নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ (!)। তাই মানবতার প্রাধান্য সবার আগে। তারপর না হয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রাধান্য। -- [email protected]

হাবিব ইমরান

পড়তে, ভাবতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোয় দারুণ পছন্দ। ধার্মিকতা আর বকধার্মিকতার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বিলকুল অপছন্দ।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই নির্লজ্জতার শেষ কোথায় !!!!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯


মুক্তিযুদ্ধ এমন একটা জায়গা সে জায়গায় সবাইকে এক থাকতে হবে!
আবেগ দিয়ে, সম্মান দিয়ে ভালোবেসে আগলে রাখতে হবে। বাঙালীর একমাত্র সম্মানের জায়গা হলো এই মুক্তিযুদ্ধ। যেই মুক্তিযুদ্ধ না হলে আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রেই থাকতো না, সেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজ এই বাঙলায় রাজনীতি করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগকে। বিক্রি করা হচ্ছে সম্মানকে পণ্য হিসেবে। কি সেলুকাস ! কি নির্লজ্জতা!

মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই এরকম সুবিধা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেনি। যুদ্ধ করেছে দেশের জন্য।
অনেক মুক্তিযোদ্ধা এই আবেগ থেকে, সম্মান থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের জন্য সার্টিফিকেটও গ্রহণ করেনি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি সার্টিফিকেট বিক্রি করে দেশকে, মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করছে। রাজনীতি করেছে।

আমাদের বিজ্ঞ নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা বিলুপ্ত ঘোষণা করছেন। নিঃসন্দেহে এটা দেশের জন্য ভালো দিক। চিন্তা করলে দেখা যাবে এখন আর দেশে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠি নেই। অনেকটা দেশ এগিয়ে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন বিভিন্ন সুবিধা থাকায় পিছিয়ে পড়ার হার অনেকাংশে কমে গেছে। তাই তিনি কোটা প্রথা বিলুপ্ত করেছেন। তিনি চেয়েছেন দেশে মেধাসম্পন্ন কর্মকর্তা আসুক, দেশ এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই মেধাসম্পন্ন কর্মকর্তা প্রয়োজন।
মেধাহীন কর্মকর্তা দিয়ে দেশের ক্ষতি ছাড়া আর কোনো লাভ হবেনা। তাই তিনি সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি সেটা যেন ওনার একতরফা সিদ্ধান্ত দেশের জন্য চাপিয়ে দেয়া না হয় সে জন্য তিনি কমিটি গঠন করেছেন পর্যালোচনা করার জন্য। সেই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন।

কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজনীতিকে পুঁজি করে, ভাড়াটে আর নিম্ন শ্রেণীভুক্ত কিছু পোলাপান আর অসাধু কর্মকর্তা দিয়ে আবার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বেহায়াপনা আর নোংরামি ই তাদের রাজনীতির পুঁজি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সেসময়ের বয়স হিসেব করলে এখন আর মুক্তিযোদ্ধারা কোটা পাওয়ার সময় নেই। তাই সন্তানদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ধরতে গেলে এখন সেটাও শেষ। নির্দিষ্ট সময় পরে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু নাতি কোটা তো পুরাই অমানবিক ব্যাপার। দেশের ভেতরে বৈষম্য সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনো উপকার নেই।

প্রথম শ্রেণীতে কোটা দিয়ে মেধাহীনদের দিয়ে দেশ চালালে দেশেরই তো বারোটা বাজার কথা, সেটা এ জাতি কবে বুঝবে!
আজ তারাই গুটি কয়েক লোক নিয়ে আন্দোলন করে দেশের বারোটা বাজাচ্ছে।
তারা নিজেরাই দেখছে তাদের কোনো জন সমর্থন নেই। তারপরও নির্লজ্জের মতো বসে দেশকে, মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করছে। ছিঃ....

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
এই কুকর্মগুগুলো নিশ্চিত মুক্তিযোদ্ধের সম্মান কমানোর জন্যই করা হচ্ছে; নিজ স্বার্থের কারণে এরা কোনটা করলে কী হবে সেটা ভাবছে না!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

হাবিব ইমরান বলেছেন: এই অশিক্ষিতরাই আবার কোটা দিয়ে ASP/ SP হওয়ার চিন্তা করছে। কমনসেন্স বলতে একটুও নেই। শিক্ষাও নেই, কমনসেন্সও নাই। তাই তো কোটার জন্য লাফালাফি।

কোটা ই এদের শেষ অস্ত্র।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেরকে পুলিশ কিছু বলছে না কেন?
নাকি এদের কিছু বললে মুক্তি যোদ্ধাদের অসম্মান করা হবে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

