নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোকে না লিখলে ভুলে যাব মেঘলায় লাল টিপ পদ্মফুলের কথা, আমায় নিয়ে যায় শান্তি সরোবরে। আমি তার চোখে দেখি আকাশের অবয়ব, এখানে জল স্থির, শান্ত। প্রচন্ড পাহাড় বেয়ে নেমে আসার পথে, যখন সে উড়ুক্কু নদী আর আমি বাঁশি হাতে ফিরি পথে পথে, এমনকালে তার সাথে দেখা, আমরা দেখেছি প্রতিপূর্ণিমায় সমুদ্র কী আর্তনাদে ফিরে যায় সুগভীর অন্ধকারে, ডুবন্ত চাঁদের সংগী ছিলাম একবেলা আমরাও পাশাপাশি.....
এরই মাঝে বয়ে যায় নদী, বয়ে যায় জীবনের সন্ধি-সমাস।
(তারপর কবে থেকে যেন আমি একটা গাছ, কাঁচের। ধারালো শেকড় জড়িয়ে নিচ্ছে বেঁচে থাকার কন্ঠস্বর, আমি নৈশব্দে ডুবে যাই....)
বহু পথ পাড়ি দেয়া পরে
তার শান্ত স্রোতস্বিনী বয়ে চলার পাশে
ধ্যানী সিদ্ধার্থ হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে ,
কান পেতে শুনতে ইচ্ছে করে ঐ-
বয়ে যায় আলোর সরণি...
যে জলে আমার প্রতিচ্ছবি দেখি,
হাত না ডোবাই, সে জলে আমাকে জ্বালি.…..
ধূপের গন্ধ-জ্বলা অলিতে গলিতে
আর একদিন হেঁটে যেতে চাই
দীর্ঘ প্রতীক্ষার সূত্র শিখতে হয় যদিও.....
একটা সত্যিকার গাছজন্ম দাও ইশ্বর
তার বয়ে চলা পথে ছায়া হয়ে থাকি এক দুপুর
সুদূর সুবাসিত সুর মেখে
বাঁশির ঠোট ছুঁয়ে শুন্য হয়ে যাই
সত্যিকারের একটা গাছজন্ম দাও ইশ্বর
আমি তার পায়ে পাতা হয়ে ঝরে ঝরে যাই..
*** এটা পুরনো লেখা, অনেক লেখাই হারিয়ে গেছে, হারিয়ে যায়, মাঝে মাঝে পুরনো লেখা খুঁজে পেলে ঠিক করেছি আপলোড দিয়ে রাখবো, তাতে হয়ত খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
**** ছবিটা Community Artists Group, http://www.fizdi.com থেকে নেয়া। (শিল্পীর নাম বা মেইল অ্যাাড্রেস না থাকায় অনুমতি নিতে পারি নাই)
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ তমাল ভাই। নস্টালজিয়া আমার লেখার একটা ভঙ্গি, ফেলে আসা সব স্ম্রৃতিতে আমি ফিরে যেতে চাই না, কিন্তু চলে যাওয়া সময় আমার অনুভবে থাকে খুব।
আপনার কবিতা পাঠের ইন্টারপ্রিটেশন ঈর্ষণীয়।
শুভকামনা নিরন্তর ....
২| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'তার বয়ে চলা পথে ছায়া হয়ে থাকি এক দুপুর'...
কী অদ্ভুত সুন্দর করে লিখেন আপনি!
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: Beauty is in the eye of the beholder....
তারপরেও লেখা ভাল লাগলে আনন্দ হয়!
শুভেচ্ছা জানবেন, ভাল থাকুন।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
মা.হাসান বলেছেন: আহা, কি সুন্দর, বার বার পড়তে ইচ্ছা করে।
যে জলে আমার প্রতিচ্ছবি দেখি,
হাত না ডোবাই, সে জলে আমাকে জ্বালি
অনেক মুগ্ধতা।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মা.হাসান! আপনার ভালো লাগায় আমি অনুপ্রাণিত!
ভালো থাকবেন।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প লিখেছেন।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই পাশে থাকার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: আপনার কোনো বই কি এবার আসছে?
যদি না আসে তা হলে সম্ভব হলে পুরাতন বইয়ের লিংকটিই দেয়ার অনুরোধ রইলো।
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কোন বই আসেনি। অনেক আগে শখের বশে একটা লিখেছিলাম, ছেলেমানুষি লেখা ছিল সব। কপি তেমন নেই, আপনি যদি আপনার মেইল এড্ড্রেস শেয়ার করেন তাহলে আমি আপনাকে কপি দেবার চেষ্টা করব।
বইয়ের আকারে লেখা পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন দেখে অনেক ভাল লাগছে।
শুভেচ্ছা।
৮| ১৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২২ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই।
ভালোবাসা জানবেন।
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছেন! + +
কবিতার অনেকাংশই উদ্ধৃতিযোগ্য। কয়েকজন পাঠক কয়েকটি চরণ উদ্ধৃত করেছেন। সেগুলো তো ভালো লেগেছেই, তার সাথে আমি আপনার এই কবিতার শেষ চারটে চরণও যোগ করতে চাই, যা আমার খুব ভালো লেগেছে।
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল কবিতাটির যে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়েছেন, সেটাও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
কবিতায় পঞ্চম ভাললাগা। + +
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মন্তব্য উত্তর দিতে বিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কবিতাটি আপনার ভাল লেগেছে এটা জানাটা অনেক আনন্দের।
ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভয়ঙ্কর সুন্দর শব্দের ঝংকার। চমৎকার চিত্রকল্পের উপস্থাপনা। প্রিয় মানুষের চোখ শান্তির সরোবর। ক্রন্দনরত প্রিয় মানুষের সামনে প্রেম নিয়ে উপস্থিত কবি প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন মধুর সময় যা কবিকে স্মৃতিকাতর করে তোলে। সময় শেষের ব্যাথা কবি উপস্থাপন করেছেন সমুদ্রের অন্ধকারে ফিরে যাওয়া আর ডুবন্ত চাঁদের চিত্রকল্পে।
তারপর সময়ের সাথে সাথে কবির জীবন স্থবির হয়ে গেছে গাছের মতো, তাও কাঁচের,যেখানে জীবন নেই, যেখানে কবির শূন্যতা প্রকাশিত। সেই শূন্যতা তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে।
ফেলে আসা স্মৃতিতে কবির ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। তিনি স্মৃতিকে শুধু রোমন্থনই করতে চান। তাকে হারাতে চান না। তিনি সেই স্মৃতিতে বা সময়ে ফিরে যাবার জন্য অপেক্ষা করেন।
আর তাই কবি একটি সত্যিকারের গাছজন্ম চান, যাতে তিনি সেই সময়ে চিরকাল স্থির কিন্তু জীবন্ত হয়ে থাকতে পারেন। সেই সময়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহন করতে পারেন। সেখানে নিজেকে সমর্পন করে হয়ে যেতে চান সেখানকার বিমূর্ত বাসিন্দা।
প্রকৃতির মাধ্যমে নিজের শূন্যতা আর আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ভালো লেগেছে।