নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শান্তি প্রিয় ব্লগার ikrupam.blogspot.com

মোঃ ইমরান কবির রুপম

আমার নিজস্ব ব্লগ - ikrupam.blogspot.com

মোঃ ইমরান কবির রুপম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিপনের ঈদ

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আর কয়েকদিন পর ঈদ।শিপনের হাতেটাকা পয়সা নাই।রোজগারের জন্য বেরিয়ে পরলো।রাস্তায় হেটেই যাচ্ছে।মনেমনে ভাবছে আজ কতোদিন নতুন কাপড় পরা হয়না।বন্ধুরা সবাই জিঙ্গাস করে এবার কি কি মার্কেট করলি?শিপন তা এড়িয়ে যায়।আজ তার বাবা নেই প্রায় ১০ বছর।কতোদিন সে নতুন কাপড় পরেনা তার হিসেবও নেই।ভাবছে বাবা বেচে থাকার সময়ও প্রায় ঈদে পুরাতন কাপড় পরেই ঈদ করতে হয়েছে।তার নিজের জন্য কোন কষ্টহয় না।শুধু বোন আর মাকে নিয়ে যতোভাবনা।শিপন হাটছে আর চিন্তাকরছে কি করা যাবে এবার।যাইহোক গতবার তো কতো কষ্ট করে বোনটাকে কিছু টাকা দিয়েছিল জামাকিনতে।এবার কি হবে?গতোবার মাকেতো কিছুই দেয়াহয়নি।তবে মা এমন কি বোনটাও বলে আমাদের জন্য এবার কিছুই দরকার নাই।তবুও শিপনের মনেহয় তারা আভাবের জন্য এটা বলছে।আসলে শিপন তো জানে ঈদে নতুন কাপড় পরতে না পারলে নিজেকে কেমন লাগে।শিপন মনেমনে ভাবছে ইস ঈদটা যদি কয়েকদিন পর হতো!কিন্তু সে এও জানে তা আর সম্ভব নয়।এবার সে ভাবোলো কি কাজ হয়হোক তাকে করতে হবে।হোকনা তা অবৈধ্য।কোন দিন শিপন অবৈধ কাজ করেনি।কখনো করবে ভাবতেও পারেনা।যাইহোক,এলাকার এক বড় ভাইয়ের কাছে গেল,যে কিনা মাদকের কারবার করে।বড় ভাই দেখেই চমকে উঠে বল্লো কি রে শিপন তুই এখানে?শিপন মাথা নিচু করে আছে!ভাইটি বল্লো কি রে কিছু বলবি তো।এবার শিপন কান্নাজরিত কন্ঠে তার দূঃখের কথা বল্লো।ভাইটি বল্লো এখন আমি কি করতে পারি?শিপন এবার মাথা উচুকরে বল্লো ভাই আমাকে কিছু কাজ দেন।বড় ভাইটি বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে বল্লো শিপন,আমি কি কাজ করি তুইতো তা জানিস।তুই এসব কাজ কোন দিনও করিস নি,করতে পারবিও না,আর তুই করবিও না।বলতে বলতে পকেট থেকে একটি ৫০০টাকার নোট হতে দিয়ে বল্লো যা আর কিছু টাকা জোগার করে খরচ করিস।শিপন টাকা নিচ্ছে না,বলছে ভাই আমার কাছে আর কোন টাকা নাই,হাত জোড়করে বলছে দয়াকরে আমাকে কাজ দেন আমি করতে পারবো।এবারও তার মনগল্রোনা।এটা বুঝতে পেরে শিপন এদিক ওদিন দেখে তার ঐ বড় ভাইয়ের পাধরলো।এবার কসে শিপনের গালে একটা চড় দিল!তবুও শিপন ছাড়লো না।অনেক অনুরোধের পর বল্লো ঠিক আছে!রাতে শিপন ও মাদক ব্যবসায়ী বড় ভাই একসাথে খেল,সেই সাথে শিপন কে সকল কৌশল শিখিয়ে দিল।শিপন ও ভয় পেয়েগেল কিন্তু মুখে বল্লো এটাকোন ব্যাপার,আমি করতে পারবো!ভাইটি তাকে বল্লো যদি পুলিশের কাছে ধরা খাস তাহলে ধরা দিবি আর আমার নাম বলবি না কিন্তু,শিপন বল্লো আচ্ছা ঠিকা আছে বলবো না।