হাবিব ইমরান বলেছেন: যা ভেবেছেন ঠিক তাই।
মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান হবে তাই কিছু বলছেনা।
না হলে কোটাবিরোধীদের যেভাবে পিটিয়েছে সেভাবে পেটালে একটার হাড্ডিও কেউ খুঁজে পেতনা।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

সাগর শরীফ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার বাবা তার প্রয়োজনের সময় সুবিধা পাননি, এখন নাতি হিসেবে সেই সুবিধা নিতে আমারও বিবেকে বাধে। ছেলেপুলে পর্যন্তই ঠিক ছিল, নাতি পুতি আবার বেশী হয়ে যায়। কিন্তু দিনকাল যা পড়েছে সুবিধা না নিয়ে এরা কই যাবে ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

হাবিব ইমরান বলেছেন: কিছু মানুষ পরিস্থিতির স্বীকার। আর কিছু সুবিধাবাদী। তারা ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিতে অভ্যস্ত। তাদের জন্য একরাশ ছিঃ!

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

হাবিব বলেছেন: সবই অভিনয়, বিরানি খাওয়ার ফন্দি।
সেফুদার ভাষা ছাড়া কাজ হবে না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

হাবিব ইমরান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
সেফুদাকে আজ বাস্তববাদী মনে হচ্ছে। সমাজের পরিবর্তনের জন্য সেফুদা-ই বেষ্ট।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ৩০ শতাংশ কোটার দাবিতে আন্দোলন, রাস্তায় অবস্থান। গুনে দেখুন- ৩০ জন লোকও জড়ো হয়নি!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

হাবিব ইমরান বলেছেন: সেটাই।
এ অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে তাদের মধ্যে কিছু মানুষের এই ব্যাপারটা অরুচিকর লাগছে। তাই তারা যোগ দিয়ে হাস্যকর হতে চায়না। কিন্তু কিছু নির্লজ্জ তারপরেও মাঠে বসে বসে ভিক্ষা করছে আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কালিমালেপন করছে। সুবিধাবাদী পুলিশও অপবাদ আর চাকরি খোয়ানোর ভয়ে চুপচাপ দেখে যাচ্ছে।

হায় বাংলাদেশ! আহা বাংলাদেশ!
তোমার এতরূপ দেখে আমি সত্যিই বিস্মিত।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কোটা সংস্কার না করে সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা শুনে আচ করতে পেরেছিলাম, ভেতরে কিছু একটা আছে। প্রধানমন্ত্রীর সমসাময়িক বক্তব্যের মধ্যমে কোটা দাবীদারদের আন্দোলনে উৎসাহ প্রধান করা দেখে সব পরিষ্কার হচ্ছে।

লজ্জা করে, যখন দেখি দেশের প্রধান সারির মানুষগুলো পাব্লিকের জন্য রাজনীতি না করে বরং পাব্লিকের সাথে নোংরা রাজনীতি করে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: এই নোংরা রাজনীতিই বর্তমানের কথিত প্রথম শ্রেণীর রাজনীতিবীদদের আসল পুঁজি। যার মূলে রয়েছে নির্লজ্জতা আর চাটুকারিতা।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিরিয়ানির স্বাদ বাংগালিরা সহজে ভুলবেনা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

হাবিব ইমরান বলেছেন: আহা বিরিয়ানি,
তোমার গন্ধে ব্যাকুল হয়ে আজ কিছু পাগল ছাগল রাস্তাকে নিজের বাসা বানিয়ে ফেলেছে। দিশা দাও, ওগো বিরিয়ানির প্যাকেট। তোমাকে না পেলে এই ভাড়াটে কাঙালরা না খেয়ে মরতে হবে।
ওরা নির্লজ্জ হতে পারে, কিন্তু তুমি হয়োনা। প্লিজ লাগে।

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: কেন যে এইসব ছাইপাশ লিখেন, কাদের উদ্দেশ্যে লিখেন বুঝা মুশকিল। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বিগত দশ বছর ধরে তা কি আপনারা জানেন না? আজ যারা অবস্থান নিয়েছে বিরিয়ানি খাওয়ার পার্টিতে পরশু তারা কোটা দিয়ে সরকারী চাকুরিতে ঢুকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অগনতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতা নিশ্চিত করবে। এত সহজ সরল হিসাব বুঝতে এত সমস্যা?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

হাবিব ইমরান বলেছেন: যা বলেছেন তা যদি সঠিক হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলার ভবিতব্যে ঘন কালো অন্ধকার দেখা দিবে। যার ফলাফল অত্যন্ত ভয়ানক আর হিংস্র হবে।
মানবতাবোধ আর শিক্ষা না থাকলে যা হওয়া সম্ভব, আগামী দিনে তাই হবে।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

শেখ মফিজ বলেছেন: এটা আন্দোলনের নতুন ধারা ।
"মিয়া বিবি রাজী " ............

