নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। তারা ধ্বংস হোক।
[ছবিঃ গুগল]
বাংলাদেশের জনগণ অসচেতন নাকি জনগণের সরকার অসচেতন আজ অবধি তা উপলব্ধি করতে পারিনি। সরকার তার জায়গা থেকে ঠিক থাকলে জনগণ তার জায়গা থেকে ঠিক থাকে না, আবার জনগণ ঠিক থাকলে অযোগ্য গৃহপালিত মন্ত্রী/জনপ্রতিনিধিরা ঠিক থাকে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একদিকে গেলে জনপ্রশাসন যায় আরেক দিকে। স্বরাষ্ট্র বিভাগ একদিকে গেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ যায় আরেকদিকে। উত্তর সিটির সাথে দক্ষিণ সিটির সমন্বয় মনে হয় এই জীবনে আর দেখতে পাবো না। করোনার জন্য বিশেষ কমিটি লকডাউন দেয়, আবার অন্যদিকে গার্মেন্টস কল কারখানা খুলে দেয়। কল কারখানা চালু কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ। সবমিলিয়ে খিচুড়ি পাকানো অবস্থা দেখছি সারাজীবন। কিন্তু গত ২০২০ থেকে জাতীয় ব্যাধিতে উন্নীত হয়েছে। আবার সবকিছু খোলা কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে অনেকদিন।
সমন্বয়হীনতা নামের এক ধরণের ব্যাধিতে আক্রান্ত এ জাতি। দিন দিন এ ব্যাধি কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। করোনা যতটুকু ক্ষতি করেছে এ জাতির, তার চেয়ে শতগুণ বেশি ক্ষতি করেছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের হোমরা-চোমরারা। না আছে তাদের সেবা করার মানসিকতা, আর না আছে যোগ্যতা। কিন্তু সেবা করার ভান ধরতে গিয়েই কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় অপচয়ের হাল হাকিকত লক্ষ্য করতে হয়। স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিনিয়ত অনিয়ম দেখতে দেখতে এখন আর বিস্মিত হই না। দিন দিন বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে অনুমোদন দেওয়া প্রতিষ্ঠান বিনা পরীক্ষাতেই করোনার রিপোর্ট দিয়ে দিত। ধরা পড়ায় হয়তো এমনটাই জানতে পেরেছি। কিন্তু যেগুলো এখনও ধরা পড়েনি সেগুলোর কী অবস্থা?
শুধু স্বাস্থ্যখাত কেন! প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়, দপ্তরের সমন্বয়হীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কি সম্ভব নয়? প্রয়োজনে ‘সমন্বয় মন্ত্রণালয়’ নামক আরেকটা দপ্তর চালু করে হলেও এ আজাব গজব থেকে রক্ষা করা উচিত এ রাষ্ট্রকে।
হাজারো প্রকল্পে সমন্বয়হীনতার জন্য প্রকল্প ব্যয় বেড়েই চলেছে।
সড়ক কার্পেটিং করার পর ওয়াসা রাস্তা খুঁড়ে পোস্টমর্টেম করার বিষয়টা সকলেই জানেন। তাদের মাঝেমধ্যে জরিমানা করা উচিত।
এভাবে হাজারো প্রমাণ দেয়া যাবে।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব ইমরান,
সমন্বয়হীনতা এখন ম্যালেরিয়া জ্বরের মতো কাঁপাচ্ছে সমস্ত দেশটাকে। কিন্তু এ রোগ কুইনাইনে সারার নয়।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: সমাধান: মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সমন্বয় সাধন।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: জনগন যেমন সরকার তেমন।দেশের লোক দিয়েই সরকার গঠিত।জনগন গনতান্ত্রিক না,সরকার গনতান্ত্রিক না।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমবায় ও সমন্বয় একটা মন্ত্রণালয় ছিল মনে হয়। গুরুত্বের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় সম্ভব হচ্ছে না। সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত গুলো কতভাগ সঠিক সেটাও ভাবনার বিষয়। প্রতারণার আশ্রয় নেয়াটা বুদ্ধিমত্তা নয়। ধ্বংস ডেকে আনে কিন্তু। এর জন্য ডাটা কোয়ালিটি এত গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে গন্ডগুল আইনস্টাইন সাহেবও ফেইল মারবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যতই সিদ্ধান্ত দেয়ার সক্ষমতা থাকুক মিথ্যে তথ্য সরবরাহ করলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে না কোনদিনই। দায় কিন্তু বর্তাবে সরকারের উপর ।