নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শান্তি প্রিয় ব্লগার ikrupam.blogspot.com

মোঃ ইমরান কবির রুপম

আমার নিজস্ব ব্লগ - ikrupam.blogspot.com

মোঃ ইমরান কবির রুপম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আর আমার এস এস সি \' ফলাফল

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

এস এস সি পাস করেছি আজ প্রায় ৯ বছর ।আজ এস এস সি র ফলাফল প্রকাশ হবে,এতো দিন পর আমার আবার সেই পৃর্বে স্মৃতি মনে পরছে ।সে কারনেই এখানে লেখা । ছোট থেকেই অনেক কষ্টে বড় হয়েছি ।বাবার কষ্টের সংসারে সাহায্য করতে সব সময় আমাদের পানের দোকানে বসে ছিলাম।ক্লাসে আমার উপস্থিতি ছিল হাতে গোনার মত।ছাত্র যে খুব একটা খারাব ছিলাম তাও কিন্তু নয়।অভাবের কারনে এই দশা।শুরু করছি ফরম পুরোনের দিন থেকে।দোকান থেকে লুঙ্গি পরা অবস্থায় বাবাকে নিয়ে স্কুলে গেলাম ফরম পুরনের জন্য,ফরমপূরন করার আগে গনিত স্যার জনাব সামসুল স্যার আমাকে , আব্বাকে,আমার চাচাকে (যিনি ঐ স্কুলের একজন স্টাপ),যে স্যারের আমি প্রিয় ছাত্র আর আমার ও প্রিয় শিক্ষক (পন্ডিত)তারাপদ স্যার কে , কম্পিউটার রুমে নিয়ে গেল । এখানেই বলেনেই অংকে খুব কাচা ছিলাম ,ক্লাস সেভেনের পর আর কোন পরীক্ষার গনিতে পাস করতে পারি নাই।প্রাইভেট ও পরছিলাম ঐ স্যারের কাছে,পরছি বলতে ভুল হবে শুধু ফাজলাম করেছি।মনে হয় সেই কারনে তিনি আমাকে সবার সামনে দাড় করিয়ে আপমান করলেন বাবা,চাচা রা মাথা নিচু করে শুনে গেলেন,আব্বাকে কোন দিন এরকম নারহ বা হতাশ হতে দেখিনি।এই ভেবে খুব কষ্ট পেলাম,কার ও মূখের দিকে পর্যন্ত তাকাতে পারিনি।স্কুল থেকে বেরহরে সোজা নীলফামারী গিয়ে একটা সামাধান নিয়ে এসে পুরা ৭২ ঘন্টা অংক করা,তারপর পরীক্ষা,মোবাইলে চার্জ নাই তাই আর বারালামনা।যে দিন পরীক্ষার ফলাফল দিবে সে দিন বাড়ী তে মন খারাব করে বসেছিলাম।মোবাইলে রেজাল্ট নিব তাই।ইতোমদ্ধে সবার রেজাল্ট নেয়া হয়েগেছে কিন্তু আমারটা নাই ।বাধ্য হয়ে স্কুলে যেতেই হবে । বাড়ী থেকে ভালোকোন কাপড় পরতে দেয়নি,স্কুলে রেজাল্ট নেয়ার জন্য বড় ভাইয়ের সাইকেলটা চাইলাম কিন্তু দিলোনা । তারা ভাবছিল পাস করতে তো পারবোনা । পাছে সাইকেল বেচে উধাও হবো এই ভেবে।হেটে হেটে স্কুলে গেলাম,সেখানে ও এক ই পরিস্থিতির শিকার হলাম , ইংলিশ টিচার আমায় দেখে মূখ বাকা করে বল্লো তু ই এখানে কেন ? তু ই তো পাস করতে পারবি না । আমি বোবার মতো দাড়ি য়ে থাকলাম ।আবার তিনি এক ই কথা শুনালেন।এবার গনিত স্যার মূখ খুল্লেন ।বল্রেন আমার বিস্বাশ রুপম পাস করেছে ।বলেই তিনি আমার রেজাল্ট সিটা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে র ইলে ন , অনেক্ষন কোন কথা নয় । এই ফাকে আমি বুঝে গেছি আমি পাস করতে পারিনি ! দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরড় । তার পর মূহুত্বে স্যার বল্রেন কি রে তুই তো পাস করেছিস। তখন আমি তাকে জরিয়ে ধরে হাউ মাই করে কাদতে থাকলাম ,তখন স্কুলে এক হৃথয়বিদারক দৃশ্ব।রুম থেকে বের হয়ে আসছি পিছন থেকে এক স্যার বল্লো কিরে চাচ্ছিস তোর রেজাল্ট কি হা করে তাকিয়ে র ইলাম । তখন আমার বোকামির জন্য হাসি দিয়ে হাততালি দিল।আসোলে আমার যে রেজাল্ট এত ভালো হবে তা আমিও ভাবতে পারি নি ! যাই হোক ছোট ভাই ও বোনেরা আগামী কাল তোমাদের রেজাল্ট।রেজাল্ট যেই হোক তোমরা তা মাথা পেতে নিবে । মনে রাখবে তোমরা যাই লিখছো এই ফলফলেই তোমাদের প্রাপ।আর ভালো করতে চা ইলে সামনে আর ও অনেক পরীক্ষা আছে , তখন আর ও বেশী করে চেষ্টা করবে। শোক কে এখন থেকেই শক্তিতে রুপান্তরিত করতে শিখ।আর অবিভাবক দের বলছি আপনার সন্তান যে রেজাল্ট করেছে অনেক ভালো করেছে । তাদের কোন প্রকার গালিগালাজ করবেন না ।আর তোমাদের বলছি শোন , আগামী পরশু যেন পেপারে বা টিভিতে না দেখি কেউ খারাব রেজাল্টের জন্য জীবন দিয়েছো । শোন এটটি ফলাফলের যেয়ে , একটি জীবনের মূল্য অনেক অনেক গুন বেশী ।

