নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ (!)। তাই মানবতার প্রাধান্য সবার আগে। তারপর না হয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রাধান্য। -- [email protected]

হাবিব ইমরান

পড়তে, ভাবতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোয় দারুণ পছন্দ। ধার্মিকতা আর বকধার্মিকতার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বিলকুল অপছন্দ।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থাপত্য পরিচিতিঃ পর্ব- ২ [বাংলাদেশের স্থাপত্য (খ)]

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

স্থাপত্য পরিচিতিঃ পর্ব- ১ Click This Link

জানুয়ারী ১৮৩৯ এ ফ্রেডরিক পিটারের আঁকা সুন্দরবনের গ্রাম

৫. সাধারণ বাংলো ধরণের স্থাপত্যঃ
বাংলো স্থাপত্যের সূচনার ঐতিহাসিক ভূমি বাংলা প্রদেশ। "বাংলো" বলতে আসলে "বাঙ্গালি" বোঝায় এবং বিকৃত অর্থে "বাংলা ধরণের বাড়ি" বোঝায়।বাড়িগুলো প্রথাগত ভাবেই ছোট ছিল, কেবল একতলা, নিরিবিলি, একটি প্রশস্ত উঠান থাকত, ব্রিটিশরা ব্যবহার করত, গ্রীষ্মে হিমালয় থেকে ফেরার পথে এবং ভারতীয় শহরের বাইরে তারা এগুলো প্রাদেশিক প্রশাসকের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করত। বাংলো ধরণের বাসাগুলো এখনো গ্রাম বাংলায় বিখ্যাত। আধুনিক কালে মূল স্থাপত্য উপাদান হিসেবে খাঁজকাটা ষ্টীলের পাত ব্যবহার করা হয়। আগে কাঠ, বাঁশ এবং খড় ব্যবহার করা হত। খড় ছাঁদে ব্যবহার করা হত যা ঘরগুলোকে গরমকালেও ঠাণ্ডা রাখত। বাংলোগুলোতে ছাঁদের আবরণ হিসেবে লাল ইট ব্যবহার করা হত।

৬. ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যের প্রত্যাবর্তনঃ
ব্রিটিশ উপনিবেশ যুগে অতীতে প্রচলিত ইন্দো-ইউরোপিয়ান ধরণের উন্নতি হতে থাকে, যা কিনা ভারতীয়, ইউরোপিয়ান এবং মধ্য এশীয় (ইসলামিক) উপাদানের মিশ্রণে তৈরি। উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য হচ্ছে ঢাকার আহসান মঞ্জিল এবং রংপুর শহরে অবস্থিত তাজহাট রাজবাড়ি।

আহসান মঞ্জিল, ঢাকা

তাজহাট রাজবাড়ি,রংপুরশশী বিশ্রামাগার, ময়মনসিংহ

নাটোর রাজবাড়ী

৭. বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্যঃ
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, স্থাপত্যের উপকরণ, শিল্পকলা এবং প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির ফলে বাংলাদেশের স্থাপত্য বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থাপত্যকে এর প্রথাগত রূপ থেকে আধুনিক রূপে নিয়ে এসছে। নগরায়ন এবং আধুনিকায়নের সাথে তাল মিলিয়ে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ব্যাপক মাত্রায় ধারণ করে স্থাপত্য রীতি আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থাপত্য এদেশের মানুষের ইতিহাস এবং জীবন সম্পর্কে গভীর তথ্য প্রকাশ করে। ফজলুর রহমান খান ছিলেন একজন অবকাঠামো প্রকৌশলী এবং স্থাপত্যবিদ যিনি আজকের যুগের সুউচ্চ ভবন তৈরির মৌলিক পদ্ধতি গুলোর সূচনা করেন। "অবকাঠামো প্রকৌশলের আইনস্টাইন" হিসেবে গণ্য খানের "নলাকার নকশা" বহুতল ভবনের নকশায় বিপ্লব নিয়া আসে।১৯৬০ এর সময় থেকে ৪০-তলার উপরে বেশিরভাগ দালান খানের প্রকৌশল নীতি থেকে প্রাপ্ত একটি নলাকার নকশার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে। উইলিস টাওয়ার যা আমেরিকার দ্বিতীয় উঁচু ভবন (একসময় সর্বোচ্চ ছিল শুধু আমেরিকাতে নয় সারা বিশ্বে এবং অনেক বছর ধরে), জন হ্যানকক সেন্টার, হজ টার্মিনাল প্রভৃতির স্থপতি তিনি। তাঁর নকশা ভবনগুলোকে শুধ শক্তিশালী এবং দক্ষ রূপই দেয় নি, দালান তৈরিতে উপকরণের ব্যবহার ও কমিয়ে আনে (অর্থ সাশ্রয়ী) এবং দালান গুলোর উচ্চতা ক্রমশ বাড়ানো সম্ভব হতে থাকে। নলাকার নকশা, অভ্যন্তরীণ জায়গা বাড়িয়ে তোলে, দালানকে যেকোনো আকার নিতে সাহায্যের মাধ্যমে স্থপতিদের অকল্পনীয় স্বাধীনতা প্রদান করে।তিনি বহুতল ভবনে সহজে উপরে ওঠার জন্য স্কাই লবি আবিষ্কার করেন এবং অবকাঠামো নকশায় কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার প্রচলন করেন। ফজলুর রহমান ২০ শতকের অগ্রগণ্য অবকাঠামো প্রকৌশলী যিনি এই পেশায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অকল্পনীয় এবং চিরস্থায়ী বদান রেখে গেছেন। ২০ শতকের শেষার্ধে আকাশচুম্বী দালান তৈরির মিছিলে অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে ফজলুর রহমানের অবদান অনেক বেশি এবং এটর ফলে মানুষের পক্ষে "আকাশের শহরে" বসবাস এবং আকজ করাআ সম্ভব হয়েছে। খান একটি ধারা প্রবর্তন করেন যা অতুলনীয় এবং স্থাপত্য ও অবকাঠামো প্রকৌশলে দৃষ্টান্ত।

লালবাগ কেল্লা, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল

জাতীয় স্মৃতিসৌধ- মহান মুক্তিযুক্তের স্মারক

৮. পাল সাম্রাজ্যঃ
সোমপুর মহাবিহার

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত বাংলা অঞ্চলটি বৌদ্ধ রাজত্ব পাল সাম্রাজ্যর অধীনে ছিল। পালগণ 'পাল স্থাপত্যশিল্প' নামে বৌদ্ধস্থাপত্যের একটি স্বতন্ত্র ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। পালদের উল্লেখযোগ্য কীর্তির মধ্যে সুবিস্তীর্ণ বিক্রমশীল বিহার, অদান্তপুরী বিহার ও জগদ্দল বিহার প্রধান। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বাহিনী এই প্রকাণ্ড স্থাপত্যগুলো ধ্বংস করে। ধর্মপাল কর্তৃক নির্মিত সোমপুর মহাবিহারটি ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধবিহার এবং এই দর্শনীয় স্থানটিকে 'নয়নের আনন্দ' বলে বর্ণনা করা হয়। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, চিন, জাপান, তিব্বত প্রভৃতি স্থানে পাল স্থাপত্যরীতি অনুসৃত হয়। যথার্থভাবেই বাংলা ‘পূর্বের রানী’ নামে প্রসিদ্ধ হয়। ড. স্টেলা ক্র্যামরিসক বলেন "বিহার ও বাংলা অঞ্চলের শিল্পকলা; নেপাল, ব্রহ্মদেশ, শিলন ও যবদ্বীপ এ সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখেছে।" ধীমান ও ভিত্তপাল দুজন প্রখ্যাত পাল স্থপতি। জে. সি. ফ্রেঞ্চ সোমপুর মহাবিহার নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন:
আমরা মিশরের পিরামিড নিয়ে গবেষণায় প্রতি বছর মিলিয়ন ডলার ব্যয় করি। কিন্তু এর এক শতাংশ অর্থও সোমপুর মহাবিহার খননের কাজে ব্যয় করি না, কে জানে কী অসাধারণ আবিষ্কার হয়তো রয়েছে এর মাঝে।

৯. বাংলার সমাধি স্থাপত্যরীতিঃ
সমাধিসৌধ বলতে কবরের উপরের স্থাপনাকে বোঝায়। বর্তমানে বিদ্যমান সমাধিসৌধের সংখ্যা কম হলেও তাতে প্রচুর বৈচিত্র‌্য দেখা যায় এবং এতে ইসলাম ধর্মীয় রীতির প্রাসঙ্গিক সংযোজনও লক্ষিত হয়। হাদিস অনুযায়ী বিভিন্ন মুসলিম দেশে তাশিয়াৎ আল কুবুর চর্চা করা হয় অর্থাৎ কবরের মাটি চারপাশের মাটির সঙ্গে সমান করে দেওয়া হয়। তবুও বাংলায় কবরের ঊর্ধ্বস্থ স্থাপনা, ইষ্টক বা প্রস্তরনির্মিত কবরবিহীন স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা স্থাপত্যশৈলীসমৃদ্ধ স্মৃতিসৌধ প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়। মুঘলপূর্ববর্তী ও মুঘল আমলের অবশেষগুলোর মধ্যে তিন শ্রেণির মানুষের সমাধি দেখতে পাওয়া যায়, এঁরা হলেন বিজয়ী বা মহৎ ব্যক্তি, সাধু-দরবেশ ও গাজী অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধের বিজেতা। মাটিতে সমাহিত করাকে আরবি শব্দ কবর, কবরের উপর নির্মিত স্থাপনাকে বাংলা সমাধি এবং খুব সম্মানিত ব্যক্তির সমাধিকে ফারসি মাজার শব্দ দ্বারা অভিহিত করা হয়। সাধু-দরবেশ ও গাজীদের সমাধি কোন দরগার সন্নিহিত হলে সেটি একটি বিস্তৃত অর্থজ্ঞাপক দরগাহ নামে চিহ্নিত হয়। পবিত্র সমাধি অর্থে ফারসি ‘আস্তানা’ শব্দটি বাংলায় অপ্রচলিত। সমাধিস্থ শিলালিপিতে মকবর, তুর্বা, কবর, গুনবাদ, রওজা প্রভৃতি শব্দ পাওয়া যায়। বাংলার সমাধিসমূহকে দুটি ধারাবাহিক ক্রমে বিন্যস্ত করা যায়- সুলতান বা প্রাক মুঘল পর্যায় এবং মুঘল পর্যায়।

১০. পোড়ামাটির মন্দির স্থাপত্যশৈলীঃ
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির,

উচ্চ কাঠামোয় স্থাপিত যদিও প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বাংলায় জনবসতি স্থাপনের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে, তবুও দুঃখজনকভাবে স্থাপনাগত নিদর্শনের সংখ্যা খুবই কম। এর প্রধান কারণ মূলত বাংলার ভূমির গঠন। এখানের জনবসতি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি প্রশস্তা নদীর বন্যাপ্রবণ পাললিক সমভূমি অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে, যা অস্থিতিশীল ভৌগোলিক গঠন এবং যেখানে স্থাপনাসমূহ অবিকৃত থাকা খুবই কঠিন। বাংলার অসমতল এলাকা বলতে পূর্ব ও উত্তরে হিমালয়ের সেতুবন্ধে ছোটনাগপুর মালভূমি। বাংলার মন্দির নির্মাণকারীগণ, মন্দির নির্মাণের উপাদান নির্বাচনে বাংলার ভূপ্রকৃতির সাহায্য নিয়েছেন। অধিকাংশ মন্দির পোড়ামাটির তৈরী, যাতে বহির্দিকে পোড়ামাটির বিভিন্ন রকম অলঙ্করণ রয়েছে এবং নাগরী লিপিতে কিছু কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে। গঙ্গা-বিধৌত বদ্বীপ অঞ্চল ও তরাই অঞ্চলের ভারি বৃষ্টিপাত বিবেচনা করে ছাদ বিশেষভাবে বাঁকা কাঠামোয় নির্মাণ করা হয়েছে যেন বৃষ্টির জল দ্রুত সরে যায় এবং ভবনের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়। গুপ্ত সাম্রাজ্য এর সময় থেকে শুরু করে কিছু স্থাপনাগত নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। চন্দ্রকেতুগড় ও মহাস্থানগড় এলাকায় সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত পোড়ামাটির ফলক, শুঙ্গ ও গুপ্ত আমলের স্থাপত্যরীতিতে নতুন সংযোজন। বাংলার স্থাপত্যকলায় পলবী ও ফমসন প্রভাব ছাড়াও ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার ভঞ্জ স্থাপত্যরীতির বেশ প্রভাব রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের মন্দিরগুলোর ছাদ বা চূড়া সম্পূর্ণ পৃথক, যেগুলো গ্রামবাংলার গোলাঘরের ছাদের মত নির্মিত।পশ্চিমবঙ্গ এর বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে এমন বৈশিষ্ট্যের মল্ল রাজত্বে নির্মিত বেশ কয়েকটি মন্দির দেখা যায়। অধিকাংশ মন্দিরের বাইরের দিক সুদৃশ্য পোড়ামাটির ফলকে সজ্জিত যেখানে বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়াবলি সেই সময়ের সমাজব্যবস্থার ছবি প্রতিফলিত করে। মন্দির কাঠামো ‘চালা’ নামে পরিচিত ত্রিকোণাকার ছাদ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে। আট পাশে কোণ করা পিরামিড আকৃতির ছাদ ‘আটচালা’ নামে পরিচিত, যা মূলত চালার আটটি দিক বোঝায়। সাধারণত মন্দিরসমূহে একের অধিক চূড়া দেখা যায়। দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া অনুযায়ী ল্যাটেরাইট মাটি ও ইট দিয়ে এসব মন্দির নির্মাণ করা হয়। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি ভঞ্জ রীতিতে নির্মিত মন্দিরের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ, তবে নদীতীরবর্তী অন্যান্য শিবমন্দিরগুলো ছোট আকারে দক্ষিণ বাংলার রীতিতে নির্মিত হয়েছে।


ঢাকেশ্বরী মন্দিরের শিবমন্দির, চৌচালা ছাদ


আঁটপুর রাধাগোবিন্দজীউ মন্দির


চণ্ডীমণ্ডপ


পুঠিয়া মন্দির চত্বর, রাজশাহী, বাংলাদেশ

(চলবে.....)

