নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বে এমন ১০টি ঘড়ি আছে যেগুলো সাধারণ ঘড়ির মতো নয়, এমনকি দামেও সস্তা নয়। বেশ ব্যয়বহুল হলেও অনেক শৌখিন মানুষ আছে যারা এ দামি ঘড়িগুলো সংগ্রহ করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছোটাছুটি করে। অনেক ঘড়িপ্রেমী মানুষ আছে যাদের শখই দামি দামি দুর্লভ ঘড়িগুলো হাতে দেওয়া বা ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা। এ কারণে তারা ঘড়িগুলো হাতছাড়া করতে চান না। সেসব দামি ১০টি ঘড়ি নিয়ে লিখেছেন_ নাজমুল হক ইমন
সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সময় দেখার একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের নাম ঘড়ি। মজার ব্যাপার হলো, কিছুদিন আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি তৈরি হয় সৌদি আরবের মক্কায়, যার নাম আবরাজ অল বিট ক্লক। এ ছাড়া সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়িটি। এসবের একটি সুনির্দিষ্ট কারণ হলো_ সময় দেখা। সময় এতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ফুরানোর আগেই হাতে থাকা কাজ শেষ করা উচিত। হয়তো এ জন্য এ কথাটি 'সময় গেলে সাধন হবে না' সবাই মনে রাখে।
ঘড়ির প্রচলন কবে থেকে তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল, তবে ধারণা করা হয় তিন হাজার ৪০০ বছর আগে থেকে সময় কিংবা ঘড়ি সম্পর্কে টুকটাক তথ্য সবার জানা ছিল। ১৮৮৪ সাল থেকে মোটামুটিভাবে ঘড়ি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। আধুনিক ঘড়ি ইয়াং বেলের হাতেই তৈরি। যারা ঘড়ি সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞ ছিল না, ঘড়ি তৈরির পর তারা এটি সম্পর্কে জানতে শুরু করে। এ ছাড়া সময় পর্যবেক্ষণের প্রথমদিকে সূর্যের গতিবেগ দেখে সময় নির্ধারণ করা হতো। তারপর মহাজাগতিক ঘড়ি, বালিঘড়ি, মিথঘড়ি আসে। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে আধুনিক ঘড়ি। তার ছোট্ট একটি উদাহরণ আমাদের হাতে দেওয়ার সুন্দর ঘড়ি। বিশ্বের সেই দামি ১০টি ঘড়ি হলো_
১. ক্যারেট কোপার্ড ওয়াচ
অবস্থান যেহেতু এক নাম্বারে, দেখতে সুন্দর, দামও নাগালের বাইরে তখন আর কি? ২৫ মিলিয়ন ডলারের এ ঘড়িটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি। এটি ২০১ ক্যারেট ডায়মন্ড দিয়ে সাজানো। এর মূল ভিত্তিটি ১৩ ক্যারেট সবুজ ডায়মন্ড, ১১ ক্যারেট সাদা ডায়মন্ড ও ১৫ ক্যারেট পিঙ্ক ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি। একটি বড় অংশ ১৬৩ ক্যারেট সাদা এবং হলুদ ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি। ঘড়িটির চারপাশেই ডায়মন্ড ছড়ানো-ছিটানো। দেখতে অসাধারণ এ ঘড়িটি সত্যিই দুর্লভ। কোনো শৌখিন বা ঘড়িপ্রেমী এ ঘড়িটি সংগ্রহ করতে পারেন যদি আপনার হাতে ২০ মিলিয়ন ডলার থাকে।
২. প্যাটেক ফিলিপস সুপার কমপ্লিকেশন ওয়াচ
মনোবিজ্ঞানী কিংবা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের হাতে এ ধরনের ঘড়ি দেখা যায়। মাঝে মাঝে জাদুকরদের হাতেও দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ইংরেজদের হাতে। খেলোয়াড়রা এ ঘড়ি ব্যবহার করে। সাঁতার, ফুটবল খেলার সময় এ ধরনের ঘড়িতে সময় দেখা হয়। দাম ১১ মিলিয়ন ডলার। এটি ১৮ ক্যারেট পুরনো ক্ল্যাসিক ঘড়ি। এটি ডিজাইন করেছিলেন আমেরিকান একজন ব্যাঙ্কার যার নাম হেনরি গ্রাভেস।
৩. প্যাটেক ফিলিপস প্ল্যাটিনাম ওয়ার্ল্ড টাইম ওয়াচ
অনেক শৌখিন মানুষ আছে যারা একসঙ্গে বিভিন্ন দেশের এবং শহরের সময় জানতে চায়। সে ক্ষেত্রে এ ঘড়িটি একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা, এ প্ল্যাটিনাম ওয়ার্ল্ড ওয়াচ একসঙ্গে বলে দিতে পারে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় দেশ ও শহরের সময়। দাম আকাশছোঁয়া হলেও এর কাজের কাছে চার মিলিয়ন ডলার বেশি নয়। এ ঘড়িটি ২৪টি দেশের সময় জানাতে পারে, যে ২৪ দেশের সময় ভিন্ন। এটি একটি সাহায্যকারী সামগ্রী। এর সংগ্রাহক বিভিন্ন সময় এটি সংগ্রহ করতে পারে। এটি ১৮ ক্যারেট হলুদ, সাদা বা গোলাপি সোনা অথবা প্ল্যাটিনামের তৈরি।
৪. ভ্যান্সেরন কন্সটাটিন ট্যুর ডি ইল ওয়াচ
এ ঘড়িটি দেখতে সাদাসিধে হলেও কাজে তা নয়। এতে পাঁচবার সময় নির্ধারণ করা যায়। এ সময়ের মধ্যে সাধারণভাবে অনেককিছুই পড়ে। এর দাম ১.৫ মিলিয়ন ডলার। এটি একেক সময় দ্বিমুখী বৈশিষ্ট্য বহন করে। এ ছাড়া এ ঘড়িটির মধ্যে সেকেন্ড জুন, সানসেট টাইম, ক্যালেন্ডার, মিনিট রিপোর্টিং আছে। এক কথায় বলতে হয়, গুণসম্পন্ন ঘড়ি এটি। ১৮ ক্যারেটের টাইমপিচ আর অন্যতম গুণ নিয়ে এ ঘড়িটি তৈরি।
৫. পাটেক ফিলিপ স্কাই মুন ট্যুরবিলিয়ন ওয়াচ
১.৩ মিলিয়ন দামের এ ঘড়িটি দামি ঘড়ি হিসেবে পাঁচ নাম্বারে অবস্থান করছে। এ ঘড়িটি সময় দেখার জন্য আকর্ষণীয় একটি সামগ্রীও বটে। এটিই সর্বপ্রথম ঘড়ি যার দুটি চেহারা আছে। আকাশে সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর সময় ঠিক করা। একটিতে সাধারণ সময়, আরেকটিতে চাঁদের সময় দেখা যায়। তা ছাড়া রাত-দিনের সময়ের নানা ধরনের প্রকারভেদ এ ঘড়িতে দেখা যায়।
৬. দ্য কোপ্রিট সুপার আইচ ক্যাব ওয়াচ
দামের দিকে তাকালে হয়তো বুকের ছাতি শুকিয়ে যাবে, তবে এ দামি ঘড়িটি যারা সংগ্রহে রাখতে চান তাদের ১.১ মিলিয়ন ডলার সঙ্গে রাখতে হবে। ৬০ ক্যারেটের এ ডায়মন্ড টাইমপিস সিস-এর আবিষ্কার। ১৮ ক্যারেট সাদা সোনার ব্রেসলেট আর ডায়মন্ডের টুকরো দিয়ে এ ঘড়িটির চারপাশ ও ডায়াল তৈরি। বেশি দাম হলেও দেখতে সুন্দর এই হাতঘড়িটি পানির ১০০ ফুট নিচে গেলেও সময় ঠিকমতোই জানাবে।
