নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসি। লিখতে ভালোবাসি, পড়তে ভালোবাসি আর ভালোবাসি কল্পনা জগতে সময় কাটাতে। আমার ব্লগ- alrakhibs.blogspot.in ফেসবুক-antohin.rakhib.1

অন্তহীন রাকিব

ভালোবাসাও একপ্রকার ঈশ্বর

অন্তহীন রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি রোদন ভরা বসন্ত, পর্ব(১)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩



হ্যালো!!..

কে??

তোমার এক প্রশংসক

প্রশংসকের নামটা জানতে পারি???

নাম জানাটা কি খুব জরুরি???

হ্যা..

কারন টা জানতে পারি??

কারন আমি অপরিচিতদের সাথে কথা বলিনা

আমার সাথে বলতে পারো..

আজব তো!!!

আজবের কি হল???

ফোন রাখলাম..

কেনো.....??

আমি কোনো পাগলের সাথে ভাট বকতে পছন্দ করিনা।

তোমার মুখে পাগ.......

টুট..টুট..টুওওওওট......

ওপাস ফোন কেটে যাওয়ার শব্দ,

আরেকটু কথা হলে ভালো হত। হাতে সময় খুব কম, যা করার এই অল্প সময়ের মধ্যেই করতে হবে।

ভয় পেয়ে যায় আলফাজ! প্ল্যানটা ভেস্তে যাবে নাতো!!!

অনেক কিছু নির্ভর করছে এই প্ল্যানের উপর।

বর্ণা, মেয়েটা ভালো, ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল।

সেই ক্লাস ফাইভ থেকে স্কুল ফার্স্ট হয়ে আসছে।

আলফাজও কম যায়না স্কুলের ফার্স্ট বয়,তবে আজ পর্যন্ত সে বর্ণাকে হারাতে পারেনি। তাই ভিতরে ভিতরে আলফাজ, বর্ণাকে একটু হিংসা করে।

এই নিয়ে আলফাজ, বর্ণাকে তৃতীয়বার ফোন করেছে। প্রথম দু বার ফোন ধরেছিল বর্ণার বাবা।

ফোনের ওইপার থেকে অচেনা গলায় আদুরে "হ্যালো" শুনে তিনি মাত্রাতিরিক্ত গম্ভির গলায় বললেন

কে???

কি আবুল মিঞা,তোমার ব্যাপার কি!!! এক সপ্তা হইয়া গেলো টয়লেটের ছাদটা খোলা পইরা রইছে। তোমার দেখা সাক্ষাৎ নাই ব্যাপার কি??

নিজেকে সামলে নিয়ে, এক নিশ্বাষে কথা গুলি বলেছিল আলফাজ।

এই একটা বিশেষ গুন আলফাজের,মারাত্মক রকম কঠিন সময়েও সে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারে। সহজে ঘাবড়ে যায় না সে।

আলফাজের কথার জবাবে-

"ফাজিল না ইবলিশ"

কি বেশ একটা বলেছিল বর্ণার বাবা। অবশ্য আলফাজ ততক্ষনে ফোন কেটে দিয়েছে।




সিগারেট ধরিয়েছে আলফাজ। সিগারেট ফুকায় হাতেখরি হয়েছে মাস খানেক হল।

ওই আলফাজ, ওই শালা শোনতে পাস না!!

বল শালা..

কি গল্প হইলো এতক্ষন..

গল্প আর কই হইলোরে ভাই ফোন কাইট্যা দিলো।

তুই হুদাহুদিই কান্দস,এইডা কুনো ব্যাপার হইলোরে শালা। সব মেয়েরাই প্রথম প্রথম একটু আধটু নাকুরনুকুর করে।

নিলয়ের কথা শুনে হাসি পাচ্ছে আলফাজের। অবশ্য হাসি পাওয়ারই কথা।

কিন্তু আলফাজ হাসছে না,সে নিজেকে প্রেমিকার গুরুত্ব না পাওয়া উদাসিন প্রেমিক হিসেবেই নিলয়ের সামনে উপস্থাপন করছে।

শুধু আজ নয় আলফাজ গত এক মাস ধরেই এই অনিচ্ছাকৃত অভিনয় করে আসছে।

কারন আলফাজের হাসি নিলয়ের কান্না।


আর প্রিয় এই বন্ধুকে দুঃখি দেখতে চায় না বলেই প্রানের থেকেও অধিক প্রিয় জিনিসটিকে দুরে সরানোর প্ল্যান করেছে আলফাজ।

আলফাজ,নিলয়কে খুব ভালোবাসে তা নয়,তবে নিলয় নামক চামার গোচের হাস্যজ্বল ছেলেটির প্রতি গভির সহানুভুতিশীল।

এর কারন আজ পর্যন্ত আলফাজ জানেনা,কেনই বা সে নিলয়ের প্রতি এতটা সহানুভুতিশীল। কেনই বা সে তার সবথেকে প্রিয় স্বপ্নময় বাস্তবতার সেই অপরুপাকে দিয়ে দিচ্ছে এই ছেলেটিকে।

তবে আলফাজের পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যাদের দেখলেই আলফাজের একধরনের সহানুভুতি জাগে।

হয়তো নিলয় তাদের একজন।

সিগারেট শেষ, চল কাল্টি মারি, কোচিং ছুটি হইছে ২ঘন্টার বেশি, বাপ আইজ ভাংবে।

চল...

ভাই,বর্ণা খুব ভালো মেয়ে আর তোর লগে মানাইবেও ঝাক্কাস।কইলে হবেনা তোর চয়েস আছে।

ছার না এই সব কথা...
বড্ড Boring লাগছে আলফাজের।

টানা তিনবছর ধরে একই রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে সকালে স্কুল আর সন্ধায় কোচিং গেলে কেই বা Bored হবেনা!!!

সিগারেটটা খাওয়ার পর মাথার যন্ত্রনাটাও আবার শুরু হয়েছে।

অবশ্য আলফাজ এর একটা ওষুদও বার করেছে।


মন খারাপ হলেই সে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে চলে যায় তার অতিপ্রিয় কল্পনার জগৎে।

এক সময় এই জগৎটা ছিল শুধু আলফাজের, তবে দু বছর আগে সে ঐন্দ্রিলাকেও ওই জগৎের বাসিন্দা করেছে।


তবুও অতিত নামক বিষাদময় সমুদ্রে গন্তব্যহীন সাঁতার......

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১১

অন্তহীন রাকিব বলেছেন: তবুও অতিত নামক বিষাদময় সমুদ্রে গন্তব্যহীন সাঁতার......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.