নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী বিমুখ হয়ে মহা প্রভু মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় গোলাম হওয়ার চেষ্টায় সর্বাত্মক ভাবে প্রচেষ্টারত..

মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন

ভালোবাসবো একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে, আর তাদের, যাদের ভালোবাসলে প্রভু সন্তুষ্ট হবেন। সম্পর্ক হবে আল্লাহর জন্য আর সত্রুতাও হবে আল্লাহর জন্য। ব্যক্তিগত আবেগের, স্বার্থের কোনো প্রশ্রয় থাকবে না। পার্থিব সকল কিছুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম কেবল আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া। আমি মুসলিম, আমি পরোকালের যাত্রী, আমি আল্লাহর বান্দা , আমি রাসুল সঃ এর অনুসারী উম্মত।।

মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গে আজান,ইকামাতের জবাব।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়া হয় আর জামাতে নামাজ আদায়ের আগে দেয়া হয় ইকামত। আজান ও ইকামত শুনলে নিয়মানুযায়ী জবাব দিতে হয় আর এ জবাবের জন্য রয়েছে সাওয়াব বা পুণ্য। আমরা আজানের জবাব দিলেও ইকামতের জবাব হয়তো অনেকেই দিই না। কেউ কেউ শুধু আশহাদু আন্না মুহাম্মদার রাসূলুল্লাহ-এর জবাব দিয়ে থাকেন। যারা ইকামতের জবাব দিতে হবে জানেন এবং জবাব দিতে সচেষ্ট, তারা কিন্তু পুরো জবাব দিতে সক্ষম হন না অনেক ইমাম আর খতিব সাহেবের অসচেতনতার কারণে। কারণ মুয়াজ্জিন সাহেব ইকামতের শেষ শব্দ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সাথে সাথেই বেশির ভাগ ইমাম ও খতিব সাহেব তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবর’বলে থাকেন। এ ক্ষেত্রে নিজে তো ইকামতের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না,মুসল্লিরাও জবাব দেয়ার সুযোগ পান না। মুয়াজ্জিনের ইকামতের শেষ শব্দ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ শেষ না করতেই ইমাম বা খতিব সাহেব আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করেন এ দৃশ্যও কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায়। ইকামতের শেষ শব্দ উচ্চারণের সাথে সাথেই তাকবিরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলতে হবে, এটাই কি প্রকৃত নিয়ম? এভাবে কি সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে না নিজকেসহ মুসল্লিদের?

আজান ও ইকামত শুনে জবাবে কী বলতে হবে তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আজানের জবাব সম্পর্কে মুসলিম ও আবু দাউদে বর্ণিত হাদিস হচ্ছে, উমর ইবনুল খাত্তাব রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেছেন, ‘মুয়াজ্জিন বলবে,আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর তখন তোমাদের কেউ যদি বলে আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর; এরপর যখন মুয়াজ্জিন বলে আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে বলে আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ;এরপর যখন মুয়াজ্জিন বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ সে-ও বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ সা:,পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে হাইয়্যা আলাস সালাহ, সে বলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ, পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে হাইয়্যা আলাল ফালাহ, সে বলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ;এরপর মুয়াজ্জিন যখন বলে আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর সে বলে আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে তখন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ বাক্যগুলো যদি অন্তর থেকে বলে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আর ইকামতের জবাব সম্পর্কে আবু দাউদে বর্ণিত হাদিস হচ্ছে,আবু উমামা আল-বাহিলি রা: অথবা রাসূলুল্লাহ সা:-এর অন্য কোনো সাহাবি থেকে বর্ণিত যে, ‘বিলাল রা: ইকামত দিচ্ছিলেন। যখন তিনি কাদকামাতিস সালাহ বললেন, তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন,আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা (অর্থাৎ আল্লাহ তা প্রতিষ্ঠিত রাখুন এবং তা চিরস্খায়ী করুন)। বর্ণনাকারী আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: ইকামতের অন্যান্য শব্দের বেলায় হজরত উমর রা: থেকে বর্ণিত আজানের হাদিসের অনুরূপ বলেছেন। হাদিসদ্বয় থেকে প্রমাণিত,আজানের মতো ইকামতের জবাব দিতে হবে।