[সূত্রঃ উইকিপিডিয়া]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। পরিশ্রমী এ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বাংলাদেশের স্থাপত্য বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। আমি এসব বিষয়ে জানতে খুব আগ্রহী।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

হাবিব ইমরান বলেছেন: ভালোবাসা রইলো প্রিয়। চেষ্টা করবো দারুণ কিছু দেয়ার।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ফ্রেডরিক পিটারের আঁকা ছবি অসাধারণ। ঢাকার আহসান মঞ্জিলের সাথে রংপুরের তাঝাট রাজবাড়ির সাদৃশ্য ব্যপক।

পোষ্টে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোলাগা বুঝে পেলাম। ভালোবাসা বুঝে নিবেন প্রিয়।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

হাবিব ইমরান বলেছেন: :)

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

ফেনা বলেছেন: খুবই ভাল পোষ্ট।
ভাল লাগা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: খুবই সুবিন্যস্ত ও তথ্যবহুল একটি পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এদেশের অনেক স্থাপত্যই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে এসবের পুনঃ সংস্করণের ব্যবস্থা করা উচিত।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

হাবিব ইমরান বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

স্থাপত্য, স্থাপনা, ঐতিহ্য এরকম বিষয়গুলোর প্রতি কাজ করে ভালোলাগা।
আর ভালোলাগা থেকে আসে ভক্তি। শ্রদ্ধা। আর শ্রদ্ধা থাকলে রক্ষণাবেক্ষণের ইচ্ছে জাগে। আফসোস, দুর্ভাগ্যবশঃত আমাদের সে মানসিকতা এখনো তৈরী হয়নি।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
খেয়াল রাখবেন কিছু যেন বাদ না যায়। হোসনী দালান। কাটরা ইত্যাদি।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা করে যাবো সবকিছু তুলে ধরার। এরকম মনে করিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করবেন আশা রাখছি।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

জ্ঞান পাগল বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট। :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

কাতিআশা বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো! এদেশের আধুনিক স্থাপেত্য লই আই কান (Louis I Kahn) এর অবদান অনেক...আমাদের সংসদ ভবন তার অন্যতম একটা কীর্তি!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

হাবিব ইমরান বলেছেন: জী ধন্যবাদ।
আধুনিক স্থাপনা নিয়ে আলাদা একটা পর্ব রাখার ইচ্ছে আছে। সেই পর্বে 'স্থপতি লুই আই কান' এর বিস্তারিত থাকবে।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম রাসেল ,



খুব ভালো একটি লেখা ।
সহব্লগার আরোগ্যর মন্তব্যে সহমত ।
তবে "সাধারণ বাংলো ধরনের স্থাপত্যে." অংশের শেষের লাইনে "বাংলোগুলোতে ছাঁদের আবরণ হিসেবে লাল ইট ব্যবহার করা হত" বলেছেন । খটকা লাগছে, ছাঁদে খড় ব্যবহৃত হলে ছাঁদের আবরণ ইটের হবে কিভাবে ?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

হাবিব ইমরান বলেছেন: " আধুনিক কালে মূল স্থাপত্য উপাদান হিসেবে খাঁজকাটা ষ্টীলের পাত ব্যবহার করা হয়। আগে কাঠ, বাঁশ এবং খড় ব্যবহার করা হত। খড় ছাঁদে ব্যবহার করা হত যা ঘরগুলোকে গরমকালেও ঠাণ্ডা রাখত। বাংলোগুলোতে ছাঁদের আবরণ হিসেবে লাল ইট ব্যবহার করা হত।"

এখানে বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথমে ছাদে খড় ব্যবহার হতো। তারপর আধুনিক হতে থাকে, তখন লাল ইটের প্রচলন শুরু হয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: চমৎকার লেখা |মনে হলো যে কোনো দু তিনটা ছবি নিয়েই একটা করে লেখা হতে পারতো আরো একটু বেশি বর্ণনাসহ |তাহলে আরো জানা যেত বাংলাদেশের এই প্রাচীন কীর্তিগুলো সম্পর্কে I অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর পোস্টের জন্য |

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সুন্দর, গঠনমূলক পরামর্শের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.