৭. হুবহু ব্ল্যাক কাভিয়ার ব্যাঙ্ক ওয়াচ
এক মিলিয়ন দামের এ ঘড়িটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি হাতে দিলে মানানসই। দুটি ডায়ালের এ ঘড়িটি দুটি দিক নির্দেশ করে। একটি বিগ ব্যাঙ্ক আরেকটি সাধারণ সময়। ১৮ ক্যারেটের সাদা সোনা ও ১০০রও বেশি ডায়মন্ডের টুকরো দিয়ে তৈরি এই দর্শনীয় ঘড়ি। দামের দিক দিয়ে এটি সত্যিই সাত নাম্বার তালিকায় দামি ঘড়ি হিসেবে আর এটি সংগ্রহে রাখা সত্যিই স্বপ্নের ব্যাপার।
৮. লুইচ ময়নেট ম্যাগিসট্র্যালিস ওয়াচ
দামি ঘড়ি হিসেবে আট নাম্বারে অবস্থান করা এ ঘড়িটির দাম আট লাখ ৬০ হাজার ডলার। সময় দেখার পাঁচটি ডায়াল আছে এ হাত ঘড়িটিতে। ১৮ ক্যারেটের এ ঘড়িটিতে মোনোক্রনোগ্রাফ এবং ক্যালেন্ডার আছে। এ দুর্লভ ঘড়িটিতে যুক্ত আছে ডুফার লুনার মেটিউরিট। পৃথিবী ও চাঁদের সময় একসঙ্গেই দেখা যায় এ ঘড়িটিতে।
৯. নাম্বারে ব্যালেন্সপেইন ওয়াচ
দাম প্রায় আট লাখ ডলার। যাদের সামর্থ্য আছে তারা কিনে রাখতে পারেন। হাতের দেওয়ার মতো এত ভালো ও দেখতে সুন্দর ঘড়ি কমই চোখে পড়ে। নাম্বার ১৭৩৫ আর গ্র্যান্ড কমপ্লিকেশন মডেলের এ ঘড়িটির কিছু বিশেষত্ব আছে। এটি ঐতিহ্যের কিছু বিষয়বস্তু বহন করে চলে। এটি তৈরিতে ১৮ ক্যারেট সোনা ব্যয় করতে হয়েছে, সঙ্গে ১৭৩৫ ক্যালিবার উইনডিং। সময় দেখার পাশাপাশি এ ঘড়িতে দিনক্ষণ অর্থাৎ ক্যালেন্ডারে তারিখ দেখারও ব্যবস্থা আছে এবং প্রতি সেকেন্ড সময় গড়িয়ে যাওয়ার খসড়াও এ ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত আছে।
১০. নাম্বারে বাজেট পকেট ওয়াচ
মডেল নাম্বার ১৯০৭বিএ/১২ আর দাম সাত লাখ ৩৪ হাজার ডলার। দামে সস্তা না হলেও ১০টি ঘড়ির মধ্যে এর দাম কম। এ ঘড়িটি বেশি ব্যবহার করে ইংরেজরা। তারা এ ঘড়িটি পকেটে রাখেন। এটিই তাদের অভিজাত্যের পরিচয়। ১৮ ক্যারেটের এ ঘড়ি দেখতেও অসাধারণ। হাতে মানানসই। সিলভার গোল্ড ডায়াল দিয়ে এটি তৈরি।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯
নেট ইনফিনিটি বলেছেন: ভাই, রোলেক্স আছে কত নম্বরে ?
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২০
চারশবিশ বলেছেন: এক কথায় চমৎকার
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
আলম 1 বলেছেন: চমৎকার।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
আকাশ মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল কিন্তু এগুলা কি বাংলাদেশের মার্কেটে আছে ?
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৫
নতুন বলেছেন:
এইটা আমার ঘড়ি...
পুরাই নয়া স্টাইলের
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
ভবিষ্যত নেতা আসিফ বলেছেন: bhai...akta ghorir dam dia sarajibon kataite parmu...