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, আজানের জবাব শেষে আমাদের অনেকেই দোয়া পড়া শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে আজানের শেষে দরুদ পড়তে হবে এবং দরুদ পড়া শেষ করে দোয়া পড়তে হবে। এ ব্যাপারে মুসলিম, আবু দাউদ,তিরমিজি ও নাসাঈ শরিফে বর্ণিত হাদিস হচ্ছে, ‘তোমরা যখন মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাবে তখন তোমরাও তার অনুরূপ বাক্য বলবে। এরপর আমার ওপর সালাত-দরুদ পাঠ করবে। কেননা আমার ওপর যে একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করবেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য অসিলার দোয়া করবে। যে ব্যক্তি আমার জন্য অসিলার দোয়া করবে, তার জন্য আমার শাফায়াত অবশ্যম্ভাবী।’ ফজরের আজানে মুয়াজ্জিন যখন আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম বলে এর জবাবে বলতে হবে ‘সাদ্দাকতা ওয়া বারাকতা’। আজানের শেষে দোয়ার আগে সালাত-দরুদের কথা হাদিসে বলা হলেও কোনো কোনো মসজিদে কিন্তু আজানের আগে দরুদ পড়তে শোনা যায়। আজানের আগে দরুদ পড়তে হবে এ রকম কোনো হাদিস আছে কি? ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আমরা একটু সচেতন হলে আজানের জবাব দিয়ে অশেষ সওয়াব অর্জন করতে পারি। আজানের মৌখিক জবাবের পাশাপাশি বাস্তব জবাবও কিন্তু দিতে হবে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে! কাজেই আসুন, আজানের মতো আমরা ইকামতেরও জবাব দিতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।

অনেক সুন্দর লিখেছেন। শৈল্পিক লেখা আরো বেশি করে লিখুন। পাশাপাশি মন্তব্য চালিয়ে যান। গঠনমূলক মন্তব্য ও সুন্দর লেখা প্রকাশ আপনাকে খুব দ্রুত প্রথম পাতায় নিয়ে আসবে আশা করি।
শুভ কামনা থাকলো নিরন্তর।
(প্রোফাইল চেঞ্জ করে দেখুন তো আরো সুন্দর লাগে কিনা !)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৪

মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। আপনি মডারেটরদের কেউ? আর হ্যা প্রোফাইল চেন্জের ব্যাপারে যদি একটু নির্দেশনা দিতেন।।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি মডারেটদের মধ্য থেকে কেউ নই, তবে ব্লগ ও আপনাদেরকে ভালবাসেন যারা তাদের মধ্যে একজন হওয়ার চেষ্টা করছি। আপনার লেখা আমার কাছে কিছুটাও হলেও ভালো লাগলো তাই আপনাকে প্রিয়জন ভেবে প্রথম পাতায় পাওয়ার ইচ্ছেটা প্রকাশ করলাম।

অনেক সময় আমরা এমন কিছু জিনিস ব্যবহার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে চাই যা আমাদেরকে মন্দদের মধ্যে শামিল করে। এই যেমন বর্তমান সময়ে ইসলামের নাম নষ্টকারী জঙ্গি সংঘটনগুলো আপনার প্রোফাইলের ছবির মতোই ছবি ব্যবহার করে লেখা বা বার্তা প্রকাশ করে। যেখানে স্পষ্ট আমাদের ধর্মকে হেয় করে বিশ্বে অশান্তি চালু রাখা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই বলেই আমি মনে করি।
আপনি আপনার প্রোফাইলের জায়গায় কোন ধরণের ছবি ব্যবহার করবেন সেটা আপনার একান্তই নিজেস্ব ব্যপার। আমি শুধু নিজের দৃষ্টিকোণ প্রকাশ করলাম মাত্র।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন বলেছেন: অপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.