![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।
আমরা আমাদের স্কুলের বাচ্চা-কাচ্চাদের খুব ভালো ভাবেই সেখাই, তোমরা কোনোদিন কারও কাছে কিছু চেয়ে খাবা না। কারও কাছে টাকার জন্য হাত পাতবা না। সোজা কথায়, ভিক্ষা করবা না।
ভালো খাবার লোভে অনেক সময় ছোট বাচ্চারা এই কাজ গুলা করে থাকে। এটাকে সরাসরি ভিক্ষাবৃত্তি বলা যেতে পারে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে, সারা দেশেই এখন বিশেষ করে এই ২-৩ বছরের মাঝে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক অনেক গুণে বেড়ে গেছে।
ওরা অনেক সময় সরাসরি ভিক্ষা করে না। কিছু বিক্রি করার জন্য আসে। যেমন চকলেট বিক্রি করে। আমরা ছোট বাচ্চা দেখে আবেগে আপ্লূত হয়ে পড়ি, এবং ওদের কাছে জিনিষ কিনে থাকি। ওদের হাতে টাকা তুলে দেই। অনেক সময় খাবারও কিনে দেই।
আমি এই টাকা দেয়া, খাবার কিনে দেয়া এই সব ব্যাপার গুলোকে কখনই ভালো চোখে দেখি না। আমরা আসলে ওদের সাহায্য করছি না, ওদেরকে " ভিক্ষাবৃত্তিতে " উসেক দিচ্ছি।
আমরা যদি ওদের হাতে টাকা না দিতাম, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা কোন ভিক্ষা চাওয়ার জন্য হাত দেখতাম না। ছোট বাচ্চাদের কাছ থেকে যদি ফুল না কিনতাম, তাহলে নিশ্চয়ই কোন বাচ্চাকে দেখতাম না তার আব্বা-আম্মা তাকে ফুল বিক্রির জন্য নিয়োগ করেছে।
আমাদের দেশের অবস্থা এখন এত খারাপ না যে, বাবা মা তাদের দুই-একটা বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে পারবে না। যদি আপনাদের সাহায্য করার এতই ইচ্ছে থাকে, তাহলে কোন পথশিশুকে এক বেলা পেট ভরিয়ে খাইয়ে দিন। আপনার খাওয়া জুসের তলায় পড়ে থাকা একটু জুস, কিনবা কেকের পিসের সামান্য একটু দিয়ে কি লাভ?
তাই আর যাই করুন, শিশুদের "ভিক্ষাবৃত্তিতে" উৎসাহী করবেন না। হয়ত ওদের না করতে আপনার খারাপ লাগবে। কিন্তু এই খারাপ লাগাই হয়ত ওদের করবে স্কুল মুখি।
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
অন্তহীন পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫২
Bithi Chakraborty বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত | বাচ্চাদের স্কুলমুখি করার জন্য তাদের ভিক্ষাবৃত্তি মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার |