নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখা হোক সমাজ বদলের হাতিয়ার

আল্লাহ আমার রব, সেই রবই আমার সব। দমে-দমে তনু-মনে তাঁরই অনুভব।

নাবিক

নিজেকে জানার জন্য লিখি।

নাবিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাইকে হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা

১০ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৪

আজ পহেলা মুহাররম। হিজরী ১৪২৯ সালের পয়লা দিন।



হিজরী সন আমাদের কাছে ইসলামের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ত্যাগ এর ঐতিহাসিক স্মারক।



হিজরী সন আমাদের মনে করিয়ে দেয় কিভাবে মক্কার মুশরিকরা পৃথিবীর সেরা মানুষটিকে খুন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।



আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হেফাযত করেছেন।



" মনে রেখো, আল্লাহ্ তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দু’জনের একজন, যখন তারা গুহার মধ্যে ছিলেন| তখন তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ্ আমাদের সাথে আছেন| অত:পর আল্লাহ্ তার প্রতি স্বীয় সান্তনা নাযিল করলেন এবং তাঁর সাহায্যে এমন বাহিনী পাঠালেন, যা তোমরা দেখনি| বস্তুত: আল্লাহ্ কাফেরদের মাথা নীচু করে দিলেন আর আল্লাহর কথাই সদা সমুন্নত এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়| (৯ : ৪০)



তাঁকে হত্যা করার মাধ্যমে যারা ইসলামকে মিটিয়ে দিতে চেয়েছিল তার হারিয়ে গেছে কবে, ইসলাম আজো তার আলোয় আলোকিত করছে আমাদের।



"তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়| কিন্তু আল্লাহ্ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন-যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে|" (৯ : ৩২)



হিজরী নববর্ষ আমাদেরকে ইসলামের সেই শাশ্বত আলোর দিকেই আহবান করছে।



আসুন ইসলামের আলোয় আলোকিত হই। নিজেকে রাঙাই আল্লাহর রঙে।



ও হ্যাঁ, মুহাররম চারটি পবিত্র মাসের অন্যতম। এ মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেস্টা করা জরুরী।



"নিশ্চয় আল্লাহ্র বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে| তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত| এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না|" (৯ : ৩৬)



এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে রোযা রাখা ভাল।



এ মাসের ১০ তারিখ কেয়ামত হবে এ বিশ্বাস সঠিক নয়। কেয়ামত কবে হবে তা কেবল আল্লাহই জানেন।



মনে রাখা জরুরী যে, মুহাররম কারবালা বা বিষাদ সিন্ধুর মাস নয়, মর্সিয়ার মাস নয়,

মুহাররম গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার মাস, ত্যাগের মাস, ভালো কাজ করার মাস, খারাপ কাজ হতে বেঁচে থাকার মাস।



সবশেষে কবিকণ্ঠে বলি,



"ফিরে এলো ঐ মুহাররম মাহিনা,

ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।"

কাজী নজরুল ইসলাম



সবাইকে হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২

প্রাকৃত বলেছেন: +

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮

ফজলে এলাহি বলেছেন: শুভ নববর্ষ
উপহার নিচে :)
Click This Link

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:২০

দ্বীপবালক বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১০

ইছামতীর পাড়ে বলেছেন: +

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

পরাশক্তি বলেছেন: @নাবিক , আপনি ধর্মীয়মনা মানুষ আমার খুবই ভালো লাগছে। তবে কিছু কথা লেখার জন্য এখানে আসা।
১. শুভ নববর্ষের ক্যালচার একটি পাশ্চাত্যিয় প্রথা মনে হয় এটা আপনি জানেন। েযভাবে আজ পালিত হয়ে থাকে।কথার যাতে ভুল ব্যাখ্য না হয়।
২. মুসলমানরা সাধারণত আরবী বর্ষের নববর্ষের এভাবে শুভেচ্ছা জানায় না। কেন পরে লিখছি।
৩. কাজী নজরুলের যে কবিতা এখানে তুলে ধরেছেন তার পরবর্তী অংশটুকু কেন তুলে ধরেলন না?
৪. যেহেতু এক্ষেত্রে [মার্সিয় মাতম] আপনি নজরুলকে মানদন্ড ধরেছেন তাই বলতে হয় । এই মহান জাতিয় কবি অন্যখানে এভাবে বলেছেন।
মোহররমের চাঁদ এল ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।

কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হ'ল কারবালায়।
বেহেশতে লুটিয়া কাঁদে আলি ও মা- ফাতেমায়।

আজও শুনি কাঁদে যেন কুল মুলুক্ আসমান জমীন।
ঝরে মেঘে খুন লালে-লাল শোক-মরু সাহারায়।

কাশেমের লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সকিনা।
আসগারের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।

কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি , গাহে তারি মর্সিয়া।
ঝরে হাজার বছর ধ'রে অশ্রু তারি শোকে হায়।

[নাবিক ভাই ইিতহাসের অব্যাখ্যা করার জন্য আজ মসলমানদের এই র্দূদশা]
আপনার উত্তর পেলে বাকী অংশটুকু লিখবো।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১

একেমন দেখা বলেছেন: হ্যাঁ! এমন একটা পোষ্ট খুজতেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে মোবারকবাদ রইল। এমন চিন্তার মানুষ পৃথিবীতে কয়জনা? দোওআ করি আল্লাজাল্লাহ শানুহু আপনার এল্ম উত্তোর উত্তোর বাড়িয়ে দিক। আমীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.