পরের দিন শিপন কাজেগেল,তাকে বলাহলো জঙ্গলে একদল লোক তোকে একটা ব্যাগ দিবে নিয়ে আসতে পারবি তো।এটা কোন ব্যাপার শিপনের জবাব।এই বলে শিপন জঙ্গলে চলেগেল আর ব্যাখটাও নিয়ে আসলো খুব সহজে।ভাইটি খুশিহয়ে শিপনকে বল্লো চল শহরে যাই তোর কি কি লাগবে।শিপন বলে অনেক কিছুতো লাগবে কিন্তু টাকা কই বড় ভাই বল্লো ও সব তোকে ভাবতে হবে না।চলতো এবার।দুজনেই শহরের বড় দোকানে গেল শিপন প্রথমে মায়ের জন্য একটি জামদানি শাড়ী পছন্দকরলো,তা প্যাক করেদিতে বল্লো বড়ভাই,শিপন অবাক হরে বল্লোদাম কতো?বড় ভাই বল্লো তা শুনেতোর কাজ নেই,এর আগেই দোকান্দার বলো ১৮শ টাকা।শিপন তার বড় ভাইকে বল্লো আমি এটা নেব না,
কেন?
অনেক দাম।বড় ভাইটি বল্লো আরে চলতো,তোর বোনের জন্য কি নিবি বল,শিপন কোন কথা না বলে তার সাথে গেল,এবার বড়ভাইটি একটা কিরনমালা জামা নিয়ে শিপন কে দেখাল আর বল্লো এটা তোর পছন্দহয়েছে।শিপন কোন কথা না বলে মাথা দিয়ে সম্মতি জানায়।এবার সেটাও প্যাক করে নেয়,শিপন শুনতে পায় এর দাম ২১ শ টাকা।তোর জন্য কি নিবি বল?শিপন বলে ভাই আজকে মাথা ধরছে,আজকে আর নয় আর একদিন এসে আমার জন্য নিয়ে নেব। তখনি দুজনে মার্কেট থেকে বেরিয়ে পড়ে,হাটতে হাটতে শিপন জিঙ্গেস করে ভাই এতো টাকা আমি কই পাব,আপনাকে তো দিতেহবে।তখন শিপনের বড়ভাই বলে আরে কে বলেছে,আমাকে টাকা দিতেহবে বরং তুইয়ি আমার কাছে আরও টাকা পাবি,শিপন কৌতহল বসতো বলে কি ভাবে?তখন মাদকব্যবসায়ি বড় ভাই বলে,আজ তুই যে কাজ করেছিস তার দাম কতো জানিস?শিপন মুখ ঘুরিয়ে বলে কতো আবার?একটা ব্যাগেই তো এনেছি!বড়ভাই কিছুবলে না।পথেই শিপনের হাতে কাপড়ের ব্যাগ আর ১ হাজার টাকার একটা নোট ধরিয়ে দেয় আর বলে কালকে আসতেহবে না।পরশু আসিস আরও কাজ আছে।এবার শিপন কিছু না বলে বাড়ী চলেআসে।কাউকে না দেখিয়ে শিপন কাপড়ের ব্যাগদুটি তার ঘরে লুকিয়ে রাখলো।ঈদের দিন সকালে মা আর বোন কে দিয়ে চমকেদিতে চায়।পরের দিন বন্ধুদের সাথে হেসেখেলেই পারহলো।পরের দিন আবার শিপন বড়ভাইয়ের কাছে গেলো।বড়ভাই তাকে কাজে পাঠানোর আগে খুব সাবধান কয়েদিল আজ কিন্তু অনেক দামি জিনিস খুব সাবধান।শিপন বল্লো কোন ব্যাপার না।শিপন কাজে চলেগেল।ব্যাগেকরে মান নিয়ে আসছে আর ভাবছে কি এমন জিনিসরে বাবা যার এতো দাম,একদিন কাজ করলেই এতোটাকা পাওয়া যায়।কিছুতেই তার মাথায় ঢুকছেনা।এই সব আজেবাজে চিন্তাকরছে আর হেটেহেটে আসছে।শিপন চৌরাস্তার মোড়ে আসতেই তার আপরদিকে পুলিশের গাড়ীদেখতে পেল।শিপনের গা শীউরে উঠলো আমার কাছেতো অবৈধ মাল আছে এবার কি করা যায়।শিপন খুব সাবধানে এগিয়ে চলছে আর পুলিশের গাড়ীর দিকে দেখতে দেখতে মোড়পাড় হচ্ছে ঠিক এই সময় খুবজোড়ে একটা গাড়ী এসে পিছন দিকে ধাক্কাদিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.