকরণবিদ নই আমি এই প্রকৃতি-প্রত্যয় বিন্যাস দিয়েই উত্তর শেষ করতে পারতাম, কিন্তু বিস্তৃত আলোচনার জন্যই এক লাইনে কমেন্ট শেষ করি নি
‘কোনা’ সংক্রান্ত আলোচনাটা অহেতুক দীর্ঘ হয়ে গেলো। এ সময়ে আরও কত কী করা যেত, তাই না ‘কোনা’ ছাড়া পৃথিবীতে কত রত্ন আছে, আমরা তার কতটুকুই বা জানি?
ভালো থাকুন সজীব ভাই।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য অনেক পোস্টের থেকে বেশী উপকারী, আমি অনেক কিছু জানলাম! শব্দকোষ এবং বানান অভিধানের পার্থক্য জানলাম! প্রমিত বানানের ঘটনা জানা হল, এর প্রয়োগে নানা জটিলতার কথা জানা হল!
আমি যেমন 'মাধুরী'- এই বানানে অভ্যস্ত,- মাধুরি লেখা হলে আমার মনে হয় এই শব্দটাতে মধু কমে গেল!
অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই! আপনিও একজন চলমান বানান বিভীষিকা!! ( প্রশংসা করে বলেছি কিন্তু!)
৩০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি জানতাম, ঘুম ভেঙ্গে আর তোর ঘুম রাঙ্গা চোখ দেখা হবে না,
তুই জানতি, তোর জন্য আর আমার মেলায় গিয়ে আলতা কেনা হল না,
তোর কি এখন আর রুদ্রাক্ষ ভোরে বৈশাখী আগুনে জ্বলতে ইচ্ছে করে না?
পড়তে পড়তে গা শিউরে উঠছিল এখানে এসে। অসাধারণ লিখেছেন, কবিতার চেয়ে আমি কিন্তু চিঠিই বেশী লিখি, মানে চিঠি চিঠি, কাব্যময় নয়। সে কারনে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, যখন যাকে ইচ্ছে চিঠি লিখি। আমার একটা চিঠি খাতা আছে। ওখানেই ওরা বসবাস করে। আপনার লেখাটায় চিঠি আর কাব্য একসাথে পাওয়াটা দারুন লাগলো, এক ঢিলে দুই পাখীর মতো! আর লেখাটা এতো ভালো লেগেছে যে এর স্থান অবশ্যই প্রিয়তে। এটা হয়ত আমি মাঝে মাঝেই পড়বো।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নেবেন সুন্দর লেখাটির জন্য। অধমের ব্লগেও আসবেন আশা করি। ঈদ ও পূজোর শুভেচ্ছা জানাই।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনার অনেক ভালোলাগায় অনেক আনন্দ!
যন্ত্র নষ্ট হওয়ার কারনে অনেক সময় ধরে ইচ্ছেমত ব্লগে থাকা হচ্ছে না, শুধু অফিসের সময়ে যতটুকু পারা যায়! আশা করি আপনার ব্লগে দেখা হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই!
শুভকামনা রইলো!
ভালো থাকুন!
৩১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই আপনি ঠিক বলেছেন
১. আমার হাতে যেটি রয়েছে সেটি হলো, শব্দকোষ। সেই শব্দকোষ যারা লিখলেন তারা কেন যে বাংলা প্রমিত বানান রীতি মানলেন না সেটা বুঝতে পারছিনা। আমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য তবে এই অথরিটিও দায়ী।
২. আমি নিজেও ব্যাকরনবিদ নই, তাই কি যুক্তিতে এতদিন কোণা লেখা হতো আমি নিজেও বলতে পারবো না। তবে বিষয়টি নিয়ে আরো একটু গবেষণায় আগ্রহ যুক্ত হলো।
৩. আমরা সময় ক্ষেপণ করছি কোনা আর কোণা নিয়ে। এরচেয়ে আরো কত বিষয় রয়েছে।
তবে কোনো ছোট বিষয়ই ছোট নয়। ভালো থাকুন। সব সময়।
বি.দ্রঃ প্রথম আলোতেও কিন্তু আমি কোণা ব্যবহার করতে দেখেছি। তবে তারাও ভুল করতে পারে। ভুলতো মানুষেরই হয়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সজীব ভাই, আপনি ও সোনাবীজ ভাই আমার কাছে একটা খাওয়া পাওনা রইলেন! কারন এইটা না যে আপনারা বানান নিয়ে এত চমৎকার একটা আলোচনা করলেন বলে, মুল কারন আসলে আমি বানান বিষয়টাতে আগ্রহ পাচ্ছি আপনাদের আলোচনা পড়ে, বানান নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু জানাশোনা করে নেওয়ার ইচ্ছেটাও পাকা হল!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!
অনেক অনেক ভালো থাকুন!
৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সজীব ভাই,
যাঁরা শব্দকোষ লিখেছেন তাঁরা বানান-রীতি মেনেই লিখেছেন। শব্দের তালিকায় কি কোনো অভিধানে কোনা বানানকে কোণা লিখা দেখেছেন? এটা কোথাও পাবেন না। আপনাকে শব্দটাকে সঠিক জায়গায় খুঁজতে হবে। সংক্ষিপ্ত অভিধানের ১৩০ পৃষ্ঠায় কোনা, ১৯৩ পৃষ্ঠায় চারকোনা, ব্যবহারিক অভিধানের ২৯২ পৃষ্ঠায় কোনা (এখানে আবার এ-ও বলা হয়েছে কোণাকুণি অশুদ্ধ), বানান-অভিধানেও কোনা এবং কোনাকুনি লেখা রয়েছে। তবে, কোনো শব্দের অর্থ লিখতে যেয়ে যদি চারকোণা কোথাও লেখা হয়ে থাকে, সেটা টাইপিং মিসটেক। আমি ‘পদ্মা-নদীর মাঝি’ বইয়ের কথাও কিন্তু আপনাকে বলেছি- ওখানে কোনাকুনি লেখা রয়েছে। আপনি অন্যান্য পাঠ্যবই খুঁজে দেখতে পারেন, এর ব্যতিক্রম কোথাও আছে কিনা- থাকার কথা না। আর প্রথম আলোর কথা যেটি বললেন, সেটি সঠিক নয়- এ পত্রিকা ‘কোনা’ বা ‘চারকোনা’ই লিখে। টাইপিং মিসটেক হয়ে থাকলে সেটি ভিন্ন কথা। এবার আপনি বাংলাদেশের সবকটি পত্রিকা ঘেঁটে দেখতে পারেন- কেউ কোনা-কে কোণা লিখে কিনা। আর প্রথম আলোর একটা বানান-রীতি আছে, যা প্রমিত রীরি অনুসরণে প্রণীত। ওটি এখান থেকে ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
যে বানানটি এর সঠিক স্থানে শুদ্ধভাবে লেখা রয়েছে, যেটি সবাই অনুসরণ করছে, আমাদের কাছে সেটিই কি গ্রহণযোগ্য নয়? কদাচিৎ অন্যত্র ঐ শব্দটি যদি কোনো বাক্যে অন্যভাবে লেখা হয়ে থাকে সেটাকে কিন্তু সঠিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
বাংলা বানানের উপর কার্যকরী জ্ঞান লাভের জন্য প্রমিত-রীতিটা একবার হৃদয়স্থ করে ফেলুন (যদি ওটা এখনো না দেখে থাকেন)। বানানের উপরে যেহেতু আপনার আগ্রহ আছে, আপনি বাংলা একাডেমির সবগুলো অভিধান নিয়ে নিতে পারেন- উচ্চারণ-অভিধানসহ। কিন্তু বানানের জন্য অনুসরণ করবেন একটি মাত্র অভিধান- সেটি হলো বানান-অভিধান।
এ আলোচনাটা এখানে সমাপ্ত করলাম সজীব ভাই। শুভ রাত্রি।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হে সোনাবীজ ভাই, হে বানান জগতের সম্রাট, আপনার আলোচনা পড়িয়া আমি অনেক মুগ্ধ হইলাম! আপনাদের দুইজনের বিশেষ একটা খাওয়া পাওনা রইলো আমার কাছে! বানানে আগ্রহ তৈরী হচ্ছে, অবশ্য ভুল বানান লেখার জন্য অপর্নাদিও অনেক যন্ত্রণা দিসে, আপনাদের তিন জনের কাছেই বানান নিয়ে কৃতজ্ঞতা তৈরী হয়েছে!
অনেক ভালো থাকুন!
ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শেখার প্রত্যাশায় রইলাম!
৩৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর লিখছেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী! ভালো লাগায় অনেক আনন্দ!
ভালো থাকুন!
শুভকামনা রইলো!
৩৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
শায়মা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শায়মা আপু! আপনি কবিতা প্রিয়তে নেওয়াতে সকাল সকাল মন বেশ ভালো হয়ে গেল!
শুভকামনা রইলো!
অনেক ভালো থাকুন!
৩৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
বাসুরী বাসীয়ালা বলেছেন: অসাধারন লেগেছে......
আমি ও জেগে থাকি
জেগে থাকবো......
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম বাসুরী বাসীয়ালা ! আপনার নিক ও প্রো পিক- দুইটাই খুব পছন্দ হয়েছে! আপনি কি বাঁশী বাজান?
কবিতা ভালো লাগায় আনন্দ হল!
শুভকামনা!
অনেক অনেক ভালো থাকুন!
৩৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি সুন্দর! কি সুন্দর!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে সমুদ্র কন্যা! কবিতা সুন্দর লাগিয়াছে জেনে সুন্দর আনন্দ!
ভালো থাকুন!
শুভকামনা রইলো!
৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অতলে ডুববার নেশায় যার ঢুলুঢুলু আত্মা,
তার ফিরে আসবার পথে থাকে লাগাতার অবরোধ,
অনুভূতিতে আঘাত !!
খুব ভালো লাগলো...।
ভালো কবিতা লিখতে মন চায় কিন্তু পারিনা আলস্যে
অথবা চলতি পথে কবিতা আসে, তখন কি আর করা..?
আমার তো কবি কবি চেহারা/কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ
কোনটাই নেই, কবিতা ডুবে যাচ্ছে আমার ভেতরে...
কবিতারা পালিয়ে বাঁচে আমার কলমের অভাবে..!!
কি করি প্রিয় বর্ণচাষী..?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে স্বপ্নচারী গ্রানমা !
অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেলেছিও নাকি! এটা তো খুব বিপজ্জনক অভিযোগ করলেন ভাই! রক্ত মাংসের মানুষ থেকে তো অনুভূতির কদর বেশী দেখি চারপাশে! আমার ভাই একটাই মাথা, আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না!
কবিতা বড়ই খেয়ালী, কে যে জেনেছে এর গতিবিধি! কবিতার ভাব আসলেই লিখে ফেলবেন, কবিতা আসমানী বস্তু, যখন আসবে তখনি লেখা ভাল, না হলে হারায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কবিতা দুয়ারে দাঁড়ালে তাকে অপেক্ষায় রাখার নিয়ম নেই! চলতি পথে কবিতা উকিঝুকি মারা এমন একটা সমস্যা যার কোনো সসমাধান নেই বলেই তো আমার মনে হয়! আমার যেমন মাঝে মাঝে কবিতার অদ্ভুত কিছু লাইন আসে ঘুমের মধ্যে, ঘুমের মধ্যেই মুখস্ত করি, ঘুম ভাংলে মাথা কুটেও মনে করতে পারি না!
আপনি লিখতে থাকুন, দেখবেন কবিতা হাজির!
৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
মশিকুর বলেছেন:
ৎঁৎঁৎঁ ভাইয়ের কবিতায় এবং সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাইয়ের কমেন্টে ++
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর ভাই! কবিতা ভাল লাগায় আনন্দ! আর সোনাবীজ ভাই এর তো কোথায় নাই, উনি আর সজীব ভাই খুব চমৎকার একটা আলোচনা করেছেন! বানান নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি!
শুভকামনা রইলো!
ভালো থাকুন!
৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৯
বাসুরী বাসীয়ালা বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা...... পারি পাতার বাঁশি আর বাঁশের বাঁশি একটু একটু।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনি পাতার বাঁশী বাজাতে পারেন? এইটা একটা বিশাল ব্যাপার! আপনার বাঁশী শুনতে হবে একদিন! আমি বাশের বাঁশী একটু একটু পারি!
শুভকামনা!
৪০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে,,,,,,,,,,,,,,,অনিন্দ সুন্দর,,,,,,,,,,,,
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ লায়লা! কবিতা ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগছে!
ভাল থাকুন অনেক!
শুভকামনা রইলো!
৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! বেশ সুন্দর লিখেছেন!
কিছু উপমা খুবই ভাল লেগেছে, "জলপরীদের ডানা থাকে না"। তবুও তারা হারিয়ে যায়।
"হাতে হাত ঘষে আগুন"! ওয়াও! এভাবে ভাবতে পারেন কিভাবে?
চিঠির মত করে কবিতা লেখার আইডিয়াটা ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছ রইল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: 'জলপরীদের ডানা থাকেনা'- এইটা আমার খুব প্রিয় একটা উপমা, আমি অনেক জায়গায় ব্যবহার করেছি! প্রিয় জিনিস কারও ভালো লাগলে সেইটা অনেক আনন্দের!
আগে তো এমনি হাতে হাত ঘষে আগুন জ্বলে উঠতো, এখন আর ম্যাচে কাঠি না ঠুকলে আগুন জ্বলেনা!
কবিতা পাঠে অনেক ধন্যবাদ দেবদূত ভাই!
শুভকামনা রইলো!
৪২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমি জানতাম, তোর আর কখনও ফেরা হবে না,
এক জনমে বৃষ্টির জল যেমন,
কখনও ফেরে না ঝরে পড়া মেঘে।
অতলে ডুববার নেশায় যার ঢুলুঢুলু আত্মা,
তার ফিরে আসবার পথে থাকে লাগাতার অবরোধ,
আমি জানতাম, আমরা আমাদের ঠিকই ভুলে যাব একদিন!
মুগ্ধপাঠ ভাইয়া!!!!!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: তোর বেঁচে উঠবার প্রতিটি ভোরে,
দেখিস তুই, তোর দলে চলা ঘাসফুলে ঘাসফুলে,
শিশিরের মত এক ফোঁটা দুঃখ হয়ে,-
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
আমি জেগে থাকবো!
শুভকামনা রইলো বটবৃক্ষ!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
Freedom Manik বলেছেন: ভাল হয়েছে কবিতাটা '