নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ (!)। তাই মানবতার প্রাধান্য সবার আগে। তারপর না হয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রাধান্য। -- [email protected]

হাবিব ইমরান

পড়তে, ভাবতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোয় দারুণ পছন্দ। ধার্মিকতা আর বকধার্মিকতার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বিলকুল অপছন্দ।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারের তালিকা : মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভণ্ডামি কেন?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

রাজাকারের তালিকা নিয়ে জাতীয় পত্রিকার রিপোর্ট : দেখুন,
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
৫. Click This Link
৬. Click This Link



মুক্তিযুদ্ধ একটা স্পর্শকাতর জায়গা। একবার হাত ফস্কালেই কপালে দুর্দশা নিশ্চিত। মুক্তিযুদ্ধে নিজের মতামত আর আবেগের কোন স্থান নেই জানি। কিন্তু অতিরিক্ত ভণ্ডামি দেখলে গা জ্বলে যায়। মুক্তিযুদ্ধ মহান, মুক্তিযুদ্ধ অহংকারের বিষয়। সকল দল, মত, ধর্ম, গোষ্ঠীর জন্যই মুক্তিযুদ্ধ মহান। কিন্তু না, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার অর্ধশত বৎসর পার হওয়ার পরেও ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।

পৃথিবীর যে কোন দেশ নিজ দেশের উন্নয়নের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে পঞ্চাশ বছর আগের একটা বিষয় নিয়ে পড়ে থাকলে কোন জাতিই নিজেকে উন্নত করতে পারবে না। বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার, হিংসা, অপরাজনীতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, গুম, খুন, ধর্ষণ, জবরদখল সে দেশের অভ্যাসে পরিণত হবে। এসব একটা রাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ, এসব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি রাষ্ট্রের নিরাপত্তারক্ষীও অপরাজনীতির কবলে পড়ে দেশের রাজনীতিতে আকৃষ্ট হয়ে বিরোধীমতের গলা চেপে ধরতে হাত বাড়িয়ে দেয়। গণতন্ত্রকে ভূমিসাৎ করার আগ পর্যন্ত তারা থামে না।

পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, হাজার বছর ব্যাপী যুদ্ধের পরেও তারা অতীতকে অতীতের যায়গায় রেখে এখন বিশ্বশাসন করছে। আর বাংলাদেশ?
মাত্র নয়মাসের যুদ্ধের ঢেকুর পঞ্চাশ বছরেও ভুলতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসতা অস্বীকার করছিনা আমি। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি তাদের, যারা দেশের স্বার্থে (ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা দলের স্বার্থে নয়) নিজেদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
কিন্তু তারা কি ভাবছে এখন? তাদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া রাষ্ট্রে আমরা নিজেদেরকে অতিরিক্ত চেতনাবাদী আর দেশপ্রেমিক বানাতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল এমন অপরাধ করে নিজের দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছি। ক্ষমা করো বীর শহীদেরা, পারিনি সোনার বাংলা উপহার দিতে।

৭১ যা হয়েছে তা অতীত, এসব কি ইতিহাসের জায়গায় রাখা যায় না? শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা যায়না? অতিরিক্ত শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে এসব নিয়ে রাজনীতি কেন করতে হবে?
দেখা যায়, বিএনপি তাদের মত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি করে। আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগের মত ইতিহাস তৈরি করে। যখন যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সরকারদলের সবাই মুক্তিযোদ্ধা আর বিরোধীদলের মুক্তিযোদ্ধাও তখন রাজাকার হয়ে যায়। এসব ভণ্ডামি কেন? বঙ্গবন্ধু কি যুদ্ধাপরাধী আর রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেননি?

এখন আবার রাজাকারের লিষ্ট বানাতে গিয়ে আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে হাস্যকর একটা দলে রূপান্তর করেছে। মুক্তিযোদ্ধাকেও তারা রাজাকার বানিয়ে লিষ্ট প্রকাশ করেছে। জানি এটা ইতিহাসের একটা অংশ। কিন্তু তাই বলে স্বচ্ছতা থাকবে না? এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয় চূড়ান্তভাবে প্রকাশের আগে হাজারবার যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিলো। একজন মানুষকে নিয়ে ভুল কিছু প্রকাশ করলে তার জন্য এটা হবে লজ্জার। এমনকি লজ্জায় সে আত্মহননের পথও বেছে নিতে পারে। তখন এর দায় কে নিবে?

কিন্তু রাজাকারের লিষ্টে যখন ভুল করে ফেলেছে বা দুর্নীতি করে ফেলেছে সাথে সাথে অস্বীকার করে বসেছে। ( Click This Link ) এসব কি ঠিক হলো?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই এই দেশ নিয়ে একসময় আমি আশাবাদী ছিলাম।
এখন আর কোনো আশা নেই। দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে গলে গেছে।
অত তাড়াতাড়ি পারেন ইউরোপের কোনো দেশে চলে যান।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

হাবিব ইমরান বলেছেন:

মাঝেমধ্যে আফসোস হয় ভাই। এদেশে জন্ম নেয়াটা সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বুঝতে পারি না। আমি আবার কবি সাহিত্যিক না, পুরোপুরি দার্শনিকও না। তাই সব জায়গায় এদেশের সৌভাগ্যের ব্যাপারে বলতে পারি না। বাস্তবতা আমি বুঝি। এরকম কবি সাহিত্যিকের মত বানোয়াট চাপা আমি মারতে জানি না। যে দেশ চোর ডাকাতের আতুরঘর সেখানে দুর্ভাগ্যের জন্যই মনে হয় আসা। পৃথিবীর কোথাও মনে হয় এতো খারাপ মানুষ একসাথে বসবাস করে না, যতবেশি মানুষ বাংলাদেশে বাস করে।

হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলেন, বাঙালি একশো ভাগ সৎ হবে এটা আশা করাটা অন্যায়, পঞ্চাশ ভাগ সৎ হলেই বাঙালিকে পুরস্কার দেয়া উচিত।

একটা বাস্তব কথা বলে গেছেন হুমায়ুন স্যার।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া এটা বিএনপি'র আমলে হয়নি। তা না হলে এতক্ষণে কত জনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হত, কতজনকে পাকিস্তানের দোসর শুনতে হত কে জানে...

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩

হাবিব ইমরান বলেছেন:

হয়তো আপনারটা ঠিক। দু'দলই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে এটা মানতে হবে আপনাকে। তবে আঃ লীগ একটু বেশিই করে এটা আমি মানছি। হয়তো আঃ লীগ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি নেতৃত্বদেয়ার জন্য এ সুবিধা তারা ভোগ করছে।

বিএনপি এ কাজটা করলে এতোক্ষণে সারাদেশে তাণ্ডবলীলা শুরু হতো, আরেকটা ব্যবসায়ের খাত উন্মোচন হতো, আরেকটু চেতনা নিয়ে ঘাটাঘাটি করা যেত।
আহা রাজনীতি, তুমি মহান।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

রাশিয়া বলেছেন: রাজাকারেরা সব মরার ধারে কাছে। এই সময় এই তালিকা প্রকাশ না করলে দেশ ও জাতির এমন কি বিরাট ক্ষতি হয়ে যেত? প্রকাশ করায় কি এমন উপকার হয়েছে?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

হাবিব ইমরান বলেছেন:

ভাইয়া, এসব চেতনা টেতনা কিছুনা। এসব ব্যবসা।
প্রথমবারে ৬০ কোটি ব্যবসা হইছে, কিন্তু সেই লিষ্ট বাতিলও হইছে, আবার তা ২৬ মার্চ প্রকাশ হবে। ধরেন প্রথমবারের সংশোধনী বিল আরও ৬০ কোটি। বাহ।
এভাবে দ্বিতীয় তালিকা, তৃতীয় তালিকা হবে। এই রাজাকার তালিকায় টোটাল ২৫০ কোটি ধরে রাখেন খরচ/ধান্ধা।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাজারো সমস্যায় দেশের মানুষের জীবন জেরবার।মানুষের কোন কিছুতেই ভরসার কিছু নেই।আর উনারা কিছু দিন পর পর একেকটা সমস্যা তৈরী করেন এবং তা নিজেদের স্বার্থে তা ব্যবহার করার চেষ্টা করেন ।
এবার সেটা ব্যাটে-বলে মেলে নাই ।এটাই সমস্যা তৈরী করেছে।
সমস্যা নেই ..........।তবে এখন আবার নতুন করে তাদের মত করে তৈরী হবে নতুন তালিকা, নতুন গল্প।
তাতে কারো কারো কপাল পুড়বে,পাবে নতুন করে রাজাকার এর খেতাব।আর উনারা ত সকলেই দেশপ্রেমিক (সব আওয়ামী লীগারই দেশপ্রেমিক,উনারা ছাড়া বাকী সবা বাংগালী ই রাজাকার)

সকল চেতনার পুজারীদের দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ঘোষনা করার প্রস্তাব রইল,তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ রইল(যদিও উনাদের্ হয়ত সেই সময় জন্মই হ্য়নি বা উনারাই হয়ত প্রকৃত .........) "
আর তাদের ছাড়া বাকি বাংগালী (পাকি ) সবাইকে দালাল আইনে রাজাকার ঘোষনা করা হউক আর তাদরকে কি করা হবে তা উনারাই বলুক)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

হাবিব ইমরান বলেছেন:

কি করবেন আর?
এই কলীযুগে এসবই চটকদার বিষয়। বাংলাদেশের এটা সবচেয়ে বড় সমস্যা। যখন যে দল আসে ক্ষমতায়, তখন মুক্তিযুদ্ধ তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে রূপান্তর হয়। ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও হাস্যকর।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। অবাক হয় নি। হবার কথাও না।
যেই দলের নেত্রী নিজের মেয়ে বিয়ে দেন রাজাকারের ছেলের সাথে তার কিংবা তার দলের কাছে কি আশা করেন আপ্নি?
এবার ৬০ কোটি, পরের বার হবে ১০০ কোটি। এভাবে ১৯৭২ থেকে এরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে এই সব চেতনাবাজ'রা!
জয় বাংলা, নৌকা সামলা!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬

হাবিব ইমরান বলেছেন:

ভালোবাসা নিবেন ভাই।
বাংলাদেশের বস্তা পঁচা রাজনীতি নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতিই আমার অপছন্দ । ব্যক্তি হিসেবে আপনি কোন দল করেন তাতেও আমার আগ্রহ নেই । তবে শ্রদ্ধা আর শুভকামনা রইল ।

ভাই, একটু হলেও বুঝজ্ঞান হইছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনাও হইছে । কোনটা চেতনা আর কোনটা ব্যবসা সেটা ভালোই বুঝি। রাজাকারের তালিকার নামে জাতিকে উল্লু বানানো হইছে সেটাও স্বীকার করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.