সকলের জন্য শুভকামনা র ইলো ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৩৬

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমার 2005...

২| ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার পর, প্রতিটি ছেলেকে পড়ানোর কথা ছিল সরকারের; বাবার পানের দোকানে বসার দরকার হতো না, সরকার যদি সবাইকে পড়াতো; সব ইডিয়টরা মিলে সরকার চালাচ্ছে!

৩| ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ২:৫৩

ম্যাট্রিক পাস বলেছেন: আমার ৯৬ তে।
পরীক্ষার পর ৩ মাস আমি রোবট হয়ে গিয়েছিলাম টেনশনে।এম্নিতেই অঙ্কে আর বিজ্ঞানে কাঁচা ছিলাম।সে সময় রাজনিতিক পরিস্থিতিও খারাপ ছিল। ঘন ঘন পরীক্ষার তারিখ বদল হতো। বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন তো আমার মনেই ছিল না আজ আমার পরীক্ষা। B-) গেইমসের দোকানে গিয়ে গেইমস খেলছিলাম।বাহিরে চেয়ে দেখি মা লাঠি হাতে নিয়ে আসছে। মাইরের ভয়ে দিলাম দৌড়। সেকেন্ডে মাইল পার। :P এক দৌড়ে শাজাহানপুর থেকে কমলাপুর। এলাকার একজন আমাকে খুজে বের করল।রামপুরায় পরীক্ষার হলে গেলাম ১ ঘণ্টা দেরিতে। আনসার দিলাম ৪০ মার্কের। অঙ্কের আনসার দিয়েছিলাম ৩৯ মার্কের। আমি শিউর ছিলাম ২ টার মধ্যে একটা ফেল করবো। ৩ মাস খুবই হতাশায় কেটেছে। কত ধরনের উদ্ভট চিন্তাই না করেছি।বাড়ি থেকে পালাব বলে বাবার টাকাও চুরি করেছিলাম।৫৯০ নম্বর নিয়ে পাশ করেছি কিন্তু ঢাকা কলেজে পড়ার স্বপ্নটা চুরমার হয়ে গেল।অন্য কলেজে ভর্তি হলেও আমি সারাদিন ঢাকা কলেজেই পরে থাকতাম। এমনকি বাসা ছেড়ে আমি ঢাকা কলেজের হলে উঠি।ঢাকা কলেজের এমন কোন হল নেই যেখানে আমি থাকিনি। এমন কোন ক্লাস নেই যেখানে আমি যাইনি।কিন্তু আমার আর পড়াশুনা হয়নি তাই আমি ম্যাট্রিক পাশই রয়ে গেলাম। :(

৪| ৩০ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: মনে পরে সেই... ১৯৯৪

৫| ৩০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ , আর ও অনেক রহস্যময় কথা আছে , যেমন , পরীক্ষার সময় বেন্ড নষ্ট , বাড়ী থেকে বাবা বের করে দেন , পরীক্ষা দিতে যাব তার ভ্যান ভারাও ছিল না , আমার জন্য কোন খাবার ও ছিল না ।গত রাতে চার্জ ছিলোনা তাই লিখতে পারিনি ।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১১

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: এভাবেই চলছে , আজ অনার্স পরছি তবুও পান বিক্রি করছি । ১০ জুন পরীক্ষা এখনো কোন ব ই ই কিনতে পারিনি !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.