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

হাবিব ইমরান বলেছেন: বাংলাদেশকে হাজার বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য এরকম দু একটা আন্দোলনের ধারা ই দায়ী। অবাক হচ্ছি! বর্তমান শিক্ষিত সমাজেও এরকম অজ্ঞরা বাস করে?
যাদের করাল থাবায় আজ প্রিয় বাংলাদেশ মৃতপ্রায়।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, সরকার চাইলে আবার কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে এখনকার প্রক্রিয়াগুলোই অনুসরণ করতে হবে।

অর্থাৎ সচিব কমিটিকে পুনরায় পর্যালোচনার দায়িত্ব দিতে হবে, তাদের সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটিতে উত্থাপন এবং অনুমোদন হতে হবে। এরপর পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করে কোটা ব্যবস্থা বহাল করতে হবে। অর্থাৎ পুরোটাই নির্ভর করবে সরকারের ইচ্ছার ওপরে। তবে চাইলে সরকার এই কমিটি পুনর্বিন্যাস করতে পারে। কপি পেষ্টঃ বিবিসি বাংলা ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

হাবিব ইমরান বলেছেন: যেই লাউ সেই কদু। শুধু নামটা ভিন্ন। আর নামের ভিন্নতার কারনেই বাঙালীদের আজ লাউ এর জায়গা কদু খাইয়ে দেয়ার পায়তারা করে। বাস্তবে বাঙালীর ভাগ্যে জোটে কচিকাঁচা মুলো।

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এতকিছু বিবেচনার পর সব বাঘা বাঘা লোকেরা একত্রে বসে যেটা বাদ দিয়ে দিয়েছে, কোন ছলচাতুরী করে সেটাকে পুনর্বার ফিরিয়ে আনা মোটেই সমীচীন হবেনা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
কোটা বাদ দিয়ে তা আবার ফিরিয়ে আনাটা ঠিক হবেনা। তাহলে এ অল্প কিছু সুবিধাবাদীদের কারণে সরকার জনগনের কাছে মুনাফিক হিসেবে প্রকাশ পাবে। কারণ জনগন দুই আন্দোলন ই দেখেছে। তাদের দুই আন্দোলন নিয়ে বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা রয়েছে জনগনের ।
হয়তো আলোচনার মাধ্যমে অন্যকোন সমাধানে যাওয়া সম্ভব।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: নির্লজ্জ নিকৃষ্টের দল এগুলা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

হাবিব ইমরান বলেছেন: বাপ দাদারা দেশ রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে। আর এরা দেশ ধ্বংস করার জন্য আন্দোলন করছে।
এরা আসলেই নোংরা।

১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রঙ্গে ভরা বঙ্গ!!! এদেরকে তিন বেলা বিরিয়ানী সরবরাহ করা হোক!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: সেটা হলেও আপত্তি নেই।
আমাদের আপত্তি শুধু অসমতা আর দুর্নীতিতে। প্রথম শ্রেণিতে কোটা দিলে নিজেদের বুদ্ধিহীনতার মাধ্যমে ফয়সালা দিয়েই দেশটা শেষ করে দিবে।

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১

সনেট কবি বলেছেন: এরা সবাই স্বার্থ নিজ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২০

হাবিব ইমরান বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
সুবিধাবাদীরা কখনো দেশের কথা ভাবেনা। তারা ভাবে নিজেদের কথা। আর এভাবেই দেশটা শেষ হয়ে যায়।

১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: আচ্ছা মেধা , মেধাবীর সংজ্ঞাটা ঠিক বুঝতে পারছি না আমি।একজন যদি ২০ পায় আরেকজন যদি ১৮ পেয়ে চাকরি পায় সেখানে আমরা বলতে পারি যে তুলনামুলক ভাবে একটু কম মেধার ছেলেটি চাকরি পেয়েছে।কিন্তু একদম অমেধাবী,মেধাহীন চাকরি পেয়ে গেল তা কিভাবে বলতে পারি আমরা !!!!!! মেধা , মেধাবী শব্দগুলো বুঝে তারপর কোটা হোল্ডারদের কথা বলতে আসবেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১৭

