নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। তারা ধ্বংস হোক।
প্রভাতের নিস্তব্ধতায় ঘুম জাগানিয়া পাখিটার কিচিরমিচির গানের সুর যেন বহুকাল আগের কোন প্রেমিকার তীব্র আবেগপূর্ণ ভালোবাসার আহবান। মেলে ধরছে তার সহৃদয়া উচ্ছন্ন উল্লাস-আকাঙ্ক্ষা। ডানা ঝাপটা দিয়ে জানান দেয় নিজের আবেগের শক্তি-সামর্থ। যেন বলছে, কপটতা নয়, এটিই তোমাকে খুঁজে পাবার প্রচেষ্টা। প্রতি প্রভাতেই সহস্র যুগ ধরে অব্যাহত ছিলো এ আহবান, কণ্ঠের নিদারুণ ক্লান্তিতে তার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
হে প্রিয়! এসেছে কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের প্রভাত। বোধহয় কতকাল দেখনি এরচেয়ে সুন্দর কোন সকাল। ঘাসের মাঝে মাঝে ফুটে আছে অসংখ্য বেলী, চম্পা, চামেলি। যেন কেউ মেলে ধরেছে অজানা বাহারি স্বর্গীয় গালিচা, তুমি আসবে বলে। বেলী ফুলের মালা গেঁথে এনেছি, দেখবে এসো। দেখো, শিশিরস্নাত গালিচায় অতিসন্তর্পনে। দেখ, অনুভব করবে কতইনা স্পর্শসুখ।
দেখো হাতছানি দিয়ে কারা ডাকছে! সম্মুখপানে তাকিয়ে দেখ, ঘুঘু, টিয়া, শালিক, এমনকি কর্কশ বায়সও আহবান করছে হে প্রিয়! চলে এসো, চলে এসো! হাতে হাতে হাত রেখে সিক্ত করি এ প্রভাত।
ওহে আরামপ্রিয় বন্ধু! খেজুরে রসের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা পুরো জগত-সংসার। পিঠা পুলি নিয়ে দস্যিছেলেদের দস্যিপনা দেখবে এসো। বাহারি খাবার, পিঠা পুলি নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে তারা। খেলছে, ছুটোছুটি করছে, খাচ্ছে, কুয়াশায় ভরা প্রভাতকিরণ গায়ে মাখিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বান্দর বান্দর খেলছে। গাঁয়ের মা-ঝি, আবাল-বৃদ্ধ, বনিতারা বাসন-কোসন, থালা-বাটি নিয়ে রসের হাড়িতে হুমড়ে পড়ছে। প্রভাতের সমীরণে কম্পমান কুক্কুর-বিড়ালও হেলিয়ে দুলিয়ে নিজেদের আসন-অবস্থান নির্দিষ্ট করছে।
ওহে অলসবন্ধু! ভালোবাসি তোমাকে। তারচেয়ে আরো বেশি ভালোবাসি, গাঁয়ের কৃষক-কৃষাণ, জেলে, রাখালদের। যাদের কাছে শীতের প্রভাত মানেই নিজ কাজে ধ্যানমগ্ন হয়ে আত্মনিষ্ঠ কর্মযজ্ঞে পরিচালিত হওয়া। তাদের সোনার হাতের পরশে ফসলে-ফলে ভরিয়ে দেয় জগত। ঝরা পাতায় মচমচে শব্দতুলে এগিয়ে চলে বংশীবাদক রাখাল ছেলে, তার বাঁশিতে সুর তুলে। এগিয়ে চলে গাই-বাছুর নিয়ে। আঞ্জাম দেয় মধুর ছেয়ে মিষ্টি সফেদ দুধ, যার স্বাদে খেলে যায় হৃদয়স্পন্দন, কেটে যায় হতাশা, অবসাদ, ক্লান্তি।
হে প্রেমাবতার! জেগে উঠো! জেগে উঠো, প্রেমানন্দ নিয়ে। জেগে উঠো সন্তুষ্টচিত্তে। শীতের প্রভাতে, স্বর্গীয় প্রেমানন্দ নিয়ে। ভোরের কুয়াশা গালিচার স্তরে স্তরে বিলোয় অনিন্দ্য সুখ। যার পরশ না নিলে বোধহয় পাপ হবে। চাইনা তোমার পাপে ভরে উঠুক এমন সুন্দর স্নিগ্ধ প্রভাত। সৃষ্টিই তো হয় সুখের উল্লাসে। স্রষ্টার এমন স্নিগ্ধ প্রভাত তোমার-আমার জন্য উপহার। চলে এসো, উপভোগ করি একসাথে।
হে পাষাণহৃদয়ী বন্ধু! শীতের একটা প্রভাত, হাজারো স্বর্গীয় প্রভাতের মিশ্রণ। যেন শীতই স্বর্গের আরেকরূপ। কুয়াশার জলে স্নান করে নকশি কাঁথায় মুড়ে, সোনালি রোধের মিষ্টি তাপে বসে, দুধচিতই, দুধ পুলি, ভাপা পিঠা, নকশী পিঠা, লাল পুয়া পিঠা, মালপোয়া, ঝিনুক পিঠা, সাগুদানা পিঠা সহ বাহারি পদের পিঠা খাওয়াতো শীতের ই অংশ। তাহলে কেন বঞ্চিত হচ্ছো!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩
হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড দাঁত ব্যাথা নিয়ে হাসি মুখে থাকি। ...
বং আপনার পোষ্ট পড়লাম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫
হাবিব ইমরান বলেছেন: আপনার বেদনায় আমার তরফ থেকে সমবেদনা। দ্রুত আরোগ্যলাভের জন্য অশুভকামনা রইলো।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শীতের বর্ণনা
বেশ ভালো লাগলো
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ছবিটা বড় চমৎকার।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১
হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ওহে অলসবন্ধু! ভালোবাসি তোমাকে।
............................................................ অলসবন্ধু! থাকলে অলস হয়ে যেতে হবে ভাই ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২
হাবিব ইমরান বলেছেন: দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তাহলে দাগই ভালো।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শীতকাল আমার খুব প্রিয়!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২
হাবিব ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ, শীতকাল আমারও প্রিয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দৃশ্যকল্পের সুন্দর ব্যবহার !
ভালোলাগা..........