দেশী পণ্য, কিনে হই ধন্য

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেকগুলোই এমন যেগুলো বাংলাদেশে উৎপাদন না হওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। কিন্তু এমন অনেক পণ্যও আছে যেগুলো বাংলাদেশে উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও আমরা সেগুলো ব্যবহার না করে বিদেশী পণ্য ব্যবহার করি।



বিদেশী পণ্য মানেই ভাল বলে অনেকেই মনে করে থাকি। অথচ সবক্ষেত্রে কথাটা সত্য নয়। বাংলাদেশী অনেক পণ্য আছে যেগুলো বিদেশী পণ্যের চেয়ে ভাল। সেগুলোর ক্ষেত্রে যদি আমরা বিদেশীটা না কিনে দেশিটা কিনি তাহলে অন্তত আমরা দুই ভাবে উপকৃত হতে পারি।

প্রথমত এর মাধ্যমে আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বেচে যায়।

দ্বিতীয়ত আমাদের নিজস্ব শিল্পের বিকাশ ঘটে।



একটা উদাহরণ দেই। অনেকেরই ধারণা লাক্স সাবান মাখলে ত্বক ফর্সা ও সুন্দর হয়। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে সাবান ত্বক ফর্সা ও সুন্দর করতে পারে না। বড়জোর পরিস্কার করতে পারে। আর এই পরিস্কারের কাজটা আমাদের মেরিল, কেয়া, তিব্বত বা এ জাতীয় দেশী যে সাবান আছে সেগুলো দিয়েই সম্ভব। অথচ লাক্স ব্যবহার করে প্রতিবছর আমরা কোটি কোটি টাকা বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এই টাকা দেশে থাকলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও বাঁচত ও দেশীয় শিল্পের বিকাশও ঘটত। লাক্সের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই। শুধু উদাহরণ হিসাবে বললাম। এমন অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য।

তাছাড়া প্রতিবছর এমন অনেক বিদেশী পণ্যের পিছনে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা ঢালি, যেগুলো না হলেও মানুষের খুব বেশী অসুবিধা হয় না। যেমন, প্রসাধনী সামগ্রী। আমার জানা মতে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যায় হয় প্রসাধনী আমাদানীতে।

অথচ এই বৈদেশিক মুদ্রা গুলো আমরা পাই বিদেশে থাকা বাংলাদেশী শ্রমিক ভাইদের অবর্ণনীয় কষ্টের উপার্জন আর বাংলাদেশের গার্মেন্টসে জীবন যন্ত্রণায় দগ্ধ হওয়া বোনদের শ্রম থেকে।

১ টি +০/-০