হাবিব ইমরান বলেছেন: ২০ আর ১৮ না ভাই।
২০ আর ১০ ধরেন। তাও দুই একটা হলে হতো। কিন্তু তারা ১০০ জনে ৩০ জন সহ বিভিন্নভাবে ১০০ জনে মোট ৫২ জন ১০ পেয়েই পার হয়ে যাচ্ছে। আর যারা ২০ পাচ্ছে তারা বহু সংখ্যক বাদ পড়ে যাচ্ছে। এভাবে আর কতদিন? প্রজাতন্ত্রের সব কাজে সমতা থাকা উচিৎ। সুবিধা দিবেন, অন্যকিছুতে দিন। এখানে কেন দিবেন? যে কিনা ২০ এর জায়গায় ১০ পায়, তাকে কেন দিবেন? রাষ্ট্রের ভালোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটাই দেয়া উচিৎ। তাতে রাষ্ট্রের চাকা সচল থাকবে।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

কেএসরথি বলেছেন: মোট কথা:

যারা কোটা থেকে বেনেফিট পাবে তারা সবাই কোটার পক্ষে আন্দোলন করবে - আর যারা কোটা থেকে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে না, তারা সবাই বলবে "কোটা বাতিল কর"। সমস্যাটা ঐখানেই। কোন এইচ.পি. কখনও যেটা ঠিক সেটা করতে এগিয়ে আসবে না। যে ছেলে কোটা কারনে, সরকারী ভালো চাকুরী পেতে পারে, সে কখনও এগিয়ে এসে বলবে না " না ভাই আমার এত ভালো চাকুরী দরকার নাই - আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে আমার বন্ধু - চাকুরীটা ওকে দিয়ে দিন।"

যেই ১০-১২ জন এইচ.পি. এই আন্দোলন করতেছে, যেয়ে দেখেন এগুলো সবগুলোর কোটায় চাকুরী পাবার কথা ছিল। কিন্তু হটাৎ করে কোটা বাতিলের কথা উঠে আসায় এদের ডায়েরীয়া শুরু হয়ে গেছে। এরা বসে বসে ভাবতেছে "হায় খোদা! আমি পরীক্ষায় ৫৫ পেয়ে অমুক চাকুরী পাবো ভেবেছিলাম। আর সালাম/রফিক/জব্বার এরা পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও ঐ চাকুরীটা পেত না। আমি এতদিন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল এটা ভেবে, এই চাকুরী আমার। কিন্তু কোটা বাতিল হলে তো আমি রাস্তায়!!! ৫৫ পাইছি পরিক্ষায় - আমারেও তো কেউ বাসের ড্রাইভারের চাকুরীও দিব না! তো অহন আমি কি করি?? আইডিয়া হেরা যেমন কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করছে - তেমনি আমরাও কোটা রাখার জন্য আন্দোলন করমু - ব্যাস!"

ফ্রিকিং এইচ.পি.'স!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাবিব ইমরান বলেছেন: হুম, এক্ষেত্রে সবাই আত্মকেন্দ্রীকতাবাদী।

কিন্তু তারা অল্প কিছু কোটার জন্য আবেদন করতে পারে। সর্বোচ্চ ১০%, তাহলে এই সহনীয় পর্যায়ের কোটার বিষয়টার জন্য কারো আর ক্ষোভ থাকতো না। একেবারে ৩০% দিতেই হবে এটা আবার মামার বাড়ীর আবদারের মতো বিষয়টা। তাই সাধারণরা ক্ষেপে গেছে। আর এরাও যৌক্তিকতা না বুঝে ৩০% চাই বলে আবার মাঠে নেমে গেছে।
সত্যিই হতাশাজনক।
এদের নূন্যতম কমনসেন্স থাকলেও এরা এ কাজটা করতো না।

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আশার কথা, বেশী জমায়েত করতে পারছে না। তাদের মধ্যে কিছুটা লজ্জা পেয়ে বসেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের জন্য ছেলে মেয়ে পর্যন্ত ঠিক আছে, নাতী-পুতিও। উফ! কী ধরনের মানসিকতা এটা? আসলে এদের অনেকের পিতাই অনেক লাখ টাকা দিয়ে এই সার্টিফিকেট কিনেছে। এখন সেটা একটা কাগজে পরিণত হওয়াতে অনেকের মাথা পাগল হয়ে গিয়েছে...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১০

হাবিব ইমরান বলেছেন: যা বলেছেন ব্যাপারটা এক দিক থেকে খুশীর খবর। তারা ব্যর্থ হলে সফল হবে প্রিয় মাতৃভূমি।
কিন্তু তাদের সাথে সার্টিফিকেট বিক্রির বিষয়টা সত্যিই লজ্জাজনক। দেশের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। ইজ্জতের ব্যাপারতো রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.